মরিনহোর ইট, গার্দিওলার পাটকেল
ডাগ-আউটে দাঁড়িয়ে হাত-পা ছুড়ছেন, তারস্বরে চিৎকার করে খেলোয়াড়দের নির্দেশ দিচ্ছেন—পেপ গার্দিওলার এই ছবিটা খুব চেনা। এত দিনের চেনা ছবিটা তো এমনও ছিল যে স্যুট-টাইয়ে পরিপাটি বার্সেলোনার কোচ মাঠের বাইরে এই পোশাকের মতোই মার্জিত। বিতর্কিত মন্তব্য করেন না, আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। প্রতিপক্ষ দলের কোচ এবং রেফারির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু এই গার্দিওলাই চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগের আগে নিজের আরেকটা রূপও দেখালেন। সরাসরি আক্রমণ করলেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ হোসে মরিনহোকে। এএফপি, রয়টার্স।
ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার জন্যও প্রস্তুত থাকতে হয়। রিয়াল কোচ মরিনহোই ইটটা প্রথমে মেরেছিলেন। প্রতিপক্ষকে খোঁচা মারায় ওস্তাদ পর্তুগিজ কোচ বলেছিলেন পেপ গার্দিওলা সেই নতুন গোত্রের কোচ, যাঁরা রেফারির সঠিক সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। এত দিন মরিনহোর চোখে কোচ ছিলেন দুই প্রজাতির, ‘একটা হলো খুবই ক্ষুদ্র একটা দল যারা রেফারিকে নিয়ে কোনো কথাই বলে না। আরেকটি বড় দল, যে দলে আমিও আছি, যারা রেফারিদের মারাত্মক ভুলের সমালোচনা করেন।’ কিন্তু গার্দিওলা তাঁর কাছে বিস্ময়করভাবে তৃতীয় এবং নতুন গোত্রের কোচ, ‘সেদিন পেপ যা ঘোষণা করল, তাতে আমরা তৃতীয় একটি দলকে নিয়ে নতুন যুগে প্রবেশ করলাম। এই মুহূর্তে এই দলের একমাত্র সদস্য সে, যারা রেফারির সঠিক সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করে। বিশ্ব ফুটবলে এমনটি আমি আর কখনো দেখিনি।’
গার্দিওলার কথিত রেফারির সমালোচনার ঘটনা কিংস কাপ ফাইনালের পর। রেফারি বার্সেলোনা উইঙ্গার পেদ্রোর একটা গোল বাতিল করেছিলেন অফসাইড দেখিয়ে। সেই সিদ্ধান্ত সঠিকই ছিল। অতিরিক্ত সময়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোলে পরাজয়ের বেদনা থেকে বার্সেলোনা কোচ রেফারির সমালোচনা করেছিলেন। যদিও গার্দিওলা দাবি করছেন, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
মরিনহো আরেকটি এল ক্লাসিকোর আগে গত মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে এটি নিয়েই গার্দিওলাকে ব্যঙ্গভরে খোঁচা দিয়েছিলেন। আরেকটা কারণও ছিল। গত রাতের ম্যাচের জন্য জার্মান উলফগ্যাং স্টার্ককে রেফারি ঘোষণা করার আগে পর্তুগালের পেদ্রো প্রয়েঙ্কার নাম শোনা গিয়েছিল। গার্দিওলা তখন বলেছিলেন, প্রয়েঙ্কাকে রেফারি করা হলে পর্তুগিজ মরিনহো ‘খুব খুশি’ হবেন। মরিনহো কি এটা শুনে চুপ করে থাকার লোক!
তবে গার্দিওলার কাছ থেকে এমন জবাব হয়তো তিনি প্রত্যাশা করেননি। নব্বইয়ের দশকে মরিনহো যখন বার্সেলোনার সহকারী কোচ, গার্দিওলা তখন সেই দলের খেলোয়াড়। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের কোচের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের একটা আবরণ তাই ছিলই। মরিনহোর আক্রমণে সেই আবরণ ছিঁড়ে বেরিয়ে এলেন এক ক্ষুব্ধ গার্দিওলা, ‘মিস্টার মরিনহো যেহেতু সরাসরি আমার নাম উল্লেখ করেছেন, আমিও একই কাজ করব। আমরা একসঙ্গে চার বছর কাজ করেছি। তিনি আমাকে চেনেন, আমিও তাঁকে চিনি, আমি এটাই মনে রাখতে চাই। আপনি একসঙ্গে কাজ করেছেন এমন কেউ যদি আপনার চেয়ে পত্রিকার খবরকেই বেশি বিশ্বাস করেন, সেটি খুব বাজে লাগে।’
সাংবাদিকদের হতভম্ব করে দিয়ে এরপর তীব্র শ্লেষভরে গার্দিওলা বলেছেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে তিনিই বস, সবার ওস্তাদ, এই বিশ্বের সবচেয়ে জ্ঞানী লোক। আমি এক মুহূর্তের জন্যও তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই না। আগামীকাল (বুধবার) রাত ৮.৪৫ মিনিটে মাঠেই আমাদের দেখা হবে। তবে মাঠের বাইরে তিনি (মরিনহো) এরই মধ্যে জয়ী। এ জন্য আমি তাঁর হাতে আগেই ব্যক্তিগত চ্যাম্পিয়নস লিগ তুলে দিচ্ছি। তিনি তা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে উপভোগ করতে পারেন। তিনি এ বিষয়ে একজন জাদুকর এবং আমি অবিরত খোঁচাখুঁচির এই খেলায় নামতে চাই না।’
দুই কোচের কথার লড়াইয়ের পর মাঠের লড়াইয়ে কে জিতলেন, সেটি হয়তো এরই মধ্যে জেনে গেছেন আপনি।
ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার জন্যও প্রস্তুত থাকতে হয়। রিয়াল কোচ মরিনহোই ইটটা প্রথমে মেরেছিলেন। প্রতিপক্ষকে খোঁচা মারায় ওস্তাদ পর্তুগিজ কোচ বলেছিলেন পেপ গার্দিওলা সেই নতুন গোত্রের কোচ, যাঁরা রেফারির সঠিক সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন। এত দিন মরিনহোর চোখে কোচ ছিলেন দুই প্রজাতির, ‘একটা হলো খুবই ক্ষুদ্র একটা দল যারা রেফারিকে নিয়ে কোনো কথাই বলে না। আরেকটি বড় দল, যে দলে আমিও আছি, যারা রেফারিদের মারাত্মক ভুলের সমালোচনা করেন।’ কিন্তু গার্দিওলা তাঁর কাছে বিস্ময়করভাবে তৃতীয় এবং নতুন গোত্রের কোচ, ‘সেদিন পেপ যা ঘোষণা করল, তাতে আমরা তৃতীয় একটি দলকে নিয়ে নতুন যুগে প্রবেশ করলাম। এই মুহূর্তে এই দলের একমাত্র সদস্য সে, যারা রেফারির সঠিক সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করে। বিশ্ব ফুটবলে এমনটি আমি আর কখনো দেখিনি।’
গার্দিওলার কথিত রেফারির সমালোচনার ঘটনা কিংস কাপ ফাইনালের পর। রেফারি বার্সেলোনা উইঙ্গার পেদ্রোর একটা গোল বাতিল করেছিলেন অফসাইড দেখিয়ে। সেই সিদ্ধান্ত সঠিকই ছিল। অতিরিক্ত সময়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোলে পরাজয়ের বেদনা থেকে বার্সেলোনা কোচ রেফারির সমালোচনা করেছিলেন। যদিও গার্দিওলা দাবি করছেন, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
মরিনহো আরেকটি এল ক্লাসিকোর আগে গত মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে এটি নিয়েই গার্দিওলাকে ব্যঙ্গভরে খোঁচা দিয়েছিলেন। আরেকটা কারণও ছিল। গত রাতের ম্যাচের জন্য জার্মান উলফগ্যাং স্টার্ককে রেফারি ঘোষণা করার আগে পর্তুগালের পেদ্রো প্রয়েঙ্কার নাম শোনা গিয়েছিল। গার্দিওলা তখন বলেছিলেন, প্রয়েঙ্কাকে রেফারি করা হলে পর্তুগিজ মরিনহো ‘খুব খুশি’ হবেন। মরিনহো কি এটা শুনে চুপ করে থাকার লোক!
তবে গার্দিওলার কাছ থেকে এমন জবাব হয়তো তিনি প্রত্যাশা করেননি। নব্বইয়ের দশকে মরিনহো যখন বার্সেলোনার সহকারী কোচ, গার্দিওলা তখন সেই দলের খেলোয়াড়। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের কোচের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের একটা আবরণ তাই ছিলই। মরিনহোর আক্রমণে সেই আবরণ ছিঁড়ে বেরিয়ে এলেন এক ক্ষুব্ধ গার্দিওলা, ‘মিস্টার মরিনহো যেহেতু সরাসরি আমার নাম উল্লেখ করেছেন, আমিও একই কাজ করব। আমরা একসঙ্গে চার বছর কাজ করেছি। তিনি আমাকে চেনেন, আমিও তাঁকে চিনি, আমি এটাই মনে রাখতে চাই। আপনি একসঙ্গে কাজ করেছেন এমন কেউ যদি আপনার চেয়ে পত্রিকার খবরকেই বেশি বিশ্বাস করেন, সেটি খুব বাজে লাগে।’
সাংবাদিকদের হতভম্ব করে দিয়ে এরপর তীব্র শ্লেষভরে গার্দিওলা বলেছেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে তিনিই বস, সবার ওস্তাদ, এই বিশ্বের সবচেয়ে জ্ঞানী লোক। আমি এক মুহূর্তের জন্যও তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই না। আগামীকাল (বুধবার) রাত ৮.৪৫ মিনিটে মাঠেই আমাদের দেখা হবে। তবে মাঠের বাইরে তিনি (মরিনহো) এরই মধ্যে জয়ী। এ জন্য আমি তাঁর হাতে আগেই ব্যক্তিগত চ্যাম্পিয়নস লিগ তুলে দিচ্ছি। তিনি তা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে উপভোগ করতে পারেন। তিনি এ বিষয়ে একজন জাদুকর এবং আমি অবিরত খোঁচাখুঁচির এই খেলায় নামতে চাই না।’
দুই কোচের কথার লড়াইয়ের পর মাঠের লড়াইয়ে কে জিতলেন, সেটি হয়তো এরই মধ্যে জেনে গেছেন আপনি।
No comments