সুভাষ বসুর গোপন নথি প্রকাশ করলো পশ্চিমবঙ্গ সরকার
ভারতের
স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা সুভাষ চন্দ্র বসু ও তাঁর আজাদ হিন্দ ফৌজ
সংক্রান্ত ৬৪টি গোপন ফাইল আজ প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
১২ হাজার পাতারও বেশী ওই ফাইলগুলিতে কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দাদের সংগ্রহ করা তথ্য রয়েছে।
বসু পরিবারের এক সদস্য অভিজিত রায় বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “এই ফাইলগুলির মধ্যে একটি নথিতে জানা যাচ্ছে যে সুভাষচন্দ্র তাইহোকুতে কথিত বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন নি এবং তিনি যে ১৯৬৪ সালেও জীবিত ছিলেন, সেটারও একটা প্রামাণ্য নথি রয়েছে।“
মি. রায়ের অভিযোগ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি জওহরলাল নেহরু, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় এবং আরেক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় নষ্ট করে ফেলেছেন রাজনৈতিক কারণে। এর ফলে সুভাষচন্দ্র সম্পর্কিত অনেক তথ্যই হারিয়ে গেছে।
এছাড়াও আজাদ হিন্দ ফৌজের সিনিয়র অফিসার থেকে শুরু করে সাধারণ সৈন্য – সকলের বিষয়ে গোয়েন্দাদের রিপোর্ট রয়েছে।
তথ্যগুলি যেমন ব্রিটিশ আমলে সংগ্রহ করা, তেমনই স্বাধীন ভারতের পুলিশও যে বসু পরিবারের ওপরে নিয়মিত নজরদারী চালিয়েছে, তার প্রমানও পাওয়া গেছে।
বসু পরিবার ও আজাদ হিন্দ ফৌজের সদস্যদের মধ্যে আদান প্রদান হওয়া চিঠিপত্র – যেগুলি সেন্সর অফিসে গোপনে খুলে পড়া হতো – সেসবও রয়েছে।
বসু পরিবারের আরেক সদস্য, চন্দ্র বসু বিবিসি বাংলাকে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই ফাইলগুলি প্রকাশ করার পরে এখন কেন্দ্রীয় সরকারেরও উচিত তাদের কাছে থাকা ১০০-রও বেশী ফাইল প্রকাশ করে দেওয়া।“
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে থাকা ওই অতি গোপণীয় নথি প্রকাশের দাবী বারে বারে উঠলেও সব সময়েই সরকার বলে থাকে যে ওই ফাইলগুলি প্রকাশ করা হলে কয়েকটি বন্ধুত্বপূর্ণ বিদেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হতে পারে, তাই সেগুলি প্রকাশ করা যাবে না।
ওই ফাইলগুলি আনুষ্ঠানিকভাবে কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিত করপুরকায়স্থ তুলে দেন বসুপরিবারের সদস্যদের হাতে। আজ প্রকাশ করা ফাইলগুলি কলকাতা পুলিশ মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে আর সেগুলি স্ক্যান করে কম্পিউটারের মাধ্যমেও সাধারণ মানুষ আগামী সোমবার থেকে দেখতে পারবেন।
সূত্রঃ বিবিসি
১২ হাজার পাতারও বেশী ওই ফাইলগুলিতে কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দাদের সংগ্রহ করা তথ্য রয়েছে।
বসু পরিবারের এক সদস্য অভিজিত রায় বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “এই ফাইলগুলির মধ্যে একটি নথিতে জানা যাচ্ছে যে সুভাষচন্দ্র তাইহোকুতে কথিত বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন নি এবং তিনি যে ১৯৬৪ সালেও জীবিত ছিলেন, সেটারও একটা প্রামাণ্য নথি রয়েছে।“
মি. রায়ের অভিযোগ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি জওহরলাল নেহরু, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় এবং আরেক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় নষ্ট করে ফেলেছেন রাজনৈতিক কারণে। এর ফলে সুভাষচন্দ্র সম্পর্কিত অনেক তথ্যই হারিয়ে গেছে।
এছাড়াও আজাদ হিন্দ ফৌজের সিনিয়র অফিসার থেকে শুরু করে সাধারণ সৈন্য – সকলের বিষয়ে গোয়েন্দাদের রিপোর্ট রয়েছে।
তথ্যগুলি যেমন ব্রিটিশ আমলে সংগ্রহ করা, তেমনই স্বাধীন ভারতের পুলিশও যে বসু পরিবারের ওপরে নিয়মিত নজরদারী চালিয়েছে, তার প্রমানও পাওয়া গেছে।
বসু পরিবার ও আজাদ হিন্দ ফৌজের সদস্যদের মধ্যে আদান প্রদান হওয়া চিঠিপত্র – যেগুলি সেন্সর অফিসে গোপনে খুলে পড়া হতো – সেসবও রয়েছে।
বসু পরিবারের আরেক সদস্য, চন্দ্র বসু বিবিসি বাংলাকে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই ফাইলগুলি প্রকাশ করার পরে এখন কেন্দ্রীয় সরকারেরও উচিত তাদের কাছে থাকা ১০০-রও বেশী ফাইল প্রকাশ করে দেওয়া।“
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে থাকা ওই অতি গোপণীয় নথি প্রকাশের দাবী বারে বারে উঠলেও সব সময়েই সরকার বলে থাকে যে ওই ফাইলগুলি প্রকাশ করা হলে কয়েকটি বন্ধুত্বপূর্ণ বিদেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হতে পারে, তাই সেগুলি প্রকাশ করা যাবে না।
ওই ফাইলগুলি আনুষ্ঠানিকভাবে কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিত করপুরকায়স্থ তুলে দেন বসুপরিবারের সদস্যদের হাতে। আজ প্রকাশ করা ফাইলগুলি কলকাতা পুলিশ মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে আর সেগুলি স্ক্যান করে কম্পিউটারের মাধ্যমেও সাধারণ মানুষ আগামী সোমবার থেকে দেখতে পারবেন।
সূত্রঃ বিবিসি
No comments