বেসামরিক ব্যক্তিদের গুলি করার স্বাধীনতা পেয়েছিল ব্রিটিশ সেনা সদস্যরা
ইরাক
ও আফগানিস্তান যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সেনা সদস্যদের আদেশ দেওয়া হয়েছিল,
অস্ত্র হাতে না থাকা বেসামরিক ব্যক্তিদেরও তারা গুলি করতে পারবে, যদি
তাদেরকে সন্দেহজনক মনে হয়। ফলে মোবাইল ফোন বা কুড়াল হাতে থাকা বেসামরিক
নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর সুযোগ পেয়ে যায় যুক্তরাজ্যের সেনাবাহিনীর
সদস্যরা। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মিডিল ইস্ট মনিটর
লিখেছে, মূল বিষয়টি হচ্ছে সন্দেহের। সেনা সদস্যরা যদি মনে করতেন যে তাদের
ওপর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নজরদারি করছে এবং মোবাইল ফোনে সংবাদ পাঠাচ্ছে তাহলে
তাকে গুলি করার স্বাধীনতা পাওয়া যেত। আবার হাতে কুড়াল থাক ব্যক্তিরাও
ব্রিটিশ সেনা সদস্যদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতো। কারণ ধরে নেওয়া হতো এমন
ব্যক্তি, রাস্তার পাশে বোমা পুঁতে রাখার কাজ করে।
অস্ত্র হাতে না থাকলেও নজরদারি করা নিরস্ত্র ব্যক্তিদের শত্রুপক্ষের হিসেবে চিহ্নিত করার ইতিহাস রয়েছে ৩০ বছরব্যাপী চলা নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সংঘাতে। ওই সময় ব্রিটিশ সেনা সদস্যেদের অবস্থান জানিয়ে দেওয়ার কাজ করত স্থানীয়দের অনেকে। তারা তথ্য দিত আইরিশ রিপাবলিকান আর্মিকে। সেসময় থেকে ব্রিটিশ সেনা সদস্যরা এমন ব্যক্তিদের ‘ডিকার্স’ নামে আখ্যায়িত করতে থাকে।
ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধেও ডিকার্সদের উপস্থিতি দেখে, ব্রিটিশ সেনা বাহিনী তাদেরকে গুলি করার অনুমতি দেয়। এমন ঘটনা তখনই ঘটেছে যখন ব্রিটিশ সেনা সদস্যরা চরম প্রতিকূলতার মধ্যে পড়েছে। ইরাকে ডিকার্সদের গুলি করে হত্যার ঘটনা শুরু হয় ২০০৪ সালের জুন মাসে আমারাহ নামক স্থানে। সেখানে ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল শিয়ারা।
সাবেক ব্রিটিশ সেনা সদস্যদের সাক্ষাৎকার থেকে মিডিল ইস্ট মনিটর জেনেছে, এভাবে সন্দেহের বশে বেসামরিক নাগরিকদের গুলি করার কারণে শিশু থেকে শুরু করে কিশোরদেরও প্রাণ গেছে। ইরাকে মোতায়েন থাকা সাবেক এক ব্রিটিশ সেনা সদস্য জানিয়েছেন: তাদেরকে বলা হয়েছিল, হাতে মোবাইল বা কোদাল থাকা যে কাউকে সন্দেহ হলে তারা গুলি করতে পারবে। কারণ তখন মনে করা হতো, বেসামরিক নাগরিকরা মোতায়েন করা ব্রিটিশ সেনা সদস্যদের ওপর নজরদারি চালায়, যার ভিত্তিতে সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালায়। মোতায়েন থাকা ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তারা তাই সেনা সদস্যদের জন্য যুদ্ধের নিয়ম শিথিল করে দিয়েছিলেন।
একজন ব্রিটিশ মেরিন সদস্য তার সহকর্মীদের কাছে স্বীকার করেছিলেন, তার গুলিতে আট বছর বয়সী এক বালক প্রাণ হারিয়েছে। আফগানিস্তানের ওই ঘটনায় ছেলেটির বাবা লাশ নিয়ে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে এসে হত্যাকাণ্ডের জন্য জবাবদিহিতা দাবি করেছিল।
আরেকজন সেনা সদস্য মিডিল ইস্ট আইকে জানিয়েছেন এমন একটি ঘটনার বিষয়ে যেখানে তাদের গুলিতে নিহত দুই আফগান বালকের মৃত্যুর ঘটনা ঢাকতে গল্প ফাঁদা হয়েছিল। অথচ ওই হত্যার ঘটনার সাক্ষী তিনি নিজে। আফগান বালক দুইটির হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুইটি পুরাতন রাশিয়ান অস্ত্র তাদের মৃতদেহের কাছে রেখে দাবি করেছিল, তারা আফগান তালেবানের সদস্য।
তিনি আরও বলেছেন, বিভিন্ন ঘাঁটিতে তিনি পুরাতন রাশিয়ান অস্ত্র এভাবে জমিয়ে রাখতে দেখেছেন। তার দৃঢ় বিশ্বাস, ব্রিটিশ সেনা সদস্যদের গুলিতে নিহত বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই ওই অস্ত্রগুলো ব্যবহার করা হত। সেগুলো সহজেই হেডকোয়ার্টারে পাঠানোর সুযোগ থাকলেও তা করা হতো না।
আরেকজন সাবেক ব্রিটিশ সেনা সদস্য জানিয়েছেন, ইরাকের বসরাতে এক ঘটনায় তিনি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসামরিক নাগরিককে হত্যার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। অথচ তাদের সবাইকে নজরদারির জন্য দায়ি করা যায় না। যুদ্ধের নিয়ম শিথিল করায় তাদের সবাইকে বেঘোরে প্রাণ দিতে হয়েছে।
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, যেকোনও তদন্ত হলে তারা সেনা সদস্যদের পাশে থাকবেন। তাদেরকে শুধু বলতে হবে, তারা আসলেই মনে করেছিলেন, তাদের নিজেদের প্রাণ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই তারা গুলি চালিয়েছেন।
অস্ত্র হাতে না থাকলেও নজরদারি করা নিরস্ত্র ব্যক্তিদের শত্রুপক্ষের হিসেবে চিহ্নিত করার ইতিহাস রয়েছে ৩০ বছরব্যাপী চলা নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সংঘাতে। ওই সময় ব্রিটিশ সেনা সদস্যেদের অবস্থান জানিয়ে দেওয়ার কাজ করত স্থানীয়দের অনেকে। তারা তথ্য দিত আইরিশ রিপাবলিকান আর্মিকে। সেসময় থেকে ব্রিটিশ সেনা সদস্যরা এমন ব্যক্তিদের ‘ডিকার্স’ নামে আখ্যায়িত করতে থাকে।
ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধেও ডিকার্সদের উপস্থিতি দেখে, ব্রিটিশ সেনা বাহিনী তাদেরকে গুলি করার অনুমতি দেয়। এমন ঘটনা তখনই ঘটেছে যখন ব্রিটিশ সেনা সদস্যরা চরম প্রতিকূলতার মধ্যে পড়েছে। ইরাকে ডিকার্সদের গুলি করে হত্যার ঘটনা শুরু হয় ২০০৪ সালের জুন মাসে আমারাহ নামক স্থানে। সেখানে ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল শিয়ারা।
সাবেক ব্রিটিশ সেনা সদস্যদের সাক্ষাৎকার থেকে মিডিল ইস্ট মনিটর জেনেছে, এভাবে সন্দেহের বশে বেসামরিক নাগরিকদের গুলি করার কারণে শিশু থেকে শুরু করে কিশোরদেরও প্রাণ গেছে। ইরাকে মোতায়েন থাকা সাবেক এক ব্রিটিশ সেনা সদস্য জানিয়েছেন: তাদেরকে বলা হয়েছিল, হাতে মোবাইল বা কোদাল থাকা যে কাউকে সন্দেহ হলে তারা গুলি করতে পারবে। কারণ তখন মনে করা হতো, বেসামরিক নাগরিকরা মোতায়েন করা ব্রিটিশ সেনা সদস্যদের ওপর নজরদারি চালায়, যার ভিত্তিতে সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালায়। মোতায়েন থাকা ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তারা তাই সেনা সদস্যদের জন্য যুদ্ধের নিয়ম শিথিল করে দিয়েছিলেন।
একজন ব্রিটিশ মেরিন সদস্য তার সহকর্মীদের কাছে স্বীকার করেছিলেন, তার গুলিতে আট বছর বয়সী এক বালক প্রাণ হারিয়েছে। আফগানিস্তানের ওই ঘটনায় ছেলেটির বাবা লাশ নিয়ে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতে এসে হত্যাকাণ্ডের জন্য জবাবদিহিতা দাবি করেছিল।
আরেকজন সেনা সদস্য মিডিল ইস্ট আইকে জানিয়েছেন এমন একটি ঘটনার বিষয়ে যেখানে তাদের গুলিতে নিহত দুই আফগান বালকের মৃত্যুর ঘটনা ঢাকতে গল্প ফাঁদা হয়েছিল। অথচ ওই হত্যার ঘটনার সাক্ষী তিনি নিজে। আফগান বালক দুইটির হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুইটি পুরাতন রাশিয়ান অস্ত্র তাদের মৃতদেহের কাছে রেখে দাবি করেছিল, তারা আফগান তালেবানের সদস্য।
তিনি আরও বলেছেন, বিভিন্ন ঘাঁটিতে তিনি পুরাতন রাশিয়ান অস্ত্র এভাবে জমিয়ে রাখতে দেখেছেন। তার দৃঢ় বিশ্বাস, ব্রিটিশ সেনা সদস্যদের গুলিতে নিহত বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিতেই ওই অস্ত্রগুলো ব্যবহার করা হত। সেগুলো সহজেই হেডকোয়ার্টারে পাঠানোর সুযোগ থাকলেও তা করা হতো না।
আরেকজন সাবেক ব্রিটিশ সেনা সদস্য জানিয়েছেন, ইরাকের বসরাতে এক ঘটনায় তিনি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বেসামরিক নাগরিককে হত্যার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। অথচ তাদের সবাইকে নজরদারির জন্য দায়ি করা যায় না। যুদ্ধের নিয়ম শিথিল করায় তাদের সবাইকে বেঘোরে প্রাণ দিতে হয়েছে।
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, যেকোনও তদন্ত হলে তারা সেনা সদস্যদের পাশে থাকবেন। তাদেরকে শুধু বলতে হবে, তারা আসলেই মনে করেছিলেন, তাদের নিজেদের প্রাণ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাই তারা গুলি চালিয়েছেন।
No comments