ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিষ্পেষণমূলক
বাংলাদেশে
নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি আক্রমণ
(অ্যাটাক) বলে আখ্যায়িত করেছে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সোমবার নতুন এক ব্রিফিংয়ে এমনটা বলা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, এর আগের যে আইনটির পরিবর্তে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
করা হয়েছে তা আরো অনেক বেশি নিষ্পেষণমূলক।
‘মাজলিং ডিসেন্ট অনলাইন’ শীর্ষক ওই ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এ আইনে রয়েছে অস্পষ্ট ও অত্যধিক বিস্তৃত সব ধারা। এটা ব্যবহার করা হতে পারে ভয় দেখাতে, সাংবাদিকদের জেলে নিতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে, ভিন্নমতকে দমন করতে। এ ছাড়া ব্যবহার হতে পারে নজরদারির ক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক আকারে।
গত ছয় বছরে বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন (আইসিটি) ব্যবহার করে গ্রেপ্তার করেছে কমপক্ষে ১০০০ মানুষকে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপ-পরিচালক দিনুশিকা দিশানায়েকে বলেছেন, অতীতে আইসিটি আইন ব্যবহার করে কমপক্ষে ১২০০ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাংলাদেশে। সেই অতীত ভেঙে বেরিয়ে আসার পরিবর্তে নতুন এই কঠোর আইন আরো বেশি দমনমূলক হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তিনি আরো বলেন, মুক্ত মত প্রকাশকে অনেক রকমভাবে অপরাধের আওতায় নেয় (ক্রিমিনালাইজ) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এতে আছে উচ্চ হারে জরিমানা। শাস্তি হিসেবে আছে জেল। আন্তর্জাতিক আইন ও তার মানদণ্ডের সঙ্গে এই আইন বেমানান। তাই অবিলম্বে এ আইনটি সংশোধন হওয়া উচিত।
আইসিটি আইনের সমালোচিত অনেকগুলো ধারা পাল্টাতে সুনির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ মেনে নেয়া সহ বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার সম্মত হওয়া সত্ত্বেও জিডিটাল নিরাপত্তা আইনে বেশ কিছু ধারা রয়েছে যা মানবাধিকারের জন্য একই রকম ভয়াবহ হুমকি প্রদর্শন করে। এতে সুস্পষ্ট সংজ্ঞা, ব্যাখ্যা নেই। এতে রয়েছে দমনমূলক জামিন অযোগ্য ১৪টি অপরাধের শাস্তি। এই আইন সরকারের হাতে যেকোনো ধরনের কর্মকাণ্ডকে তদন্ত করার ক্ষমতা নিশ্চিত করবে। চাইলেই বিটিআরসি ইন্টারনেটে থাকা যেকোনো ধরনের তথ্য মুছে ফেলার অধিকার রাখে। পুলিশ চাইলেই কোনো ধরনের ওয়ারেন্ট ছাড়াই যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে।
‘মাজলিং ডিসেন্ট অনলাইন’ শীর্ষক ওই ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এ আইনে রয়েছে অস্পষ্ট ও অত্যধিক বিস্তৃত সব ধারা। এটা ব্যবহার করা হতে পারে ভয় দেখাতে, সাংবাদিকদের জেলে নিতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে, ভিন্নমতকে দমন করতে। এ ছাড়া ব্যবহার হতে পারে নজরদারির ক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক আকারে।
গত ছয় বছরে বাংলাদেশ সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন (আইসিটি) ব্যবহার করে গ্রেপ্তার করেছে কমপক্ষে ১০০০ মানুষকে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপ-পরিচালক দিনুশিকা দিশানায়েকে বলেছেন, অতীতে আইসিটি আইন ব্যবহার করে কমপক্ষে ১২০০ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাংলাদেশে। সেই অতীত ভেঙে বেরিয়ে আসার পরিবর্তে নতুন এই কঠোর আইন আরো বেশি দমনমূলক হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তিনি আরো বলেন, মুক্ত মত প্রকাশকে অনেক রকমভাবে অপরাধের আওতায় নেয় (ক্রিমিনালাইজ) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এতে আছে উচ্চ হারে জরিমানা। শাস্তি হিসেবে আছে জেল। আন্তর্জাতিক আইন ও তার মানদণ্ডের সঙ্গে এই আইন বেমানান। তাই অবিলম্বে এ আইনটি সংশোধন হওয়া উচিত।
আইসিটি আইনের সমালোচিত অনেকগুলো ধারা পাল্টাতে সুনির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ মেনে নেয়া সহ বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার সম্মত হওয়া সত্ত্বেও জিডিটাল নিরাপত্তা আইনে বেশ কিছু ধারা রয়েছে যা মানবাধিকারের জন্য একই রকম ভয়াবহ হুমকি প্রদর্শন করে। এতে সুস্পষ্ট সংজ্ঞা, ব্যাখ্যা নেই। এতে রয়েছে দমনমূলক জামিন অযোগ্য ১৪টি অপরাধের শাস্তি। এই আইন সরকারের হাতে যেকোনো ধরনের কর্মকাণ্ডকে তদন্ত করার ক্ষমতা নিশ্চিত করবে। চাইলেই বিটিআরসি ইন্টারনেটে থাকা যেকোনো ধরনের তথ্য মুছে ফেলার অধিকার রাখে। পুলিশ চাইলেই কোনো ধরনের ওয়ারেন্ট ছাড়াই যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে।
No comments