তৃতীয় দফা ভোট গ্রহণ আজ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে আজ তৃতীয় দফায় ভোট গ্রহণ করা হবে। কলকাতাসহ উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ৭৫টি আসনে এ ভোট নেওয়া হবে। এর মধ্যে কলকাতা মহানগরে ১১টি, পার্শ্ববর্তী উত্তর চব্বিশ পরগনায় ৩৩টি ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ৩১টি আসন রয়েছে। নির্বাচনে ৪৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে নারী প্রার্থী ৪৬ জন। সব কটি আসনেই বামফ্রন্ট, কংগ্রেস-তৃণমূল জোট ও বিজেপির মনোনীত প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ দফায় ১৭ হাজার ৭৯২টি বুথে এক কোটি ৭৪ লাখ ৫৫ হাজার ৩৭৬ জন ভোটার ভোট দিচ্ছেন।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে ইতিমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ৬১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যসহ ১২ জন মন্ত্রীর ভাগ্য আজকের নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে। পক্ষান্তরে রাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, সাবেক মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ফিকি) মহাসচিব অমিত মিত্র, পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্য সচিব মনীষ গুপ্তের সাফল্যের ওপর তৃণমূল কংগ্রেসের ভাগ্য নির্ভর করছে। মনীষ গুপ্ত লড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেবের বিরুদ্ধে। আর অমিত মিত্র লড়ছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অন্য মন্ত্রীরা হলেন: গৌতম দেব, অসীম দাসগুপ্ত, আ. রেজ্জাক মোল্লা, রণজিৎ কুন্ডু, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, রেখা গোস্বামী, দেবেশ দাস, সুভাষ নস্কর, অনাদি সাহু, আবদুস সাত্তার, মোর্তজা হোসেন প্রমুখ।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ছয় দফার নির্বাচনে গত ১৮ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট নেওয়া হয়। ওই দিন ছয়টি জেলার ৫৪টি আসনে ভোট নেওয়া হয়। এরপর ২৩ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে রাজ্যের ৫০টি আসনে ভোট নেওয়া হয়। পরবর্তী দফায় আগামী ৩, ৭ ও ১০ মে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে ১৩ মে।
নিরাপত্তা জোরদার: আজকের নির্বাচনকে ঘিরে কলকাতা মহানগরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কলকাতায় ৮০১টি নির্বাচনী কেন্দ্রে দু্ই হাজার ৭৭৯টি বুথ রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি কেন্দ্রকে অতি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলো হলো: এন্টালি, বেলেঘাটা, মানিকতলা, শ্যামপুকুর, জোড়াসাঁকো ও কলকাতা বন্দর। এই ছয়টি কেন্দ্রের ৩৪৫টি বুথকে অতি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করায় সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে মোবাইল ফোনের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতার ৪৮টি থানাকে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কলকাতায় পুলিশের ১৬ হাজার ৫০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সঙ্গে থাকছে ৭৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানেরা। প্রস্তুত রাখা হয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সকেও। আর নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করতে কলকাতার পুলিশ সদর দপ্তর লালবাজারে বসানো হয়েছে তিনটি স্যাটেলাইট কন্ট্রোল রুম।
প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা: ’ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে আজকের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৪৭৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫৪ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ২৯ জন, বিজেপির ১৩ জন, সিপিএমের ১০ জন, কংগ্রেসের একজন ও আরএসপির একজন প্রার্থী রয়েছেন।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে ইতিমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ৬১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যসহ ১২ জন মন্ত্রীর ভাগ্য আজকের নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে। পক্ষান্তরে রাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, সাবেক মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ফিকি) মহাসচিব অমিত মিত্র, পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্য সচিব মনীষ গুপ্তের সাফল্যের ওপর তৃণমূল কংগ্রেসের ভাগ্য নির্ভর করছে। মনীষ গুপ্ত লড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেবের বিরুদ্ধে। আর অমিত মিত্র লড়ছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অন্য মন্ত্রীরা হলেন: গৌতম দেব, অসীম দাসগুপ্ত, আ. রেজ্জাক মোল্লা, রণজিৎ কুন্ডু, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, রেখা গোস্বামী, দেবেশ দাস, সুভাষ নস্কর, অনাদি সাহু, আবদুস সাত্তার, মোর্তজা হোসেন প্রমুখ।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ছয় দফার নির্বাচনে গত ১৮ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট নেওয়া হয়। ওই দিন ছয়টি জেলার ৫৪টি আসনে ভোট নেওয়া হয়। এরপর ২৩ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে রাজ্যের ৫০টি আসনে ভোট নেওয়া হয়। পরবর্তী দফায় আগামী ৩, ৭ ও ১০ মে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে ১৩ মে।
নিরাপত্তা জোরদার: আজকের নির্বাচনকে ঘিরে কলকাতা মহানগরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কলকাতায় ৮০১টি নির্বাচনী কেন্দ্রে দু্ই হাজার ৭৭৯টি বুথ রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি কেন্দ্রকে অতি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কেন্দ্রগুলো হলো: এন্টালি, বেলেঘাটা, মানিকতলা, শ্যামপুকুর, জোড়াসাঁকো ও কলকাতা বন্দর। এই ছয়টি কেন্দ্রের ৩৪৫টি বুথকে অতি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করায় সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে মোবাইল ফোনের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতার ৪৮টি থানাকে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কলকাতায় পুলিশের ১৬ হাজার ৫০০ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সঙ্গে থাকছে ৭৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানেরা। প্রস্তুত রাখা হয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সকেও। আর নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করতে কলকাতার পুলিশ সদর দপ্তর লালবাজারে বসানো হয়েছে তিনটি স্যাটেলাইট কন্ট্রোল রুম।
প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা: ’ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে আজকের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৪৭৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫৪ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের ২৯ জন, বিজেপির ১৩ জন, সিপিএমের ১০ জন, কংগ্রেসের একজন ও আরএসপির একজন প্রার্থী রয়েছেন।
No comments