সমীক্ষা: দেশজ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি সংকোচনের আশঙ্কা
স্বাধীন গবেষণা সংস্থা ‘উন্নয়ন অন্বেষণ’
সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সমীক্ষায় সতর্ক করেছে যে, শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি
নিম্নগামী হওয়ায় মোট দেশজ উৎপাদনে এ খাতের অবদান কমছে।
এর ফলে মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি সংকুচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গবেষণা সূত্রে জানা যায়, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রবৃদ্ধি ৯.৩৪ শতাংশ যা ২০১১-১২ ও ২০১০-১১ অর্থবছরের যথাক্রমে ৯.৩৭ ও ৯.৪৫ শতাংশের তুলনায় কম।
উন্নয়ন অন্বেষন আশংকা করছে এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রক্রিয়াজাতকারী শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ৯.২২ ও ৯.১১ শতাংশে নেমে আসতে পারে।
সংস্থাটি আরো মনে করছে এর ফলে মোট দেশজ উৎপাদনে শিল্প খাতের বর্তমান অবদান ৩১.৯৮ শতাংশ থেকে মাত্র .৩০ হারে বেড়ে ৩২.২৮ শতাংশ হবে যেখানে গত ২০১১-১২ থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছরে বেড়েছিল ০.৮৬ হারে। এর ফলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার আশঙ্কাও করা হয়।
নীতিগত ও কাঠামোগত সমস্যার ফলে শিল্প খাতের উপাদান সক্ষমতার নিচে অবস্থান করছে। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য নীতিগত সংশোধনসহ প্রযুক্তিতে অংশগ্রহণ বাড়ানোর ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে উন্নয়ন অন্বেষণের গবেষণায়।
শিল্প উৎপাদন সূচক, শিল্প ঋণ, ঋণপত্র (লেটার অব ক্রেডিট), বিনিয়োগ চাহিদা সাম্প্রতিক সময়ে তুলনামূলকভাবে সামর্থের নিচে অবস্থান করার ফলে শিল্পে নিম্নপ্রবৃদ্ধি পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং আগামী বছরে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না বলে আশঙ্কা করছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।
ম্যানুফ্যাকচারিং রপ্তানি আয় আমদানি ব্যায়ের তুলনায় কম হওয়ায় ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত কমেছে শতকরা ২৬.২৭ ভাগ। ২০১১-১২ থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয় কমেছে শতকরা ৬৩ ভাগ আর আমদানি ব্যয় কমেছে শতকরা ৪৬ ভাগ।এর ফলে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ২০১১-১২ অর্থবছরে ১৩৭৫.৮ কোটি ডলার থেকে কমে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১০১৪.৭ কোটি ডলার হয়েছে।
২০১২-১৩ অর্থবছরের শেষ চতুর্থাংশে (এপ্রিল-জুন) শিল্প পর্যায় ঋণ ৪.৪৯ ভাগ বৃদ্ধি পায় যা ২০১১-১২ থেকে ২০১২-১৩ এর বিভিন্ন চতুর্থাংশের মধ্যে সর্বনিম্ন বৃদ্ধি। ২০১১-১২ এর তৃতীয়, ২০১২-১৩ এর প্রথম ও তৃতীয় চতুর্থাংশে শতকরা বৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক।
ঋণপত্র খোলা ও ঋণপত্র নিষ্পত্তির দিক থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছরে আমদানি খরচ কমেছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ঋণপত্র খোলার পরিমাণ ছিল ৩৪০৮.৩৬ কোটি ডলার যা ২০১১-১২ অর্থবছরে ছিল ৩৫৫১.৬৩ কোটি ডলার এবং ঋণপত্র নিষ্পত্তির হিসেবে ২০১২-১৩ ও ২০১১-১২ অর্থবছরে খরচ ছিল যথাক্রমে ৩২৩৫.৬৭৬ এবং ৩৪৮১.৪৫৫ কোটি ডলার।
বিভিন্ন দেশের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায় যে বাংলাদেশ প্রযুক্তির দিকে অগ্রসরতা ও উদ্ভাবনে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় মোট বাজেটের ০.১৬ শতাংশ অর্থাৎ ৩.৬৭ (উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন) ৩৬৭ কোটি টাকা যা গত অর্থবছরের বরাদ্দকৃত বাজেটের চেয়ে ০.৮১ শতাংশ কম।
নিম্ন বিনিয়োগ চাহিদা বাংলাদেশের অর্থনীতির মন্থর গতির গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ মোট দেশজ উৎপাদনের ২০.০৪ শতাংশ থেকে কমে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৮.৯৯ শতাংশ হয়।
জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৩ এবং জানুয়ারি-জুন ২০১৪ সময়ের জন্য বেসরকারি খাতে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের ঋণপ্রবাহ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা যথাক্রমে ১৫.৫ এবং ১৬.৫ শতাংশ থাকলেও ২০১৩-১৪ অর্থবছরের আগস্ট মাসে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ১১.৩৩ শতাংশে যা ২০১২-১৩ অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ১৯.৯২ শতাংশ। ব্যক্তিখাতভিত্তিক ঋণ পরিমাণের দিক থেকে বৃদ্ধি পেলেও প্রবৃদ্ধির হার নিম্নমুখী।
আর্থিক ও মুদ্রানীতির সমন্বয়, সঞ্চয়-বিনিয়োগ ব্যবধান কমানো, বাজার ও দ্রব্য বহুমুখীকরণ, অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি অর্থনীতি চাঙ্গা করায় ভূমিকা রাখতে পারে বলে গবেষণাটিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গবেষণা সূত্রে জানা যায়, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রবৃদ্ধি ৯.৩৪ শতাংশ যা ২০১১-১২ ও ২০১০-১১ অর্থবছরের যথাক্রমে ৯.৩৭ ও ৯.৪৫ শতাংশের তুলনায় কম।
উন্নয়ন অন্বেষন আশংকা করছে এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রক্রিয়াজাতকারী শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ৯.২২ ও ৯.১১ শতাংশে নেমে আসতে পারে।
সংস্থাটি আরো মনে করছে এর ফলে মোট দেশজ উৎপাদনে শিল্প খাতের বর্তমান অবদান ৩১.৯৮ শতাংশ থেকে মাত্র .৩০ হারে বেড়ে ৩২.২৮ শতাংশ হবে যেখানে গত ২০১১-১২ থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছরে বেড়েছিল ০.৮৬ হারে। এর ফলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার আশঙ্কাও করা হয়।
নীতিগত ও কাঠামোগত সমস্যার ফলে শিল্প খাতের উপাদান সক্ষমতার নিচে অবস্থান করছে। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য নীতিগত সংশোধনসহ প্রযুক্তিতে অংশগ্রহণ বাড়ানোর ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে উন্নয়ন অন্বেষণের গবেষণায়।
শিল্প উৎপাদন সূচক, শিল্প ঋণ, ঋণপত্র (লেটার অব ক্রেডিট), বিনিয়োগ চাহিদা সাম্প্রতিক সময়ে তুলনামূলকভাবে সামর্থের নিচে অবস্থান করার ফলে শিল্পে নিম্নপ্রবৃদ্ধি পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং আগামী বছরে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না বলে আশঙ্কা করছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।
ম্যানুফ্যাকচারিং রপ্তানি আয় আমদানি ব্যায়ের তুলনায় কম হওয়ায় ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত কমেছে শতকরা ২৬.২৭ ভাগ। ২০১১-১২ থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয় কমেছে শতকরা ৬৩ ভাগ আর আমদানি ব্যয় কমেছে শতকরা ৪৬ ভাগ।এর ফলে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ২০১১-১২ অর্থবছরে ১৩৭৫.৮ কোটি ডলার থেকে কমে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১০১৪.৭ কোটি ডলার হয়েছে।
২০১২-১৩ অর্থবছরের শেষ চতুর্থাংশে (এপ্রিল-জুন) শিল্প পর্যায় ঋণ ৪.৪৯ ভাগ বৃদ্ধি পায় যা ২০১১-১২ থেকে ২০১২-১৩ এর বিভিন্ন চতুর্থাংশের মধ্যে সর্বনিম্ন বৃদ্ধি। ২০১১-১২ এর তৃতীয়, ২০১২-১৩ এর প্রথম ও তৃতীয় চতুর্থাংশে শতকরা বৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক।
ঋণপত্র খোলা ও ঋণপত্র নিষ্পত্তির দিক থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছরে আমদানি খরচ কমেছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ঋণপত্র খোলার পরিমাণ ছিল ৩৪০৮.৩৬ কোটি ডলার যা ২০১১-১২ অর্থবছরে ছিল ৩৫৫১.৬৩ কোটি ডলার এবং ঋণপত্র নিষ্পত্তির হিসেবে ২০১২-১৩ ও ২০১১-১২ অর্থবছরে খরচ ছিল যথাক্রমে ৩২৩৫.৬৭৬ এবং ৩৪৮১.৪৫৫ কোটি ডলার।
বিভিন্ন দেশের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা যায় যে বাংলাদেশ প্রযুক্তির দিকে অগ্রসরতা ও উদ্ভাবনে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় মোট বাজেটের ০.১৬ শতাংশ অর্থাৎ ৩.৬৭ (উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন) ৩৬৭ কোটি টাকা যা গত অর্থবছরের বরাদ্দকৃত বাজেটের চেয়ে ০.৮১ শতাংশ কম।
নিম্ন বিনিয়োগ চাহিদা বাংলাদেশের অর্থনীতির মন্থর গতির গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ মোট দেশজ উৎপাদনের ২০.০৪ শতাংশ থেকে কমে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৮.৯৯ শতাংশ হয়।
জুলাই-ডিসেম্বর ২০১৩ এবং জানুয়ারি-জুন ২০১৪ সময়ের জন্য বেসরকারি খাতে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের ঋণপ্রবাহ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা যথাক্রমে ১৫.৫ এবং ১৬.৫ শতাংশ থাকলেও ২০১৩-১৪ অর্থবছরের আগস্ট মাসে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ১১.৩৩ শতাংশে যা ২০১২-১৩ অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ১৯.৯২ শতাংশ। ব্যক্তিখাতভিত্তিক ঋণ পরিমাণের দিক থেকে বৃদ্ধি পেলেও প্রবৃদ্ধির হার নিম্নমুখী।
আর্থিক ও মুদ্রানীতির সমন্বয়, সঞ্চয়-বিনিয়োগ ব্যবধান কমানো, বাজার ও দ্রব্য বহুমুখীকরণ, অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি অর্থনীতি চাঙ্গা করায় ভূমিকা রাখতে পারে বলে গবেষণাটিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
No comments