সৌদি সরকারকে দুষলেন বেঁচে যাওয়া হাজিরা
মিনায়
পদদলিত হয়ে সাত শতাধিক হাজির মৃত্যুর জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করছেন
বেঁচে যাওয়া হাজিরা। এখন তাঁরা হজ পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা পালন করতেও ভয়
পাচ্ছেন।
সৌদি আরবের মিনায় পবিত্র হজ পালনকালে গতকাল বৃহস্পতিবার পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ৭১৭ জন হাজির মৃত্যু হয়। আহত হন আট শতাধিক হাজি।
ভয়াবহ ওই পরিস্থিতির হাত থেকে মাসহ বেঁচে গেছেন লিবিয়ার আহমেদ আবু বকর (৪৫)। তিনি ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘প্রচণ্ড ভিড় ছিল। পুলিশ একটি ছাড়া হাজি ক্যাম্পের সব প্রবেশ ও নির্গমন ফটক বন্ধ করে দিয়েছিল।’
এই হাজি আরও বলেন, ‘আমার সামনে অনেক মৃতদেহ পড়েছিল। অনেকে আহত হয়েছেন। অনেকের দমবন্ধ হয়ে আসছিল। পুলিশের সঙ্গে আমরাও অনেককে সরিয়েছি। সেখানে থাকা পুলিশদের কর্মকাণ্ড দেখে বোঝা গেছে তারা কতটা অনভিজ্ঞ। তারা মিনাকে ঘিরে থাকা রাস্তাঘাট ও এলাকাগুলো পর্যন্ত চেনে না।’
মক্কা ভিত্তিক ইসলামিক হেরিটেজ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইরফান আল-আলাবি বলেন, প্রচুর পুলিশ ছিল, কিন্তু তাঁরা যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন না। এমনকি বিভিন্ন দেশ থেকে আসা হাজিদের সঙ্গে কথা বলার মতো ভাষাজ্ঞানেরও অভাব রয়েছে তাঁদের। কী করে এসব মানুষের সঙ্গে মিশতে হয় তাঁরা সেটাও জানেন না।
মিসরের ৩৯ বছরের মোহাম্মদ হাসান। তিনি আরেক প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন, ‘এ পরিস্থিতি আবারও ঘটতে পারে। ঘটনার সময় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল নিরাপত্তাকর্মীরা।’ তিনি অভিযোগ করেন, মিসরীয় হাজিদের মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য যখন তাঁকে ডাকা হয়, নিরাপত্তাকর্মীরা তখন তাঁর জাতীয়তা নিয়ে তাঁকে অপমান করেন।
মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘তারা কেন এভাবে আমাদের অপমান করে? আমরা এখানে হজ করতে এসেছি। অন্য কিছু না।’
রাগ প্রকাশ করে এই মিসরীয় বলেন, হাজিদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা বাহিনীর উচিত সড়কগুলো বিন্যস্ত করা।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেনারেল মনসুর আল-তুর্কি বলেন, মিনা থেকে জামারায় পাথর ছোড়ার জন্য লাখো হাজি চলেন কাতারে কাতার। হঠাৎ দুটি সড়কের সংযোগস্থল কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায়। কিন্তু পেছন থেকে একই গতিতে আসা হাজিরা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। তাই তাঁরা সামনেই অগ্রসর হতে থাকেন। ফলে মাঝখানের ভিড়ে চাপা পড়েন ও পদদলিত হয় শত শত মানুষ। সামনে বা পেছনে যাওয়ার কোনো উপায় না থাকায় সেখানকার পরিণতি ছিল শ্বাসরুদ্ধ হয়ে যাওয়া।
তবে সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ ঘটনার জন্য হাজিদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেন হাজিরা হজ নিয়ম না মানার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।
তবে সেখান থেকে বেঁচে যাওয়া এক মিসরীয় বলেন, হাজিদের কোনো দোষ ছিল না। সৌদি আরব হজের জন্য প্রচুর খরচ করে কিন্তু এখানে কোনো সংগঠন নেই। তিনি বলেন, হাজিদের যাওয়ার জন্য একটি রাস্তা ও ফিরে আসার জন্য একটি রাস্তা রাখতে পারত। যদি প্রতিটি রাস্তার মুখে একজন করে পুলিশ থাকত এবং হাজিদের ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করত তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।
সৌদি আরবের মিনায় পবিত্র হজ পালনকালে গতকাল বৃহস্পতিবার পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ৭১৭ জন হাজির মৃত্যু হয়। আহত হন আট শতাধিক হাজি।
ভয়াবহ ওই পরিস্থিতির হাত থেকে মাসহ বেঁচে গেছেন লিবিয়ার আহমেদ আবু বকর (৪৫)। তিনি ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘প্রচণ্ড ভিড় ছিল। পুলিশ একটি ছাড়া হাজি ক্যাম্পের সব প্রবেশ ও নির্গমন ফটক বন্ধ করে দিয়েছিল।’
এই হাজি আরও বলেন, ‘আমার সামনে অনেক মৃতদেহ পড়েছিল। অনেকে আহত হয়েছেন। অনেকের দমবন্ধ হয়ে আসছিল। পুলিশের সঙ্গে আমরাও অনেককে সরিয়েছি। সেখানে থাকা পুলিশদের কর্মকাণ্ড দেখে বোঝা গেছে তারা কতটা অনভিজ্ঞ। তারা মিনাকে ঘিরে থাকা রাস্তাঘাট ও এলাকাগুলো পর্যন্ত চেনে না।’
মক্কা ভিত্তিক ইসলামিক হেরিটেজ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইরফান আল-আলাবি বলেন, প্রচুর পুলিশ ছিল, কিন্তু তাঁরা যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছিলেন না। এমনকি বিভিন্ন দেশ থেকে আসা হাজিদের সঙ্গে কথা বলার মতো ভাষাজ্ঞানেরও অভাব রয়েছে তাঁদের। কী করে এসব মানুষের সঙ্গে মিশতে হয় তাঁরা সেটাও জানেন না।
মিসরের ৩৯ বছরের মোহাম্মদ হাসান। তিনি আরেক প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন, ‘এ পরিস্থিতি আবারও ঘটতে পারে। ঘটনার সময় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল নিরাপত্তাকর্মীরা।’ তিনি অভিযোগ করেন, মিসরীয় হাজিদের মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য যখন তাঁকে ডাকা হয়, নিরাপত্তাকর্মীরা তখন তাঁর জাতীয়তা নিয়ে তাঁকে অপমান করেন।
মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘তারা কেন এভাবে আমাদের অপমান করে? আমরা এখানে হজ করতে এসেছি। অন্য কিছু না।’
রাগ প্রকাশ করে এই মিসরীয় বলেন, হাজিদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা বাহিনীর উচিত সড়কগুলো বিন্যস্ত করা।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেনারেল মনসুর আল-তুর্কি বলেন, মিনা থেকে জামারায় পাথর ছোড়ার জন্য লাখো হাজি চলেন কাতারে কাতার। হঠাৎ দুটি সড়কের সংযোগস্থল কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায়। কিন্তু পেছন থেকে একই গতিতে আসা হাজিরা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। তাই তাঁরা সামনেই অগ্রসর হতে থাকেন। ফলে মাঝখানের ভিড়ে চাপা পড়েন ও পদদলিত হয় শত শত মানুষ। সামনে বা পেছনে যাওয়ার কোনো উপায় না থাকায় সেখানকার পরিণতি ছিল শ্বাসরুদ্ধ হয়ে যাওয়া।
তবে সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ ঘটনার জন্য হাজিদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেন হাজিরা হজ নিয়ম না মানার কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে।
তবে সেখান থেকে বেঁচে যাওয়া এক মিসরীয় বলেন, হাজিদের কোনো দোষ ছিল না। সৌদি আরব হজের জন্য প্রচুর খরচ করে কিন্তু এখানে কোনো সংগঠন নেই। তিনি বলেন, হাজিদের যাওয়ার জন্য একটি রাস্তা ও ফিরে আসার জন্য একটি রাস্তা রাখতে পারত। যদি প্রতিটি রাস্তার মুখে একজন করে পুলিশ থাকত এবং হাজিদের ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করত তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।
No comments