ব্যক্তিত্ব-আনে ফ্রাংক

একটি ডায়েরি কতটা বিখ্যাত হতে পারে? কতটা মানুষের মনে দাগ কাটতে পারে? অথচ ছোট্ট মেয়ে আনে ফ্রাংকের লেখা ডায়েরি ছাড়িয়ে গেছে অনেক ভুবনবিখ্যাত উপন্যাসকে। তাঁর সেই ছোট ডায়েরি ভিত্তি করে সৃষ্টি হয়েছে নাটক-উপন্যাস।
সেই ডায়েরি ভাষান্তরিত হয়েছে পৃথিবীর সব বড় ভাষায়। সেই ডায়েরির নাম আনে ফ্রাংকের ডায়েরি। আজও সেই ডায়েরি পড়ে লাখো সভ্য মানুষের বুক কেঁপে ওঠে। চোখে আসে অশ্রু।
আনে ফ্রাংক জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯২৯ সালের ১২ জুন। বাবা অটো ফ্রাংক ও মা এডিথ ফ্রাংক অলান্দের দুই মেয়ের মধ্যে আনে ছিলেন কনিষ্ঠ। পরিবারটি ছিল উদারপন্থী ইহুদি। ঘটনাক্রমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই আনে ফ্রাংকের পরিবার হল্যান্ডে চলে যায়। ১৯৪০ সালে জার্মানি হল্যান্ড দখল করে। শুরু হয় অত্যাচার-নির্যাতন। ১৯৪২ সালের জুলাই মাসে ফ্রাংক পরিবার বাধ্য হয়ে একটি ঘরের গোপন কুঠুরিতে লুকিয়ে পড়ে। ১৯৪৪ সালের ৪ জুলাই নাৎসি বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। অতঃপর মৃত্যুপুরী কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে যেতে হয়। ১৯৪৫ সালের এপ্রিলে ব্রিটিশরা সেনাবাহিনী ক্যাম্প মুক্ত করে, কিন্তু এর মাত্র কয়েক দিন আগে সংক্রামক ব্যাধি টাইফুসে মৃত্যুবরণ করে আনে। আনে ১০ বছর বয়সেই ডায়েরি লিখতে শুরু করেছিলেন ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখ, প্রেম আর যন্ত্রণা নিয়ে।
ম.হা.

No comments

Powered by Blogger.