সম্ভাবনার নাম সুন্দরবন by জাহিদ সুমন
প্রাণ,
প্রকৃতি ও জীবন পরস্পর আন্তঃনির্ভরশীল এক প্রাকৃতিক বন্ধন। পৃথিবী বিখ্যাত
প্রাণবৈচিত্র্যের প্রাকৃতিক ভাণ্ডার ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। ৩৩৪ প্রজাতির
গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল এবং ১৩ প্রজাতির অর্কিড। চিতল হরিণ, বানর,
শূকর, গুঁইসাপ, পাইথন ও বিভিন্ন প্রজাতির সাপসহ ৩৭৫-এর অধিক বন্যপ্রাণী,
৩শ’রও বেশি প্রজাতির পাখি এবং জালের মতো বিছানো ৪৫০টির মতো নদী-খাল এবং
কুমির, হাঙ্গরসহ প্রায় ২৯১ প্রজাতির মাছের শ্রেষ্ঠ বাসস্থান সুন্দরবন।
সুন্দরবনের মোট আয়তন প্রায় ১০,০০০ বর্গকিলোমিটার। মোট আয়তনের ৬০১৭
বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ ভূখণ্ডের মধ্যে অবস্থিত। সুন্দরবনের উপর প্রায় ৬
লক্ষাধিক বনজীবী-বাওয়ালী, মৌয়ালী, জেলে, জোংরাখুটা (চুনারি), মুন্ড, মাহাতো
এবং অন্যদের জীবন-জীবিকা সরাসরি নির্ভরশীল।
সুন্দরবন শুধু আমাদের সম্পদ দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে তা নয়, প্রাকৃতিক সকল দুর্যোগ থেকে উপকূল অঞ্চল তথা বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রেখেছে। প্রকৃতির স্বর্গ এবং বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ক্ষতিকর কার্বন হজম করে পৃথিবীর উষ্ণতা রোধে অবিচল অবদান রাখছে। সুন্দরবনের মধু, মাছ, কাঁকড়া, প্রতিটি উদ্ভিদ ও প্রাণী বিশ্ববিখ্যাত ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য। সুন্দরবনের দৃশ্য নয়নাভিরাম এবং ২৪ ঘণ্টায় সুন্দরবন তার অপরূপ রূপ বদলায় ৬ বার। সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতি বছর হাজার হাজার দেশি/বিদেশি পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণ করছে। সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলা থেকে সরাসরি সুন্দরবন দর্শন করা যায়। পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন অসংখ্য গাড়ি ভরে হাজার হাজার পর্যটক শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ, কদমতলা ও বুড়িগোয়ালিনী বন বিভাগ থেকে পাস পারমিট করে সুন্দরবন ভ্রমণ করছে। পর্যটক দল এক, দুই ও তিন দিন সুন্দরবনে অবস্থান করে বনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছে। অনেকে বনের হরিণ, বানর ও প্রকৃতির সঙ্গে সেলফি তুলে ও ভিডিও করে পোস্ট করছে। গল্প, কবিতা ও গবেষণা প্রবন্ধ লিখছে। বেশির ভাগ মানুষ সুন্দরবনের প্রাণ ও প্রকৃতির স্বাদ গ্রহণ করছে। বাংলাদেশ তথা বিশ্বের বিশাল পর্যটন সম্ভাবনা সুন্দরবন।
সম্প্রতি প্রাণ ও প্রকৃতি সুরক্ষায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এই দর্শনকে ধারণ করে সোনার বাংলা ম্যানগ্রোভ ইকোট্যুরিজম নামে একটি সংগঠন সুন্দরবন পর্যটন সম্ভাবনাকে বিশ্বব্যাপী প্রচারে তার যাত্রা শুরু করেছে। তরুণ প্রজন্মের উদ্যোক্তা সোনার বাংলা ম্যানগ্রোভ ইকোট্যুরিজমের মো. নাজমুস সাদাত পলাশ বলেন, পৃথিবীর উন্নয়ন ও সুরক্ষায় সুন্দরবনের অবদান বলে শেষ করা কঠিন। আমরা সুন্দরবন সুরক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সুন্দরবনকে সুন্দর রেখে পর্যটকদের বিশ্ববিখ্যাত ম্যানগ্রোভ বনের প্রকৃতি ও প্রাণের স্বাদ গ্রহণের পাশাপাশি সুন্দরবন প্রাণ, প্রকৃতি ও নির্ভরশীল জীবনযাত্রা সুরক্ষায় বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাপী জনমত সৃষ্টিতে সোনার বাংলা ম্যানগ্রোভ ইকোট্যুরিজম যাত্রা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সোনার বাংলা ম্যানগ্রোভ ইকোট্যুরিজম কলাগাছিয়া ফরেস্ট স্টেশনে একজন ইকো গাইড নিয়োগ করা হয়েছে।
সুন্দরবন গবেষক মো. শাহীন ইসলাম বলেন, সুন্দরবনকে ঘিরে সরকারি-বেসরকারি অসংখ্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু সে সব উন্নয়ন প্রকল্প সুন্দরবনকে রক্ষা ও উন্নয়নে কি কাজ করছে তা বুঝতে পারি না। নির্বিচারে বনের নদী ও খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার, মহামূল্যবান খলিশা গাছসহ সকল ধরনের গাছ কাটা, প্রজনন মৌসুমে বনের মাছ ও কাঁকড়া শিকার করা হচ্ছে, বনের নদী ও পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে, পাচার করা হচ্ছে বাঘ, হরিণ, বানর, সাপসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী, অসহায় বনজীবীদের জিম্মি করে ফায়দা লুটছে বনদস্যুরা।
পর্যটক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জুলফিকার আলী ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন খাতের মহামূল্যাবান সম্পদ সুন্দরবন। সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে আরো বেশি সরকারি- বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে সরাসরি সুন্দরবন দেখা যায়। কিন্তু, শ্যামনগরে শত শত পর্যটকদের থাকার ও খাওয়ার ব্যবস্থা নেই, নিরাপত্তা ব্যবস্থারও ঘাটতি। এখানকার বন অফিসগুলোর সঙ্গে কোনো ওয়াশব্লক ও ডাস্টবিন নেই। বনের পরিবেশ দূষণ রোধে পর্যটকদের সচেতন করার কার্যকরী প্রচেষ্টা সীমিত, ট্যুর ম্যাপ, প্যাকেজ, অর্গানিক খাবার ও জলযানেরও সংকট।
সুন্দরবন শুধু আমাদের সম্পদ দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে তা নয়, প্রাকৃতিক সকল দুর্যোগ থেকে উপকূল অঞ্চল তথা বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রেখেছে। প্রকৃতির স্বর্গ এবং বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ক্ষতিকর কার্বন হজম করে পৃথিবীর উষ্ণতা রোধে অবিচল অবদান রাখছে। সুন্দরবনের মধু, মাছ, কাঁকড়া, প্রতিটি উদ্ভিদ ও প্রাণী বিশ্ববিখ্যাত ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য। সুন্দরবনের দৃশ্য নয়নাভিরাম এবং ২৪ ঘণ্টায় সুন্দরবন তার অপরূপ রূপ বদলায় ৬ বার। সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতি বছর হাজার হাজার দেশি/বিদেশি পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণ করছে। সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলা থেকে সরাসরি সুন্দরবন দর্শন করা যায়। পর্যটন মৌসুমে প্রতিদিন অসংখ্য গাড়ি ভরে হাজার হাজার পর্যটক শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ, কদমতলা ও বুড়িগোয়ালিনী বন বিভাগ থেকে পাস পারমিট করে সুন্দরবন ভ্রমণ করছে। পর্যটক দল এক, দুই ও তিন দিন সুন্দরবনে অবস্থান করে বনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছে। অনেকে বনের হরিণ, বানর ও প্রকৃতির সঙ্গে সেলফি তুলে ও ভিডিও করে পোস্ট করছে। গল্প, কবিতা ও গবেষণা প্রবন্ধ লিখছে। বেশির ভাগ মানুষ সুন্দরবনের প্রাণ ও প্রকৃতির স্বাদ গ্রহণ করছে। বাংলাদেশ তথা বিশ্বের বিশাল পর্যটন সম্ভাবনা সুন্দরবন।
সম্প্রতি প্রাণ ও প্রকৃতি সুরক্ষায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এই দর্শনকে ধারণ করে সোনার বাংলা ম্যানগ্রোভ ইকোট্যুরিজম নামে একটি সংগঠন সুন্দরবন পর্যটন সম্ভাবনাকে বিশ্বব্যাপী প্রচারে তার যাত্রা শুরু করেছে। তরুণ প্রজন্মের উদ্যোক্তা সোনার বাংলা ম্যানগ্রোভ ইকোট্যুরিজমের মো. নাজমুস সাদাত পলাশ বলেন, পৃথিবীর উন্নয়ন ও সুরক্ষায় সুন্দরবনের অবদান বলে শেষ করা কঠিন। আমরা সুন্দরবন সুরক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সুন্দরবনকে সুন্দর রেখে পর্যটকদের বিশ্ববিখ্যাত ম্যানগ্রোভ বনের প্রকৃতি ও প্রাণের স্বাদ গ্রহণের পাশাপাশি সুন্দরবন প্রাণ, প্রকৃতি ও নির্ভরশীল জীবনযাত্রা সুরক্ষায় বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাপী জনমত সৃষ্টিতে সোনার বাংলা ম্যানগ্রোভ ইকোট্যুরিজম যাত্রা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সোনার বাংলা ম্যানগ্রোভ ইকোট্যুরিজম কলাগাছিয়া ফরেস্ট স্টেশনে একজন ইকো গাইড নিয়োগ করা হয়েছে।
সুন্দরবন গবেষক মো. শাহীন ইসলাম বলেন, সুন্দরবনকে ঘিরে সরকারি-বেসরকারি অসংখ্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু সে সব উন্নয়ন প্রকল্প সুন্দরবনকে রক্ষা ও উন্নয়নে কি কাজ করছে তা বুঝতে পারি না। নির্বিচারে বনের নদী ও খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার, মহামূল্যবান খলিশা গাছসহ সকল ধরনের গাছ কাটা, প্রজনন মৌসুমে বনের মাছ ও কাঁকড়া শিকার করা হচ্ছে, বনের নদী ও পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে, পাচার করা হচ্ছে বাঘ, হরিণ, বানর, সাপসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী, অসহায় বনজীবীদের জিম্মি করে ফায়দা লুটছে বনদস্যুরা।
পর্যটক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জুলফিকার আলী ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন খাতের মহামূল্যাবান সম্পদ সুন্দরবন। সুন্দরবনকে ঘিরে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে আরো বেশি সরকারি- বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে সরাসরি সুন্দরবন দেখা যায়। কিন্তু, শ্যামনগরে শত শত পর্যটকদের থাকার ও খাওয়ার ব্যবস্থা নেই, নিরাপত্তা ব্যবস্থারও ঘাটতি। এখানকার বন অফিসগুলোর সঙ্গে কোনো ওয়াশব্লক ও ডাস্টবিন নেই। বনের পরিবেশ দূষণ রোধে পর্যটকদের সচেতন করার কার্যকরী প্রচেষ্টা সীমিত, ট্যুর ম্যাপ, প্যাকেজ, অর্গানিক খাবার ও জলযানেরও সংকট।
No comments