ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষায় জাতিসংঘের নতুন প্রস্তাব, ইসরায়েলের প্রত্যাখ্যান
দখলকৃত
সীমানায় ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য নতুন প্রস্তাব দিয়েছে
জাতিসংঘ। সাধারণ পরিষদের অনুরোধে সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের
দেওয়া এক প্রতিবেদনে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে রয়েছে দখলকৃত এলাকায়
ফিলিস্তিনি নাগরিকদের সুরক্ষা জোরালো করতে সম্ভাব্য বিকল্পগুলোর খসড়া।
প্রস্তাবে অন্যান্য বিকল্পের পাশাপাশি ওই অঞ্চলের সুরক্ষার জন্য জাতিসংঘের
অধীনে বাহিনী গঠনের কথা বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে
প্রতিবেদনটি বিতরণ করেছে জাতিসংঘ। তবে প্রস্তাবগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে
ইসরায়েল। আর সুরক্ষা বাহিনী গঠনে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনের দরকার হবে।
ইসরায়েলের আপত্তির কারণে তাদের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবটির
বিরুদ্ধে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডলইস্ট আই এ খবর জানিয়েছে।
চলতি বছরের মার্চে ‘গ্রেট রিটার্ন অব মার্চ’ কর্মসূচি শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ১৭১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এরপর সমস্যার সমাধানের জন্য প্রস্তাব দেওয়ার জন্য মহাসচিবকে অনুরোধ জানায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। ১৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষায় চারটি সম্ভাব্য বিকল্পের খসড়া প্রস্তাব করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। এতে ফিলিস্তিনিদের জন্য সহায়তা বাড়ানো থেকে শুরু করে জাতিসংঘের অধিকার পর্যবেক্ষক পাঠানো এবং জাতিসংঘের অনুমোদনে পুলিশ ও সেনা মোতায়েন বা নিরস্ত্র পর্যবেক্ষক রাখার প্রস্তাবও রয়েছে।
গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে মার্কিন দূতাবাস সরানোর ঘোষণা দেন। এরপরই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের একক উদ্যোগ মেনে নেবে না তারা। তাই শান্তি উদ্যোগের ক্ষেত্রে এক ধরনের শূন্যতার মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষায় নতুন প্রস্তাব দিল জাতিসংঘ। বেশ কয়েক বছর আগে সর্বশেষ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা ভেঙে যাওয়ার পর ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের পরাশক্তিগুলো এখন ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শান্তি প্রক্রিয়া ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে ওই পরিকল্পনা সামনে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প এই পরিকল্পনাকে শতাব্দীর সেরা চুক্তি আখ্যা দিলেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চুক্তিতে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী বানানোর প্রস্তাবের পাশাপাশি ভবিষ্যত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে পূর্ব জেরুজালেমকে রাখা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টে প্রকাশিত এক নিবন্ধে মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক রবার্ট ফিস্ক পরিকল্পনাটি সম্পর্কে বলেছেন, টাকার বিনিময়ে ফিলিস্তিনিদের অধিকার কিনতে চাইছেন ট্রাম্প। জাতিসংঘ কূটনীতিকরা মার্কিন শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলতে শুরু করেছেন, ওই পরিকল্পনা চিরদিন অসম্ভব হয়েই থাকবে।
এদিকে জাতিসংঘের নতুন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূত ড্যানি ড্যানোন। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের কাছ থেকে ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষার উপায় দেখানোর পরিবর্তে জাতিসংঘের উচিত নিজেদের জনগণকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে থাকা ফিলিস্তিনি নেতৃত্বকেই দায়বদ্ধ রাখা।’ তিনি বলেন, প্রতিবেদনে দেওয়া পরামর্শগুলো শুধুমাত্র ফিলিস্তিনিদের অব্যাহত বর্জন তত্ত্বকেই সক্রিয় করবে।
জাতিসংঘের অধীনে কোন সুরক্ষা বাহিনী গঠন করতে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনের দরকার পড়বে। তবে ইসরায়েলের আপত্তি রয়েছে এমন প্রস্তাব তাদের মিত্ররাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র নিজের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে আটকে দিতে পারে।
শুক্রবার ফিলিস্তিনি জাতিমুক্তি আন্দোলনের সংগঠন হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিডলইস্ট আই’কে বলেন, ফিলিস্তিনি অঞ্চল থেকে সব ধরনের হামলা বন্ধের বিনিময়ে ইসরায়েল গাজা উপত্যকার সব ক্রসিং খুলে দেওয়া ও উপত্যকাটি থেকে সাইপ্রাস পর্যন্ত সমুদ্র পথে প্রবেশাধিকারের প্রস্তাব দিয়েছে। মিসরীয় মধ্যস্থতার এই চুক্তি নিশ্চিত হলে গাজা ও এর নিয়ন্ত্রক সংগঠন হামাসের জন্য তা বিশাল স্বস্তি আনবে। তবে পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে হামাসের সঙ্গে পুনর্মিলন বিষয়ক ফাতাহ কর্মকর্তা আজম আল-আহমাদ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, হামাস ‘শত্রুতাপূর্ণ পরিকল্পনা’য় যুক্ত হতে যাচ্ছে। এতে ফিলিস্তিনিদের একতা নষ্ট হবে। বৃহস্পতিবার মিডলইস্ট আই’কে তিনি বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি বিষয়ে ইসরায়েলের সমঝোতা বা গাজার জন্য আলাদা করে বন্দোবস্ত করার মাধ্যমে হামাস নিজে একটি শত্রুতাপূর্ণ পরিকল্পনায় যুক্ত হচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে তারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।’
হামাসের একটি সূত্র বলেছে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মিসরীয় মধ্যস্থতায় একটি দীর্ঘমেয়াদি শান্তি চুক্তির ব্যাপারে ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘শতাব্দীর চুক্তি’র অংশ হিসেবে এটা করা হচ্ছে। ওই সূত্রের মতে, হামাসের নিরস্ত্রীকরণসহ সুড়ঙ্গ খোড়া বন্ধ করা ও গাজায় বন্দি বা নিখোঁজ হওয়া ইসরায়েলিদের মুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইসরায়েল তাদের ঐতিহাসিক দাবিগুলো বাদ দিয়েছে। এছাড়া গাজায় পানি, বিদ্যুৎ ও সুয়ারেজসহ মানবিক প্রকল্প চালুর জন্যও হামাস চাপ দিচ্ছে। তবে তার মতে, আলোচনার সবচেয়ে বড় বাধা হলো হামাসকে সমুদ্রপথে প্রবেশাধিকার দেওয়ার সময় নির্ধারণ। এছাড়া এই সমুদ্র পথের অন্যান্য আইনগত বিষয় নিয়েও কাজ করা হচ্ছে।
চলতি বছরের মার্চে ‘গ্রেট রিটার্ন অব মার্চ’ কর্মসূচি শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ১৭১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এরপর সমস্যার সমাধানের জন্য প্রস্তাব দেওয়ার জন্য মহাসচিবকে অনুরোধ জানায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। ১৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষায় চারটি সম্ভাব্য বিকল্পের খসড়া প্রস্তাব করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। এতে ফিলিস্তিনিদের জন্য সহায়তা বাড়ানো থেকে শুরু করে জাতিসংঘের অধিকার পর্যবেক্ষক পাঠানো এবং জাতিসংঘের অনুমোদনে পুলিশ ও সেনা মোতায়েন বা নিরস্ত্র পর্যবেক্ষক রাখার প্রস্তাবও রয়েছে।
গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে মার্কিন দূতাবাস সরানোর ঘোষণা দেন। এরপরই ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের একক উদ্যোগ মেনে নেবে না তারা। তাই শান্তি উদ্যোগের ক্ষেত্রে এক ধরনের শূন্যতার মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষায় নতুন প্রস্তাব দিল জাতিসংঘ। বেশ কয়েক বছর আগে সর্বশেষ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা ভেঙে যাওয়ার পর ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের পরাশক্তিগুলো এখন ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শান্তি প্রক্রিয়া ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে ওই পরিকল্পনা সামনে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প এই পরিকল্পনাকে শতাব্দীর সেরা চুক্তি আখ্যা দিলেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চুক্তিতে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী বানানোর প্রস্তাবের পাশাপাশি ভবিষ্যত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে পূর্ব জেরুজালেমকে রাখা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টে প্রকাশিত এক নিবন্ধে মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক রবার্ট ফিস্ক পরিকল্পনাটি সম্পর্কে বলেছেন, টাকার বিনিময়ে ফিলিস্তিনিদের অধিকার কিনতে চাইছেন ট্রাম্প। জাতিসংঘ কূটনীতিকরা মার্কিন শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলতে শুরু করেছেন, ওই পরিকল্পনা চিরদিন অসম্ভব হয়েই থাকবে।
এদিকে জাতিসংঘের নতুন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূত ড্যানি ড্যানোন। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের কাছ থেকে ফিলিস্তিনি জনগণকে রক্ষার উপায় দেখানোর পরিবর্তে জাতিসংঘের উচিত নিজেদের জনগণকে বিপদের মুখে ঠেলে দিতে থাকা ফিলিস্তিনি নেতৃত্বকেই দায়বদ্ধ রাখা।’ তিনি বলেন, প্রতিবেদনে দেওয়া পরামর্শগুলো শুধুমাত্র ফিলিস্তিনিদের অব্যাহত বর্জন তত্ত্বকেই সক্রিয় করবে।
জাতিসংঘের অধীনে কোন সুরক্ষা বাহিনী গঠন করতে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনের দরকার পড়বে। তবে ইসরায়েলের আপত্তি রয়েছে এমন প্রস্তাব তাদের মিত্ররাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র নিজের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে আটকে দিতে পারে।
শুক্রবার ফিলিস্তিনি জাতিমুক্তি আন্দোলনের সংগঠন হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিডলইস্ট আই’কে বলেন, ফিলিস্তিনি অঞ্চল থেকে সব ধরনের হামলা বন্ধের বিনিময়ে ইসরায়েল গাজা উপত্যকার সব ক্রসিং খুলে দেওয়া ও উপত্যকাটি থেকে সাইপ্রাস পর্যন্ত সমুদ্র পথে প্রবেশাধিকারের প্রস্তাব দিয়েছে। মিসরীয় মধ্যস্থতার এই চুক্তি নিশ্চিত হলে গাজা ও এর নিয়ন্ত্রক সংগঠন হামাসের জন্য তা বিশাল স্বস্তি আনবে। তবে পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে হামাসের সঙ্গে পুনর্মিলন বিষয়ক ফাতাহ কর্মকর্তা আজম আল-আহমাদ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, হামাস ‘শত্রুতাপূর্ণ পরিকল্পনা’য় যুক্ত হতে যাচ্ছে। এতে ফিলিস্তিনিদের একতা নষ্ট হবে। বৃহস্পতিবার মিডলইস্ট আই’কে তিনি বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি বিষয়ে ইসরায়েলের সমঝোতা বা গাজার জন্য আলাদা করে বন্দোবস্ত করার মাধ্যমে হামাস নিজে একটি শত্রুতাপূর্ণ পরিকল্পনায় যুক্ত হচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে তারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।’
হামাসের একটি সূত্র বলেছে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মিসরীয় মধ্যস্থতায় একটি দীর্ঘমেয়াদি শান্তি চুক্তির ব্যাপারে ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘শতাব্দীর চুক্তি’র অংশ হিসেবে এটা করা হচ্ছে। ওই সূত্রের মতে, হামাসের নিরস্ত্রীকরণসহ সুড়ঙ্গ খোড়া বন্ধ করা ও গাজায় বন্দি বা নিখোঁজ হওয়া ইসরায়েলিদের মুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইসরায়েল তাদের ঐতিহাসিক দাবিগুলো বাদ দিয়েছে। এছাড়া গাজায় পানি, বিদ্যুৎ ও সুয়ারেজসহ মানবিক প্রকল্প চালুর জন্যও হামাস চাপ দিচ্ছে। তবে তার মতে, আলোচনার সবচেয়ে বড় বাধা হলো হামাসকে সমুদ্রপথে প্রবেশাধিকার দেওয়ার সময় নির্ধারণ। এছাড়া এই সমুদ্র পথের অন্যান্য আইনগত বিষয় নিয়েও কাজ করা হচ্ছে।
No comments