যে কারণে গ্রেফতার হলেন রুমি by কামরুজ্জামান মিলু
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আরফিন রুমি শনিবার সকালে গ্রেপ্তার হয়েছেন। রুমির
প্রথম স্ত্রী লামিয়া ইমলাম অনন্যা তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করার
পর মোহাম্মদপুরের কাদেরাবাদ হাউজিং এর নিজ বাসা থেকে
মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। সাথে মামলার অপর আসামী রুমির বড় ভাই এস এম ইয়াসিন রনিকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
রুমি ২০০৮ সালের ৪ এপ্রিল অনন্যাকে
বিয়ে করেন। এবং তাদের সংসারে আরিয়ান নামে এক পুত্র সন্তানও রয়েছে। প্রথম
স্ত্রী অনন্যার অনুমতি নিয়েই ২০১২ সালে আমেরিকা প্রবাসী কামরুন নেসাকে বিয়ে
করেন রুমি।
বিয়ের বেশকিছুদিন পর তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে আমেরিকায় পাড়ি জমান। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন রুমির বিরুদ্ধে মামলা করলেন অনন্যা ?
বিয়ের বেশকিছুদিন পর তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে আমেরিকায় পাড়ি জমান। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন রুমির বিরুদ্ধে মামলা করলেন অনন্যা ?
রুমির
প্রথম স্ত্রী অনন্যা বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই রুমির পরিবর্তন
চোখে পড়ে। সে অনেকদিন ধরেই আমার ও আমার ছেলে আরিয়ান (৩) এর ভরণ-পোষণ
দিচ্ছিলো না। বরং আমার কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। সম্প্রতি আমেরিকা
থেকে আসার পরই সে আমাকে তার বড় ভাই ও মা’সহ নির্যাতন করে। এরপর আমি বাধ্য
হয়েই মামলা করি।’
এ বিষয়ে মামলার দায়িত্বরত সাব-ইন্সপেক্টর মো: আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘কণ্ঠশিল্পী রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা শুক্রবার রাত ১১টার দিকে থানায় এসে তিনজনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছেন। এ মামলায় রুমির পাশাপাশি অপর দুই আসামী রুমির বড় ভাই ইয়াসিন রনি ও মা নাসিমা বেগম রোজি। তার অভিযোগ অনেকদিন ধরেই রুমি তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন। এরপর শুক্রবার তার ভাইসহ তাকে কাঠের লাঠি দিয়ে মারধর করেন। এরপর তিনি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নেবার পর মেডিক্যাল সনদপত্র সহ মামলা এজাহার করেন। এরপর আমরা মামলা গ্রহণ করি। মামলা নম্বর ৩০ এবং সর্বশেষ শনিবার রুমিকে আদালতে পাঠানো হয়।’
এ বিষয়ে মামলার দায়িত্বরত সাব-ইন্সপেক্টর মো: আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘কণ্ঠশিল্পী রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা শুক্রবার রাত ১১টার দিকে থানায় এসে তিনজনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছেন। এ মামলায় রুমির পাশাপাশি অপর দুই আসামী রুমির বড় ভাই ইয়াসিন রনি ও মা নাসিমা বেগম রোজি। তার অভিযোগ অনেকদিন ধরেই রুমি তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন। এরপর শুক্রবার তার ভাইসহ তাকে কাঠের লাঠি দিয়ে মারধর করেন। এরপর তিনি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা নেবার পর মেডিক্যাল সনদপত্র সহ মামলা এজাহার করেন। এরপর আমরা মামলা গ্রহণ করি। মামলা নম্বর ৩০ এবং সর্বশেষ শনিবার রুমিকে আদালতে পাঠানো হয়।’
সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকের মতে, প্রতিভাবান এই তরুণ শিল্পী দ্বিতীয় বিয়ের পরই অনন্যার সংসারে নানা জটিলতা তৈরি হয়। এবং পরিনামে সর্বশেষ তাকে আদালত ও জেলে যেতে হলো।
উল্লেখ্য যে, রুমি প্রথমে জিঙ্গেলশিল্পী হিসেবে নিজের মিউজিক ক্যারিয়ার
শুরু করেছিলেন। এরপর অল্প সময়েই একজন শিল্পী, সুরকার ও সংগীত পরিচালক
হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান। তার প্রথম একক অ্যালবাম বেরিয়েছিল তার নিজের নামেই
২০০৮ সালে। ‘আরফিন রুমি’ শীর্ষক প্রথম এ অ্যালবামটির ব্যাপক সাফল্যের পর
২০০৯ সালে প্রকাশ পায় দ্বিতীয় একক ‘এসো না’। তৃতীয়টি `ভালোবাসি তোমায়`
এসেছে গত বছর। এটি ছিল গত বছরের অন্যতম ব্যবসাসফল অ্যালবাম। এ অ্যালবামের
`বলনা কোথায় তুমি`, `প্রিয়তমা`, `সহে না যাতনা`, `প্রেমের পথে` গানগুলো
শ্রোতাপ্রিয় হয়।
এরপর নিজ ব্যান্ড ‘দূরবীণ’ নিয়ে বেড়ে যায় রুমির ব্যস্ততা। গানে নিজে
কণ্ঠ দেওয়ার চেয়ে সুর-সঙ্গীত পরিচালনার কাজের প্রতি বেশি জোর দেন। একসময়
দূরবীণ ব্যান্ড ছেড়েও দেন। এ পর্যন্ত আরফিন রুমির সুর ও সঙ্গীতে ২০টিরও
বেশি অ্যালবাম বাজারে আসে।
No comments