অসমে এনআরসি থেকে ৩০ লাখ বাঙালি হিন্দুর নাম বাদ গেছে: শতাব্দী রায়
ভারতের
অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) থেকে ত্রিশ লাখ হিন্দু বাঙালির নাম বাদ
গেছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল এমপি শতাব্দী রায়। মঙ্গলবার প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি ওই মন্তব্য করেন।
শতাব্দী রায় বলেন, ‘অসমে নাগরিকপঞ্জি থেকে যে আটত্রিশ লাখ বাঙালির নাম বাদ গেছে, ভাবলে অবাক লাগে তার মধ্যে ত্রিশ লাখ হচ্ছে হিন্দু। যে বত্রিশজন এ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছেন তাঁর মধ্যে ছাব্বিশজন হচ্ছে হিন্দু। এরপরেও বাঙালিদের কাছ থেকে হিন্দুদের কাছ থেকে বিজেপি ভোট চায় কী করে?’
তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা বিজেপি সরকার কেবলমাত্র আমাদের কিছু ধনী ব্যবসায়ী ছাড়া কাউকে হিন্দু ভাবছে না, কাউকে এদেশের নাগরিক ভাবছে না! কিছুদিন আগে যখন নাগরিক পঞ্জি বেরোলো তখন আমাদের দলের এমপিরা অসমে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাদেরকে বিমানবন্দর থেকে বাইরে বেরোতে দেয়া হয়নি, হেনস্থা করা হয়েছে। যে পাঁচজন নিরীহ মানুষ সম্প্রতি নিহত হলেন, তাঁদের কাছে গিয়ে আমাদের দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে এক লাখ টাকা করে ওদেরকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানকার বিজেপি সরকার ওঁদের জন্য কিছুই করেনি। আমি ওখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রচারে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রচুর মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে আমার মনে হয়েছে তৃণমূলের প্রার্থীরা জিতবেন।’
শতাব্দী রায় বলেন, ‘বিজেপি সরকার অসমের মানুষদের ভয় দেখিয়ে রেখেছে, হুমকি দেয় কিন্তু ওঁরা ভরসা পেয়েছেন তৃণমূল ওঁদের পাশে আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওঁদের সঙ্গে আছেন। সেই বিশ্বাস আমরা তাদেরকে দিয়ে এসেছি। যে উন্নয়ন পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে সেই উন্নয়ন অসমে হবে সেটা জানিয়ে এসেছি। এজন্য শুধু ওই রাজ্যে পরিবর্তন দরকার।’
তিনি বলেন, ‘অসমের প্রত্যেক হিন্দু ও বাঙালির জানা উচিত হিন্দুত্বের দাবি করে মানুষের উপরে যে অত্যাচার করা হচ্ছে সেখান থেকে তাঁদের প্রতিবাদের একটাই ভাষা ও জায়গা হচ্ছে ভোটবাক্স। তৃণমূলের প্রার্থীরা জয়ী হলে তাঁরা সেখানকার মানুষের পাশে থাকবেন এটাই একমাত্র শপথ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অঙ্গীকার’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অসমের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের ১৭৯টি আসনে তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছে। গত (রোববার) সেখানে শতাব্দী রায় এমপিসহ তৃণমূলের এক প্রতিনিধিদল নির্বাচনি প্রচারে গিয়েছিলেন। রাজ্যটিতে ১৬ জেলায় ৫ ডিসেম্বর ও ৯ ডিসেম্বর পঞ্চায়েত ভোট হবে। ফলপ্রকাশ হবে ১২ ডিসেম্বর।
শতাব্দী রায় বলেন, ‘অসমে নাগরিকপঞ্জি থেকে যে আটত্রিশ লাখ বাঙালির নাম বাদ গেছে, ভাবলে অবাক লাগে তার মধ্যে ত্রিশ লাখ হচ্ছে হিন্দু। যে বত্রিশজন এ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছেন তাঁর মধ্যে ছাব্বিশজন হচ্ছে হিন্দু। এরপরেও বাঙালিদের কাছ থেকে হিন্দুদের কাছ থেকে বিজেপি ভোট চায় কী করে?’
তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা বিজেপি সরকার কেবলমাত্র আমাদের কিছু ধনী ব্যবসায়ী ছাড়া কাউকে হিন্দু ভাবছে না, কাউকে এদেশের নাগরিক ভাবছে না! কিছুদিন আগে যখন নাগরিক পঞ্জি বেরোলো তখন আমাদের দলের এমপিরা অসমে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাদেরকে বিমানবন্দর থেকে বাইরে বেরোতে দেয়া হয়নি, হেনস্থা করা হয়েছে। যে পাঁচজন নিরীহ মানুষ সম্প্রতি নিহত হলেন, তাঁদের কাছে গিয়ে আমাদের দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে এক লাখ টাকা করে ওদেরকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানকার বিজেপি সরকার ওঁদের জন্য কিছুই করেনি। আমি ওখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রচারে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রচুর মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে আমার মনে হয়েছে তৃণমূলের প্রার্থীরা জিতবেন।’
শতাব্দী রায় বলেন, ‘বিজেপি সরকার অসমের মানুষদের ভয় দেখিয়ে রেখেছে, হুমকি দেয় কিন্তু ওঁরা ভরসা পেয়েছেন তৃণমূল ওঁদের পাশে আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওঁদের সঙ্গে আছেন। সেই বিশ্বাস আমরা তাদেরকে দিয়ে এসেছি। যে উন্নয়ন পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে সেই উন্নয়ন অসমে হবে সেটা জানিয়ে এসেছি। এজন্য শুধু ওই রাজ্যে পরিবর্তন দরকার।’
তিনি বলেন, ‘অসমের প্রত্যেক হিন্দু ও বাঙালির জানা উচিত হিন্দুত্বের দাবি করে মানুষের উপরে যে অত্যাচার করা হচ্ছে সেখান থেকে তাঁদের প্রতিবাদের একটাই ভাষা ও জায়গা হচ্ছে ভোটবাক্স। তৃণমূলের প্রার্থীরা জয়ী হলে তাঁরা সেখানকার মানুষের পাশে থাকবেন এটাই একমাত্র শপথ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অঙ্গীকার’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অসমের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের ১৭৯টি আসনে তৃণমূল প্রার্থী দিয়েছে। গত (রোববার) সেখানে শতাব্দী রায় এমপিসহ তৃণমূলের এক প্রতিনিধিদল নির্বাচনি প্রচারে গিয়েছিলেন। রাজ্যটিতে ১৬ জেলায় ৫ ডিসেম্বর ও ৯ ডিসেম্বর পঞ্চায়েত ভোট হবে। ফলপ্রকাশ হবে ১২ ডিসেম্বর।
No comments