বিমানে ৭০০ কোটি টাকার দুর্নীতি, ফাঁসছেন কর্তারা by আদিত্য আরাফাত
কেনাবেচা ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে বিমান
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে প্রায় সাতশো কোটি টাকা দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য
পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ সাল
পর্যন্ত শুধু দু’টি খাতেই মোটা অংকের এ দুর্নীতির তথ্য পায় রাষ্ট্রীয়
দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি। দুদকের উচ্চ পর্যায়ের সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য
জানায়।
বড় এ দুর্নীতির সঙ্গে দেশি-বিদেশি একটি সিন্ডিকেটের সংশ্লিষ্টতাও জানতে পেরেছে দুদক। যে সিন্ডিকেট দুর্নীতির মাধ্যমে বিমানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করে পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়েছে।
এদিকে দুর্নীতিবাজরা বিমানকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করলেও বিমান কর্তৃপক্ষ চায় না তাদের এমন তথ্য প্রকাশিত হোক। দুদকও যেনো এসব তথ্য প্রকাশ না করে গোপনে অনুসন্ধান চালায় সেজন্য বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুদককে চাপ দিয়েছেন- এমন অভিযোগও রয়েছে।
জানা গেছে, সাতশো কোটি টাকা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। অনুসন্ধান শুরু করার পরই দুদক টিম অনুধাবন করতে পারে বিমানের অন্যতম বৃহৎ এ দুর্নীতির ঘটনা অনুসন্ধানে এবং কারিগরি (টেকনিক্যাল) সহায়তার জন্য বাংলাদেশ বিমানের এক্সপার্ট (বিশেষজ্ঞ) টিম প্রয়োজন।
স্বাভাবিক কারণে দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাদের বিমানের কারিগরি বিষয় জানা না থাকায় বিমানের অ্যারোনেটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের সমন্বয়ে একটি এক্সপার্ট টিম চেয়ে বিমান কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেয় দুদক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিগগিরই বিমান কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধানে সহায়তা করার জন্য দুদকের কাছে এক্সপার্ট প্যানেল পাঠাবে। এ এক্সপার্ট প্যানেলের সহযোগিতায় দুদক অনুসন্ধান খতিয়ে দেখবে।
এদিকে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটির সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে বিমানের সাবেক পরিচালনা পর্ষদ ও সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের তলব করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। দুদকের অনুসন্ধান টিম মনে করছেন বড় এ দুর্নীতিতে বিমানের অনেক হাই-প্রোফাইলধারী জড়িত।
দুদকের উপ পরিচালক মোনায়েম হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম এ দুর্নীতির ঘটনা অনুসন্ধান করছেন। দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কেনাবেচা ও রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি টিকেটিং, মানি রিকভারি, জিএসএ প্রদান, বৈদেশিক চুক্তি ও হজ অপারেশন খাতেও ব্যাপক দুর্নীতির সন্ধান মিলেছে। বিমানের সবক্ষেত্রেই এ দুর্নীতি বিস্তৃত।
এদিকে বাংলাদেশ বিমান ওই সময়ে যেসব এয়ারবাস ক্রয় ও মেরামত করেছে তার বেশকিছু নথিপত্র, বিল-ভাউচার, আহ্বান করা দরপত্রের কাগজ, দরপত্রে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাগজপত্রসহ বিভিন্ন নথিপত্র দুদকের কাছে রয়েছে। বিমানে দুর্নীতির ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়ে আরও কয়েকটি দুর্নীতির জায়গা চিহ্নিত করেছে দুদক।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে- বৈদেশিক স্টেশনে নিয়োগ, বিমানের স্পেয়ার পার্টস ও মালামাল কেনাকাটা, উড়োজাহাজ মেরামত, উড়োজাহাজ ওভারহোলিং, ওভারহোলিং এজেন্ট নিয়োগ, জিএসএ নিয়োগ, পাইলট ও কেভিন ক্রু নিয়োগ, জ্বালানি তেল ক্রয়, ট্রেনিং, অনলাইন টিকিট বিক্রি, যানবাহন ভাড়া, কার্গো হ্যান্ডেলিং, গ্রাউন্ড হান্ডেলিংয়ের ইকুইপমেন্ট ক্রয় ও ওভারটাইম।
দুদক সূত্রে আরও জানা গেছে, বিমানের মালামাল ও এয়ারক্রাফটের স্পেয়ার পার্টস কেনাকাটা নিয়ে শত শত কোটি টাকা দুর্নীতির পাশাপাশি অতিরিক্ত মালামাল ক্রয় করে সেগুলো গোডাউনে নষ্ট করেও বিমানের কোটি কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি করা হয়েছে।
বড় এ দুর্নীতির সঙ্গে দেশি-বিদেশি একটি সিন্ডিকেটের সংশ্লিষ্টতাও জানতে পেরেছে দুদক। যে সিন্ডিকেট দুর্নীতির মাধ্যমে বিমানকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করে পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়েছে।
এদিকে দুর্নীতিবাজরা বিমানকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করলেও বিমান কর্তৃপক্ষ চায় না তাদের এমন তথ্য প্রকাশিত হোক। দুদকও যেনো এসব তথ্য প্রকাশ না করে গোপনে অনুসন্ধান চালায় সেজন্য বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুদককে চাপ দিয়েছেন- এমন অভিযোগও রয়েছে।
জানা গেছে, সাতশো কোটি টাকা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। অনুসন্ধান শুরু করার পরই দুদক টিম অনুধাবন করতে পারে বিমানের অন্যতম বৃহৎ এ দুর্নীতির ঘটনা অনুসন্ধানে এবং কারিগরি (টেকনিক্যাল) সহায়তার জন্য বাংলাদেশ বিমানের এক্সপার্ট (বিশেষজ্ঞ) টিম প্রয়োজন।
স্বাভাবিক কারণে দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাদের বিমানের কারিগরি বিষয় জানা না থাকায় বিমানের অ্যারোনেটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের সমন্বয়ে একটি এক্সপার্ট টিম চেয়ে বিমান কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেয় দুদক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিগগিরই বিমান কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধানে সহায়তা করার জন্য দুদকের কাছে এক্সপার্ট প্যানেল পাঠাবে। এ এক্সপার্ট প্যানেলের সহযোগিতায় দুদক অনুসন্ধান খতিয়ে দেখবে।
এদিকে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটির সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে বিমানের সাবেক পরিচালনা পর্ষদ ও সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের তলব করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। দুদকের অনুসন্ধান টিম মনে করছেন বড় এ দুর্নীতিতে বিমানের অনেক হাই-প্রোফাইলধারী জড়িত।
দুদকের উপ পরিচালক মোনায়েম হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম এ দুর্নীতির ঘটনা অনুসন্ধান করছেন। দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কেনাবেচা ও রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি টিকেটিং, মানি রিকভারি, জিএসএ প্রদান, বৈদেশিক চুক্তি ও হজ অপারেশন খাতেও ব্যাপক দুর্নীতির সন্ধান মিলেছে। বিমানের সবক্ষেত্রেই এ দুর্নীতি বিস্তৃত।
এদিকে বাংলাদেশ বিমান ওই সময়ে যেসব এয়ারবাস ক্রয় ও মেরামত করেছে তার বেশকিছু নথিপত্র, বিল-ভাউচার, আহ্বান করা দরপত্রের কাগজ, দরপত্রে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাগজপত্রসহ বিভিন্ন নথিপত্র দুদকের কাছে রয়েছে। বিমানে দুর্নীতির ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়ে আরও কয়েকটি দুর্নীতির জায়গা চিহ্নিত করেছে দুদক।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে- বৈদেশিক স্টেশনে নিয়োগ, বিমানের স্পেয়ার পার্টস ও মালামাল কেনাকাটা, উড়োজাহাজ মেরামত, উড়োজাহাজ ওভারহোলিং, ওভারহোলিং এজেন্ট নিয়োগ, জিএসএ নিয়োগ, পাইলট ও কেভিন ক্রু নিয়োগ, জ্বালানি তেল ক্রয়, ট্রেনিং, অনলাইন টিকিট বিক্রি, যানবাহন ভাড়া, কার্গো হ্যান্ডেলিং, গ্রাউন্ড হান্ডেলিংয়ের ইকুইপমেন্ট ক্রয় ও ওভারটাইম।
দুদক সূত্রে আরও জানা গেছে, বিমানের মালামাল ও এয়ারক্রাফটের স্পেয়ার পার্টস কেনাকাটা নিয়ে শত শত কোটি টাকা দুর্নীতির পাশাপাশি অতিরিক্ত মালামাল ক্রয় করে সেগুলো গোডাউনে নষ্ট করেও বিমানের কোটি কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি করা হয়েছে।
No comments