কান্না থামবে কবে?
কতদিন
বাবাকে দেখি না। বাবার আদর পাই না। আমার বাবাকে ফিরিয়ে দিন। আমি বাবার
সঙ্গে স্কুলে যেতে চাই। বাবার সঙ্গে খেলতে চাই। বাবাকে ফিরিয়ে দিন। বাবা
ছাড়া কিছু ভালো লাগে না। কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিল ২০১৩ সালে গুম হওয়া
সাজেদুল ইসলাম সুমনের মেয়ে আফসানা ইসলাম রাইদা।
গতকাল ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গুম হওয়ার পাঁচ বছর শেষ, আর অপেক্ষা কতদিন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘মায়ের ডাক’ নামের সংগঠন। গুম হওয়া ব্যক্তিদের কথা বলতে গিয়ে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এদের কেউ মা, কেউ মেয়ে, কেউ বোন, আবার কেউ স্ত্রী। এ সময় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
২০১৩ সালে গুম হওয়া স্বজনদের নিয়ে এ আলোচনা সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিখোঁজ সুমনের বড় বোন মারুফা ইসলাম ফেরদৌসী। তিনি বলেন, প্রতিবছর আমরা আপনাদের কাছে ছুটে আসি এবং আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসী জানতে পারে আমরা আমাদের স্বজনদের হারিয়ে কত কষ্টে জীবনযাপন করছি। দেখতে দেখতে পাঁচটি বছর পেরিয়ে গেছে। সামনে চলে এলো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে বর্তমান সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে। আমাদের ‘মায়ের ডাকের’ পক্ষ থেকে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি একটি দাবি তা হলো, দলীয় ইশতেহারে গুম হওয়ার বিষয়ে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের স্পষ্ট বক্তব্য থাকতে হবে। মারুফা বলেন, গত পাঁচ বছরে গুম হওয়া কেউ ফিরে আসেনি। কিন্তু গুম হওয়া পরিবারের অনেকেই কাঁদতে কাঁদতে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। মুন্নুর বাবা এই প্রেস ক্লাবে এসে সন্তানের ফিরে আসার দাবি জানিয়েছিলেন, এখন তিনি চিরদিনের জন্য আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। পারভেজ হোসেনের বাবা ও শ্বশুর না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তার মেয়ে হৃদি এখন কাউকে দাদু-নানু ডাকতে পারে না। সাইফুর রহমান সজীবের মা রেনু মারা গেছেন।
ঝন্টুর বাবাও মৃত্যুবরণ করেছেন। সুমনের মেয়ে আফসানা ইসলাম রাইদা যখন তার বাবাকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানাচ্ছিল তখন তার দু’চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছিল। উচ্চস্বরে কাঁদতে কাঁদতে রাইদা বলছিল, আমি আমার বাবাকে দেখতে চাই। আমার বাবা কোথায়? আমার বাবা কেমন আছে, আমি কিছু জানি না। আমার বাবাকে ফিরিয়ে দিন। আমাকে আমার পরিবার বলে সাবধানে চলতে। আমি সাবধানে চলে কী করবো? আমাকে নিয়ে যাবে, আমাকে নিয়ে যেতে দিন, গুম করে দিন। তাহলে আমি আমার বাবাকে দেখতে পারবো। আমি কেমন সন্তান যে, আমার বাবাকে পাঁচ বছর ধরে দেখতে পাই না, কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিল রাইদা। চিৎকার করে বলেন, বাবাকে খুঁজতে সব জায়গায় গেছি, কিন্তু কোথাও পাইনি। এ কেমন দেশ? যুবদল নেতা পারভেজ হোসেনের চার বছর বয়সী মেয়ে হৃদি ‘বাবা’, ‘বাবা’ আর কান্না ছাড়া মুখ দিয়ে কোনো কথা বলতে পারেনি।
গুম হওয়া মারুফের বোন রত্না বলেন, পাঁচ বছর হয়ে গেল আমার ভাইকে দেখতে পাই না। সে কোথায় আছে, কেমন আছে, আমরা কিছুই জানি না। আমাদের কিছু চাওয়ার নেই, শুধু আমার ভাইকে ফেরত চাই। গুম হওয়া আবদুল কাদের মিয়া মাসুমের মা আয়শা আলী বলেন, আমি আমার ছেলেকে সব জায়গায় খুঁজে বেড়াই। কিন্তু কোথাও পাই না। আজ কতদিন হয়ে গেল মা ডাক শুনতে পাই না। আমার একটাই সন্তান। পাঁচ বছর ধরে সরকারের কাছে একটাই দাবি জানাচ্ছি, আমার সন্তানকে ফিরিয়ে দিন। প্রধানমন্ত্রীও তো স্বজনহারা। তিনি কি স্বজন হারানোর ব্যথা বুঝেন না? আমি চাই আগামী ভোটের আগেই আমার সন্তানকে আমার কোলে ফিরিয়ে দিন। পুরান ঢাকার বংশালের নিখোঁজ আদনানের বাবা এরশাদ আলী, সেলিম রেজা পিন্টুর বোন রেহেনা বেগমও স্বজনদের ফিরে পাওয়ার আকুতি জানান। সিলেটে আহত ছাত্রদলের একজন কর্মী পুলিশের নির্যাতনের বর্ণনা দেন এই অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না গুম ও হত্যাকাণ্ডের জন্য সরকারকে দায়ী করেন। সরকারকে রাক্ষসের সঙ্গে তুলনা করে স্বজনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কেঁদে কী করবেন? যারা ক্ষমতায় আছে, যারা কিছু করতে পারে আপনাদের জন্য, ওরা সবাই দায়িত্বজ্ঞানহীন, ওদের মানুষের জন্য কোনো দয়া নাই, দরদ নাই। ওরা রাক্ষসের মতো। রাক্ষস যেমন মানুষ খায়, এই সরকার.. মানুষ খেয়ে ফেলছে। মান্না বলেন, আমি আগেও এই অনুষ্ঠানে এসেছি। দেখেছি স্বজনদের জন্য পুরো হল কান্নায় ভেঙে পড়েছে।
যতজনের নিখোঁজের কথা বলা হচ্ছে, তারা সবাই কি বেঁচে আছে? কারা বেঁচে আছে, আর কারা বেঁচে নেই, এই কথা এরা (সরকার) বলবে না। এরা যতদিন ক্ষমতায় আছে, ততদিন আপনাদের কোনো প্রশ্নের জবাব পাবেন না। তিনি বলেন, অতএব লড়াই একটাই, সেটা হচ্ছে এদের কবল থেকে মুক্তি চাই। তারপর আমাদের স্বজনদের ফিরে পাবার পালা। অতএব চোখের পানিকে বারুদে পরিণত করুন। ভোটের মাধ্যমে এদের পরাজিত করতে চাই, তাছাড়া পারবেন না। যেরকম ?বুকের মধ্যে ছবি নিয়েছেন, এভাবে বুকে ছবি নেন, ব্যানার নেন, প্ল্যাকার্ড নেন। নিজের এলাকায় যান, বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন যাকে পান, তাকেই বলেন, সামনে নির্বাচন এদের জবাব দিতে চাই। আপনি যদি গুম খুনের জবাব চান তাহলে ভোটের লড়াই করতে হবে। সামনে ভোট, এখন একমাত্র ভোটের লড়াই করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, গুম হচ্ছে সব থেকে জঘন্য অপরাধ। এটা খুনের থেকেও জঘন্য। পৃথিবীর বিভিন্ন আইনে যে সংজ্ঞা দেয়া আছে, সেখানেও এটাকে চরম জঘন্য অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা আছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইনে বলা হয়েছে গুম বা খুন যখন পরিকল্পিত এবং ব্যাপক সংখ্যায় হয়, তখন সেটাকে আমরা মানবতাবিরোধী হিসেবে বলতে পারি। যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ হয়। আসিফ নজরুল বলে, আমাদের দেশে যতগুলো গুমের ঘটনা ঘটেছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিকার হয়েছেন সরকারবিরোধী যারা রাজনীতি করেন। কাজেই আমাদের ভাবার কারণ রয়েছে গুম হয়েছে পরিকল্পিতভাবে এবং সংখ্যার দিক থেকেও এটা ব্যাপক সংখ্যায় হয়েছে। কাজেই আমি মনে করি, গুমের শিকার হওয়া যেসব পরিবার আছেন আপনারা যদি দেশে বিচার না পান, আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে এর বিচার পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে চেষ্টা করবেন।
৫ বছর আগে গুম হওয়া সুমনের মা হাজেরা খাতুনের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অধিকারের পরিচালক নাসির উদ্দিন এলএম প্রমুখ।
গতকাল ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গুম হওয়ার পাঁচ বছর শেষ, আর অপেক্ষা কতদিন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘মায়ের ডাক’ নামের সংগঠন। গুম হওয়া ব্যক্তিদের কথা বলতে গিয়ে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এদের কেউ মা, কেউ মেয়ে, কেউ বোন, আবার কেউ স্ত্রী। এ সময় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
২০১৩ সালে গুম হওয়া স্বজনদের নিয়ে এ আলোচনা সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিখোঁজ সুমনের বড় বোন মারুফা ইসলাম ফেরদৌসী। তিনি বলেন, প্রতিবছর আমরা আপনাদের কাছে ছুটে আসি এবং আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসী জানতে পারে আমরা আমাদের স্বজনদের হারিয়ে কত কষ্টে জীবনযাপন করছি। দেখতে দেখতে পাঁচটি বছর পেরিয়ে গেছে। সামনে চলে এলো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে বর্তমান সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে। আমাদের ‘মায়ের ডাকের’ পক্ষ থেকে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি একটি দাবি তা হলো, দলীয় ইশতেহারে গুম হওয়ার বিষয়ে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের স্পষ্ট বক্তব্য থাকতে হবে। মারুফা বলেন, গত পাঁচ বছরে গুম হওয়া কেউ ফিরে আসেনি। কিন্তু গুম হওয়া পরিবারের অনেকেই কাঁদতে কাঁদতে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। মুন্নুর বাবা এই প্রেস ক্লাবে এসে সন্তানের ফিরে আসার দাবি জানিয়েছিলেন, এখন তিনি চিরদিনের জন্য আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। পারভেজ হোসেনের বাবা ও শ্বশুর না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তার মেয়ে হৃদি এখন কাউকে দাদু-নানু ডাকতে পারে না। সাইফুর রহমান সজীবের মা রেনু মারা গেছেন।
ঝন্টুর বাবাও মৃত্যুবরণ করেছেন। সুমনের মেয়ে আফসানা ইসলাম রাইদা যখন তার বাবাকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানাচ্ছিল তখন তার দু’চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছিল। উচ্চস্বরে কাঁদতে কাঁদতে রাইদা বলছিল, আমি আমার বাবাকে দেখতে চাই। আমার বাবা কোথায়? আমার বাবা কেমন আছে, আমি কিছু জানি না। আমার বাবাকে ফিরিয়ে দিন। আমাকে আমার পরিবার বলে সাবধানে চলতে। আমি সাবধানে চলে কী করবো? আমাকে নিয়ে যাবে, আমাকে নিয়ে যেতে দিন, গুম করে দিন। তাহলে আমি আমার বাবাকে দেখতে পারবো। আমি কেমন সন্তান যে, আমার বাবাকে পাঁচ বছর ধরে দেখতে পাই না, কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিল রাইদা। চিৎকার করে বলেন, বাবাকে খুঁজতে সব জায়গায় গেছি, কিন্তু কোথাও পাইনি। এ কেমন দেশ? যুবদল নেতা পারভেজ হোসেনের চার বছর বয়সী মেয়ে হৃদি ‘বাবা’, ‘বাবা’ আর কান্না ছাড়া মুখ দিয়ে কোনো কথা বলতে পারেনি।
গুম হওয়া মারুফের বোন রত্না বলেন, পাঁচ বছর হয়ে গেল আমার ভাইকে দেখতে পাই না। সে কোথায় আছে, কেমন আছে, আমরা কিছুই জানি না। আমাদের কিছু চাওয়ার নেই, শুধু আমার ভাইকে ফেরত চাই। গুম হওয়া আবদুল কাদের মিয়া মাসুমের মা আয়শা আলী বলেন, আমি আমার ছেলেকে সব জায়গায় খুঁজে বেড়াই। কিন্তু কোথাও পাই না। আজ কতদিন হয়ে গেল মা ডাক শুনতে পাই না। আমার একটাই সন্তান। পাঁচ বছর ধরে সরকারের কাছে একটাই দাবি জানাচ্ছি, আমার সন্তানকে ফিরিয়ে দিন। প্রধানমন্ত্রীও তো স্বজনহারা। তিনি কি স্বজন হারানোর ব্যথা বুঝেন না? আমি চাই আগামী ভোটের আগেই আমার সন্তানকে আমার কোলে ফিরিয়ে দিন। পুরান ঢাকার বংশালের নিখোঁজ আদনানের বাবা এরশাদ আলী, সেলিম রেজা পিন্টুর বোন রেহেনা বেগমও স্বজনদের ফিরে পাওয়ার আকুতি জানান। সিলেটে আহত ছাত্রদলের একজন কর্মী পুলিশের নির্যাতনের বর্ণনা দেন এই অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না গুম ও হত্যাকাণ্ডের জন্য সরকারকে দায়ী করেন। সরকারকে রাক্ষসের সঙ্গে তুলনা করে স্বজনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কেঁদে কী করবেন? যারা ক্ষমতায় আছে, যারা কিছু করতে পারে আপনাদের জন্য, ওরা সবাই দায়িত্বজ্ঞানহীন, ওদের মানুষের জন্য কোনো দয়া নাই, দরদ নাই। ওরা রাক্ষসের মতো। রাক্ষস যেমন মানুষ খায়, এই সরকার.. মানুষ খেয়ে ফেলছে। মান্না বলেন, আমি আগেও এই অনুষ্ঠানে এসেছি। দেখেছি স্বজনদের জন্য পুরো হল কান্নায় ভেঙে পড়েছে।
যতজনের নিখোঁজের কথা বলা হচ্ছে, তারা সবাই কি বেঁচে আছে? কারা বেঁচে আছে, আর কারা বেঁচে নেই, এই কথা এরা (সরকার) বলবে না। এরা যতদিন ক্ষমতায় আছে, ততদিন আপনাদের কোনো প্রশ্নের জবাব পাবেন না। তিনি বলেন, অতএব লড়াই একটাই, সেটা হচ্ছে এদের কবল থেকে মুক্তি চাই। তারপর আমাদের স্বজনদের ফিরে পাবার পালা। অতএব চোখের পানিকে বারুদে পরিণত করুন। ভোটের মাধ্যমে এদের পরাজিত করতে চাই, তাছাড়া পারবেন না। যেরকম ?বুকের মধ্যে ছবি নিয়েছেন, এভাবে বুকে ছবি নেন, ব্যানার নেন, প্ল্যাকার্ড নেন। নিজের এলাকায় যান, বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন যাকে পান, তাকেই বলেন, সামনে নির্বাচন এদের জবাব দিতে চাই। আপনি যদি গুম খুনের জবাব চান তাহলে ভোটের লড়াই করতে হবে। সামনে ভোট, এখন একমাত্র ভোটের লড়াই করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, গুম হচ্ছে সব থেকে জঘন্য অপরাধ। এটা খুনের থেকেও জঘন্য। পৃথিবীর বিভিন্ন আইনে যে সংজ্ঞা দেয়া আছে, সেখানেও এটাকে চরম জঘন্য অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা আছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আইনে বলা হয়েছে গুম বা খুন যখন পরিকল্পিত এবং ব্যাপক সংখ্যায় হয়, তখন সেটাকে আমরা মানবতাবিরোধী হিসেবে বলতে পারি। যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ হয়। আসিফ নজরুল বলে, আমাদের দেশে যতগুলো গুমের ঘটনা ঘটেছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিকার হয়েছেন সরকারবিরোধী যারা রাজনীতি করেন। কাজেই আমাদের ভাবার কারণ রয়েছে গুম হয়েছে পরিকল্পিতভাবে এবং সংখ্যার দিক থেকেও এটা ব্যাপক সংখ্যায় হয়েছে। কাজেই আমি মনে করি, গুমের শিকার হওয়া যেসব পরিবার আছেন আপনারা যদি দেশে বিচার না পান, আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে এর বিচার পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে চেষ্টা করবেন।
৫ বছর আগে গুম হওয়া সুমনের মা হাজেরা খাতুনের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অধিকারের পরিচালক নাসির উদ্দিন এলএম প্রমুখ।
No comments