এবারের বাজেট হবে রাজনৈতিক ওউচ্চাভিলাষী by এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম
এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি নেন। এরপর তিনি অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তী সময়ে তৎকালীন সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তানে (সিএসপি) যোগ দেন এবং পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮০ সালে তিনি বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি জাতিসংঘের এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের পরিচালক, দেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান এবং ২০০৭-০৯ সময়কালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। তাঁর অনেক গবেষণা প্রবন্ধ ও প্রকাশনা আছে।
l সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসান ও সুজয় মহাজন
প্রথম আলোl শোনা যাচ্ছে, এবারের বাজেট হবে সোয়া দুই লাখ কোটি টাকার। এত বড় বাজেটকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মির্জ্জা আজিজl অর্থায়নের বিষয়গুলো পরিষ্কার নয়। অর্থায়নের ক্ষেত্রেও উচ্চাভিলাষ রয়েছে। দেশের বাইরের বিভিন্ন উৎস থেকে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থায়নের কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবক্ষেত্রে দেখা যায়, বাইরের উৎস থেকে আমরা ১০০-১৫০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা পাই না। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে যে অর্থ সংগ্রহের কথা বলা হচ্ছে, সেটিও অর্জন সম্ভব নয়। চলতি বাজেটে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে সাত হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল। কিন্তু আমরা দেখছি, সেটি অর্জন করা সম্ভব নয়। আগামী বাজেটে রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে ২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত এই রাজস্ব আয় সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। রাজস্ব প্রবৃদ্ধির এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। এসব কারণে সোয়া দুই লাখ কোটি টাকার বাজেটকে আমার বেশ উচ্চাভিলাষী বাজেটই মনে হচ্ছে।
প্রথম আলোl আগামী বাজেট হবে ক্ষমতাসীন দলের শেষ বাজেট। এ বিবেচনায় এতে রাজনীতি না অর্থনীতি—কোনটা প্রাধান্য পাবে বলে মনে করেন?
মির্জ্জা আজিজl যেকোনো বাজেট হওয়া উচিত ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিকে সামনে রেখে। প্রবৃদ্ধির বিষয়টি বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়া উচিত। সম্ভবত এবারের বাজেটে সেটা হবে না। ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির চেয়ে রাজনৈতিক বিষয়গুলো সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে। ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির জন্য ভালো কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে অজনপ্রিয় সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না। কিছু কিছু বিষয় থাকে যেগুলো অজনপ্রিয় কিন্তু সুফল বেশি, সে রকম সিদ্ধান্তগুলো সরকারের মেয়াদকালের শুরুতেই নিতে হয়। যেমন: রাষ্ট্রায়ত্ত কিছু প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে আমরা বছরের পর বছর ভর্তুকি দিয়ে চলেছি। কিন্তু এগুলো থেকে কোনো সুফল পাওয়া যায় না। এ ছাড়া যেসব খাতে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে, সেগুলোও পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। ভর্তুকিকে লক্ষ্যভিত্তিক করা উচিত। এখন বড়লোকদের ভর্তুকি-সুবিধা কমিয়ে সেটিকে অসচ্ছল ও গরিববান্ধব করা উচিত। দরিদ্রদের বেশি উপকার হয় এ রকম খাতে ভর্তুকি-সুবিধা রেখে অন্যান্য খাতের ভর্তুকি সমন্বয় করা উচিত।
প্রথম আলোl বর্তমান সরকারের চার বছরে এমন অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত কি দেখেছেন, যা ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির জন্য ভালো বলে মনে হয়েছে।
মির্জ্জা আজিজl এই সরকার ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির জন্য ভালো, হয়তো সাময়িকভাবে অজনপ্রিয়—এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তেমনটি আমার চোখে পড়ছে না।
প্রথম আলোl যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে নতুন বাজেট বাস্তবায়ন করবে একাধিক সরকার। সে ক্ষেত্রে বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা দেখছেন কী?
মির্জ্জা আজিজl বর্তমান বাজেট কাঠামোতেই পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। তাই সরকার পরিবর্তন হলে বাজেটে পরিবর্তনের সুযোগ থাকছেই। তবে বাজেট এমন কোনো জিনিস নয়, যেখানে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বৈপ্লবিক কোনো পরিবর্তন নিয়ে আসা যাবে। যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক, আমাদের মতো দেশে বাজেটের অগ্রাধিকার খাতগুলো একই থাকে। সব মিলিয়ে ছয়-সাতটি অগ্রাধিকার খাত রয়েছে। যদি আমরা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপি দেখি, তাহলে দেখব ঘুরেফিরে সব সরকারের আমলেই এসব খাতেই প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ থাকে। তাই সরকার পরিবর্তন হলে বাজেটে খুব বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসবে, এমনটা মনে হয় না।
অগ্রাধিকার খাত বাছাই ও বরাদ্দের বিষয়টি ঠিকই আছে। সমস্যা যেটা সেটা হলো রাজনৈতিক কারণে নতুন কিছু প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত হয়। এতে করে প্রকল্পের সংখ্যা বেড়ে যায়। ফলে তিন বছরের প্রকল্প শেষ হতে ১০ বছর সময় লাগে। তাতে করে খরচ বাড়ে আর প্রকল্পের সক্ষমতা কমে যায়।
প্রথম আলোl আগামী বাজেটে নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণে আলাদা বরাদ্দ রাখার কথা বলা হচ্ছে। নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু করার বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?
মির্জ্জা আজিজl নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্তটি রাজনৈতিক। নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এ জন্য নতুন করে কোনো ব্যয় পর্যালোচনা (কস্ট অ্যানালাইসিস) করা হয়নি। পদ্মা সেতু করা নিয়ে আমার দ্বিমত নেই। কিন্তু এ সময়ে নিজস্ব অর্থে এটি করার প্রয়োজন রয়েছে কি না অর্থাৎ সময়টা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আমার মনে হয়, নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু না করেও অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে অবকাঠামো, সুশাসন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন ইত্যাদি কাজ সঠিকভাবে করা হলে তা দিয়ে সাত থেকে সাড়ে সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব।
প্রথম আলোl আপনি কি মনে করেন নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণের এই সিদ্ধান্ত পরবর্তী সরকারের জন্য চাপ হয়ে দাঁড়াবে।
মির্জ্জা আজিজl বর্তমান সরকার হোক বা অন্য কোনো দলের সরকার হোক—যারাই ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসুক, তাদের জন্য একধরনের চাপ তৈরি করবে। তবে একবার এ কাজ শুরু করা হলে তা থেকে কেউই বেরিয়ে আসতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে পরবর্তী সরকারকে সেতু নির্মাণের পরবর্তী কাজ এগিয়ে নিতে নতুন অর্থের উৎস সন্ধান করতে হবে। এমনকি বর্তমান সরকারও যদি আবার ক্ষমতায় আসে, তাহলে তারাও বিকল্প উৎসের সন্ধান করবে বলে আমার ধারণা।
প্রথম আলোl আপনি উপদেষ্টা থাকাকালে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মান রক্ষায় কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এখনকার এডিপির মান নিয়ে আপনি কি সন্তুষ্ট?
মির্জ্জা আজিজl এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখন আমি দিতে পারব না। কারণ, আমার হাতে এখন মাঠপর্যায়ের মূল্যায়ন প্রতিবেদন নেই। সরকারে থাকার সময় সেই প্রতিবেদন ছিল। বর্তমান এডিপিতে ছয় মাস কাজ হয় আর ছয় মাস কাজ হয় না। অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক কারণেও কাজের মান নষ্ট হয়।
এডিপি সময়মতো বাস্তবায়ন না হওয়ার জন্য অনেক সময় তহবিল অবমুক্ত না হওয়ার অভিযোগ করা হয়। কিন্তু এটি যৌক্তিক অভিযোগ নয়। কারণ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বরাদ্দ করা অর্থের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত খরচ করতে পারে। পাশাপাশি মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর আওতায়ও আলাদা বরাদ্দ দেওয়া থাকে। তাই অর্থ ছাড়ের অভাবে কাজ হচ্ছে না—এটি যৌক্তিক অভিযোগ নয়। এ ছাড়া এডিপিতে অনুমোদিত অনেক প্রকল্প থাকে, যেগুলোয় বাজেট বরাদ্দও থাকে। সেগুলোর কাজেও ধীরগতি দেখা যায়। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এমনটা হয়। বিশেষ করে, দায়বদ্ধতার অভাব। আমাদের আমলাতন্ত্রের যে ব্যবস্থা তাতে ভালো কাজ করলে পুরস্কার নেই, আবার কাজ না করলে শাস্তিরও বিধান নেই।
প্রথম আলোl এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে আভাস দেওয়া হয়েছে, আগামী বাজেটে কালোটাকা সাদা করার বিধান থাকবে। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
মির্জ্জা আজিজl আমি সব সময় এ ধরনের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ না দেওয়ার পক্ষপাতী আমি। এর পেছনে বেশ কিছু কারণও রয়েছে। প্রথম কারণ হলো—বারবার এ ধরনের সুযোগ দিয়েও উল্লেখযোগ্য সুবিধা পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয়ত, এটি বৈষম্য সৃষ্টি করে। সৎ করদাতারা বৈষম্যের শিকার হন। তৃতীয়ত, আমি মনে করি—এটি একটি অনৈতিক কাজ। বারবার এ ধরনের সুযোগ দেওয়া হলে তাতে একধরনের প্রত্যাশা তৈরি হয়ে যায়।
প্রথম আলোl সব সরকারের আমলে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েও এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা যাচ্ছে না কেন?
মির্জ্জা আজিজl কালোটাকা অর্থনীতির কতটা অংশ, তার তো সঠিক হিসাব নেই। যদি সঠিক হিসাব থাকত তাহলে হয়তো এটিকে সাদা বানানো যেত। বারবার সুযোগ দেওয়ার পরও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় কালোটাকা সাদা না হওয়ার পেছনের অন্যতম কারণ ইমেজের সমস্যা। অনেকেই ইমেজ-সংকটে পড়তে পারেন ভেবে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ নেন না। আরেকটি কারণ হলো, মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম বা কানাডার বাড়ি কেনা ইত্যাদি নানাভাবে এসব টাকা বিদেশে চলে যায়।
প্রথম আলোl কী পদক্ষেপ বা ব্যবস্থা নিলে কালোটাকার প্রভাব কমবে বলে মনে হয়?
মির্জ্জা আজিজl কালোটাকা তৈরির পথ বন্ধ করতে হলে সবার আগে দরকার এর উৎসগুলো খুঁজে বের করা এবং সেসব পথ বন্ধ করা। আমাদের জানামতে, কালোটাকার যেসব উৎস রয়েছে—তার মধ্যে একটি হলো চুরি, ডাকাতি অর্থাৎ সরাসরি আইনের লঙ্ঘনের মাধ্যমে কালোটাকার মালিক হওয়া। এ ছাড়া কর ফাঁকি, চোরাচালান ও নিয়ন্ত্রণমূলক নানা সিদ্ধান্তও কালো টাকার উৎস হিসেবে কাজ করে। তাই এসব উৎস বন্ধ করা গেলে কালোটাকার প্রভাবও কমে আসবে। যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকে, কর বিভাগ সততা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে এবং সীমান্তের নজরদারি ঠিকমতো করতে পারি, তাহলে হয়তো কালো টাকা তৈরি পথ কিছুটা হলেও সংকুচিত হয়ে আসবে। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে দেখা যায়, করবৈষম্যের কারণে প্রায় মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আনা হয়।
প্রথম আলোl বলা হয়ে থাকে, আমাদের মতো বিকাশমান অর্থনীতির দেশে কালোটাকা বন্ধ করা কঠিন। আপনি কি মনে করেন?
মির্জ্জা আজিজl কালোটাকা তৈরির পথ একবারে বন্ধ করা ফেলা হয়তো কঠিন। কিন্তু কার্যকর ব্যবস্থা নিলে সমাজে একধরনের বার্তা পৌঁছাবে। এতে করে ভবিষ্যতে এটি ধীরে ধীরে হয়তো কমে আসবে। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণমূলক সিদ্ধান্তের কারণে কালোটাকা তৈরির পথ বন্ধে আইনি সংস্কার প্রয়োজন।
প্রথম আলোl হল-মার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপসহ ব্যাংকিং খাতে নানা কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। শেয়ারবাজারেও কেলেঙ্কারি ঘটে গেছে। এসব ঘটনাকে কীভাবে দেখছেন? বাজেটে এর সরাসরি প্রভাব কি পড়বে?
মির্জ্জা আজিজl বাজেটে হয়তো এসব কেলেঙ্কারির ঘটনার সরাসরি প্রভাব পড়বে না। কিন্তু পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। ব্যাংকিং খাতের নানা কেলেঙ্কারির ঘটনায় ব্যাংকগুলোর মুনাফার ওপর প্রভাব ফেলছে। আর মুনাফা কমলে এসব ব্যাংকের কাছ থেকে রাজস্ব আদায়ও কমে যাবে। সব মিলিয়ে ব্যাংকিং খাতে, বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে সততার বড় অভাব রয়েছে। এসব অবস্থার উন্নতি দরকার। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোয় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পরিচালনা পর্ষদ গঠন থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে এই সুশাসনের দাবি রাখে।
আর শেয়ারবাজারের ক্ষেত্রে একই ঘটনা। সুশাসনের অভাব সেখানেও রয়েছে। আগামী বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের কথা শুনছি। স্থিতিশীলকরণ তহবিল নামে পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনের কথা শুনতে পাচ্ছি। ’৯৭-৯৮ সালে এশিয়ান ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইসিসের পর এশিয়ার বেশ কিছু দেশ এ ধরনের তহবিল গঠন করেছিল। তাই আমাদের দেশেও এ ধরনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। তবে সার্বিক অর্থনীতির উন্নতি না হলে পুঁজিবাজারের উন্নতি হবে না। আর কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির বিধান নিশ্চিত করতে হবে।
প্রথম আলোl আপনাকে ধন্যবাদ।
মির্জ্জা আজিজlধন্যবাদ।
No comments