বাহরাইনের বাদশাহর ছেলেদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ যুক্তরাষ্ট্রের
বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ ইবনে ঈসা আল খলিফার দুই ছেলের ব্যাপারে গোপনে তথ্য জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে বাদশাহর দুই ছেলের কোনো বিরোধ আছে কি না, ওয়াশিংটন তা-ও জানতে চেয়েছে।
আলোচিত ওয়েবসাইট উইকিলিকস প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন তারবার্তা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। টেলিগ্রাফ-এ এই তারবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে।
গোপন তারবার্তায় দেখা গেছে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মানামায় তার দেশের কূটনীতিকদের মাধ্যমে বাহরাইনের বাদশাহ হামাদের ছেলেদের ব্যাপারে খবরদারি করেছে। বাদশাহর দুই ছেলে প্রিন্স নাসির বিন হামাদ আল খলিফা ও প্রিন্স খালিদ বিন হামাদ আল খলিফা মাদক সেবন বা অ্যালকোহল পান করেন কি না, কিংবা সরকারের ভেতরে তাঁদের নিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না—সেসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। শিয়া অধ্যুষিত দেশটিতে এই সম্প্রদায়ের মধ্যে বাদশাহর ছেলেদের কোনো বন্ধু আছে কি না, সে ব্যাপারেও খোঁজখবর রেখেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
২৩ বছর বয়সী প্রিন্স নাসির এবং ২১ বছর বয়সী প্রিন্স খালিদ বর্তমানে বাহরাইনের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কাজ করছেন। দুজনই বাদশাহর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দেশের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণে প্রতিবেশী দেশগুলোর কট্টরপন্থীরা তাঁদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারে।
২০০৯ সালের অক্টোবরে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মানামার কূটনীতিকদের কাছে পাঠানো এক তারবার্তায় বাদশাহর ছেলেদের ‘নেতৃত্বের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান লক্ষ্যবস্তু’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ওই বার্তায় বাদশাহর ছেলেদের জন্মতারিখ, ইংরেজিতে কথা বলার পারদর্শিতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়। বাদশাহর সঙ্গে তাঁর উত্তরসূরি প্রিন্স সালমান ইবনে হামাদ ইবনে ইসা আল খলিফার সম্ভাব্য বিরোধের ব্যাপারটিও জানতে চান মার্কিন কর্মকর্তারা।
গোপন তারবার্তায় আরও দেখা গেছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের একজন স্টাফ মানামার কূটনীতিকদের কাছে জানতে চান যে প্রিন্স নাসির ও প্রিন্স খালিদ—এই দুই ভাইয়ের সঙ্গে ক্রাউন প্রিন্স সালমানের বিরোধ আছে কি না। যদি থেকেই থাকে, তবে তা কোন পর্যায়ে আছে? এই বিরোধ নিয়ে রাজপরিবারের ভেতর কোনো সমস্যা আছে কি না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়।
৬১ বছর বয়স্ক বাদশাহ হামাদের চার স্ত্রীর ঘরে সাত ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রয়েছে। ভাইদের মধ্যে ক্রাউন প্রিন্স সালমানের বড় আরও তিনজন ভাই রয়েছেন।
বাদশাহর ছেলেদের মধ্যে কারও সঙ্গে শিয়াদের সুসম্পর্ক আছে কি না এবং থাকলে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়াদের দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি কী, তা-ও জানতে চাওয়া হয়। পরিশেষে বাদশাহর ছেলেদের মাদক সেবন কিংবা অ্যালকোহল পান করার মতো কোনো বদভ্যাস আছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়। তবে ঠিক কী কারণে বাদশাহর ছেলেদের ব্যাপারে বিস্তারিত এসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে ওই বার্তায় কিছু বলা হয়নি।
সংবিধান সংশোধনের প্রশ্নে বাহরাইনের রাজপরিবারে কোনো ফাটল দেখা দিলে তা যুক্তরাষ্ট্রকে পরীক্ষার মুখে ফেলে দেবে। কেননা, কৌশলগত দিক দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাহরাইন।
আলোচিত ওয়েবসাইট উইকিলিকস প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন তারবার্তা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। টেলিগ্রাফ-এ এই তারবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে।
গোপন তারবার্তায় দেখা গেছে, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মানামায় তার দেশের কূটনীতিকদের মাধ্যমে বাহরাইনের বাদশাহ হামাদের ছেলেদের ব্যাপারে খবরদারি করেছে। বাদশাহর দুই ছেলে প্রিন্স নাসির বিন হামাদ আল খলিফা ও প্রিন্স খালিদ বিন হামাদ আল খলিফা মাদক সেবন বা অ্যালকোহল পান করেন কি না, কিংবা সরকারের ভেতরে তাঁদের নিয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না—সেসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। শিয়া অধ্যুষিত দেশটিতে এই সম্প্রদায়ের মধ্যে বাদশাহর ছেলেদের কোনো বন্ধু আছে কি না, সে ব্যাপারেও খোঁজখবর রেখেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
২৩ বছর বয়সী প্রিন্স নাসির এবং ২১ বছর বয়সী প্রিন্স খালিদ বর্তমানে বাহরাইনের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কাজ করছেন। দুজনই বাদশাহর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান। আশঙ্কা করা হচ্ছে, দেশের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণে প্রতিবেশী দেশগুলোর কট্টরপন্থীরা তাঁদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারে।
২০০৯ সালের অক্টোবরে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মানামার কূটনীতিকদের কাছে পাঠানো এক তারবার্তায় বাদশাহর ছেলেদের ‘নেতৃত্বের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান লক্ষ্যবস্তু’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ওই বার্তায় বাদশাহর ছেলেদের জন্মতারিখ, ইংরেজিতে কথা বলার পারদর্শিতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়। বাদশাহর সঙ্গে তাঁর উত্তরসূরি প্রিন্স সালমান ইবনে হামাদ ইবনে ইসা আল খলিফার সম্ভাব্য বিরোধের ব্যাপারটিও জানতে চান মার্কিন কর্মকর্তারা।
গোপন তারবার্তায় আরও দেখা গেছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের একজন স্টাফ মানামার কূটনীতিকদের কাছে জানতে চান যে প্রিন্স নাসির ও প্রিন্স খালিদ—এই দুই ভাইয়ের সঙ্গে ক্রাউন প্রিন্স সালমানের বিরোধ আছে কি না। যদি থেকেই থাকে, তবে তা কোন পর্যায়ে আছে? এই বিরোধ নিয়ে রাজপরিবারের ভেতর কোনো সমস্যা আছে কি না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়।
৬১ বছর বয়স্ক বাদশাহ হামাদের চার স্ত্রীর ঘরে সাত ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রয়েছে। ভাইদের মধ্যে ক্রাউন প্রিন্স সালমানের বড় আরও তিনজন ভাই রয়েছেন।
বাদশাহর ছেলেদের মধ্যে কারও সঙ্গে শিয়াদের সুসম্পর্ক আছে কি না এবং থাকলে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়াদের দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি কী, তা-ও জানতে চাওয়া হয়। পরিশেষে বাদশাহর ছেলেদের মাদক সেবন কিংবা অ্যালকোহল পান করার মতো কোনো বদভ্যাস আছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়। তবে ঠিক কী কারণে বাদশাহর ছেলেদের ব্যাপারে বিস্তারিত এসব তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে ওই বার্তায় কিছু বলা হয়নি।
সংবিধান সংশোধনের প্রশ্নে বাহরাইনের রাজপরিবারে কোনো ফাটল দেখা দিলে তা যুক্তরাষ্ট্রকে পরীক্ষার মুখে ফেলে দেবে। কেননা, কৌশলগত দিক দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাহরাইন।
No comments