‘যার পুরোটাই নকল তারই উড়ে যাওয়ার ভয়’ - শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত
রাখতে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি
বলেছেন, আমার বাবা (বঙ্গবন্ধু) মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যেভাবে জীবন
দিয়েছেন ঠিক সেভাবে আমাকে যদি বুকের রক্ত দিতে হয় তাহলেও পিছপা হব না।
আজ
বিকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব
কথা বলেন। বিরোধী নেত্রীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধী
নেত্রী নাকি আন্দোলনের এমন বাতাস দেবেন আমার মাথার চুল উড়ে যাবে। আমি
বিরোধী নেত্রীকে বলতে চাই, আমি তো মাথায় গোমটা দিয়ে রাখি। চুল তো দেখা যায়
না। আর মাথায় তো পরচুলা পরি না। আমার মাথায় আসল চুল। এটা নকল নয়। যার মাথা
থেকে পা পর্র্যন্ত নকল তারই উড়ে যাওয়ার ভয় আছে। শাপলা চত্বরের হেফাজতে
ইসলামের জনসভায় অভিযানের নিহতের ঘটনায় বিএনপির মিথ্যাচারের অভিযোগ করে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ই মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে অভিযানে হেফাজতে ইসলামের
আড়াই হাজার নেতাকর্মী মারা গেছেন বলে প্রথমে প্রার করা হয়েছিল। সেই তালিকা
কমে এসে দাঁড়িয়েছে ৬১ জনে। গতকাল পত্রিকায় বেড়িয়েছে, সেই ৬১ জনের তালিকাও
নাকি ভুয়া। বিরোধী দল এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনবরত মিথ্যাচার করছে।
বিরোধী নেত্রীর ১৫ই আগস্ট জন্মদিন পালনের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, যেদিন আমার বাবা-মাকে হত্যা করা হয়েছিল, যেদিন আমরা শোকে ব্যথা-বেদনায় কাতর হঠাৎ করে ৯৩ সাল থেকে সেদিন তিনি জন্মদিন পালন শুরু করেন। কারণ আমাকে আরও কষ্ট দেয়ার জন্য। ’৭৫ সালের পর জিয়াউর রহমান আমাকে ও শেখ রেহানাকে বারবার দেশে আসতে বাধা দিয়েছিল। ৩২ নম্বরের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল। তার স্ত্রী তো ১৫ই আগস্ট জন্মদিন পালন করবেনই। কারণ তিনি তো স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না। বিরোধী দলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল বিএনপি। তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছিল। আমরা খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচার করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছি। তাদের বিচারও শেষ করবো ইনশাআল্লাহ। সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় আমরা ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। লিংরোড চালু করেছি। ফ্লাইওভার চালু করে যানজট নিরসন করেছি। মেট্রো রেল চালু করেছি। বিনা পয়সায় সার বিতরণ করেছি, বিনামূল্যে বই বিতরণ করেছি। কম দামে আমার ল্যাপটপ দিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ওয়াদা দিয়েছিলাম আমরা তা রক্ষা করেছি। তিনি বলেন, আমরা চাই সর্বত্র উন্নয়ন। কিন্তু যারা কোরআন পোড়াতে পারে তাদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। তাই আগামীতে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চাই। এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে জনসভা শুরু হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ এ জনসভার আয়োজন করে। দুপুর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের স্লোগান সংবলিত নানা প্ল্যাকার্ড বহন করেন। বিকাল ৩টার দিকেই জনসভাস্থল কয়েক হাজার মানুষ সমাগম হয়ে যায়। জনসভায় নিরাপত্তা দিতে কয়েক হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের সভাপতিতে জনসভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি, তোফায়েল আহমেদ এমপি, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মো. নাসিম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুন, আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূল তাপস এমপি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিরোধী নেত্রীর ১৫ই আগস্ট জন্মদিন পালনের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, যেদিন আমার বাবা-মাকে হত্যা করা হয়েছিল, যেদিন আমরা শোকে ব্যথা-বেদনায় কাতর হঠাৎ করে ৯৩ সাল থেকে সেদিন তিনি জন্মদিন পালন শুরু করেন। কারণ আমাকে আরও কষ্ট দেয়ার জন্য। ’৭৫ সালের পর জিয়াউর রহমান আমাকে ও শেখ রেহানাকে বারবার দেশে আসতে বাধা দিয়েছিল। ৩২ নম্বরের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল। তার স্ত্রী তো ১৫ই আগস্ট জন্মদিন পালন করবেনই। কারণ তিনি তো স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না। বিরোধী দলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল বিএনপি। তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছিল। আমরা খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচার করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছি। তাদের বিচারও শেষ করবো ইনশাআল্লাহ। সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় আমরা ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। লিংরোড চালু করেছি। ফ্লাইওভার চালু করে যানজট নিরসন করেছি। মেট্রো রেল চালু করেছি। বিনা পয়সায় সার বিতরণ করেছি, বিনামূল্যে বই বিতরণ করেছি। কম দামে আমার ল্যাপটপ দিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ওয়াদা দিয়েছিলাম আমরা তা রক্ষা করেছি। তিনি বলেন, আমরা চাই সর্বত্র উন্নয়ন। কিন্তু যারা কোরআন পোড়াতে পারে তাদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। তাই আগামীতে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চাই। এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে জনসভা শুরু হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ এ জনসভার আয়োজন করে। দুপুর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের স্লোগান সংবলিত নানা প্ল্যাকার্ড বহন করেন। বিকাল ৩টার দিকেই জনসভাস্থল কয়েক হাজার মানুষ সমাগম হয়ে যায়। জনসভায় নিরাপত্তা দিতে কয়েক হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের সভাপতিতে জনসভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি, তোফায়েল আহমেদ এমপি, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মো. নাসিম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুন, আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূল তাপস এমপি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
No comments