থাইল্যান্ডের নির্বাচনে লড়বেন প্রিন্সেস
থাইল্যান্ডে
আগামী মাসে বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে
প্রিন্সেস উবোলরাতানা রাজাকানিয়াকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মনোনয়ন দিয়ে
চমক সৃষ্টি করেছে দেশটির প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল থাই রক্ষা চার্ট পার্টি।
৬৭ বছর বয়সী উবোলরাতানা রাজা বিজরালঙ্কর্ন এর বোন। গণতান্ত্রিক থাইল্যান্ডে
রাজপরিবারের সদস্যদের সরাসরি দেশ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার নজির নেই।
তাই থাই রক্ষা চার্ট পার্টির এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে দেশীয় রাজনীতিতে নতুন
মেরূকরণের সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্লেষকরা। প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে
প্রিন্সেসকেই এগিয়ে রাখছেন তারা। অন্যদিকে, সেনা সমর্থিত বর্তমান
প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান ও চাও এবারের নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার ঘোষণা
দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, প্রিন্সেস ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মধ্যেই মূল
নির্বাচনী লড়াই হবে।
প্রিন্সেসের প্রার্থিতার খবর নিশ্চিত করেছেন রক্ষা চার্ট পার্টির প্রধান লেফটেন্যান্ট প্রিচাপন পংপানিক।
তিনি বলেন, সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে আমরা প্রিন্সেস উবোলরাতানাকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি একজন জ্ঞানী ও যোগ্য ব্যক্তি। বৈঠক শেষে আমরা তার কাছে গিয়েছি। তিনি আমাদের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। থাইল্যান্ডের সাবেক জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা এই রক্ষা চার্ট পার্টির নেতা ছিলেন।
৮৬ বছর আগে থাইল্যান্ডে পূর্ণ রাজতন্ত্রের অবসান ঘটেছে। এর পরে রাজপরিবারের কোনো সদস্য রাজনীতি করেছেন বা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এমন নজির নেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্ভবত নতুন রাজা প্রিন্সেসের প্রার্থিতাকে সমর্থন দিয়েছেন। থাইল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিশ্লেষক পল চেম্বার্স বলেন, এটা ঐতিহাসিক। আমার মনে হয়, দেশে নিজের প্রভাব বৃদ্ধি করার জন্য এটা বর্তমান রাজার পরিকল্পনার অংশ। প্রিন্সেস নিজে থেকে প্রার্থী হননি। রাজাই নিজের বোনকে প্রার্থী বানিয়েছেন। এটা বুঝিয়ে দেয় যে, এখন রাজা ক্রমবর্ধমানভাবে থাই রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ বছর ধরে থাইল্যান্ডে সামরিক জান্তা দেশ পরিচালনা করছে। অভ্যুত্থানের নেতা প্রায়ুত চান ও চা-ই সামরিক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেছেন। গণতান্ত্রিক সরকারে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আগামী ২৪শে মার্চ দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে দেখা হচ্ছে কর্তৃত্ববাদী শাসন বনাম গণতন্ত্রের ভোট হিসেবে।
প্রিন্সেসের প্রার্থিতার খবর নিশ্চিত করেছেন রক্ষা চার্ট পার্টির প্রধান লেফটেন্যান্ট প্রিচাপন পংপানিক।
তিনি বলেন, সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে আমরা প্রিন্সেস উবোলরাতানাকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি একজন জ্ঞানী ও যোগ্য ব্যক্তি। বৈঠক শেষে আমরা তার কাছে গিয়েছি। তিনি আমাদের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। থাইল্যান্ডের সাবেক জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা এই রক্ষা চার্ট পার্টির নেতা ছিলেন।
৮৬ বছর আগে থাইল্যান্ডে পূর্ণ রাজতন্ত্রের অবসান ঘটেছে। এর পরে রাজপরিবারের কোনো সদস্য রাজনীতি করেছেন বা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এমন নজির নেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্ভবত নতুন রাজা প্রিন্সেসের প্রার্থিতাকে সমর্থন দিয়েছেন। থাইল্যান্ডের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিশ্লেষক পল চেম্বার্স বলেন, এটা ঐতিহাসিক। আমার মনে হয়, দেশে নিজের প্রভাব বৃদ্ধি করার জন্য এটা বর্তমান রাজার পরিকল্পনার অংশ। প্রিন্সেস নিজে থেকে প্রার্থী হননি। রাজাই নিজের বোনকে প্রার্থী বানিয়েছেন। এটা বুঝিয়ে দেয় যে, এখন রাজা ক্রমবর্ধমানভাবে থাই রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ বছর ধরে থাইল্যান্ডে সামরিক জান্তা দেশ পরিচালনা করছে। অভ্যুত্থানের নেতা প্রায়ুত চান ও চা-ই সামরিক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেছেন। গণতান্ত্রিক সরকারে ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আগামী ২৪শে মার্চ দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে দেখা হচ্ছে কর্তৃত্ববাদী শাসন বনাম গণতন্ত্রের ভোট হিসেবে।
No comments