তারা মিয়ার সেই ষাঁড়টি বিক্রি হলো পানির দামে by মোহাম্মদ হাসান ফয়জী
মানিকগঞ্জের
সাটুরিয়ার তারা মিয়ার সেই ২২ লাখি ষাঁড়টি বিক্রি হয়েছে পানির দামে। ১০-১২
লাখ টাকায় বিক্রি হবে বলে অনেকেই মনে করেছিল। সাত লাখ টাকা অনেকে বলেও ছিল।
কিন্তু আরো দাম পাওয়ার আশায় তিনি অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় গরুর
আগমন এবং নানা আশঙ্কায় তিনি গরুটি বিক্রি করে দেন মাত্র ৪ লাখ ৭০ হাজার
টাকায়। '২২ লাখ টাকার ষাঁড় দেখতে তারা মিয়ার বাড়িতে প্রচণ্ড ভিড়'
শিরোনামে দৈনিক নয়া দিগন্ত অনলাইনে সংস্করণে গত ১৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত
হওয়ার পর থেকে সারা দেশে এ ষাঁড় নিয়ে ফেসবুকে ঝড় উঠে। রাতে এ সংবাদটি
প্রকাশ হওয়ার পর ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে দেখা যায়, দৈনিক নয়া দিগন্ত ফেসবুক পেজ
থেকে এ নিউজটি ৭ হাজার ৭ শত ৫৩ জন শেয়ার করেছেন, লাইক দিয়েছেন ১ লাখ ১২
হাজার ১২ জন, কমেন্টস পড়েছে ২ হাজার ৫ শ'র মতো, অনলাইনে ও ফেসবুকে এ নিউজটি
প্রচার হওয়ার পর গত ২১ শে সেপ্টেম্বর প্রিন্ট নয়া দিগন্ত ছাড়াও অন্যান্য
জাতীয় পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়। এর পর তারা মিয়ার বাড়িতে ভিড় আরো বাড়ে এ
ষাঁড়টি দেখতে।
জানাযায়, সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটী গ্রামের তারা মিয়ার পালের একটি ষাঁড় বাছুরটি সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতি শখের বসে পালতে থাকেন। খাওয়াতে থাকেন খড়, ঘাষ, ভুট্ট্রা, চাল, গমের গুরা এবং বিশেষ করে ছোলা ভিজিয়ে খাইয়ে লালন করতে থাকেন। কোনো প্রকার ওষুধ ছাড়াই গরুটির পরিচর্যা করতে থাকেন তিনি। গত বছরই তারা মিয়ার ষাঁড়টি ৩ লাখ টাকা দাম উঠে, কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়াতে তার ষাঁড়টি বিক্রি না করে আবার পালতে শুরু করেন, এ বছর গত ১৮ সেপ্টেম্বর তারা মিয়ার ষাঁড়টি লম্বায় ৯ ফুট, উচ্চতা ৮ ফুট ২ ইঞ্চি, বেড়ে ৮ ফুট এবং ওজন ২২ মুন পরিমাপ করা হয়। এ ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে মানুষ জড়ো হন।
তারা মিয়া জানান, বাড়ি থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাম উঠে এ ষাঁড়টির, কিন্তু তারা মিয়া ২২ লাখ টাকা দাম হাকান, অপেক্ষা করতে থাকেন আরো দামের আশায়। তারা মিয়ার ধারনা করেন, সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ষাঁড়টি পালাতে এর ভালো দাম পাবেন, তাই তিনি আরো দামের আশায় ষাঁড়টি বাড়িতেই রাখেন।
পত্রিকায় নিউজ আসায়, অনেক পাঠক এ প্রতিবেদককে ফোন দিয়ে তারা মিয়ার মোবাইল নাম্বার নিয়ে তার সাথে কথা বলেন, ষাঁড়টির দাম বলেন এবং এর খোঁজখবর নেন।
তারা মিয়ার ২২ লাখ টাকার ষাঁড়টি গত শনিবার ঢাকার গাবতলী হাটে নিয়ে যায়, হাটের নামার সাথে এমন দেশী জাতের ষাঁড়টি ৭ লাখ টাকা দাম উঠে। কিন্তু অতি বৃষ্টি এবং ভারতীয় গরুর আমদানির ফলে হাটে গরুর দাম পড়ে যায়। তারা মিয়া এ ষাঁড় এ বছরও বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে সতর্কতার জন্য সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেনারী সার্জন ডা: আব্দুল মান্নানের সাথে তারা মিয়া কথা বলেন। ডাক্তার তারা মিয়াকে বলেন ২২ মন ওজনের এ ষাঁড়টি আরো এক বছর রাখলে কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমন আশঙ্কা প্রকাশ পাওয়ার তারা মিয়া তার ষাঁড়টি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে গত সোমবার ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা ভেটেনারী সার্জন ডাঃ আব্দুল মান্নান জানান, তারা মিয়ার এ দেশীয় পদ্ধতির ষাঁড়টি ৭-৮ লাখ টাকা দাম পেত, বাজার পড়ে যাওয়ায় তারা মিয়া উপযোক্ত দাম পাননি।
স্থানীয় গরু ব্যাবসায়ী শাহিনুর, শখা মিয়া জানান, ভারতীয় গরু না এলে এবং গরুর দাম না পড়ে গেলে, তারা মিয়ার গরুটি ১০-১২ লাখ টাকা দাম ওঠত। তাই তারা মিয়ার গরু ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করতে হয়েছে, তাও ভালো হয়েছে। কারণ এ ষাঁড়টির বয়স হয়েছিল ৩ বছর ৬ মাস, ওজন হয়েছিল, ২২-২৩ মন। তারা মিয়ার এটিকে আরও এক বছর লালন পালন করতে গেলে, অনেক ব্যয় হতো। প্রতিদিন ৩০০ টাকার খাবার খরচ, তাছাড়া এত ওজন যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তাই ষাঁড়টি বিক্রি করা ভালো হয়েছে।
জানাযায়, সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটী গ্রামের তারা মিয়ার পালের একটি ষাঁড় বাছুরটি সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতি শখের বসে পালতে থাকেন। খাওয়াতে থাকেন খড়, ঘাষ, ভুট্ট্রা, চাল, গমের গুরা এবং বিশেষ করে ছোলা ভিজিয়ে খাইয়ে লালন করতে থাকেন। কোনো প্রকার ওষুধ ছাড়াই গরুটির পরিচর্যা করতে থাকেন তিনি। গত বছরই তারা মিয়ার ষাঁড়টি ৩ লাখ টাকা দাম উঠে, কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়াতে তার ষাঁড়টি বিক্রি না করে আবার পালতে শুরু করেন, এ বছর গত ১৮ সেপ্টেম্বর তারা মিয়ার ষাঁড়টি লম্বায় ৯ ফুট, উচ্চতা ৮ ফুট ২ ইঞ্চি, বেড়ে ৮ ফুট এবং ওজন ২২ মুন পরিমাপ করা হয়। এ ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে মানুষ জড়ো হন।
তারা মিয়া জানান, বাড়ি থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাম উঠে এ ষাঁড়টির, কিন্তু তারা মিয়া ২২ লাখ টাকা দাম হাকান, অপেক্ষা করতে থাকেন আরো দামের আশায়। তারা মিয়ার ধারনা করেন, সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ষাঁড়টি পালাতে এর ভালো দাম পাবেন, তাই তিনি আরো দামের আশায় ষাঁড়টি বাড়িতেই রাখেন।
পত্রিকায় নিউজ আসায়, অনেক পাঠক এ প্রতিবেদককে ফোন দিয়ে তারা মিয়ার মোবাইল নাম্বার নিয়ে তার সাথে কথা বলেন, ষাঁড়টির দাম বলেন এবং এর খোঁজখবর নেন।
তারা মিয়ার ২২ লাখ টাকার ষাঁড়টি গত শনিবার ঢাকার গাবতলী হাটে নিয়ে যায়, হাটের নামার সাথে এমন দেশী জাতের ষাঁড়টি ৭ লাখ টাকা দাম উঠে। কিন্তু অতি বৃষ্টি এবং ভারতীয় গরুর আমদানির ফলে হাটে গরুর দাম পড়ে যায়। তারা মিয়া এ ষাঁড় এ বছরও বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে সতর্কতার জন্য সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেনারী সার্জন ডা: আব্দুল মান্নানের সাথে তারা মিয়া কথা বলেন। ডাক্তার তারা মিয়াকে বলেন ২২ মন ওজনের এ ষাঁড়টি আরো এক বছর রাখলে কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমন আশঙ্কা প্রকাশ পাওয়ার তারা মিয়া তার ষাঁড়টি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে গত সোমবার ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা ভেটেনারী সার্জন ডাঃ আব্দুল মান্নান জানান, তারা মিয়ার এ দেশীয় পদ্ধতির ষাঁড়টি ৭-৮ লাখ টাকা দাম পেত, বাজার পড়ে যাওয়ায় তারা মিয়া উপযোক্ত দাম পাননি।
স্থানীয় গরু ব্যাবসায়ী শাহিনুর, শখা মিয়া জানান, ভারতীয় গরু না এলে এবং গরুর দাম না পড়ে গেলে, তারা মিয়ার গরুটি ১০-১২ লাখ টাকা দাম ওঠত। তাই তারা মিয়ার গরু ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করতে হয়েছে, তাও ভালো হয়েছে। কারণ এ ষাঁড়টির বয়স হয়েছিল ৩ বছর ৬ মাস, ওজন হয়েছিল, ২২-২৩ মন। তারা মিয়ার এটিকে আরও এক বছর লালন পালন করতে গেলে, অনেক ব্যয় হতো। প্রতিদিন ৩০০ টাকার খাবার খরচ, তাছাড়া এত ওজন যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তাই ষাঁড়টি বিক্রি করা ভালো হয়েছে।
No comments