জাপানের পার্লামেন্টে মারামারি
বিতর্কিত নিরাপত্তা বিল নিয়ে জাপানের সংসদের উচ্চকক্ষে আইনপ্রণেতাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে বিলটি আলোচনার জন্য নিরাপত্তা কমিটির চেয়ারম্যান উচ্চকক্ষে উত্থাপনের চেষ্টা করলে বিরোধীরা তার কাছ থেকে এটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে জাপানের সংবিধানে যে ধারা ছিল প্রস্তাবিত আইনে তা রদ করে বলা হয়েছে আক্রান্ত না হলেও বিদেশে মিত্রদের জন্য যুদ্ধে জড়াতে পারবে জাপান। বহিঃশক্তি ও জঙ্গিবাদের হাত থেকে জাপানকে সুরক্ষার জন্য ১৬ জুলাই দেশটির সংসদের নিুকক্ষে নিরাপত্তা বিলটি পাস হয়।
এতে বলা হয়েছে, দেশের জনগণের নিরাপত্তার জন্য জাপানি সেনারা প্রয়োজনে সীমান্ত পেরিয়ে শত্রুদের মোকাবেলা করবে। প্রয়োজন পড়লে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা জাপানি সেনাদের প্রশিক্ষণ দেবে এবং স্থল-জলপথ ব্যবহার করতে পারবে। নিুকক্ষে পাস হলেও বিলটি কার্যকর হতে উচ্চকক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন। তবে নিুকক্ষে পাসের পর থেকেই দেশটির অধিকাংশ জনগণ ও বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা এর বিরোধিতা করে আসছেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আগামী সপ্তাহে ৩ দিনের ছুটির আগে বিলটি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে পাস করাতে চেয়েছিলেন। এ উদ্দেশ্যে বিলটি উচ্চকক্ষে তোলা হয়। কিন্তু উচ্চকক্ষে বিলটি তোলা হলে সরকারদলীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বিরোধীদের সংর্ঘষ বাধে।
বুধবার রাতে বিলটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা আলোচনার চেষ্টা করলে বিরোধীরা ওই কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয়। তখন এ বিতর্ক পণ্ড হয়ে যায়। বিরোধী সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং অন্য মন্ত্রীদের অবস্থান করা একটি কক্ষে প্রবেশের ক্ষেত্রে অচলাবস্থার সৃষ্টি করেন। বিতর্কে অংশ নেয়ার জন্য তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে বিলের ওপর বিতর্কের জন্য সংসদীয় নিরাপত্তা কমিটির চেয়ারম্যান সেটি উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। এসময় বিরোধীরা তার হাত থেকে বিলের কপি ছিনিয়ে নেয়ার জন্য ধস্তাধস্তি শুরু করেন। এ সময় বিরল উত্তেজনাপূর্ণ দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। বিরোধী সদস্যরা উচ্চকক্ষের নিরাপত্তা কমিটির চেয়ারম্যানকে ঘিরে ফেলেন এবং তার কাছ থেকে কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন যাতে বিতর্ক আর এগোতে না পারে।
এদিকে বুধবার রাতে বিরোধীদলীয় সমর্থক ও সংসদ সদস্যরা দেশটির পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভে ১৩ হাজারের মতো লোক অংশ নেয়। তারা পার্লামেন্টের প্রবেশ পথ অবরোধ করে রাখে। এ ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন নতুন এ সামরিক আইন বাতিলের দাবিতে জাপানে ১০ হাজারের মতো লোক রাস্তায় মিছিল করে আসছে। প্রসঙ্গত, জাপানের সংবিধান অনুসারে বিলটি উচ্চকক্ষে উপস্থাপনের পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে পাস না হলে, বিলটি নিুকক্ষে পুনারায় ভোটের জন্য তোলা যাবে।
এতে বলা হয়েছে, দেশের জনগণের নিরাপত্তার জন্য জাপানি সেনারা প্রয়োজনে সীমান্ত পেরিয়ে শত্রুদের মোকাবেলা করবে। প্রয়োজন পড়লে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা জাপানি সেনাদের প্রশিক্ষণ দেবে এবং স্থল-জলপথ ব্যবহার করতে পারবে। নিুকক্ষে পাস হলেও বিলটি কার্যকর হতে উচ্চকক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন। তবে নিুকক্ষে পাসের পর থেকেই দেশটির অধিকাংশ জনগণ ও বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা এর বিরোধিতা করে আসছেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আগামী সপ্তাহে ৩ দিনের ছুটির আগে বিলটি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে পাস করাতে চেয়েছিলেন। এ উদ্দেশ্যে বিলটি উচ্চকক্ষে তোলা হয়। কিন্তু উচ্চকক্ষে বিলটি তোলা হলে সরকারদলীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বিরোধীদের সংর্ঘষ বাধে।
বুধবার রাতে বিলটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা আলোচনার চেষ্টা করলে বিরোধীরা ওই কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয়। তখন এ বিতর্ক পণ্ড হয়ে যায়। বিরোধী সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং অন্য মন্ত্রীদের অবস্থান করা একটি কক্ষে প্রবেশের ক্ষেত্রে অচলাবস্থার সৃষ্টি করেন। বিতর্কে অংশ নেয়ার জন্য তারা সেখানে অবস্থান করছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে বিলের ওপর বিতর্কের জন্য সংসদীয় নিরাপত্তা কমিটির চেয়ারম্যান সেটি উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। এসময় বিরোধীরা তার হাত থেকে বিলের কপি ছিনিয়ে নেয়ার জন্য ধস্তাধস্তি শুরু করেন। এ সময় বিরল উত্তেজনাপূর্ণ দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। বিরোধী সদস্যরা উচ্চকক্ষের নিরাপত্তা কমিটির চেয়ারম্যানকে ঘিরে ফেলেন এবং তার কাছ থেকে কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন যাতে বিতর্ক আর এগোতে না পারে।
এদিকে বুধবার রাতে বিরোধীদলীয় সমর্থক ও সংসদ সদস্যরা দেশটির পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভে ১৩ হাজারের মতো লোক অংশ নেয়। তারা পার্লামেন্টের প্রবেশ পথ অবরোধ করে রাখে। এ ঘটনায় ৩০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন নতুন এ সামরিক আইন বাতিলের দাবিতে জাপানে ১০ হাজারের মতো লোক রাস্তায় মিছিল করে আসছে। প্রসঙ্গত, জাপানের সংবিধান অনুসারে বিলটি উচ্চকক্ষে উপস্থাপনের পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে পাস না হলে, বিলটি নিুকক্ষে পুনারায় ভোটের জন্য তোলা যাবে।
No comments