চার সিটি করপোরেশন নির্বাচন
গতকাল চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর এবং আজ প্রার্থীদের প্রতীক বণ্টনের পর থেকে নির্বাচনী প্রচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। আগামী ১৫ জুন নির্বাচনের আগের প্রায় তিন সপ্তাহ সময়কাল সরকার, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের জন্য এক অতি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং নির্বাচনে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে না বলে সরকার যে সব সময় দাবি করে, তা কতটা বাস্তব, তার একটি নমুনা পাওয়া যাবে।
যদিও খাতা-কলমে সিটি করপোরেশন নির্বাচন নির্দলীয় ও স্থানীয় সংস্থার নির্বাচন, তা-ও এর ওপর দেশের রাজনীতির প্রভাব থাকে। দলীয় প্রতীক থাকে না, কিন্তু প্রার্থীদের দলীয় পরিচিতি প্রধান হয়ে ওঠে। রাজশাহী, সিলেট, খুলনা ও বরিশালে মেয়র পদে সরকারি ১৪-দলীয় ও বিরোধী ১৮-দলীয় জোটের সমর্থকেরা মূলত একক প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জাতীয় নির্বাচনের প্রায় পূর্বক্ষণে এই চারটি নির্বাচন তাই বিশেষ রাজনৈতিক তাৎপর্য বহন করে। এই নির্বাচনগুলো যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে হয়, যদি ভোটদাতারা স্বাধীনভাবে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারেন, যদি ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে, তাহলে নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা সৃষ্টি হবে। প্রশাসন যদি নির্বাচন কমিশনের অধীনে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করে এবং সরকার যদি নির্বাচন ও তার ফলাফল প্রভাবিত করার কোনো চেষ্টা না করে, তাহলে সরকার প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে।
ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে এর আগে চট্টগ্রামে ও কুমিল্লায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, সেখানে প্রশ্ন ওঠেনি। সরকার-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী পরাজিত হলেও সরকারি হস্তক্ষেপ না থাকায় সরকার তার বাহবা নিতে চেষ্টা করেছে এবং মানুষ তা দিতে কার্পণ্য করেনি। কিন্তু এবারের চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটু ভিন্ন এ কারণে যে, সামনে জাতীয় নির্বাচন। যদি এ নির্বাচনে সরকার-সমর্থক প্রার্থীদের পক্ষে সরকার বা প্রশাসন হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে, তাহলে জাতীয় নির্বাচনে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। আর যদি ফলাফলের চিন্তা না করে সরকার ও প্রশাসন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহায়তা দেয়, তাহলে আগামী নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতা প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে।
চারটি সিটি করপোরেশনেই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পর্কে মানুষ আশাবাদী। তবে সিলেটে মানুষের একটু সন্দেহ। কারণ, এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে যে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছিল এবং অতি সম্প্রতি সেই চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা যে আবার অস্ত্র হাতে সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি অথবা নিতে পারেনি। এরা সরকার-সমর্থক ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের সন্ত্রাসী বলে পরিচিত। এদের যদি গ্রেপ্তার না করা হয়, তাহলে সিলেটে নির্বাচনের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, যার দায়দায়িত্ব এসে পড়বে সরকারের ওপর। তাই সিলেটসহ সব সিটি করপোরেশনে চিহ্নিত দুর্বৃত্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে সরকারকে সদিচ্ছার প্রমাণ দিতে হবে।
যদিও খাতা-কলমে সিটি করপোরেশন নির্বাচন নির্দলীয় ও স্থানীয় সংস্থার নির্বাচন, তা-ও এর ওপর দেশের রাজনীতির প্রভাব থাকে। দলীয় প্রতীক থাকে না, কিন্তু প্রার্থীদের দলীয় পরিচিতি প্রধান হয়ে ওঠে। রাজশাহী, সিলেট, খুলনা ও বরিশালে মেয়র পদে সরকারি ১৪-দলীয় ও বিরোধী ১৮-দলীয় জোটের সমর্থকেরা মূলত একক প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জাতীয় নির্বাচনের প্রায় পূর্বক্ষণে এই চারটি নির্বাচন তাই বিশেষ রাজনৈতিক তাৎপর্য বহন করে। এই নির্বাচনগুলো যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে হয়, যদি ভোটদাতারা স্বাধীনভাবে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারেন, যদি ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে, তাহলে নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আস্থা সৃষ্টি হবে। প্রশাসন যদি নির্বাচন কমিশনের অধীনে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করে এবং সরকার যদি নির্বাচন ও তার ফলাফল প্রভাবিত করার কোনো চেষ্টা না করে, তাহলে সরকার প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে।
ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে এর আগে চট্টগ্রামে ও কুমিল্লায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, সেখানে প্রশ্ন ওঠেনি। সরকার-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী পরাজিত হলেও সরকারি হস্তক্ষেপ না থাকায় সরকার তার বাহবা নিতে চেষ্টা করেছে এবং মানুষ তা দিতে কার্পণ্য করেনি। কিন্তু এবারের চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটু ভিন্ন এ কারণে যে, সামনে জাতীয় নির্বাচন। যদি এ নির্বাচনে সরকার-সমর্থক প্রার্থীদের পক্ষে সরকার বা প্রশাসন হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে, তাহলে জাতীয় নির্বাচনে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। আর যদি ফলাফলের চিন্তা না করে সরকার ও প্রশাসন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ সহায়তা দেয়, তাহলে আগামী নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতা প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে।
চারটি সিটি করপোরেশনেই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পর্কে মানুষ আশাবাদী। তবে সিলেটে মানুষের একটু সন্দেহ। কারণ, এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে যে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছিল এবং অতি সম্প্রতি সেই চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা যে আবার অস্ত্র হাতে সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি অথবা নিতে পারেনি। এরা সরকার-সমর্থক ছাত্রলীগের বিভিন্ন গ্রুপের সন্ত্রাসী বলে পরিচিত। এদের যদি গ্রেপ্তার না করা হয়, তাহলে সিলেটে নির্বাচনের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, যার দায়দায়িত্ব এসে পড়বে সরকারের ওপর। তাই সিলেটসহ সব সিটি করপোরেশনে চিহ্নিত দুর্বৃত্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে সরকারকে সদিচ্ছার প্রমাণ দিতে হবে।
No comments