ভারতীয় গরু নিয়ে দোলাচলে ব্যবসায়ী-খামারি by খালিদ সাইফুল্লাহ
ভারতীয়
গরু আসা নিয়ে দোলাচলে রয়েছেন ব্যবসায়ী ও খামারিরা। বর্তমানে সীমিত পরিসরে
ভারতীয় গরু আসছে জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আরো গরু না এলে সঙ্কট দেখা দেবে।
দাম বেড়ে যাবে কোরবানির পশুর। তবে খামারিরা বলছেন, দেশে প্রচুর গরু রয়েছে।
ভারতীয় গরুর কোনো প্রয়োজন নেই। ভারত যদি হঠাৎ করে গরু আসার সুযোগ করে দেয়
তাহলে গত তিন বছরের মতোই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। এ দিকে আগামীকাল শনিবার থেকে
আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে রাজধানীর ২২টি কোরবানির পশুহাট। তবে দুই দিন
আগে থেকেই অনেক হাটে গরু-ছাগল আসা শুরু হয়ে গেছে।
রাজধানীতে এবার ২২টি পশুহাট বসছে। এগুলোর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ১০টি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ছয়টি। ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে থাকছে আরো ছয়টি হাট। হাটগুলোকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। নানা রঙের তোরণ, ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে হাটের প্রবেশপথ। পোস্টার ছাপিয়ে ও মাইকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নানা সুযোগ-সুবিধার কথা জানানো হচ্ছে। অন্যান্য বছর ঈদের দিন ও এর আগের তিন দিন হাট বসানোর নিয়ম থাকে। তবে এবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অনুরোধে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন সাত দিন ধরে হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে অস্থায়ী হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে দুই দিন আগেই গত বৃহস্পতিবার থেকে অনেক হাটে গরু এসেছে। তবে বিক্রি এখনো তেমন শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর একমাত্র স্থায়ী ও দেশের সবচেয়ে বড় পশুহাট গাবতলীতে গতকাল গিয়ে দেখা যায়, ট্রাক-পিকআপে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু-মহিষ ও ছাগল আসছে। তবে হাট এখানো জমে ওঠেনি। ক্রেতার উপস্থিতিও খুবই কম। গোশত ব্যবসায়ীরাই কেবল গরু-ছাগল কিনছেন। এ ছাড়া কুমিল্লা, সিলেটসহ বাইরের জেলার ব্যবসায়ীরাও এ হাট থেকে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কোরবানি উপলক্ষে ইজারাদার মূল হাটের পাশে আরো বিস্তৃত এলাকা নিয়ে বাঁশ বেঁধেছেন। তবে এগুলো এখনো খালি পড়ে রয়েছে। হাটটির ইজারাদার লুৎফর রহমানের ছেলে রাকিব ইমরান জানান, হাট এখনো জমেনি। তবে দুই- এক দিনের মধ্যেই জমবে বলে আমরা আশা করছি। হাট ঘুরে দেখা যায়, পুরো হাটে দেশী গরুর আধিপাত্য। ভারতীয় গরুর পরিমাণ খুবই কম। তবে এর বেশির ভাগই গত পাঁচ-ছয় মাস আগে দেশে এনে বড় করা। গরু ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ বলেন, বর্তমানে কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে দিনে দেড় থেকে দুই হাজার ভারতীয় গরু আসছে। এ ছাড়া আর কোনো সীমান্ত দিয়ে গরু আসছে না। ভারত থেকে আসা গরুর বেশির ভাগই বিভিন্ন জেলা ও রাজধানীর অন্য হাটে চলে যাচ্ছে। গাবতলী হাটে আসছে খুবই কম। তিনি জানান, ভারত থেকে গরু না এলে সঙ্কট দেখা দেবে। দেশী গরু বেশি দামে কিনতে হবে। এর বাস্তবতাও দেখা গেল হাটটি ঘুরে। ক্রেতা তেমন না থাকলেও খামারিরা দেশী গরুর দাম চাচ্ছেন বেশি। মাঝারি সাইজের গরু ৬০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা, বড় গরু দুই লাখ থেকে ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত চাওয়া হচ্ছে। তবে ছোট সাইজের গরুও হাটে আসছে। এর দাম ত্রিশ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে।
মেহেরপুরের খামারি সিরাজ উদ্দিন ও আলম হোসেন জানান, দেশী গরুর কোনো সঙ্কট নেই। দেশে যে গরু আছে তা দিয়েই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। দেশী গরুর দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তারা বলেন, এখন গরু লালন-পালনের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। ঢাকায় আনতে গরু প্রতি ট্রাক ভাড়া দিতে হয় দুই-তিন হাজার টাকা। তা ছাড়া তিন বছর ধরে খামারিরা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। এ কারণে এবার পুষিয়ে নিতে দাম একটু বেশি চাওয়া হচ্ছে। তবে ভারতীয় গরু আসা নিয়ে শঙ্কার কথা জানান তারা। বর্তমানে ভারতীয় গরু কম আসছে জানিয়ে তারা বলেন, গত কয়েক বছর দেখা যায় আগে গরু আসে না, কিন্তু ঈদের দুই-এক দিন আগে হঠাৎ করেই ভারত সীমান্ত খুলে দেয়। তখন দেশী গরুর দাম পড়ে যায়। এতে আর্থিক ক্ষতির শিকার হন খামারিরা।
কুষ্টিয়ার খামারি মোক্তার হোসেন হাটের সবচেয়ে বড় গরুটি এনেছেন। এটি পাবনার দেশী জাতের গরু বলে তিনি জানান। তিনি এ গরুটির দাম চাচ্ছেন ৯ লাখ টাকা। গরুটিতে ১৬ মণ গোশত হবে দাবি করে তিনি জানান, ক্রেতারা এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাম বলেছেন। তবে সাড়ে পাঁচ লাখ হলেই তিনি গরুটি বিক্রি করে দেবেন। মোক্তার হোসেন জানান, ৯ মাস আগে তিনি গরুটি এক লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে কেনেন। এ কয় মাসে গরুর খাবার ও অন্যান্য খরচ বাবদ তার আরো ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
হাটে ভারতীয় যেসব গরু রয়েছে সেগুলোর দামও যথেষ্ট। তবে এর আকারও বেশ বড়। কুষ্টিয়া থেকে আটটি গরু গাবতলী হাটে এনেছেন খামারি খায়রুল ইসলাম। এর মধ্যে পাঁচটি ভারতীয় এবং তিনটি দেশী। গত ছয় মাস আগে ভারতীয় গরুগুলো দেশে আনা হয়েছে বলে তিনি জানান। ৯ মণ গোশত হবে এমন একটি গরুর দাম তিনি ২ লাখ ২০ হাজার টাকা চাচ্ছেন।
হাটে মহিষ ও ছাগলের সরবরাহও আছে। দাম দুই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাওয়া হচ্ছে। তবে বিক্রি তেমন হচ্ছে না বলে জানান ব্যবসায়ী খবির হোসেন, যা দুই-একটি বিক্রি হচ্ছে তার অধিকাংশই কিনছেন গোশত ব্যবসায়ীরা বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ গোশত ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম জানান, দেশে প্রতি বছর এক কোটি ২৫ লাখের মতো গরু জবাই হয়। এর মধ্যে ৬৫ লাখ কোরবানির সময়। আর বাকি ৬০ লাখ জবাই হয় সারা বছরে। এ ছাড়া কোরবানির সময় ৫০ লাখের মতো ছাগল জবাই হয়ে থাকে। তিনি বলেন, দেশে ভারতীয় গরুর কোনো প্রয়োজন নেই। বিকল্প হিসেবে মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান থেকে গরু আসছে। তা ছাড়া দেশেই গরু উৎপাদন বাড়িয়ে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।
এ দিকে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পশুহাট ও আশপাশ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হবে আগামীকাল সোমবার থেকে। হাটের পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনা দেখার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিও দেখবেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসকের নির্ধারিত ২২টি পশুহাটে শনিবার ভোর থেকে পশু ওঠানোর কথা। সোমবার থেকে সাতজন ম্যাজিস্ট্রেট এসব হাটে দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও মনিটরিং সেল কাজ করবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
রাজধানীতে এবার ২২টি পশুহাট বসছে। এগুলোর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ১০টি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ছয়টি। ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে থাকছে আরো ছয়টি হাট। হাটগুলোকে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে। নানা রঙের তোরণ, ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে হাটের প্রবেশপথ। পোস্টার ছাপিয়ে ও মাইকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নানা সুযোগ-সুবিধার কথা জানানো হচ্ছে। অন্যান্য বছর ঈদের দিন ও এর আগের তিন দিন হাট বসানোর নিয়ম থাকে। তবে এবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অনুরোধে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন সাত দিন ধরে হাট বসানোর অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে অস্থায়ী হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে দুই দিন আগেই গত বৃহস্পতিবার থেকে অনেক হাটে গরু এসেছে। তবে বিক্রি এখনো তেমন শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর একমাত্র স্থায়ী ও দেশের সবচেয়ে বড় পশুহাট গাবতলীতে গতকাল গিয়ে দেখা যায়, ট্রাক-পিকআপে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু-মহিষ ও ছাগল আসছে। তবে হাট এখানো জমে ওঠেনি। ক্রেতার উপস্থিতিও খুবই কম। গোশত ব্যবসায়ীরাই কেবল গরু-ছাগল কিনছেন। এ ছাড়া কুমিল্লা, সিলেটসহ বাইরের জেলার ব্যবসায়ীরাও এ হাট থেকে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কোরবানি উপলক্ষে ইজারাদার মূল হাটের পাশে আরো বিস্তৃত এলাকা নিয়ে বাঁশ বেঁধেছেন। তবে এগুলো এখনো খালি পড়ে রয়েছে। হাটটির ইজারাদার লুৎফর রহমানের ছেলে রাকিব ইমরান জানান, হাট এখনো জমেনি। তবে দুই- এক দিনের মধ্যেই জমবে বলে আমরা আশা করছি। হাট ঘুরে দেখা যায়, পুরো হাটে দেশী গরুর আধিপাত্য। ভারতীয় গরুর পরিমাণ খুবই কম। তবে এর বেশির ভাগই গত পাঁচ-ছয় মাস আগে দেশে এনে বড় করা। গরু ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ বলেন, বর্তমানে কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে দিনে দেড় থেকে দুই হাজার ভারতীয় গরু আসছে। এ ছাড়া আর কোনো সীমান্ত দিয়ে গরু আসছে না। ভারত থেকে আসা গরুর বেশির ভাগই বিভিন্ন জেলা ও রাজধানীর অন্য হাটে চলে যাচ্ছে। গাবতলী হাটে আসছে খুবই কম। তিনি জানান, ভারত থেকে গরু না এলে সঙ্কট দেখা দেবে। দেশী গরু বেশি দামে কিনতে হবে। এর বাস্তবতাও দেখা গেল হাটটি ঘুরে। ক্রেতা তেমন না থাকলেও খামারিরা দেশী গরুর দাম চাচ্ছেন বেশি। মাঝারি সাইজের গরু ৬০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা, বড় গরু দুই লাখ থেকে ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত চাওয়া হচ্ছে। তবে ছোট সাইজের গরুও হাটে আসছে। এর দাম ত্রিশ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে।
মেহেরপুরের খামারি সিরাজ উদ্দিন ও আলম হোসেন জানান, দেশী গরুর কোনো সঙ্কট নেই। দেশে যে গরু আছে তা দিয়েই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। দেশী গরুর দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তারা বলেন, এখন গরু লালন-পালনের খরচ অনেক বেড়ে গেছে। ঢাকায় আনতে গরু প্রতি ট্রাক ভাড়া দিতে হয় দুই-তিন হাজার টাকা। তা ছাড়া তিন বছর ধরে খামারিরা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। এ কারণে এবার পুষিয়ে নিতে দাম একটু বেশি চাওয়া হচ্ছে। তবে ভারতীয় গরু আসা নিয়ে শঙ্কার কথা জানান তারা। বর্তমানে ভারতীয় গরু কম আসছে জানিয়ে তারা বলেন, গত কয়েক বছর দেখা যায় আগে গরু আসে না, কিন্তু ঈদের দুই-এক দিন আগে হঠাৎ করেই ভারত সীমান্ত খুলে দেয়। তখন দেশী গরুর দাম পড়ে যায়। এতে আর্থিক ক্ষতির শিকার হন খামারিরা।
কুষ্টিয়ার খামারি মোক্তার হোসেন হাটের সবচেয়ে বড় গরুটি এনেছেন। এটি পাবনার দেশী জাতের গরু বলে তিনি জানান। তিনি এ গরুটির দাম চাচ্ছেন ৯ লাখ টাকা। গরুটিতে ১৬ মণ গোশত হবে দাবি করে তিনি জানান, ক্রেতারা এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাম বলেছেন। তবে সাড়ে পাঁচ লাখ হলেই তিনি গরুটি বিক্রি করে দেবেন। মোক্তার হোসেন জানান, ৯ মাস আগে তিনি গরুটি এক লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়ে কেনেন। এ কয় মাসে গরুর খাবার ও অন্যান্য খরচ বাবদ তার আরো ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
হাটে ভারতীয় যেসব গরু রয়েছে সেগুলোর দামও যথেষ্ট। তবে এর আকারও বেশ বড়। কুষ্টিয়া থেকে আটটি গরু গাবতলী হাটে এনেছেন খামারি খায়রুল ইসলাম। এর মধ্যে পাঁচটি ভারতীয় এবং তিনটি দেশী। গত ছয় মাস আগে ভারতীয় গরুগুলো দেশে আনা হয়েছে বলে তিনি জানান। ৯ মণ গোশত হবে এমন একটি গরুর দাম তিনি ২ লাখ ২০ হাজার টাকা চাচ্ছেন।
হাটে মহিষ ও ছাগলের সরবরাহও আছে। দাম দুই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাওয়া হচ্ছে। তবে বিক্রি তেমন হচ্ছে না বলে জানান ব্যবসায়ী খবির হোসেন, যা দুই-একটি বিক্রি হচ্ছে তার অধিকাংশই কিনছেন গোশত ব্যবসায়ীরা বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ গোশত ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম জানান, দেশে প্রতি বছর এক কোটি ২৫ লাখের মতো গরু জবাই হয়। এর মধ্যে ৬৫ লাখ কোরবানির সময়। আর বাকি ৬০ লাখ জবাই হয় সারা বছরে। এ ছাড়া কোরবানির সময় ৫০ লাখের মতো ছাগল জবাই হয়ে থাকে। তিনি বলেন, দেশে ভারতীয় গরুর কোনো প্রয়োজন নেই। বিকল্প হিসেবে মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান থেকে গরু আসছে। তা ছাড়া দেশেই গরু উৎপাদন বাড়িয়ে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।
এ দিকে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পশুহাট ও আশপাশ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হবে আগামীকাল সোমবার থেকে। হাটের পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনা দেখার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিও দেখবেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসকের নির্ধারিত ২২টি পশুহাটে শনিবার ভোর থেকে পশু ওঠানোর কথা। সোমবার থেকে সাতজন ম্যাজিস্ট্রেট এসব হাটে দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও মনিটরিং সেল কাজ করবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
No comments