সিধুকে কী বললেন পাকিস্তানি সেনাপ্রধান কামার বাজওয়া?
পাকিস্তানের
নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন তার
ক্রিকেট জীবনের সতীর্থ সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার নভোজিৎ সিং সিধু। শপথ
অনুষ্ঠানে সিধুকে আলিঙ্গন করেছেন ইমরান খান, সেই সঙ্গে পাকিস্তানি
সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াও। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি
লিখেছে, সিধুর সঙ্গে বাজওয়ার হওয়া কথোপকথনের বিষয়ে আগ্রহী অনেকেই। সিধুকে
কী বলেছিলেন বাজওয়া? সিধু নিজেই জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায়
পাকিস্তানের সদিচ্ছার কথা তার কাছে উল্লেখ করেছেন পাকিস্তানি সেনাপ্রধান।
পাশাপাশি পাকিস্তানে অবস্থিত শিখ তীর্থস্থানে ভারতীয়দের যাওয়ার ব্যবস্থা
করে দিতে দেশটির আগ্রহের কথাও জানিয়েছেন তিনি সিধুকে।
গত মাসের ২৫ তারিখ পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল নির্বাচন। তাতে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পেয়েছিল সবচেয়ে বেশি আসন। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন না পেলেও তারা জোট গঠন করে পাকিস্তান মুত্তাহিদা মজলিসের সঙ্গে। গত শনিবার ইমরান নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের বেশ কয়েক জন সাবেক ক্রিকেটার। আর বড় আকর্ষণ হিসেবে সেখানে হাজির হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার নভোজিৎ সিং সিধু, যিনি নেজে এখন পাঞ্জাব থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসের সংসদ সদস্য। ইমরান অবশ্য শুধু সিধুকে নন সুনীল গাভাস্কার ও কপিল দেবকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন শুধু সিধু।
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরে দেওয়া ভাষণে ইমারন খান বলেছিলেন, ভারত সুসম্পর্কের জন্য এক পা আগলে তার সরকার দুই পা আগাবে।ভারতের প্রতি পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হবে ইমরান দায়িত্ব নিলে, এমন আশাবাদের কথা সিধু আগেই বলেছিলেন। এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘ইমরান ভালো কিছুর দিকেই আগাবেন। আর ভালো যেকোনও কিছু খারাপ যেকোনও কিছুর চেয়ে গ্রহণযোগ্য।’ শপথ অনুষ্ঠানে সিধুকে বসানোর ব্যবস্থা করানো হয়েছিল একেবারে সামনের সারিতে, পাকিস্তানের শীর্ষ রাজনীতিবিদদের সঙ্গে। সেখানে ইমরান সিধুকে জোরে জড়িয়ে ধরেন এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।
সামনের সারিতে বসা সব রাজনীতিবিদদের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানরা এক এক করে শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন। একসময় বাজওয়া উপস্থিত হন সিধুর সামনে। সেখানে তিনি সিধুকে আলিঙ্গন করেন। বাজওয়া সিধুকে বলেন, ‘আমি একজন জেনারেল, যে ক্রিকেটার হতে চেয়েছিল।’ তদের আলাপ এরপর সিরিয়াস বিষয়ের দিকে যতে শুরু করে। সিধুর জবানিতে এনডিটিভি জানিয়েছে জেনারেল কামার বাজওয়ার ভাষ্য, পাকিস্তান শান্তি চায়। ২০১৯ সালে শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানকের ৫০০ তম জন্মদিনে পাকিস্তানে অবস্থিত কারতারপুরে ভারতীয়দের যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে পাকিস্তান।
শিখ ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, কারতারপুরের শিখ তীর্থস্থানটিতে গুরু নানক তার জীবনের শেষ সময় অতিবাহিত করেছেন। শিখরা অনেক দিন ধরেই ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন, যেন তারা কারাতপুরে যাওয়ার বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করেন। তীর্থস্থানটিতে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে পাকিস্তান ও ভারত ১৯৯৮ সালে সমঝোতায় উপনীত হয়েছিল। কিন্তু তা কখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
এনডিটিভি লিখেছে, পাকিস্তানের শান্তি প্রত্যাশার ঘোষণাকে ভারত গুরুত্বে সঙ্গে নেয় না। ভারতের ধারণা, পাকিস্তানের এসব বক্তব্য লোক দেখানো। তবে গুরু নাকের স্মৃতিবিজড়িত কারতারপুরের তীর্থস্থানটিতে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার ঘোষণা প্রসঙ্গে নভোজিৎ সিং সিধু বলেছেন, ‘এটা একটা স্বপ্ন সত্য হওয়ার মতো বিষয়। এটা একটা পরিবর্তন এবং যে কোনও পরিবর্তনই আশা জাগানিয়া। আশা অদৃশ্যকেও দেখতে পায়, অসম্ভবকেও জয় করতে পারে।’ কামার বাজওয়া সিধুকে শেষে বলেছেন, ‘আমরা আরও ভালো কিছু করার চেষ্টা করব।’ সিধুর প্রত্যাশা, সম্পর্কের উন্নয়নে ভারত এক কদম আগাবে।
সিধুর পাকিস্তান সফর নিয়ে ভারতে বিজেপির রাজনীতিবিদরা সমালোচনা করেছেন। হরিয়ানার আনিল ভিজ বলেছেন, পাকিস্তানি আমন্ত্রণ গ্রহণ করাটা ‘অবিশ্বস্ততার’ পরিচায়ক! বিজেপির নেতা সম্ভিত প্যাটেল মন্তব্য করেছেন, সিধুর ইমরান খানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাকিস্তান যাওয়াটা ‘লজ্জাজনক কাজ।’ পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা দরকার বোঝাতে সিধু হিন্দুদের ধর্মীয় গ্রন্থ বেদ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘যোগাযোগের অভাবে বিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দেয়।’
গত মাসের ২৫ তারিখ পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল নির্বাচন। তাতে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পেয়েছিল সবচেয়ে বেশি আসন। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন না পেলেও তারা জোট গঠন করে পাকিস্তান মুত্তাহিদা মজলিসের সঙ্গে। গত শনিবার ইমরান নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের বেশ কয়েক জন সাবেক ক্রিকেটার। আর বড় আকর্ষণ হিসেবে সেখানে হাজির হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার নভোজিৎ সিং সিধু, যিনি নেজে এখন পাঞ্জাব থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসের সংসদ সদস্য। ইমরান অবশ্য শুধু সিধুকে নন সুনীল গাভাস্কার ও কপিল দেবকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন শুধু সিধু।
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরে দেওয়া ভাষণে ইমারন খান বলেছিলেন, ভারত সুসম্পর্কের জন্য এক পা আগলে তার সরকার দুই পা আগাবে।ভারতের প্রতি পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হবে ইমরান দায়িত্ব নিলে, এমন আশাবাদের কথা সিধু আগেই বলেছিলেন। এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘ইমরান ভালো কিছুর দিকেই আগাবেন। আর ভালো যেকোনও কিছু খারাপ যেকোনও কিছুর চেয়ে গ্রহণযোগ্য।’ শপথ অনুষ্ঠানে সিধুকে বসানোর ব্যবস্থা করানো হয়েছিল একেবারে সামনের সারিতে, পাকিস্তানের শীর্ষ রাজনীতিবিদদের সঙ্গে। সেখানে ইমরান সিধুকে জোরে জড়িয়ে ধরেন এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।
সামনের সারিতে বসা সব রাজনীতিবিদদের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানরা এক এক করে শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন। একসময় বাজওয়া উপস্থিত হন সিধুর সামনে। সেখানে তিনি সিধুকে আলিঙ্গন করেন। বাজওয়া সিধুকে বলেন, ‘আমি একজন জেনারেল, যে ক্রিকেটার হতে চেয়েছিল।’ তদের আলাপ এরপর সিরিয়াস বিষয়ের দিকে যতে শুরু করে। সিধুর জবানিতে এনডিটিভি জানিয়েছে জেনারেল কামার বাজওয়ার ভাষ্য, পাকিস্তান শান্তি চায়। ২০১৯ সালে শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানকের ৫০০ তম জন্মদিনে পাকিস্তানে অবস্থিত কারতারপুরে ভারতীয়দের যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে পাকিস্তান।
শিখ ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, কারতারপুরের শিখ তীর্থস্থানটিতে গুরু নানক তার জীবনের শেষ সময় অতিবাহিত করেছেন। শিখরা অনেক দিন ধরেই ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন, যেন তারা কারাতপুরে যাওয়ার বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করেন। তীর্থস্থানটিতে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে পাকিস্তান ও ভারত ১৯৯৮ সালে সমঝোতায় উপনীত হয়েছিল। কিন্তু তা কখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
এনডিটিভি লিখেছে, পাকিস্তানের শান্তি প্রত্যাশার ঘোষণাকে ভারত গুরুত্বে সঙ্গে নেয় না। ভারতের ধারণা, পাকিস্তানের এসব বক্তব্য লোক দেখানো। তবে গুরু নাকের স্মৃতিবিজড়িত কারতারপুরের তীর্থস্থানটিতে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার ঘোষণা প্রসঙ্গে নভোজিৎ সিং সিধু বলেছেন, ‘এটা একটা স্বপ্ন সত্য হওয়ার মতো বিষয়। এটা একটা পরিবর্তন এবং যে কোনও পরিবর্তনই আশা জাগানিয়া। আশা অদৃশ্যকেও দেখতে পায়, অসম্ভবকেও জয় করতে পারে।’ কামার বাজওয়া সিধুকে শেষে বলেছেন, ‘আমরা আরও ভালো কিছু করার চেষ্টা করব।’ সিধুর প্রত্যাশা, সম্পর্কের উন্নয়নে ভারত এক কদম আগাবে।
সিধুর পাকিস্তান সফর নিয়ে ভারতে বিজেপির রাজনীতিবিদরা সমালোচনা করেছেন। হরিয়ানার আনিল ভিজ বলেছেন, পাকিস্তানি আমন্ত্রণ গ্রহণ করাটা ‘অবিশ্বস্ততার’ পরিচায়ক! বিজেপির নেতা সম্ভিত প্যাটেল মন্তব্য করেছেন, সিধুর ইমরান খানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাকিস্তান যাওয়াটা ‘লজ্জাজনক কাজ।’ পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাটা দরকার বোঝাতে সিধু হিন্দুদের ধর্মীয় গ্রন্থ বেদ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘যোগাযোগের অভাবে বিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দেয়।’
No comments