প্রাতিষ্ঠানিক আয়করের হার কমিয়ে পুনর্নির্ধারণের দাবি
দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা আসন্ন ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটে প্রাতিষ্ঠানিক আয়করের (যা করপোরেট কর নামে পরিচিত) হার কমিয়ে আনাসহ বড় ধরনের পুনর্বিন্যাসের দাবি জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বারসহ বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠন সরকারের কাছে এই দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করেছে। তারা তাদের কাম্য হারও সুপারিশ করেছে।
বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাড়ে ৩৭ শতাংশ হারে প্রাতিষ্ঠানিক আয়কর দিতে হয়।
এফবিসিসিআইয়ের তালিকাভুক্ত নয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে বিদ্যমান আয়করের হার কমিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করে করের হার প্রস্তাব করা হয়েছে। এফবিসিসিআইয়ের সুপারিশ হলো, উৎপাদনকারী বা ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক আয়কর সাড়ে ২৭ শতাংশ আর এর বাইরের তথা কাববারি বা ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আয়করের হার ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে।
আবার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে বর্তমানে সাড়ে ২৭ শতাংশ হারে প্রাতিষ্ঠানিক আয়কর দিতে হয়। এফবিসিসিআই এই হার কমিয়ে ২৫ শতাংশে নির্ধারণের সুপারিশ করেছে।
আর ঢাকা চেম্বার তাদের প্রস্তাবে বলেছে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মুনাফার ওপর করের হার কমিয়ে ২০ শতাংশ করতে হবে।
আবার ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক আয়করের হার আলাদা। বর্তমানে ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাড়ে ৪২ শতাংশ হারে প্রাতিষ্ঠানিক আয়কর গুনতে হয়। ঢাকা চেম্বার এই হার ৪০ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেছে।
এ ছাড়া মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৪৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয়। ঢাকা চেম্বার এই হার কমিয়ে সাড়ে ৪২ শতাংশ নির্ধারণের পক্ষে।
ঢাকা চেম্বার আরও মনে করে, যেসব প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে, সেসব প্রতিষ্ঠানের আয়করের হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৩২ শতাংশ করা যেতে পারে। তবে শর্ত হিসেবে শেয়ার ছাড়ার ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের বদলে ২০ শতাংশ পুনর্নির্ধারণেরও প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।
প্রাতিষ্ঠানিক আয়কর কমানোর যুক্তি হিসেবে ঢাকা চেম্বার বলছে, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে (যেমন: চীন, মালয়েশিয়া) করপোরেট করের হার ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলা এবং দেশের বিনিয়োগ ও উৎপাদন খাতকে উৎসাহিত করতে এখানেও করপোরেট করের হার যৌক্তিকীকরণ প্রয়োজন।
এফবিসিসিআই বলছে, দেশে বিদ্যমান করপোরেট করের হার অনেক বেশি, যা অনেক ক্ষেত্রে সঠিক আয় প্রদর্শনে করদাতাদের নিরুৎসাহিত করে। এই হার সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে এলে করদাতা কোম্পানি অধিক কর প্রদানে এগিয়ে আসবে।
আবার ম্যানুফ্যাকচারিং ও ট্রেডিং উভয় কোম্পানির ক্ষেত্রে একই হারে কর আরোপ যুক্তিযুক্ত নয়। ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেক বেশি বিধায় তাদের প্রণোদনা প্রদানের জন্য ট্রেডিং কোম্পানির চেয়ে নিম্নহারে কর আরোপণ যুক্তিযুক্ত।
এফবিসিসিআই তফসিলভুক্ত সিএসআর (সামাজিক দায়বদ্ধতা) কার্যক্রম, পণ্যমান পরীক্ষণব্যবস্থা, ফ্যাসিলিটি টুল সেন্টার স্থাপন, প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রভৃতি খাতের ব্যয় আয়করমুক্ত রাখার সুপারিশ করেছে।
পাশাপাশি এনজিওগুলো কর্তৃক বাণিজ্যিক ব্যবসার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকৃত পুঁজি এবং এর দ্বারা পরিচালিত ব্যবসা-বাণিজ্য উভয়ই মূলধারার ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে সমহারে আয়করের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
এফবিসিসিআই আরও মনে করে, পদ-পদবিনির্বিশেষে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের সবাইকে করের আওতায় আনা প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে তাদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন-আয় যদিও করযোগ্য, বাস্তবে তা করমুক্ত। কারণ তাঁরা বেতন আয়ের ওপর যে পরিমাণ কর প্রদান করেন, তা পরবর্তী সময়ে সরকারি কোষাগার থেকে বিলের মাধ্যমে উঠিয়ে নেন। অথচ বেসরকারি খাতের ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা কর্তৃক পরিশোধিত কর আয়ের সঙ্গে যোগ করে করের হার নির্ধারণ ও তদনুযায়ী পরিশোধ করতে হয়।
করমুক্তির এই বৈষম্যমূলক সুযোগ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে এফবিসিসিআই।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই), ঢাকা চেম্বারসহ বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠন সরকারের কাছে এই দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করেছে। তারা তাদের কাম্য হারও সুপারিশ করেছে।
বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাড়ে ৩৭ শতাংশ হারে প্রাতিষ্ঠানিক আয়কর দিতে হয়।
এফবিসিসিআইয়ের তালিকাভুক্ত নয় এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে বিদ্যমান আয়করের হার কমিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করে করের হার প্রস্তাব করা হয়েছে। এফবিসিসিআইয়ের সুপারিশ হলো, উৎপাদনকারী বা ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক আয়কর সাড়ে ২৭ শতাংশ আর এর বাইরের তথা কাববারি বা ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আয়করের হার ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করতে হবে।
আবার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে বর্তমানে সাড়ে ২৭ শতাংশ হারে প্রাতিষ্ঠানিক আয়কর দিতে হয়। এফবিসিসিআই এই হার কমিয়ে ২৫ শতাংশে নির্ধারণের সুপারিশ করেছে।
আর ঢাকা চেম্বার তাদের প্রস্তাবে বলেছে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মুনাফার ওপর করের হার কমিয়ে ২০ শতাংশ করতে হবে।
আবার ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক আয়করের হার আলাদা। বর্তমানে ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাড়ে ৪২ শতাংশ হারে প্রাতিষ্ঠানিক আয়কর গুনতে হয়। ঢাকা চেম্বার এই হার ৪০ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেছে।
এ ছাড়া মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৪৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয়। ঢাকা চেম্বার এই হার কমিয়ে সাড়ে ৪২ শতাংশ নির্ধারণের পক্ষে।
ঢাকা চেম্বার আরও মনে করে, যেসব প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে, সেসব প্রতিষ্ঠানের আয়করের হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৩২ শতাংশ করা যেতে পারে। তবে শর্ত হিসেবে শেয়ার ছাড়ার ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের বদলে ২০ শতাংশ পুনর্নির্ধারণেরও প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।
প্রাতিষ্ঠানিক আয়কর কমানোর যুক্তি হিসেবে ঢাকা চেম্বার বলছে, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে (যেমন: চীন, মালয়েশিয়া) করপোরেট করের হার ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলা এবং দেশের বিনিয়োগ ও উৎপাদন খাতকে উৎসাহিত করতে এখানেও করপোরেট করের হার যৌক্তিকীকরণ প্রয়োজন।
এফবিসিসিআই বলছে, দেশে বিদ্যমান করপোরেট করের হার অনেক বেশি, যা অনেক ক্ষেত্রে সঠিক আয় প্রদর্শনে করদাতাদের নিরুৎসাহিত করে। এই হার সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে এলে করদাতা কোম্পানি অধিক কর প্রদানে এগিয়ে আসবে।
আবার ম্যানুফ্যাকচারিং ও ট্রেডিং উভয় কোম্পানির ক্ষেত্রে একই হারে কর আরোপ যুক্তিযুক্ত নয়। ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেক বেশি বিধায় তাদের প্রণোদনা প্রদানের জন্য ট্রেডিং কোম্পানির চেয়ে নিম্নহারে কর আরোপণ যুক্তিযুক্ত।
এফবিসিসিআই তফসিলভুক্ত সিএসআর (সামাজিক দায়বদ্ধতা) কার্যক্রম, পণ্যমান পরীক্ষণব্যবস্থা, ফ্যাসিলিটি টুল সেন্টার স্থাপন, প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রভৃতি খাতের ব্যয় আয়করমুক্ত রাখার সুপারিশ করেছে।
পাশাপাশি এনজিওগুলো কর্তৃক বাণিজ্যিক ব্যবসার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকৃত পুঁজি এবং এর দ্বারা পরিচালিত ব্যবসা-বাণিজ্য উভয়ই মূলধারার ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে সমহারে আয়করের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
এফবিসিসিআই আরও মনে করে, পদ-পদবিনির্বিশেষে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের সবাইকে করের আওতায় আনা প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে তাদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন-আয় যদিও করযোগ্য, বাস্তবে তা করমুক্ত। কারণ তাঁরা বেতন আয়ের ওপর যে পরিমাণ কর প্রদান করেন, তা পরবর্তী সময়ে সরকারি কোষাগার থেকে বিলের মাধ্যমে উঠিয়ে নেন। অথচ বেসরকারি খাতের ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা কর্তৃক পরিশোধিত কর আয়ের সঙ্গে যোগ করে করের হার নির্ধারণ ও তদনুযায়ী পরিশোধ করতে হয়।
করমুক্তির এই বৈষম্যমূলক সুযোগ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে এফবিসিসিআই।
No comments