আফগান শান্তি আলোচনা: উদ্বিগ্ন ভারত
যুক্তরাষ্ট্র
ও আফগান বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান শান্তি আলোচনা ভারতের অর্থনৈতিক ও
নিরাপত্তা স্বার্থকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এমনটাই মনে করছেন কয়েকজন
ভারতীয় বিশ্লেষক। ভারতের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে
তালেবানের সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। আফগান সরকারকেও আলোচনা
থেকে সরিয়ে রেখেছে জঙ্গি সংগঠনটি। অথচ বর্তমান ও সাবেক আফগান সরকারের সঙ্গে
সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছিল ভারত। তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্র এখন খসড়া শান্তি
কাঠামো নিয়ে আলোচনা করছে। আমেরিকান গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, খসড়া
কাঠামোতে ১৮ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের কথা
রয়েছে। এর বিনিময়ে আফগান ভূখণ্ডে ইরাক ও সিরিয়ার ইসলামপন্থি জঙ্গি সংগঠন
আইএসকে কার্যক্রম চলতে না দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তালেবান।
সাউথ এশিয়া মনিটর জানিয়েছে, গত বুধবার তালেবান ও দেশটির সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইসহ আফগান রাজনীতিবিদেরা রাশিয়ায় আরেকটি শান্তি আলোচনার দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নেয়।
তবে তালেবান অব্যাহতভাবে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। ভারত এখনো তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়নি। তারা গত বছর রুশ-আয়োজিত আলোচনায় অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিকদের পাঠিয়েছিল। এর মাধ্যমে তালেবানের সঙ্গে ভারতের অস্বস্তির বিষয়টিই প্রতিফলিত হয়। উল্লেখ্য, ওই আলোচনায় তালেবান প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের অবস্থান হলো, তারা তালেবানের সঙ্গে আলোচনাকে সমর্থন করবে, আফগান সরকারও তাই চায়। তালেবান এখন পর্যন্ত আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। জওয়াহেরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক গুলশান সাচদেব বলেন, ভারত নতুন বাস্তবতার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। আফগানিস্তানে ভারতীয় সম্পৃক্ততার কঠিন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে ভারত। আফগানিস্তানে যা কিছু ঘটছে, তা বিশৃঙ্খল। কেউ জানে না, কী ঘটতে যাচ্ছে।
তবে কিছু কিছু নির্দেশনা স্পষ্ট। প্রায় সবাই এখন তালেবানের শক্তিকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। মনে হচ্ছে, আফগান সরকার কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। আর তা ভারতের জন্য ভালো বিষয় নয়। তালেবানের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা দিল্লির মধ্যে এই ভীতি জাগিয়েছে যে এর ফলে পাকিস্তানের প্রভাব বাড়বে। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য অবস্থা উপলব্ধি করতে ভারত এখন ইরান, রাশিয়া ও চীনের মতো দেশগুলোর কাছে ছুটছে।
সাউথ এশিয়া মনিটর জানিয়েছে, গত বুধবার তালেবান ও দেশটির সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইসহ আফগান রাজনীতিবিদেরা রাশিয়ায় আরেকটি শান্তি আলোচনার দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নেয়।
তবে তালেবান অব্যাহতভাবে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। ভারত এখনো তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়নি। তারা গত বছর রুশ-আয়োজিত আলোচনায় অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিকদের পাঠিয়েছিল। এর মাধ্যমে তালেবানের সঙ্গে ভারতের অস্বস্তির বিষয়টিই প্রতিফলিত হয়। উল্লেখ্য, ওই আলোচনায় তালেবান প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের অবস্থান হলো, তারা তালেবানের সঙ্গে আলোচনাকে সমর্থন করবে, আফগান সরকারও তাই চায়। তালেবান এখন পর্যন্ত আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। জওয়াহেরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক গুলশান সাচদেব বলেন, ভারত নতুন বাস্তবতার সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। আফগানিস্তানে ভারতীয় সম্পৃক্ততার কঠিন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে ভারত। আফগানিস্তানে যা কিছু ঘটছে, তা বিশৃঙ্খল। কেউ জানে না, কী ঘটতে যাচ্ছে।
তবে কিছু কিছু নির্দেশনা স্পষ্ট। প্রায় সবাই এখন তালেবানের শক্তিকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। মনে হচ্ছে, আফগান সরকার কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। আর তা ভারতের জন্য ভালো বিষয় নয়। তালেবানের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা দিল্লির মধ্যে এই ভীতি জাগিয়েছে যে এর ফলে পাকিস্তানের প্রভাব বাড়বে। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য অবস্থা উপলব্ধি করতে ভারত এখন ইরান, রাশিয়া ও চীনের মতো দেশগুলোর কাছে ছুটছে।
No comments