কিশোর অপরাধীর সংখ্যা বাড়ছে by মরিয়ম চম্পা
ছোট
থেকে বড়। ছিনতাই থেকে খুনখারাবি। নানা অপরাধে জড়াচ্ছে কিশোররা। গড়ে তুলছে
নিজস্ব গ্যাং। এ চিত্র শুধু রাজধানী ঢাকার নয়। সারা দেশেই ক্রমশ বাড়ছে
কিশোর অপরাধীর সংখ্যা। ভিনদেশি সংস্কৃতির প্রভাব আর পরিবারের যথাযথ
দেখাশোনার অভাবের কারণেই শিশু-কিশোররা অপরাধে জড়াচ্ছে বলে মনে করেন সমাজ
বিশ্লেষকরা। সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সামাজিক আন্দোলনের
মাধ্যমে কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে মত তাদের।
কৈশোরে শিশুর শারীরিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক পরিবর্তনও হতে থাকে। আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না কিশোররা। পরিস্থিতি, পরিবেশ তাদের যৌন হয়রানি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কাজে উৎসাহিত করতে পারে বলে মত মনোবিজ্ঞানীদের। মাদকের ভয়াবহতা ও কথিত বড় ভাইদের উসকানিকে কিশোরদের অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানীরা। কেউ কেউ মনে করেন, দুর্বল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পাশাপাশি পারিবারিক শিক্ষার অভাবও এর জন্য দায়ী। সন্তানের শিক্ষা ও চরিত্র গঠনের প্রতি অভিভাবকদের যতটা মনোযোগ দেয়া দরকার, প্রায়ই তা দেয়া হয় না। অন্যদিকে মাদক বিক্রেতা থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ পর্যন্ত অনেকেই নিজের সামান্য লাভের জন্য কিশোরদের অপরাধ জগতে টেনে নেন। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কিশোরদের ব্যবহার করেন। ফলে একসময় এ কিশোররা পরিবারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন শুধু পাড়াপড়শির নয়, নিজের পরিবারের জন্যও তারা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নেহাল করিম বলেন, অপরাধ সব দেশেই আছে। কোনো দেশে কম কোনো দেশে বেশি। অর্থাৎ এক এক দেশের অপরাধের মাত্রা এক এক ধরনের হয়ে থাকে। কিশোর অপরাধও তেমনই একধরনের অপরাধ। আমাদের দেশে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির প্রধান কারণ হচ্ছে কিশোরদের মনের সুষ্ঠু বিকাশ হওয়ার কোনো মাধ্যম নেই। তাই তারা বাধ্য হয়ে বাসার ছাদে, পাড়ার গলিতে, বন্ধুর বাসায় সময় কাটায়, আড্ডা দেয়। তাদের জন্য কোনো খেলার মাঠ নেই, বিনোদনের পার্ক নেই। একই সঙ্গে বাবা মায়েরও সঠিক তত্ত্বাবধান নেই। অনেক বাবা মা আছে তাদের বাচ্চাদের ডেইলি রুটিন সম্পর্কেই খোঁজ রাখেন না বা জানেন না। ছেলে-মেয়ে স্কুল কলেজের নাম করে কোথায় যাচ্ছে, কি করছে, কাদের সঙ্গে মিশছে, কখন ঘুমাতে যায়, ঘুম থেকে উঠছে। কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির আর একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদেরকে সম্পৃক্ত করতে উৎসাহিত করা। এক্ষেত্রে পরিবারের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। তরুণ শিশুদের চলাফেরায় তাদের গতিবিধির প্রতি লক্ষ্য রেখে বাবা মাকে অবহিত করতে হবে।
সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদ নাসির বলেন, মানুষের আকাঙ্ক্ষার মাত্রা যখন বেড়ে যায় তখনই অপরাধ বৃদ্ধি পায়। আমাদের সমাজে কিশোর বয়স থেকেই একটি বদ্ধমূল ধারণা জন্মায় কম খাটবো বা পরিশ্রম করবো তবে বেশি উপার্জন করবো। এবং খুব অল্প সময়ে বেশি কিছু অর্জন করে আয়েশি জীবনে পৌঁছাতে চাই। ফলে আমাদের সমাজের কিশোররা শিক্ষাদিক্ষা এবং বেশি দক্ষ হওয়ার দিকে নজর না দিয়ে দ্রুত বিলাশী জীবনে পৌঁছাতে মরিয়া হয়ে ওঠে।
সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, প্রত্যেকটি দেশেরই নিজস্ব সমাজ ব্যবস্থা ও সংস্কৃতি রয়েছে। একটি দেশের সমাজ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, নিয়ম-নিষ্ঠা, মূল্যবোধ তৈরি করতে না পারলে সে দেশের কিশোররাতো অপরাধের সঙ্গে জড়াবেই। আমাদের প্রচলিত সামাজিক জীবন ধারায় পূর্বের সম্পর্ক গুলো যৌথ থাকলেও বর্তমানে তা ভেঙ্গে একক পরিবারে পরিণত হচ্ছে। পূর্বের যৌথ পরিবারগুলোতে পরিবারের সকল সদস্যদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। যেটা বর্তমানে একদম নেই বললেই চলে। শিশু কিশোররা ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে অনেক স্বাধীন ভাবে চলতে, ফিরতে ও মিশতে চায়। এসকল কারণে কিশোর অপরাধের সংখ্যা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নাসরীন ওয়াদুদ বলেন, সমাজে অপরাধের মাত্রা বেড়ে এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে যে একে অন্যর দ্বারা অনুপ্রাণিত হচ্ছে। বড়রা যখন অপরাধ করে পার পেয়ে যায় তখন কিশোররাও বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে নিজেদের জড়ায়। যে সমাজে বড়দের বড় বড় অন্যায়ের শাস্তি লঘু সেখানে বাচ্চারাতো উৎসাহী হবেই। এখন শোনা যাচ্ছে ঢাকা শহরে কিশোরদের নাকি গ্যাংও আছে। এই কিশোর গ্যাংতো শুধু কিশোররা মিলে তৈরি করেনি। এতে নিশ্চয়ই বড় গ্যাংদের আশীর্বাদ বা অনুপ্রেরণা রয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিল্পী রানী দে কিশোর অপরাধ নিয়ে ২০১৫ সালে একটি গবেষণা করেন। তাতে তিনি ১৯৯০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত কিশোর অপরাধের তথ্য বিশ্লেষণ করেন। এতে দেখা যায়, ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে রাজধানী ঢাকায় মোট কিশোর অপরাধের মামলা ছিল ৩ হাজার ৫০১টি। এর মধ্যে ৮২টি হত্যা ও ৮৭টি নারী নির্যাতনের মামলা ছিল। পরের ১০ বছরে এ দুই ধরনের মামলার সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৩৮ ও ২২৪। এই ১০ বছরে (২০০১-১০) মোট মামলা হয় ৪ হাজার ৮৮২টি। আরেক হিসাবে দেখা যায়, ২০১৬ সালে কিশোর অপরাধের ঘটনায় সারা দেশে মামলা রেকর্ড হয়েছে এক হাজার ৫৯৬টি। ২০১৫ সালে এ সংখ্যা ছিল এক হাজার ১৮৪টি। এ হিসাবে এক বছরে কিশোর অপরাধের মামলা বেড়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশের বেশি। ২০১৬ সালে দেশে কিশোর অপরাধের ঘটনায় মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ছিল দুই হাজার ১৭৯ জন। ওই সময়ে কিশোর অপরাধ-সংক্রান্ত এক হাজার ৪২২টি মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে। এতে মোট আসামির সংখ্যা এক হাজার ৮৬৭ জন। ২০১৫ সালে কিশোর অপরাধ-সংক্রান্ত এক হাজার ১৮৪টি মামলায় আসামি ছিল এক হাজার ৭১৯ জন। ২০১৪ সালে মামলা হয়েছে ৮১৮টি, আসামির সংখ্যা এক হাজার ২৬৩। ২০১৩ সালে কিশোর অপরাধের ৫৮৯ মামলায় আসামি ৮৪৮ জন। ২০১২ সালে ৪৮৪ মামলায় আসামির সংখ্যা ৭৫১ জন। বর্তমানে কিশোর অপরাধের ঘটনায় সারা দেশে বিচারাধীন মামলা আছে এক হাজার ২৮২টি। ২০১৬ সালে বিচার নিষ্পন্ন ২৯টি মামলায় খালাস পেয়েছে ৪৭ জন। ছয় মামলায় সাজা হয়েছে সাতজনের। তদন্তাধীন মামলা রয়েছে ১১১টি।
কৈশোরে শিশুর শারীরিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক পরিবর্তনও হতে থাকে। আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না কিশোররা। পরিস্থিতি, পরিবেশ তাদের যৌন হয়রানি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কাজে উৎসাহিত করতে পারে বলে মত মনোবিজ্ঞানীদের। মাদকের ভয়াবহতা ও কথিত বড় ভাইদের উসকানিকে কিশোরদের অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানীরা। কেউ কেউ মনে করেন, দুর্বল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পাশাপাশি পারিবারিক শিক্ষার অভাবও এর জন্য দায়ী। সন্তানের শিক্ষা ও চরিত্র গঠনের প্রতি অভিভাবকদের যতটা মনোযোগ দেয়া দরকার, প্রায়ই তা দেয়া হয় না। অন্যদিকে মাদক বিক্রেতা থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ পর্যন্ত অনেকেই নিজের সামান্য লাভের জন্য কিশোরদের অপরাধ জগতে টেনে নেন। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কিশোরদের ব্যবহার করেন। ফলে একসময় এ কিশোররা পরিবারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন শুধু পাড়াপড়শির নয়, নিজের পরিবারের জন্যও তারা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নেহাল করিম বলেন, অপরাধ সব দেশেই আছে। কোনো দেশে কম কোনো দেশে বেশি। অর্থাৎ এক এক দেশের অপরাধের মাত্রা এক এক ধরনের হয়ে থাকে। কিশোর অপরাধও তেমনই একধরনের অপরাধ। আমাদের দেশে কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির প্রধান কারণ হচ্ছে কিশোরদের মনের সুষ্ঠু বিকাশ হওয়ার কোনো মাধ্যম নেই। তাই তারা বাধ্য হয়ে বাসার ছাদে, পাড়ার গলিতে, বন্ধুর বাসায় সময় কাটায়, আড্ডা দেয়। তাদের জন্য কোনো খেলার মাঠ নেই, বিনোদনের পার্ক নেই। একই সঙ্গে বাবা মায়েরও সঠিক তত্ত্বাবধান নেই। অনেক বাবা মা আছে তাদের বাচ্চাদের ডেইলি রুটিন সম্পর্কেই খোঁজ রাখেন না বা জানেন না। ছেলে-মেয়ে স্কুল কলেজের নাম করে কোথায় যাচ্ছে, কি করছে, কাদের সঙ্গে মিশছে, কখন ঘুমাতে যায়, ঘুম থেকে উঠছে। কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির আর একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদেরকে সম্পৃক্ত করতে উৎসাহিত করা। এক্ষেত্রে পরিবারের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। তরুণ শিশুদের চলাফেরায় তাদের গতিবিধির প্রতি লক্ষ্য রেখে বাবা মাকে অবহিত করতে হবে।
সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক রাশেদা ইরশাদ নাসির বলেন, মানুষের আকাঙ্ক্ষার মাত্রা যখন বেড়ে যায় তখনই অপরাধ বৃদ্ধি পায়। আমাদের সমাজে কিশোর বয়স থেকেই একটি বদ্ধমূল ধারণা জন্মায় কম খাটবো বা পরিশ্রম করবো তবে বেশি উপার্জন করবো। এবং খুব অল্প সময়ে বেশি কিছু অর্জন করে আয়েশি জীবনে পৌঁছাতে চাই। ফলে আমাদের সমাজের কিশোররা শিক্ষাদিক্ষা এবং বেশি দক্ষ হওয়ার দিকে নজর না দিয়ে দ্রুত বিলাশী জীবনে পৌঁছাতে মরিয়া হয়ে ওঠে।
সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, প্রত্যেকটি দেশেরই নিজস্ব সমাজ ব্যবস্থা ও সংস্কৃতি রয়েছে। একটি দেশের সমাজ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, নিয়ম-নিষ্ঠা, মূল্যবোধ তৈরি করতে না পারলে সে দেশের কিশোররাতো অপরাধের সঙ্গে জড়াবেই। আমাদের প্রচলিত সামাজিক জীবন ধারায় পূর্বের সম্পর্ক গুলো যৌথ থাকলেও বর্তমানে তা ভেঙ্গে একক পরিবারে পরিণত হচ্ছে। পূর্বের যৌথ পরিবারগুলোতে পরিবারের সকল সদস্যদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। যেটা বর্তমানে একদম নেই বললেই চলে। শিশু কিশোররা ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে অনেক স্বাধীন ভাবে চলতে, ফিরতে ও মিশতে চায়। এসকল কারণে কিশোর অপরাধের সংখ্যা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মনোবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নাসরীন ওয়াদুদ বলেন, সমাজে অপরাধের মাত্রা বেড়ে এমন জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে যে একে অন্যর দ্বারা অনুপ্রাণিত হচ্ছে। বড়রা যখন অপরাধ করে পার পেয়ে যায় তখন কিশোররাও বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে নিজেদের জড়ায়। যে সমাজে বড়দের বড় বড় অন্যায়ের শাস্তি লঘু সেখানে বাচ্চারাতো উৎসাহী হবেই। এখন শোনা যাচ্ছে ঢাকা শহরে কিশোরদের নাকি গ্যাংও আছে। এই কিশোর গ্যাংতো শুধু কিশোররা মিলে তৈরি করেনি। এতে নিশ্চয়ই বড় গ্যাংদের আশীর্বাদ বা অনুপ্রেরণা রয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিল্পী রানী দে কিশোর অপরাধ নিয়ে ২০১৫ সালে একটি গবেষণা করেন। তাতে তিনি ১৯৯০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত কিশোর অপরাধের তথ্য বিশ্লেষণ করেন। এতে দেখা যায়, ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে রাজধানী ঢাকায় মোট কিশোর অপরাধের মামলা ছিল ৩ হাজার ৫০১টি। এর মধ্যে ৮২টি হত্যা ও ৮৭টি নারী নির্যাতনের মামলা ছিল। পরের ১০ বছরে এ দুই ধরনের মামলার সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৩৮ ও ২২৪। এই ১০ বছরে (২০০১-১০) মোট মামলা হয় ৪ হাজার ৮৮২টি। আরেক হিসাবে দেখা যায়, ২০১৬ সালে কিশোর অপরাধের ঘটনায় সারা দেশে মামলা রেকর্ড হয়েছে এক হাজার ৫৯৬টি। ২০১৫ সালে এ সংখ্যা ছিল এক হাজার ১৮৪টি। এ হিসাবে এক বছরে কিশোর অপরাধের মামলা বেড়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশের বেশি। ২০১৬ সালে দেশে কিশোর অপরাধের ঘটনায় মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ছিল দুই হাজার ১৭৯ জন। ওই সময়ে কিশোর অপরাধ-সংক্রান্ত এক হাজার ৪২২টি মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে। এতে মোট আসামির সংখ্যা এক হাজার ৮৬৭ জন। ২০১৫ সালে কিশোর অপরাধ-সংক্রান্ত এক হাজার ১৮৪টি মামলায় আসামি ছিল এক হাজার ৭১৯ জন। ২০১৪ সালে মামলা হয়েছে ৮১৮টি, আসামির সংখ্যা এক হাজার ২৬৩। ২০১৩ সালে কিশোর অপরাধের ৫৮৯ মামলায় আসামি ৮৪৮ জন। ২০১২ সালে ৪৮৪ মামলায় আসামির সংখ্যা ৭৫১ জন। বর্তমানে কিশোর অপরাধের ঘটনায় সারা দেশে বিচারাধীন মামলা আছে এক হাজার ২৮২টি। ২০১৬ সালে বিচার নিষ্পন্ন ২৯টি মামলায় খালাস পেয়েছে ৪৭ জন। ছয় মামলায় সাজা হয়েছে সাতজনের। তদন্তাধীন মামলা রয়েছে ১১১টি।
No comments