৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রের হাত ধরে পালালো ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী, অতঃপর বিয়ে
গোপালপুরে ডুবাইল ইসলামিয়া দাখিল
মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র নুর আলম (১২)-এর হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে
যায় ডুবাইল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী খাদিজা আক্তার।
পরে
উভয় পরিবারের সম্মতিতে আজ দুপুরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এলাকাবাসী জানায়,
উপজেলার ডুবাইল গাঙ্গাপাড়া গ্রামের আব্দুর রশীদের পুত্র ডুবাইল ইসলামীয়া
দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র নুর আলমের সঙ্গে ডুবাইল পূর্বপাড়া
গ্রামের আব্দুস সালামের কন্যা ডুবাইল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর
ছাত্রী খাদিজা আক্তারের দেড় বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একই গ্রামের
বাসিন্দা হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে দেখা-সাক্ষাতের ফলে তাদের সম্পর্ক আরো গভীর
হয়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্ক বিয়ের সম্পর্কে রূপ দিতে একে অপরের হাত ধরে গত
১৬ই আগস্ট তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এঘটনায় মেয়ের পিতা ১৮ই আগস্ট
গোপালপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ২০ই আগস্ট উভয় পরিবারের
লোকজন প্রেমিক যুগলকে মধুপুরের একটি গ্রাম থেকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর
ছেলে-মেয়েকে নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে রাখে অভিভাবকরা। এনিয়ে এলাকার মাতব্বরদের
মধ্যে চলতে নানা বৈঠক। মাতব্বর ও অভিভাবকদের সঙ্গে পুলিশেরও চলতে থাকে
দফারফা। পেরিয়ে যায় বেশ কয়েকটা দিন। সবশেষে উভয় পরিবারের লোকজনের সম্মতিতে
বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। আজ জুমার নামাজের পর এ বিয়ের দিন ধার্য ছিল। অনেকটা
ঘটা করেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি
হয়েছে। বিয়ের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে গোপালপুর থানা ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, এধরনের ঘটনার দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও
সমাজসেবা কর্মকর্তার। আমার কাছে সহযোগিতা চাইলে আমি পুলিশ দেবো। উপজেলা
নির্বাহী অফিসার তানজিলা ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে
দেখছি, যদি এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments