সুপ্রিম কোর্টে শ্রীলঙ্কার রাজনীতি
শ্রীলঙ্কার
রাজনীতির ভাগ্য দৃশ্যত এখন সুপ্রিম কোর্টের হাতে। প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা
সিরিসেনা পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে যে আগাম জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা করেছেন তার
বৈধতার বিষয়ে মঙ্গলবার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করছে সুপ্রিম কোর্ট। তিনজন
বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয়ে আবেদনের শুনানি করেছেন ১২ই নভেম্বর।
ওই বেঞ্চের বিচারকরা হলেন প্রধান বিচারপতি নলিন পেরেরা, বিচারপতি
প্রিয়ান্থা জয়বর্ধনে ও বিচারক প্রসন্ন জয়বর্ধনে। এর আগে ক্ষমতা নিয়ে লড়াইয়ে
নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমাসিংহেকে বরখাস্ত করে নতুন
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ রাজাপাকসেকে নিয়োগ দেন
প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। একই সঙ্গে প্রথমে তিনি পার্লামেন্ট স্থগিত ও পরে
ভেঙে দেন। আগামী ৫ই জানুয়ারি আগাম জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা করেন তিনি। এর ফলে
সেখানে সাংবিধানিক এক মারাত্মক সঙ্কট সৃষ্টি হয়।
প্রেসিডেন্টের পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া ও আগাম নির্বাচনকে অসাংবিধানিক দাবি করে ১৩টি মৌলিক অধিকার বিষয়ক পিটিশন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। এসব পিটিশনের ওপর সোমবার শুনানি শেষে আদালত মুলতবি হয়। পিটিশনগুলো করেছে ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি), জনতা বিমুক্তি পেরামুনা (জেভিপি), তামিল ন্যাশনাল এলায়েন্স (টিএনএ), অল সাইলন মাক্কাল কংগ্রেস (এসিএমসি), শ্রীলঙ্কা মুসলিম কংগ্রেস (এসএলএমসি)। এ ছাড়া পিটিশন করে নাগরিক সমাজের সংগঠন সেন্টার ফর পলিসি অলটারনেটিভস (সিপিএ), সাবেক এমপি মানো গণেষ ও এটর্নি অরুল লাকসিরি।
ওইসব পিটিশনে বলা হয়, সংবিধানের ১৯তম সংশোধনীর অধীনে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার ক্ষমতা নেই প্রেসিডেন্টের। তাই প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা যে গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেছেন তাকে বাতিল ঘোষণা করতে আবেদন জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের কাছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত আগামী ৫ই জানুয়ারি ঘোষিত আগাম নির্বাচনও স্থগিত ঘোষণা করতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করা হয়েছে। টিএনএ’র পক্ষে সোমবার আবেদন করেছেন এ দলের নেতা আর সাম্পানথান। তিনি এতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা ৯ই নভেম্বর যে নোটিফিকেশন জার করেছেন তা সংবিধানের লঙ্ঘন। শ্রীলঙ্কার সংবিধানের ১৯তম সংশোধনীর অধিীনে যদি পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার পক্ষে প্রস্তাব পাস করেন তাহলেই প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে পারেন। দ্বিতীয় ক্ষেত্রটি হলো, প্রেসিডেন্ট এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন যদি পার্লামেন্টের মেয়াদ সাড়ে চার বছরের বেশি হয়। বেশির ভাগ আবেদনে এসব দাবি করা হয়েছে। তবে ইউএনপির উপনেতা সাজিথ প্রেমাদাসা কলম্বো পেজ’কে বলেছেন, আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করি, ন্যায় ও সুষ্ঠু বিচার পাবো সুপ্রিম কোর্ট থেকে। কারণ, এটাই আমাদের সম্মানের সর্বোচ্চ স্থান। আমাদের একটি সংবিধান আছে। তার অধীনে আমরা সব কিছু করতে পারি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট সংবিধান লঙ্ঘন করে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন। যদি সংবিধান এভাবে অব্যাহতভাবে লঙ্ঘন করা হয় তাহলে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। ইউএনপির সাধারণ সম্পাদক আকিলা বিরাজ কারিইওয়াস্বাম বলেন, আমরা যে কথা বলেছি আশা করি আদালত সাংবিধানিক নিয়মের অধীনে তার সুরাহা দেবেন। এ জন্যই আমরা আদালতে এসেছি।
প্রেসিডেন্টের পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া ও আগাম নির্বাচনকে অসাংবিধানিক দাবি করে ১৩টি মৌলিক অধিকার বিষয়ক পিটিশন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। এসব পিটিশনের ওপর সোমবার শুনানি শেষে আদালত মুলতবি হয়। পিটিশনগুলো করেছে ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি), জনতা বিমুক্তি পেরামুনা (জেভিপি), তামিল ন্যাশনাল এলায়েন্স (টিএনএ), অল সাইলন মাক্কাল কংগ্রেস (এসিএমসি), শ্রীলঙ্কা মুসলিম কংগ্রেস (এসএলএমসি)। এ ছাড়া পিটিশন করে নাগরিক সমাজের সংগঠন সেন্টার ফর পলিসি অলটারনেটিভস (সিপিএ), সাবেক এমপি মানো গণেষ ও এটর্নি অরুল লাকসিরি।
ওইসব পিটিশনে বলা হয়, সংবিধানের ১৯তম সংশোধনীর অধীনে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার ক্ষমতা নেই প্রেসিডেন্টের। তাই প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা যে গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেছেন তাকে বাতিল ঘোষণা করতে আবেদন জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের কাছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত আগামী ৫ই জানুয়ারি ঘোষিত আগাম নির্বাচনও স্থগিত ঘোষণা করতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করা হয়েছে। টিএনএ’র পক্ষে সোমবার আবেদন করেছেন এ দলের নেতা আর সাম্পানথান। তিনি এতে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা ৯ই নভেম্বর যে নোটিফিকেশন জার করেছেন তা সংবিধানের লঙ্ঘন। শ্রীলঙ্কার সংবিধানের ১৯তম সংশোধনীর অধিীনে যদি পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার পক্ষে প্রস্তাব পাস করেন তাহলেই প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে পারেন। দ্বিতীয় ক্ষেত্রটি হলো, প্রেসিডেন্ট এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন যদি পার্লামেন্টের মেয়াদ সাড়ে চার বছরের বেশি হয়। বেশির ভাগ আবেদনে এসব দাবি করা হয়েছে। তবে ইউএনপির উপনেতা সাজিথ প্রেমাদাসা কলম্বো পেজ’কে বলেছেন, আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বিশ্বাস করি, ন্যায় ও সুষ্ঠু বিচার পাবো সুপ্রিম কোর্ট থেকে। কারণ, এটাই আমাদের সম্মানের সর্বোচ্চ স্থান। আমাদের একটি সংবিধান আছে। তার অধীনে আমরা সব কিছু করতে পারি। কিন্তু প্রেসিডেন্ট সংবিধান লঙ্ঘন করে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন। যদি সংবিধান এভাবে অব্যাহতভাবে লঙ্ঘন করা হয় তাহলে দেশে এক অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। ইউএনপির সাধারণ সম্পাদক আকিলা বিরাজ কারিইওয়াস্বাম বলেন, আমরা যে কথা বলেছি আশা করি আদালত সাংবিধানিক নিয়মের অধীনে তার সুরাহা দেবেন। এ জন্যই আমরা আদালতে এসেছি।
No comments