অ্যাভন-তীরেতিনি
এযাবৎ ধর্মগ্রন্থ ছাড়া ইংরেজি ভাষায় সর্বাধিক যাঁর উদ্ধৃতি ব্যবহূত হয়েছে, তিনি শেক্সপিয়ার। বাংলা ভাষায় রবীন্দ্রনাথ। ইংরেজি ভাষার লেখকদের সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছেন ইনি আর বাংলা ভাষার তিনি। ব্যাপারটা এই যে, বিলেতের সাহিত্য বললেই মনে হয় শেক্সপিয়ারের কথা আর ভারতীয় সাহিত্য বললে রবীন্দ্রনাথ। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে এই বিলেতের তীর্থ স্ট্র্যাটফোর্ড আপন অ্যাভন আর ভারতে শান্তিনিকেতন।
শেক্সপিয়ারের দেশে থাকি বলেই সেখানে যাওয়ার নানান ছুতো খুঁজি। কিন্তু যাওয়া এত সোজা নয়। ট্রেনে লন্ডনের মার্লিবোন স্টেশন থেকে ব্রিটিশ রেলে উঠলে লাগে কেবল জার্নি টাইমই আড়াই ঘণ্টা। শেক্সপিয়ারের জন্মস্থান দেখতে গিয়েছি তিনবার। কিন্তু এখনো ঘোর কাটল না।
১৯৭৬ সালে প্রথমবার। সেবারই প্রথম বিলেতে বেড়াতে এসে বুশ হাউসে বিবিসি রেডিওর বাংলা বিভাগে কদিন ফ্রিল্যান্স কাজ করছিলাম, শ্যামল লোধের সঙ্গে। কঠিন কঠিন সব ঐতিহাসিক জিনিস অনুবাদ করে পড়তাম। সেবারই উইন্ডসর প্রাসাদের রাজকীয় খুনাবলি পড়তে পড়তে মন চলে যাচ্ছিল শেক্সপিয়ারের সময়ে! আর হাতের কাছেই অ্যাভন। আমরা দুই বোন তাদের স্বামী ও বাচ্চাদের পথে সড়কপথে চলে গেলাম শেক্সপিয়ারের জন্মগ্রামে। নদীর পাড় এমনভাবে বাঁধানো হয়েছে, যেন ঘাটলা। নিচু নিচু ছাদের চুনকাম করা কালো কাঠের বিমে আটকানো সাদা সাদা বাড়িগুলো দেখলাম, গা কাঁটা দিল। দূর থেকে মনে হচ্ছিল, সাদা সনেটগুচ্ছ। ওপর আর নিচতলা—আট আর ছয়ে ঠিক বসে আছে। ভাবাবেগের চূড়ান্ত আর কি!
তখন টিকিটের দাম বেশি ছিল না। ভিড়ও ছিল না ভয়ানক। দর্শনীয় সবকিছুরই খুব কাছে যাওয়া যেত। দেখা যেত শেক্সপিয়ারের আঁশ ও আঁচড়। এক জায়গায় দেখি, গুটি কয়েক পাগল দর্শনার্থী গার্ডের চোখ এড়িয়ে কাচের জানালায় চুলের কাঁটা ও ক্লিপ দিয়ে স্ক্র্যাচ করে নিজের নাম লিখে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। সেখানে অনেক আঁকিবুঁকি। কত বছর ধরে এ দুষ্টুমি চলছে, কে তা জানে!
দ্বিতীয়বার গিয়ে আর কাছে যেতে পারি না। কিন্তু যখন কাঠের বিছানার পাশ দিয়ে যাচ্ছি—যেটার নিচে টানা এক ট্রের মতো দড়ির খাটে তাঁর সঙ্গে অন্যান্য বাচ্চাকে বেঁধে শোয়ানো হতো—আমি আবার লুকিয়ে একটু ছুঁয়ে নিলাম। হে কবি, একবার শুধু একবার আমার মগজে ভর করো। একটি সনেট কবি শুধু একটি কালজয়ী কবিতা...। তবু গার্ড ছুটে এল। অচিরে এখানেও ব্যারিকেড দেওয়া হবে। এবার গেলাম মাত্র কদিন আগে, গত মাসে আবার শেক্সপিয়ার বার্থ প্লেস ট্রাস্ট আয়োজিত রবীন্দ্রনাথের নোবেল বিজয়ার্জনের শতবর্ষ উদ্যাপনে। সেই শতবর্ষ আগে ১৯১৩ সালে তিনি পেয়েছিলেন নোবেল। তিনি ছিলেন প্রথম এশিয়ান, যিনি এই বিরল সম্মান পান। তার মাত্র এক বছর আগে ১৯১২-তে গীতাঞ্জলিসহ আরও কিছু কবিতার নিজস্ব অনুবাদে ‘সং অফারিংস’ নামকরণ করে সে পাণ্ডুলিপি হাতে জোব্বা পরে কবি ঘুরেছেন লন্ডনের এ-মাথা থেকে ও-মাথা। একপর্যায়ে তো চ্যারিংক্রস স্টেশনে তা ট্রেনে হারিয়েও ফেলেন। ভাগ্যিস, তখনো বিলেতের ‘লস্ট লাগেজ’ ব্যবস্থাপনা ছিল! তাই তা আবার পাওয়া গেল। সেবারই কবি উইলিয়াম বার্টলার ইয়েটসের সঙ্গে তাঁর আলাপ-আলোচনা আর ইয়েটসের এ ভিনদেশি কবির প্রতি মুগ্ধতা গজায়। বোধ করি, সেবারই ম্যাকমিলান থেকে তাঁর কবিতা সংকলন বেরোয়। নোবেল পাওয়ার পর তাঁর পরিচিতি, খ্যাতি ও বিদেশভ্রমণ সব বিশ্বমাত্রা স্পর্শ করে। তাঁর সৃষ্টিকর্মে বিদেশি বিজ্ঞানী, লেখক, চিন্তাবিদ, কবি এবং বিশ্বসাহিত্যের প্রণোদনা লক্ষণীয় হয়ে ওঠে। গীতাঞ্জলি বিভিন্ন সম্পাদনায় সারা বিশ্বে পৌঁছে যায়।
আমরা বসে ছিলাম বাগানে কাঠের বেঞ্চে জ্যোতি বসুর দেওয়া রবীন্দ্রনাথের আবক্ষ স্থাপত্যের বাঁয়ে। বাতাসে চেরি ব্লসমের গোলাপি পাপড়িগুলো উড়ে উড়ে আমার চুল বেয়ে শাড়িতে পড়ছিল, আমি চোখ বুজে বাতাসে দুজনেরই দাগ দেখতে পাচ্ছিলাম।
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের এক অপূর্ব সংশ্লেষ। কথাটা ২০১১ সালে লিখেছিলেন ইংল্যান্ডের দ্য গার্ডিয়ান-এর সাহিত্য সম্পাদক ইয়ান জ্যাক (রবীন্দ্রনাথ জানুয়ারি ২০১৩, সম্পাদক পূর্ণেন্দু মিত্র)। মনে হলো, বিশ্বকবি যেভাবে বৈশ্বিক চেতনা ধারণ করে তাঁর মর্মবাণী প্রতিনিয়ত বাংলায় প্রতিফলন করেছেন, তাতে একমাত্র শেক্সপিয়ারের কথাই মাথায় আসে। আবার রচনা ও ব্যক্তিত্বের বহুমাত্রিকতার কথা ভাবতে গেলে তখন তিনিই অনন্য হয়ে দাঁড়ান। তাঁর কর্ম ও সৃষ্টি ছিল সারা পৃথিবীর সমস্ত সংস্কৃতির এক বিরল প্রমাণ, যা কিনা দেড় শ বছরেও এতটুকু ক্ষয় হলো না।
ভারতের হাইকমিশনার, বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং স্থানীয় মেয়র মিলেই তাঁর শুরুটা হলো বাগানে। ভারতের হাইকমিশনার উদ্বোধন করলেন অনুষ্ঠানের আর পরে ভেতরে উলফসন হলে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজারুল কায়েস মোড়ক উন্মোচন করলেন চ্যানেল আই ও সুরের ধারার গীতবিতানের দুই হাজার ২২২টি গানের সিডির। বাগানে অভি ও কাবেরী চ্যাটার্জির ধারাবর্ণনার সঙ্গে সে সময়ের পোশাকে সজ্জিত শেক্সপিয়ার বার্থ প্লেস ট্রাস্টের শিল্পীরা পাঠ করছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার ইংরেজি অনুবাদ। তাঁদের পোশাক, চুল আটকানোর স্টাইল, পায়ের জুতা—সবই যেন সেই শতাব্দীর। তিনি জন্মেছিলেন ১৫৬৪ আর মারা যান ১৬১৬-তে কিন্তু একই দিনে ২৩ এপ্রিলে।
আজ যেখানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের আবক্ষ স্থাপত্য ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে, সেখানে তিনিও কি দাঁড়িয়েছেন হাতে জোড়াতালি দেওয়া নতুন নাটক নিয়ে! কিন্তু তিনি কি কখনো ভেবেছেন, কয়েক বছর নয়, কয়েক শতাব্দী পর এখানেই আরেক মহাকবির কবিতা পঠিত হবে! তাঁরই বাগানে, তাঁর কথা স্মরণ করে উদ্যাপিত হবে আরেক বিশ্বকবির নোবেল বিজয়ের শতবর্ষ অনুষ্ঠান!
আন্তর্জাতিক এ মোড়ক উন্মোচনের আগে সাহিত্যবোদ্ধা ও শিল্পরসিক বাংলাদেশের হাইকমিশনার রবীন্দ্রনাথ ও শেক্সপিয়ারের সৃষ্টি নিয়ে যে বক্তব্য দিলেন, তাতে হেনলি স্ট্রিটের সব অতিথি মুগ্ধতার আবেশে কিছুক্ষণ নিঃশব্দ হয়ে রইলেন। তিনি ট্রাস্টকে আরও উপহার দিলেন বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীদের আঁকা অ্যাচিংয়ের এক শয়ের একটি।
কবিগুরুর সূত্র ধরে শেক্সপিয়ারের গ্রামে আঁকা হলো বাংলাদেশের নাম।
শামীম আজাদ: কবি ও কলাম লেখক।
shetuli@yahoo.com
শেক্সপিয়ারের দেশে থাকি বলেই সেখানে যাওয়ার নানান ছুতো খুঁজি। কিন্তু যাওয়া এত সোজা নয়। ট্রেনে লন্ডনের মার্লিবোন স্টেশন থেকে ব্রিটিশ রেলে উঠলে লাগে কেবল জার্নি টাইমই আড়াই ঘণ্টা। শেক্সপিয়ারের জন্মস্থান দেখতে গিয়েছি তিনবার। কিন্তু এখনো ঘোর কাটল না।
১৯৭৬ সালে প্রথমবার। সেবারই প্রথম বিলেতে বেড়াতে এসে বুশ হাউসে বিবিসি রেডিওর বাংলা বিভাগে কদিন ফ্রিল্যান্স কাজ করছিলাম, শ্যামল লোধের সঙ্গে। কঠিন কঠিন সব ঐতিহাসিক জিনিস অনুবাদ করে পড়তাম। সেবারই উইন্ডসর প্রাসাদের রাজকীয় খুনাবলি পড়তে পড়তে মন চলে যাচ্ছিল শেক্সপিয়ারের সময়ে! আর হাতের কাছেই অ্যাভন। আমরা দুই বোন তাদের স্বামী ও বাচ্চাদের পথে সড়কপথে চলে গেলাম শেক্সপিয়ারের জন্মগ্রামে। নদীর পাড় এমনভাবে বাঁধানো হয়েছে, যেন ঘাটলা। নিচু নিচু ছাদের চুনকাম করা কালো কাঠের বিমে আটকানো সাদা সাদা বাড়িগুলো দেখলাম, গা কাঁটা দিল। দূর থেকে মনে হচ্ছিল, সাদা সনেটগুচ্ছ। ওপর আর নিচতলা—আট আর ছয়ে ঠিক বসে আছে। ভাবাবেগের চূড়ান্ত আর কি!
তখন টিকিটের দাম বেশি ছিল না। ভিড়ও ছিল না ভয়ানক। দর্শনীয় সবকিছুরই খুব কাছে যাওয়া যেত। দেখা যেত শেক্সপিয়ারের আঁশ ও আঁচড়। এক জায়গায় দেখি, গুটি কয়েক পাগল দর্শনার্থী গার্ডের চোখ এড়িয়ে কাচের জানালায় চুলের কাঁটা ও ক্লিপ দিয়ে স্ক্র্যাচ করে নিজের নাম লিখে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। সেখানে অনেক আঁকিবুঁকি। কত বছর ধরে এ দুষ্টুমি চলছে, কে তা জানে!
দ্বিতীয়বার গিয়ে আর কাছে যেতে পারি না। কিন্তু যখন কাঠের বিছানার পাশ দিয়ে যাচ্ছি—যেটার নিচে টানা এক ট্রের মতো দড়ির খাটে তাঁর সঙ্গে অন্যান্য বাচ্চাকে বেঁধে শোয়ানো হতো—আমি আবার লুকিয়ে একটু ছুঁয়ে নিলাম। হে কবি, একবার শুধু একবার আমার মগজে ভর করো। একটি সনেট কবি শুধু একটি কালজয়ী কবিতা...। তবু গার্ড ছুটে এল। অচিরে এখানেও ব্যারিকেড দেওয়া হবে। এবার গেলাম মাত্র কদিন আগে, গত মাসে আবার শেক্সপিয়ার বার্থ প্লেস ট্রাস্ট আয়োজিত রবীন্দ্রনাথের নোবেল বিজয়ার্জনের শতবর্ষ উদ্যাপনে। সেই শতবর্ষ আগে ১৯১৩ সালে তিনি পেয়েছিলেন নোবেল। তিনি ছিলেন প্রথম এশিয়ান, যিনি এই বিরল সম্মান পান। তার মাত্র এক বছর আগে ১৯১২-তে গীতাঞ্জলিসহ আরও কিছু কবিতার নিজস্ব অনুবাদে ‘সং অফারিংস’ নামকরণ করে সে পাণ্ডুলিপি হাতে জোব্বা পরে কবি ঘুরেছেন লন্ডনের এ-মাথা থেকে ও-মাথা। একপর্যায়ে তো চ্যারিংক্রস স্টেশনে তা ট্রেনে হারিয়েও ফেলেন। ভাগ্যিস, তখনো বিলেতের ‘লস্ট লাগেজ’ ব্যবস্থাপনা ছিল! তাই তা আবার পাওয়া গেল। সেবারই কবি উইলিয়াম বার্টলার ইয়েটসের সঙ্গে তাঁর আলাপ-আলোচনা আর ইয়েটসের এ ভিনদেশি কবির প্রতি মুগ্ধতা গজায়। বোধ করি, সেবারই ম্যাকমিলান থেকে তাঁর কবিতা সংকলন বেরোয়। নোবেল পাওয়ার পর তাঁর পরিচিতি, খ্যাতি ও বিদেশভ্রমণ সব বিশ্বমাত্রা স্পর্শ করে। তাঁর সৃষ্টিকর্মে বিদেশি বিজ্ঞানী, লেখক, চিন্তাবিদ, কবি এবং বিশ্বসাহিত্যের প্রণোদনা লক্ষণীয় হয়ে ওঠে। গীতাঞ্জলি বিভিন্ন সম্পাদনায় সারা বিশ্বে পৌঁছে যায়।
আমরা বসে ছিলাম বাগানে কাঠের বেঞ্চে জ্যোতি বসুর দেওয়া রবীন্দ্রনাথের আবক্ষ স্থাপত্যের বাঁয়ে। বাতাসে চেরি ব্লসমের গোলাপি পাপড়িগুলো উড়ে উড়ে আমার চুল বেয়ে শাড়িতে পড়ছিল, আমি চোখ বুজে বাতাসে দুজনেরই দাগ দেখতে পাচ্ছিলাম।
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের এক অপূর্ব সংশ্লেষ। কথাটা ২০১১ সালে লিখেছিলেন ইংল্যান্ডের দ্য গার্ডিয়ান-এর সাহিত্য সম্পাদক ইয়ান জ্যাক (রবীন্দ্রনাথ জানুয়ারি ২০১৩, সম্পাদক পূর্ণেন্দু মিত্র)। মনে হলো, বিশ্বকবি যেভাবে বৈশ্বিক চেতনা ধারণ করে তাঁর মর্মবাণী প্রতিনিয়ত বাংলায় প্রতিফলন করেছেন, তাতে একমাত্র শেক্সপিয়ারের কথাই মাথায় আসে। আবার রচনা ও ব্যক্তিত্বের বহুমাত্রিকতার কথা ভাবতে গেলে তখন তিনিই অনন্য হয়ে দাঁড়ান। তাঁর কর্ম ও সৃষ্টি ছিল সারা পৃথিবীর সমস্ত সংস্কৃতির এক বিরল প্রমাণ, যা কিনা দেড় শ বছরেও এতটুকু ক্ষয় হলো না।
ভারতের হাইকমিশনার, বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং স্থানীয় মেয়র মিলেই তাঁর শুরুটা হলো বাগানে। ভারতের হাইকমিশনার উদ্বোধন করলেন অনুষ্ঠানের আর পরে ভেতরে উলফসন হলে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজারুল কায়েস মোড়ক উন্মোচন করলেন চ্যানেল আই ও সুরের ধারার গীতবিতানের দুই হাজার ২২২টি গানের সিডির। বাগানে অভি ও কাবেরী চ্যাটার্জির ধারাবর্ণনার সঙ্গে সে সময়ের পোশাকে সজ্জিত শেক্সপিয়ার বার্থ প্লেস ট্রাস্টের শিল্পীরা পাঠ করছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার ইংরেজি অনুবাদ। তাঁদের পোশাক, চুল আটকানোর স্টাইল, পায়ের জুতা—সবই যেন সেই শতাব্দীর। তিনি জন্মেছিলেন ১৫৬৪ আর মারা যান ১৬১৬-তে কিন্তু একই দিনে ২৩ এপ্রিলে।
আজ যেখানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের আবক্ষ স্থাপত্য ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে, সেখানে তিনিও কি দাঁড়িয়েছেন হাতে জোড়াতালি দেওয়া নতুন নাটক নিয়ে! কিন্তু তিনি কি কখনো ভেবেছেন, কয়েক বছর নয়, কয়েক শতাব্দী পর এখানেই আরেক মহাকবির কবিতা পঠিত হবে! তাঁরই বাগানে, তাঁর কথা স্মরণ করে উদ্যাপিত হবে আরেক বিশ্বকবির নোবেল বিজয়ের শতবর্ষ অনুষ্ঠান!
আন্তর্জাতিক এ মোড়ক উন্মোচনের আগে সাহিত্যবোদ্ধা ও শিল্পরসিক বাংলাদেশের হাইকমিশনার রবীন্দ্রনাথ ও শেক্সপিয়ারের সৃষ্টি নিয়ে যে বক্তব্য দিলেন, তাতে হেনলি স্ট্রিটের সব অতিথি মুগ্ধতার আবেশে কিছুক্ষণ নিঃশব্দ হয়ে রইলেন। তিনি ট্রাস্টকে আরও উপহার দিলেন বাংলাদেশের চিত্রশিল্পীদের আঁকা অ্যাচিংয়ের এক শয়ের একটি।
কবিগুরুর সূত্র ধরে শেক্সপিয়ারের গ্রামে আঁকা হলো বাংলাদেশের নাম।
শামীম আজাদ: কবি ও কলাম লেখক।
shetuli@yahoo.com
No comments