সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত নগরী গড়ে তুলব by মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল
কালের কণ্ঠ : নির্বাচিত হলে রাজশাহীর উন্নয়নে কী পরিকল্পনা রয়েছে?
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল : জনগণের রায় নিয়ে আগামী দিনে ক্ষমতায় গেলে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটমুক্ত নিরাপদ নগরী গড়ে তোলা হবে।
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল : জনগণের রায় নিয়ে আগামী দিনে ক্ষমতায় গেলে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটমুক্ত নিরাপদ নগরী গড়ে তোলা হবে।
বেকার যুবসমাজের জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের নগরীর
উন্নয়নে সম্পৃক্ত করা হবে। নগরীকে গড়ে তোলা হবে সন্ত্রাস, দুর্নীতি,
সিন্ডিকেটমুক্ত নগরী হিসেবে। রাসিকের উন্নয়নের মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করে
নাগরিকদের মৌলিক অধিকার, যেমন- বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ঘরে ঘরে
পৌঁছানো, মশকনিধন, আবর্জনা পরিষ্কার, ড্রেন পরিষ্কার, প্রধান সড়কসহ সব
রাস্তায় আলোকায়নসহ সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া
হবে। আমার ২০ দফার নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করেছি, মেয়র নির্বাচিত হলে
রাজশাহী নগরবাসীর ওপর আগামী পাঁচ বছর নতুন করে ট্যাক্সের বোঝা চাপানো হবে
না, প্রতারণা বা মিথ্যা প্রচার বন্ধ করে নগরবাসীর ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগের
ব্যবস্থা করা হবে। আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে নতুন প্রজন্মের
জন্য আইটি ভিলেজ গড়ে তোলা হবে। পুরনো সিটি ভবন দলীয় এমপিকে বরাদ্দ প্রদানসহ
রাসিকের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, লুটপাটের যথাযথ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা
নেওয়া হবে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর,
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। রাজশাহী ওয়াসাকে শক্তিশালী করা,
মহানগরীর শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করে সব দল-পেশাজীবীকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ
করা হবে।
কালের কণ্ঠ : রাজশাহী মহানগরীতে গ্যাস সংযোগ কি কোনো প্রভাব ফেলবে এই নির্বাচনে?
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল : রাজশাহীতে গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইনের টেন্ডারসহ সব কার্যক্রম গত জোট সরকারের আমলেই শুরু হয়েছে। কিন্তু ব্যর্থ এই সরকার ক্ষমতায় এসে গত প্রায় পাঁচ বছরেও সেই গ্যাস দিতে পারেনি। এখন রাসিক নির্বাচন সামনে রেখে এ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে তড়িঘড়ি করে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হচ্ছে গুটিকয়েক বাড়িতে। অথচ এখনো ১০ হাজার আবেদনকারী গ্রাহককে উপেক্ষা করা হচ্ছে। এই ১০ হাজার আবেদনকারীকে আগে গ্যাস সংযোগ দিতে হবে। এই গ্যাস সরবরাহ প্রকল্পটি ছিল একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প। প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলেই উদ্বোধন হয়, যার এখনো ধারাবাহিক কাজ চলছে। রাসিক নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেই গ্যাস সংযোগের উদ্বোধন করেছেন। আমরা তাঁর পদত্যাগ চাই। তাঁর অপসারণ চাই।
কালের কণ্ঠ : এবারও জনগণ আপনাকে কেন নির্বাচিত করবে বলে মনে করেন?
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল : রাজশাহীর মানুষ তাদের ভাগ্যের প্রকৃত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে মেয়র থাকা সত্ত্বেও বিগত রাসিক নির্বাচনে ঘোষিত ইশতেহার বাস্তবায়নে মেয়র লিটন ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর সিন্ডিকেট ও অনুরাগভাজন একজন প্যানেল মেয়রের মাধ্যমে কাউন্সিলর সিন্ডিকেট ও একজন ঠিকাদারের নেতৃত্বে ঠিকাদারদের একটি সিন্ডিকেট নিয়ে পাঁচটি বছর অতিবাহিত করেছেন। সেই সঙ্গে জনকল্যাণকর পদক্ষেপ গ্রহণের পরিবর্তে তিনি ক্রমান্বয়ে সিন্ডিকেটবাজির অনুরক্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁর গোটা শরীরে দর্নীতি জড়িয়ে আছে। তবে এবার আমি সেই দুর্নীতিমুক্ত রাসিক গড়তে চাই। জনগণের অবাধ প্রবেশের ব্যবস্থা করতে চাই।
কালের কণ্ঠ : নির্বাচনে কাদের ওপর নির্ভর করছেন আপনি?
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল : সিটি করপোরেশন নির্বাচন হলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এই নির্বাচনে দলীয় বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে না। রাজশাহী নগরীর কৃষক, শ্রমিক, চাকরিজীবী, কুলি দল ও মতপার্থক্যের উর্ধ্বে উঠে আপামর জনসাধারণ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। কাজেই তাদের এই সমর্থনের ওপর ভর করেই আমি এ নির্বাচনে জয়লাভ করতে চাই।
কালের কণ্ঠ : আপনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে কিছু বলবেন?
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল : নির্বাচনে জয়ী হলে কোনো ব্যাটারিচালিত অটোবাইক, রিকশা বন্ধ করা হবে না। বরং রাস্তায় নতুন অটোবাইক নামানোর জন্য সিটি করপোরেশনে যে ফি দিতে হয়, তা কমানো হবে। নবায়ন ফিও কম করা হবে, এমনকি প্রতিবছর নবায়ন করতে হবে না। ছোট ছোট যানবাহন, যেমন- রিকশা, অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোবাইক ও ভ্যান নগরীতে চলবে। মোড়ে মোড়ে অটোবাইকচালকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু তা-ই নয়, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ যেসব এলাকায় পুলিশি হয়রানি, স্থানীয় চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের উৎপাত, তা থেকে অটোরিকশাচালক ভাইদের রক্ষা করা হবে।
কালের কণ্ঠ : তরুণ ভোটারদের জন্য কী পরিকল্পনা নিয়েছেন?
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল : রাজশাহী শিল্পনগরী হলেও এখানে বড় সমস্যা বেকারত্ব। এই বেকারত্ব দূর করার জন্য রাজশাহীতে আইটি ভিলেজ গড়ে তোলা হবে, একটি ইপিজেড গড়ে তোলা হবে, নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার ব্যবস্থা করা হবে, ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের বিদেশে পাঠানো ও কর্মক্ষেত্রে লাগানোর ব্যবস্থা করাসহ নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। রাজশাহীর যুবসমাজ মাদকের ছোবলে পড়ে ধ্বংস হচ্ছে। যুবসমাজকে রক্ষা করতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে খেলার মাঠ তৈরি করে সেখানে নানা খেলায় পারদর্শী করে তোলা হবে তাদের। বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করে যুবকদের দেশের সম্পদে পরিণত করা হবে।
রাজশাহীতে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিনের দাবি। একটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্তত ১০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে, যেখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি শত শত মানুষের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হবে।
কালের কণ্ঠ : আপনাকে ধন্যবাদ।
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল : আপনাদেরও ধন্যবাদ।
কালের কণ্ঠ : রাজশাহী মহানগরীতে গ্যাস সংযোগ কি কোনো প্রভাব ফেলবে এই নির্বাচনে?
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল : রাজশাহীতে গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইনের টেন্ডারসহ সব কার্যক্রম গত জোট সরকারের আমলেই শুরু হয়েছে। কিন্তু ব্যর্থ এই সরকার ক্ষমতায় এসে গত প্রায় পাঁচ বছরেও সেই গ্যাস দিতে পারেনি। এখন রাসিক নির্বাচন সামনে রেখে এ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে তড়িঘড়ি করে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হচ্ছে গুটিকয়েক বাড়িতে। অথচ এখনো ১০ হাজার আবেদনকারী গ্রাহককে উপেক্ষা করা হচ্ছে। এই ১০ হাজার আবেদনকারীকে আগে গ্যাস সংযোগ দিতে হবে। এই গ্যাস সরবরাহ প্রকল্পটি ছিল একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প। প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলেই উদ্বোধন হয়, যার এখনো ধারাবাহিক কাজ চলছে। রাসিক নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেই গ্যাস সংযোগের উদ্বোধন করেছেন। আমরা তাঁর পদত্যাগ চাই। তাঁর অপসারণ চাই।
কালের কণ্ঠ : এবারও জনগণ আপনাকে কেন নির্বাচিত করবে বলে মনে করেন?
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল : রাজশাহীর মানুষ তাদের ভাগ্যের প্রকৃত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে মেয়র থাকা সত্ত্বেও বিগত রাসিক নির্বাচনে ঘোষিত ইশতেহার বাস্তবায়নে মেয়র লিটন ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর সিন্ডিকেট ও অনুরাগভাজন একজন প্যানেল মেয়রের মাধ্যমে কাউন্সিলর সিন্ডিকেট ও একজন ঠিকাদারের নেতৃত্বে ঠিকাদারদের একটি সিন্ডিকেট নিয়ে পাঁচটি বছর অতিবাহিত করেছেন। সেই সঙ্গে জনকল্যাণকর পদক্ষেপ গ্রহণের পরিবর্তে তিনি ক্রমান্বয়ে সিন্ডিকেটবাজির অনুরক্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁর গোটা শরীরে দর্নীতি জড়িয়ে আছে। তবে এবার আমি সেই দুর্নীতিমুক্ত রাসিক গড়তে চাই। জনগণের অবাধ প্রবেশের ব্যবস্থা করতে চাই।
কালের কণ্ঠ : নির্বাচনে কাদের ওপর নির্ভর করছেন আপনি?
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল : সিটি করপোরেশন নির্বাচন হলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এই নির্বাচনে দলীয় বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে না। রাজশাহী নগরীর কৃষক, শ্রমিক, চাকরিজীবী, কুলি দল ও মতপার্থক্যের উর্ধ্বে উঠে আপামর জনসাধারণ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। কাজেই তাদের এই সমর্থনের ওপর ভর করেই আমি এ নির্বাচনে জয়লাভ করতে চাই।
কালের কণ্ঠ : আপনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে কিছু বলবেন?
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল : নির্বাচনে জয়ী হলে কোনো ব্যাটারিচালিত অটোবাইক, রিকশা বন্ধ করা হবে না। বরং রাস্তায় নতুন অটোবাইক নামানোর জন্য সিটি করপোরেশনে যে ফি দিতে হয়, তা কমানো হবে। নবায়ন ফিও কম করা হবে, এমনকি প্রতিবছর নবায়ন করতে হবে না। ছোট ছোট যানবাহন, যেমন- রিকশা, অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোবাইক ও ভ্যান নগরীতে চলবে। মোড়ে মোড়ে অটোবাইকচালকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু তা-ই নয়, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ যেসব এলাকায় পুলিশি হয়রানি, স্থানীয় চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের উৎপাত, তা থেকে অটোরিকশাচালক ভাইদের রক্ষা করা হবে।
কালের কণ্ঠ : তরুণ ভোটারদের জন্য কী পরিকল্পনা নিয়েছেন?
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল : রাজশাহী শিল্পনগরী হলেও এখানে বড় সমস্যা বেকারত্ব। এই বেকারত্ব দূর করার জন্য রাজশাহীতে আইটি ভিলেজ গড়ে তোলা হবে, একটি ইপিজেড গড়ে তোলা হবে, নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার ব্যবস্থা করা হবে, ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের বিদেশে পাঠানো ও কর্মক্ষেত্রে লাগানোর ব্যবস্থা করাসহ নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। রাজশাহীর যুবসমাজ মাদকের ছোবলে পড়ে ধ্বংস হচ্ছে। যুবসমাজকে রক্ষা করতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে খেলার মাঠ তৈরি করে সেখানে নানা খেলায় পারদর্শী করে তোলা হবে তাদের। বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করে যুবকদের দেশের সম্পদে পরিণত করা হবে।
রাজশাহীতে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিনের দাবি। একটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্তত ১০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে, যেখানে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি শত শত মানুষের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হবে।
কালের কণ্ঠ : আপনাকে ধন্যবাদ।
মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল : আপনাদেরও ধন্যবাদ।
No comments