এভারেস্টের চেয়ে উঁচু নয় ভারত
মুসা ইব্রাহীমকে গ্রাফের মতো কিছু একটা দেখালেন জেমি সিডন্স। সাফল্যপিয়াসী বাংলাদেশ দল যে পথ পাড়ি দিচ্ছে, ধাপে ধাপে উঠে যাওয়া সিঁড়ি দিয়ে গ্রাফে কোচ সেটাই বোঝাতে চাইলেন। এভাবে উঠতে থাকলে একদিন এভারেস্ট জয়ও সম্ভব।
কখনো না-কখনো সর্বোচ্চ শৃঙ্গে ওঠার স্বপ্নটা বাংলাদেশের ক্রিকেটে আছে। তবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আজ ভারতকে হারালেই এভারেস্ট জয়ের মতো কিছু হয়ে যাচ্ছে না। গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেট অভিধানে এভারেস্ট বলে আর কিছু নেইও। ভারত তো একদমই নয়, সেটা হলে বাংলাদেশ এর মধ্যেই দুবার জয় করেছে সর্বোচ্চ শৃঙ্গ!
তার পরও বাধা পেরোনোর প্রেরণায় এভারেস্টজয়ীরাই যেহেতু ভালো উদাহরণ, শৃঙ্গজয়ের গল্প শুনতে বাধা কোথায়! কাল সকালে অনুশীলনে যাওয়ার আগে শেরাটন হোটেলে মুসা ইব্রাহীমের কাছে সেই গল্পই শুনল বাংলাদেশের বিশ্বকাপ-সারথিরা। শুনে দল কতটা অনুপ্রাণিত হলো কে জানে, অনুশীলন শেষে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সহ-অধিনায়ক তামিম ইকবালকে বলতে শোনা গেল, ‘চ্যাম্পিয়নদের কাছে কোনো কিছুই অজেয় নয়। না এভারেস্ট, না ভারত বা অন্য কিছু। আর উনি এভারেস্ট জিততে পারলে আমরা বড় কিছু করতে পারব না কেন?’
ভারত ম্যাচের আগে এই প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলাদেশ দলের মধ্যেই। আজকের ম্যাচটাকে আর দশটা সাধারণ ম্যাচের মতো ধরে নিয়েই ভারতের টুঁটি চেপে ধরতে হবে। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কাল জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘স্বাগতিক দলের সামনে ভারতের মতো বড় একটা দল—বিশ্বকাপে এর চেয়ে ভালো শুরু আর হয় না।’ এই শুরুটা আরও সুন্দর হবে ২০০৭ বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি ঘটলে।
সাকিব সরাসরি জয়ের কথা বলেননি। মুসা ইব্রাহীম যেমন একটা একটা করে বাধা ডিঙিয়ে উঠেছেন সর্বোচ্চ শৃঙ্গে, বাংলাদেশ অধিনায়কের লক্ষ্যটাও তেমন, ‘আমাদের ছয়টা ম্যাচ খেলতে হবে। ম্যাচ ধরে ধরে এগিয়ে যদি প্রতিটা ম্যাচেই উন্নতি করি, ভালো কিছু অবশ্যই সম্ভব।’ গত বিশ্বকাপে সেটাই করেছিল বাংলাদেশ। তবে অধিনায়ক ২০০৭-এর সঙ্গে ২০১১-এর তুলনার পক্ষপাতী নন, ‘২০০৭-এ আমরা এক দিন চাঙা ছিলাম তো আরেক দিন নেতিয়ে পড়েছিলাম। এখন সবাই প্রতিদিন একইভাবে চিন্তা করে। সবাই সবকিছুতে ধারাবাহিক থাকতে চায়। এক্সাইটমেন্ট খুব একটা কাজ করে না। ওই দিক দিয়ে চিন্তা করলে দুটিকে মেলানো কঠিন।’ এবারের বিশ্বকাপটা অন্য কারণেও ব্যতিক্রম সাকিবদের কাছে, ‘এবার আবেগও কাজ করছে আমাদের মধ্যে। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ হচ্ছে। আমাদের ক্যারিয়ারে হয়তো আর কখনো এই সুযোগ হবে না। নতুন কিছু তো করার আছেই।’
বাংলাদেশের মানুষ সেই নতুন কিছু দেখারই অপেক্ষায়। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সামনে উৎ সুক জনতার ভিড় প্রতিদিনই বাড়ছে। কাল সন্ধ্যার পর তো সেখানে রীতিমতো জনস্রোত! ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ স্লোগানে মুখরিত গোটা এলাকা। টিকিটের জন্য হাহাকার তোলা এই বিশ্বকাপে এদের অনেকের ভাগ্যেই জুটবে না মাঠে বসে ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ। এই হতাশাও উৎ সাহে বাধা হচ্ছে না কারও। আসা-যাওয়ার পথে চলন্ত টিম বাসের জানালার কাচের ভেতর দিয়ে ক্রিকেটারদের ঝাপসা মুখগুলো দেখা যাচ্ছে, সেটাও কম কী!
এত আনন্দ আর রোমাঞ্চের বিশ্বকাপে একটা হতাশাও আছে। গত বিশ্বকাপে যাঁর হাত ধরে ভারত-বধের শুরু, ইনজুরি এবারের বিশ্বকাপটা খেলতে দিচ্ছে না সেই মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। স্টেডিয়ামপাড়ার স্লোগান আর সাকিবের কণ্ঠে মিশে থাকছে মাশরাফির জন্য হাহাকারও, ‘কোনো সন্দেহ নেই, মাশরাফি ভাই গ্রেট পারফর্মার। তাকে খুবই মিস করব। তবে দলে এখন যারা আছে তারাও ভালো খেলছে। তাদের নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।’
এগোনো মানে জয়ের পথে এগোনো। ভারত ম্যাচে জয়টাই তো লক্ষ্য সাকিবদের! মনের মধ্যে ভারতকে হারাতে পারার বিশ্বাসটা যখন আছে, আজ রাতে উৎ সবে ভাসুক না বাংলাদেশ! ভারত তো আর এভারেস্টের চেয়ে উঁচু নয়!
কখনো না-কখনো সর্বোচ্চ শৃঙ্গে ওঠার স্বপ্নটা বাংলাদেশের ক্রিকেটে আছে। তবে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আজ ভারতকে হারালেই এভারেস্ট জয়ের মতো কিছু হয়ে যাচ্ছে না। গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেট অভিধানে এভারেস্ট বলে আর কিছু নেইও। ভারত তো একদমই নয়, সেটা হলে বাংলাদেশ এর মধ্যেই দুবার জয় করেছে সর্বোচ্চ শৃঙ্গ!
তার পরও বাধা পেরোনোর প্রেরণায় এভারেস্টজয়ীরাই যেহেতু ভালো উদাহরণ, শৃঙ্গজয়ের গল্প শুনতে বাধা কোথায়! কাল সকালে অনুশীলনে যাওয়ার আগে শেরাটন হোটেলে মুসা ইব্রাহীমের কাছে সেই গল্পই শুনল বাংলাদেশের বিশ্বকাপ-সারথিরা। শুনে দল কতটা অনুপ্রাণিত হলো কে জানে, অনুশীলন শেষে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সহ-অধিনায়ক তামিম ইকবালকে বলতে শোনা গেল, ‘চ্যাম্পিয়নদের কাছে কোনো কিছুই অজেয় নয়। না এভারেস্ট, না ভারত বা অন্য কিছু। আর উনি এভারেস্ট জিততে পারলে আমরা বড় কিছু করতে পারব না কেন?’
ভারত ম্যাচের আগে এই প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলাদেশ দলের মধ্যেই। আজকের ম্যাচটাকে আর দশটা সাধারণ ম্যাচের মতো ধরে নিয়েই ভারতের টুঁটি চেপে ধরতে হবে। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কাল জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘স্বাগতিক দলের সামনে ভারতের মতো বড় একটা দল—বিশ্বকাপে এর চেয়ে ভালো শুরু আর হয় না।’ এই শুরুটা আরও সুন্দর হবে ২০০৭ বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি ঘটলে।
সাকিব সরাসরি জয়ের কথা বলেননি। মুসা ইব্রাহীম যেমন একটা একটা করে বাধা ডিঙিয়ে উঠেছেন সর্বোচ্চ শৃঙ্গে, বাংলাদেশ অধিনায়কের লক্ষ্যটাও তেমন, ‘আমাদের ছয়টা ম্যাচ খেলতে হবে। ম্যাচ ধরে ধরে এগিয়ে যদি প্রতিটা ম্যাচেই উন্নতি করি, ভালো কিছু অবশ্যই সম্ভব।’ গত বিশ্বকাপে সেটাই করেছিল বাংলাদেশ। তবে অধিনায়ক ২০০৭-এর সঙ্গে ২০১১-এর তুলনার পক্ষপাতী নন, ‘২০০৭-এ আমরা এক দিন চাঙা ছিলাম তো আরেক দিন নেতিয়ে পড়েছিলাম। এখন সবাই প্রতিদিন একইভাবে চিন্তা করে। সবাই সবকিছুতে ধারাবাহিক থাকতে চায়। এক্সাইটমেন্ট খুব একটা কাজ করে না। ওই দিক দিয়ে চিন্তা করলে দুটিকে মেলানো কঠিন।’ এবারের বিশ্বকাপটা অন্য কারণেও ব্যতিক্রম সাকিবদের কাছে, ‘এবার আবেগও কাজ করছে আমাদের মধ্যে। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ হচ্ছে। আমাদের ক্যারিয়ারে হয়তো আর কখনো এই সুযোগ হবে না। নতুন কিছু তো করার আছেই।’
বাংলাদেশের মানুষ সেই নতুন কিছু দেখারই অপেক্ষায়। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সামনে উৎ সুক জনতার ভিড় প্রতিদিনই বাড়ছে। কাল সন্ধ্যার পর তো সেখানে রীতিমতো জনস্রোত! ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ স্লোগানে মুখরিত গোটা এলাকা। টিকিটের জন্য হাহাকার তোলা এই বিশ্বকাপে এদের অনেকের ভাগ্যেই জুটবে না মাঠে বসে ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ। এই হতাশাও উৎ সাহে বাধা হচ্ছে না কারও। আসা-যাওয়ার পথে চলন্ত টিম বাসের জানালার কাচের ভেতর দিয়ে ক্রিকেটারদের ঝাপসা মুখগুলো দেখা যাচ্ছে, সেটাও কম কী!
এত আনন্দ আর রোমাঞ্চের বিশ্বকাপে একটা হতাশাও আছে। গত বিশ্বকাপে যাঁর হাত ধরে ভারত-বধের শুরু, ইনজুরি এবারের বিশ্বকাপটা খেলতে দিচ্ছে না সেই মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। স্টেডিয়ামপাড়ার স্লোগান আর সাকিবের কণ্ঠে মিশে থাকছে মাশরাফির জন্য হাহাকারও, ‘কোনো সন্দেহ নেই, মাশরাফি ভাই গ্রেট পারফর্মার। তাকে খুবই মিস করব। তবে দলে এখন যারা আছে তারাও ভালো খেলছে। তাদের নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।’
এগোনো মানে জয়ের পথে এগোনো। ভারত ম্যাচে জয়টাই তো লক্ষ্য সাকিবদের! মনের মধ্যে ভারতকে হারাতে পারার বিশ্বাসটা যখন আছে, আজ রাতে উৎ সবে ভাসুক না বাংলাদেশ! ভারত তো আর এভারেস্টের চেয়ে উঁচু নয়!
No comments