আফগান পাইলটের গুলিতে আট বিদেশি সেনাসহ নিহত ৯
আফগান বিমানবাহিনীর এক পাইলটের গুলিতে আটজন বিদেশি সেনাসদস্য ও একজন ঠিকাদার নিহত হয়েছেন। পাল্টা গুলিতে ওই পাইলট নিহত হন গতকাল বুধবার রাজধানী কাবুলে আফগান বিমান বাহিনীর ব্যবহূত একটি ভবনে এ ঘটনা ঘটে। আফগান নিরাপত্তা বাহিনী সম্প্রতি বিদেশী সৈন্যদের ওপর যত হামলা চালিয়েছেতার মধ্যে গতকালেল হামলাটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ।
ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়তা বাহিনীর (আইএসএএফ) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গুলিতে আইএসএএফের আটজন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। তবে নিহত সেনাসদস্যদের জাতীয়তা সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
গুলির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ জহির আজিমি এএফপিকে জানান, স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আফগান ওই পাইলটের সঙ্গে সহকর্মীদের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে তিনি গুলি করেন। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হন।
আফগান বিমানবাহিনীর একজন কর্মকর্তা কর্নেল বাহাদের বলেন, কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই পাইলট পকেট থেকে তাঁর আগ্নেয়াস্ত্র বের করে এলোপাতারি গুলি করতে শুরু করেন। এ সময় কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা দৌড়ে ভবন থেকে বের হয়ে যান। অনেকে জানালা টপকে পালিয়ে যান।
এদিকে এএফপিকে মোবাইল ফোন থেকে টেক্সট বার্তা পাঠিয়ে তালেবান জঙ্গিরা এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। তালেবানের মুখপাত্র জাবিদুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেন, তাঁদের এক আত্মঘাতী যোদ্ধা বিমানবন্দরে চাকরি নেন। পরে তিনিই ওই হামলা পরিচালনা করেন।
কিন্তু নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আফগান কর্মকর্তা বলেন, বিমানবাহিনীর আফগান কম্পাউন্ডে গুলির এই ঘটনা কোনো সন্ত্রাসী হামলা নয়। ৫০ বছর বয়সী এক পাইলট ওই গুলি ছোড়েন। তাঁর নাম গুল আহমেদ পাইলট কোনো সন্ত্রাসী দলের সদস্য নন, কাবুলের তারাখেল এলাকার একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে তাঁর জন্ম।
উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল ফারিয়াব প্রদেশে এক আফগান পুলিশ দুই ন্যাটো সেনাকে গুলি করে হত্যা করেন। গত নভেম্বর মাসে এক আফগান পুলিশের গুলিতে ছয় মার্কিণ সেনা নিহত হন। এর আগেও ও আফগান বাহিনীর হাতে বিদেশি সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
দেশটিতে অন্তত এক লাখ ৩০ হাজার বিদেশি সেনাসদস্য রয়েছেন। ২০১৪ সালের মধ্যে বিদেশি বাহিনীর হাত থেকে নিরাপত্তার দায়িত্বভার আফগান বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করার কথা।
ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়তা বাহিনীর (আইএসএএফ) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গুলিতে আইএসএএফের আটজন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। তবে নিহত সেনাসদস্যদের জাতীয়তা সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
গুলির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ জহির আজিমি এএফপিকে জানান, স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আফগান ওই পাইলটের সঙ্গে সহকর্মীদের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে তিনি গুলি করেন। এতে বেশ কয়েকজন হতাহত হন।
আফগান বিমানবাহিনীর একজন কর্মকর্তা কর্নেল বাহাদের বলেন, কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই পাইলট পকেট থেকে তাঁর আগ্নেয়াস্ত্র বের করে এলোপাতারি গুলি করতে শুরু করেন। এ সময় কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা দৌড়ে ভবন থেকে বের হয়ে যান। অনেকে জানালা টপকে পালিয়ে যান।
এদিকে এএফপিকে মোবাইল ফোন থেকে টেক্সট বার্তা পাঠিয়ে তালেবান জঙ্গিরা এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। তালেবানের মুখপাত্র জাবিদুল্লাহ মুজাহিদ দাবি করেন, তাঁদের এক আত্মঘাতী যোদ্ধা বিমানবন্দরে চাকরি নেন। পরে তিনিই ওই হামলা পরিচালনা করেন।
কিন্তু নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আফগান কর্মকর্তা বলেন, বিমানবাহিনীর আফগান কম্পাউন্ডে গুলির এই ঘটনা কোনো সন্ত্রাসী হামলা নয়। ৫০ বছর বয়সী এক পাইলট ওই গুলি ছোড়েন। তাঁর নাম গুল আহমেদ পাইলট কোনো সন্ত্রাসী দলের সদস্য নন, কাবুলের তারাখেল এলাকার একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে তাঁর জন্ম।
উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল ফারিয়াব প্রদেশে এক আফগান পুলিশ দুই ন্যাটো সেনাকে গুলি করে হত্যা করেন। গত নভেম্বর মাসে এক আফগান পুলিশের গুলিতে ছয় মার্কিণ সেনা নিহত হন। এর আগেও ও আফগান বাহিনীর হাতে বিদেশি সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
দেশটিতে অন্তত এক লাখ ৩০ হাজার বিদেশি সেনাসদস্য রয়েছেন। ২০১৪ সালের মধ্যে বিদেশি বাহিনীর হাত থেকে নিরাপত্তার দায়িত্বভার আফগান বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করার কথা।
No comments