অস্ট্রেলিয়ায় যৌন নির্যাতিত শিশুরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে
প্রাতিষ্ঠানিকভাবে
শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের শিকারদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু
করেছে অস্টেলিয়া। এর আওতায় প্রায় ৬০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ক্ষতিপূরণ পাওয়ার
বৈধতা পাচ্ছেন। এ বিষয়ে রোববার থেকে সেখানে একটি স্কিম চালু হয়েছে। এর নাম
দেয়া হয়েছে ন্যাশনাল রিড্রেস স্কিম। এ স্কিমে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ৩০০
কোটি ডলার। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে আরো বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এ অর্থ দিয়ে নির্যাতিতদের বেদনা কিছুটা হলেও লাঘব করা যাবে। অস্ট্রেলিয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কয়েক দশক ধরে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আছে। এ নিয়ে রয়েল কমিশন আর্থিক এই ক্ষতিপূরণের সুপারিশ করেছে। কমিশন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, স্কুল, দাতব্য সংস্থা, স্পোর্টস ক্লাব ও সামরিক বাহিনীতে যৌন নির্যাতন ও নির্যাতিতদের দুর্ভোগের বিষয়ে ৫ বছর ধরে অনুসন্ধান করে। তারপর তারা সুপারিশ পেশ করে। তার প্রায় সবটাই মেনে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। এ বিষয়ে সেদেশের সমাজসেবা বিষয়ক মন্ত্রী ড্যান তেহান এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিভিন্ন ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠান, যেখানে তাদের সুরক্ষিত থাকার কথা, সেখানে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদেরকে সমর্থন দিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ। এ স্কিমের সঙ্গে যোগ দিয়েছে অনেক রাজ্য সরকার ও ধর্মীয় গ্রুপ। এর মধ্যে রয়েছে ক্যাথলিক চার্চও। যৌন নির্যাতনের শিকার প্রতিজন ক্ষতিপূরণ হিসেবে সর্বোচ্চ এক লাখ ৫০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার করে পাবেন। গড়ে এই ক্ষতিপূরণ দাঁড়াবে ৬৭ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। এমন যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ডগ গোলটার। তিনি মেলবোর্নে শিশুদের একটি হোমে অনেক বছর ধরে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারপর ১৭ বছর বয়সে একই পরিস্থিতির শিকার হন সিডনির একটি জেলে। তিনি অস্ট্রেলিয়ান সম্প্রচার মাধ্যম এবিসি’কে বলেছেন, ওই নির্যাতন তার সারাজীবনের ওপর একটি কালো ছায়া ফেলেছে। তিনি বলেন, যেসব মানুষকে আপনি খুব ভালবাসেন, তাদের বিষয়ে কোনো ভীতি নেই, বিষয়টি এমন যে, তাদের কাছেও আপনি এই নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারেন না। কারণ, তারা আপনার বেদনা বুঝতে চায় না। কিছু আইনজীবী বলেছেন, এই স্কিমটি নির্যাতিতদের জন্য শেষ ভরসা। নির্যাতিতরা যদি প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মামলা করতেন তাহলে তাদের আরো বেশি ক্ষতিপূরণ পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সে প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদী। যেমন ডগ গোলটার এখন ভীষণ অসুস্থ। তার জন্য এতটা সময় ক্ষেপণ করা দুরূহ ব্যাপার। তিনি এবিসি’কে বলেছেন, আমার সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। সরকারি আইনই আমার জন্য উত্তম উপায় হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমার হাতে তো অনেক সময় নেই। আমার আয়ুষ্কাল এখন খুবই সীমিত। সেক্ষেত্রে এভাবে আইনী লড়াইয়ে যেতে হলে অনেক সময় প্রয়োজন হতো। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল বলেছেন, ক্ষতি কিছুটা পূরণ করার জন্যই তাদের এই স্কিমের লক্ষ্য। আসলে আমাদেরকে তো সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে।
এতে আরো বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এ অর্থ দিয়ে নির্যাতিতদের বেদনা কিছুটা হলেও লাঘব করা যাবে। অস্ট্রেলিয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কয়েক দশক ধরে শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আছে। এ নিয়ে রয়েল কমিশন আর্থিক এই ক্ষতিপূরণের সুপারিশ করেছে। কমিশন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, স্কুল, দাতব্য সংস্থা, স্পোর্টস ক্লাব ও সামরিক বাহিনীতে যৌন নির্যাতন ও নির্যাতিতদের দুর্ভোগের বিষয়ে ৫ বছর ধরে অনুসন্ধান করে। তারপর তারা সুপারিশ পেশ করে। তার প্রায় সবটাই মেনে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। এ বিষয়ে সেদেশের সমাজসেবা বিষয়ক মন্ত্রী ড্যান তেহান এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিভিন্ন ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠান, যেখানে তাদের সুরক্ষিত থাকার কথা, সেখানে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদেরকে সমর্থন দিতে আমরা ঐক্যবদ্ধ। এ স্কিমের সঙ্গে যোগ দিয়েছে অনেক রাজ্য সরকার ও ধর্মীয় গ্রুপ। এর মধ্যে রয়েছে ক্যাথলিক চার্চও। যৌন নির্যাতনের শিকার প্রতিজন ক্ষতিপূরণ হিসেবে সর্বোচ্চ এক লাখ ৫০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার করে পাবেন। গড়ে এই ক্ষতিপূরণ দাঁড়াবে ৬৭ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। এমন যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ডগ গোলটার। তিনি মেলবোর্নে শিশুদের একটি হোমে অনেক বছর ধরে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারপর ১৭ বছর বয়সে একই পরিস্থিতির শিকার হন সিডনির একটি জেলে। তিনি অস্ট্রেলিয়ান সম্প্রচার মাধ্যম এবিসি’কে বলেছেন, ওই নির্যাতন তার সারাজীবনের ওপর একটি কালো ছায়া ফেলেছে। তিনি বলেন, যেসব মানুষকে আপনি খুব ভালবাসেন, তাদের বিষয়ে কোনো ভীতি নেই, বিষয়টি এমন যে, তাদের কাছেও আপনি এই নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারেন না। কারণ, তারা আপনার বেদনা বুঝতে চায় না। কিছু আইনজীবী বলেছেন, এই স্কিমটি নির্যাতিতদের জন্য শেষ ভরসা। নির্যাতিতরা যদি প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মামলা করতেন তাহলে তাদের আরো বেশি ক্ষতিপূরণ পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সে প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদী। যেমন ডগ গোলটার এখন ভীষণ অসুস্থ। তার জন্য এতটা সময় ক্ষেপণ করা দুরূহ ব্যাপার। তিনি এবিসি’কে বলেছেন, আমার সামনে আর কোনো বিকল্প নেই। সরকারি আইনই আমার জন্য উত্তম উপায় হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমার হাতে তো অনেক সময় নেই। আমার আয়ুষ্কাল এখন খুবই সীমিত। সেক্ষেত্রে এভাবে আইনী লড়াইয়ে যেতে হলে অনেক সময় প্রয়োজন হতো। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল বলেছেন, ক্ষতি কিছুটা পূরণ করার জন্যই তাদের এই স্কিমের লক্ষ্য। আসলে আমাদেরকে তো সত্যের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে।
No comments