৪০ বছর পর গন্তব্যে পৌঁছলো পার্সেল
অস্ট্রেলিয়ায়
আজ থেকে ৪০ বছর আগে পাঠানো একটি পার্সেল এতোদিনে তার ঠিকানা খুঁজে পেয়েছে।
পার্সেলটি মেলবোর্ন টেনিস ক্লাব ১৯৭০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে অর্ডার দিয়েছিল।
দীর্ঘ ৪০ বছর পর অবশেষে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া পার্সেলটি তার সুনির্দিষ্ট
গন্তব্যে পৌঁছলো। আর এ সততার জন্য প্রশংসার দাবিদার অস্ট্রেলিয়ার ডাক
বিভাগ এবং ডাক বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মীরা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা
আইএএনএস। মেলবোর্ন টেনিস ক্লাব কমিটির সাবেক এক সদস্যা আইরিন গ্যারেটকে
সম্বোধন করে এটি পাঠানো হয়েছিল। পার্সেলটিতে ক্লাবের ক্রেস্টের ডিজাইনে
সেলাই করা কাপড়ের প্যাচ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় ডাকঘর সেবা
কেন্দ্র অস্ট্রেলিয়ান পোস্টের একটি বাছাই কেন্দ্রে যন্ত্রপাতির পেছনে
দীর্ঘদিন পড়ে ছিল পার্সেলটি। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ান পোস্টের স্থান
পরিবর্তনের সময় পার্সেলটি চোখে পড়ে কর্মকর্তাদের এবং তারা যথারীতি তাদের
অবশিষ্ট দায়িত্বটুকু পালনে অবহেলা করেননি।
পার্সেলটি শেষ পর্যন্ত জায়গামতো পৌঁছানোর ঘটনায় বেশ মজাই পেয়েছেন তিনি। উচ্ছ্বসিত আইরিন বলছিলেন, আমি তো বিশ্বাসই করতে পারিনি। এটার ব্যাপারে আমি বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম। আমরা অনুমান করছি যে, এটা অবশ্যই ১৯৭৫ সালের দিকে হবে এবং নিশ্চয়ই এটার অর্ডার দিয়েছিলাম আমি। যেহেতু আমাকে সম্বোধন করে পার্সেলটি পাঠানো হয়েছিল, তাই আমার অনুমান আমিই এটার অর্ডার দিয়েছিলাম। আইরিন বলছিলেন, পার্সেলের খামের ওপর নাম, ঠিকানা ৪ দশক পরও স্পষ্ট। টেনিস ক্লাবটির সঙ্গে আইরিনের আর কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। অস্ট্রেলিয়ার ডাক বিভাগের কর্মীদের তিনি ধন্যবাদ দিয়েছেন তাদের ‘কখনও না হওয়ার চেয়ে দেরিতে হওয়ার’ মনোভাবের প্রশংসা করেছেন। আইরিন বলছিলেন, পার্সেলটি আমাদের ক্লাবের পুরনো সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের সুযোগ করে দিয়েছে। পার্সেলটি আবর্জনা হিসেবে ফেলে দেয়া যেতো। কিন্তু, তারপরও ডাক কর্মীদের সততায় দারুণ মুগ্ধ হয়েছেন আইরিন গ্যারেট ও টেনিস ক্লাবটির সদস্য ও কর্মকর্তারা।
পার্সেলটি শেষ পর্যন্ত জায়গামতো পৌঁছানোর ঘটনায় বেশ মজাই পেয়েছেন তিনি। উচ্ছ্বসিত আইরিন বলছিলেন, আমি তো বিশ্বাসই করতে পারিনি। এটার ব্যাপারে আমি বেমালুম ভুলে গিয়েছিলাম। আমরা অনুমান করছি যে, এটা অবশ্যই ১৯৭৫ সালের দিকে হবে এবং নিশ্চয়ই এটার অর্ডার দিয়েছিলাম আমি। যেহেতু আমাকে সম্বোধন করে পার্সেলটি পাঠানো হয়েছিল, তাই আমার অনুমান আমিই এটার অর্ডার দিয়েছিলাম। আইরিন বলছিলেন, পার্সেলের খামের ওপর নাম, ঠিকানা ৪ দশক পরও স্পষ্ট। টেনিস ক্লাবটির সঙ্গে আইরিনের আর কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। অস্ট্রেলিয়ার ডাক বিভাগের কর্মীদের তিনি ধন্যবাদ দিয়েছেন তাদের ‘কখনও না হওয়ার চেয়ে দেরিতে হওয়ার’ মনোভাবের প্রশংসা করেছেন। আইরিন বলছিলেন, পার্সেলটি আমাদের ক্লাবের পুরনো সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের সুযোগ করে দিয়েছে। পার্সেলটি আবর্জনা হিসেবে ফেলে দেয়া যেতো। কিন্তু, তারপরও ডাক কর্মীদের সততায় দারুণ মুগ্ধ হয়েছেন আইরিন গ্যারেট ও টেনিস ক্লাবটির সদস্য ও কর্মকর্তারা।
No comments