মিরপুরে ফিরবে পোর্ট অব স্পেন
কোথায় সাত সমুদ্র তের নদী ওপারের ত্রিনিদাদ! পৃথিবীর উল্টো পিঠের এক দেশ। সেখানে যখন সন্ধ্যা নামে, বাংলাদেশে উঁকি দেয় ভোরের সূর্য।
কোথায় সাত সমুদ্র তের নদী ওপারের পোর্ট অব স্পেন! ঢাকার মধ্যদুপুর যখন বিশ্বকাপ-জ্বরে কম্পমান, পোর্ট অব স্পেন গভীর নিদ্রায় মগ্ন।
বাংলাদেশ-ত্রিনিদাদ, ঢাকা-পোর্ট অব স্পেন...কাল দুপুরে যে সব মিলেমিশে একাকার হয়ে যেতে চাইল বারবার। এটা মিরপুর স্টেডিয়াম তো! নাকি কুইন্স পার্ক ওভাল?
ওই তো নেটে বল উড়িয়ে মারছেন তামিম ইকবাল। মুশফিকুর রহিম প্যাড-ট্যাড পরে নেটে ঢোকার অপেক্ষায়। সাকিব আল হাসান কি ওটা ‘সুপার স্কুপ’ মারলেন! কে বোলিং করছেন ওটা, মাশরাফি বিন মুর্তজা না?
চার বছর আগে ভারতের বিশ্বকাপ-স্বপ্নকে ক্যারিবীয় সাগরে ডুবিয়ে মেরেছিলেন এই চারজনই। পরের বিশ্বকাপেই আবার যখন বাংলাদেশ-ভারত, সেই স্মৃতি ফিরে আসারই কথা। তাই বলে এমন বিপুল বিক্রমে!
মাশরাফিই যেন ফিরিয়ে আনলেন সবচেয়ে বেশি। নেটে বোলিং করে ইনডোরের সিঁড়িতে বসে হাঁটু থেকে-অ্যাংকেল থেকে ‘সাপোর্ট’ খুলতে খুলতে ‘কয় কেজি ওজন শরীরে নিয়ে যে বোলিং করতে হয়’ কথাটা শেষও করতে পারলেন না। তাঁকে ঘিরে ধরলেন সাংবাদিকেরা। সবাই পোর্ট অব স্পেনের সেই অমরগাথা শুনতে চান। ওই ম্যাচের আগে-পরে কী হয়েছিল, এখন কেমন লাগছে—প্রশ্নের পর প্রশ্ন।
গায়ে ক্লাবের জার্সি। মনে যে ঝড় বইছে, মুখে তার প্রকাশ নেই। মাশরাফি রসিকতাও করলেন। পোর্ট অব স্পেনের ওই ম্যাচের আগে মানজারুল ইসলাম রানার মৃত্যুসংবাদ পেয়ে স্তম্ভিত বাংলাদেশ দল সেই শোককে পরিণত করেছিল শক্তিতে। সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দিতেই মাশরাফি হাসতে হাসতে বললেন, ‘এবারও কি তা হলে কাউকে মরতে হবে?’
মাশরাফি তখন কীভাবে কল্পনা করবেন, এই ম্যাচের আগেও সত্যিই ক্রিকেটাঙ্গন মৃত্যুশোকে কাতর হবে। বিশ্বকাপের উৎ সবে ছায়া ফেলবে সাবেক ক্রিকেটার ও প্রধান নির্বাচক আলিউল ইসলামের আকস্মিক চলে যাওয়া। চার বছর আগে মৃত্যুর পিছুপিছুই এসেছিল স্মরণীয় সেই জয়। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি কি হচ্ছে এবারও?
অনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন শেষে এই টিভি টানে তো ওই টিভি। দুবার ভারত-বধের নায়ককে ঘিরে ভারতীয় সাংবাদিকদেরও তুমুল আগ্রহ। তাঁদেরই একজন জিজ্ঞেস করলেন, গত বিশ্বকাপে আপনি ছিলেন, ভারতের বিপক্ষে জয়ের নায়ক, এবার...। কথাটা শেষ করতে না দিয়েই মাশরাফি বললেন, ‘হিরো থেকে জিরো!’ বলেই হো হো হাসি। হাসিতেও যে এত কান্না লুকিয়ে থাকতে পারে, কে জানত!
দুই অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলনেও ঘুরেফিরে পোর্ট অব স্পেন। মাহি, আপনার কি মনে পড়ে সেই দিন? মহেন্দ্র সিং ধোনি কীভাবে ভোলেন! শূন্য রানে আউট হয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ে তাঁর বড় অবদান। বিশ্বকাপ শুরুর আগে ছিলেন সম্ভাব্য নায়ক, ফিরলেন ভিলেন হয়ে। দেশে ফেরার পর নিজের শহরেও যেতে পারেননি অনেক দিন। মাশরাফির কথা উঠল। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের প্রথম পরাজয়ের ভুক্তভোগী। সেই ম্যাচের মতো বিশ্বকাপেও দেখেছেন পুরস্কার হাতে মাশরাফিকে। ধোনি হাসতে হাসতে বললেন, ‘এবার অন্তত ও ম্যান অব দ্য ম্যাচ হতে পারছে না।’ দুষ্টুমি করে বলা। একটু স্বস্তিও কি মিশে রইল না তাতে!
সাকিবকেও বারবার পোর্ট অব স্পেনে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলল। তবে সাকিব শুধু এই ম্যাচটাকেই যেন সবাই শেষ না ভাবে, সেই চেষ্টা করে গেলেন এ দিনও। ‘শুধু ভারত কেন, ছয় ম্যাচেই ভালো খেলতে চাই’—এই উত্তরটা অধিনায়কোচিতই। পোর্ট অব স্পেনে হয়েছে বলেই যে মিরপুরেও হবে—তার কী নিশ্চয়তা! না হলে সেই ধাক্কা গায়ে যত কম লাগে, সেই চেষ্টা তো করাই উচিত।
এমনিতেই বিশ্বকাপ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উন্মাদনা যেভাবে বাঁধভাঙা রূপ নিচ্ছে, নিজের দেশে খেলাটা চাপ না অনুপ্রেরণা—এই প্রশ্ন উঠছেই। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে জনতার উৎ সাহ পুরো বিশ্বের কাছে ‘ক্রিকেট-নগরে’র স্বীকৃতি এনে দিয়েছে ঢাকাকে। রাতে মিরপুর স্টেডিয়ামকে ঘিরে মেলা বসে যাচ্ছে। সারা দিনই গেটের সামনে ভিড়। জনতার একটাই দাবি—জিততে হবে।
উত্তুঙ্গ সেই আবেগের কাছে হারিয়ে যাচ্ছে সব যুক্তিবোধও। ভারত এই টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট। বাংলাদেশের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ের চোখে ফেবারিটদের মধ্যে এক নম্বর। তার ওপর পোর্ট অব স্পেনের জ্বালা জুড়ানোর ছোট্ট একটা ব্যাপার আছে। পোর্ট অব স্পেনে বাংলাদেশের অধিনায়ক হাবিবুল বাশার পর্যন্ত আজকের ম্যাচে ‘সেভেনটি-থার্টি’তে এগিয়ে রাখছেন ভারতকে। বাংলাদেশের জয় তাই আপসেটই হবে। পোর্ট অব স্পেনেও যা ছিল।
তামিম ইকবালের দাবি, সেই বাংলাদেশের চেয়ে এই বাংলাদেশ অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। ভারতও তো আগের মতো নেই। খেলোয়াড় তালিকায় হয়তো খুব পরিবর্তন হয়নি। ধোনির কাছে সেই ভারতের সঙ্গে এই ভারতের মূল পার্থক্য—‘বেটার ফ্রেম অব মাইন্ড’। গ্রেগ চ্যাপেল জমানায় গৃহযুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত ভারতীয় দল এখন কারস্টেনের সুশীতল ছায়াতলে শান্তির নীড়। সেই শান্তির নীড়ে অশান্তি ছুড়ে দিতে কার ওপর বাজি ধরবেন আপনি?
সাকিব-তামিম তো আছেনই। বড় ম্যাচ বলে এরপর আপনি যে নামটি বলে ফেলতেও পারতেন, সেই আশরাফুলের খেলার সম্ভাবনা ঘোর সংশয়ে আচ্ছন্ন। দিবারাত্রির ম্যাচ বলে একাদশ চূড়ান্ত হবে আজ সকালে। তবে কাল রাতের খবর, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের দলে আশরাফুলের জায়গায় ঢুকে যাচ্ছেন সে ম্যাচে অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাটিং করা রকিবুল।
মাশরাফি নেই। এমন বড় ম্যাচে আশরাফুলকেও বাইরে রেখে বাংলাদেশ দল কি তামিম ইকবাল কথিত ‘আত্মবিশ্বাসে’রই ইঙ্গিত দিচ্ছে?
কোথায় সাত সমুদ্র তের নদী ওপারের পোর্ট অব স্পেন! ঢাকার মধ্যদুপুর যখন বিশ্বকাপ-জ্বরে কম্পমান, পোর্ট অব স্পেন গভীর নিদ্রায় মগ্ন।
বাংলাদেশ-ত্রিনিদাদ, ঢাকা-পোর্ট অব স্পেন...কাল দুপুরে যে সব মিলেমিশে একাকার হয়ে যেতে চাইল বারবার। এটা মিরপুর স্টেডিয়াম তো! নাকি কুইন্স পার্ক ওভাল?
ওই তো নেটে বল উড়িয়ে মারছেন তামিম ইকবাল। মুশফিকুর রহিম প্যাড-ট্যাড পরে নেটে ঢোকার অপেক্ষায়। সাকিব আল হাসান কি ওটা ‘সুপার স্কুপ’ মারলেন! কে বোলিং করছেন ওটা, মাশরাফি বিন মুর্তজা না?
চার বছর আগে ভারতের বিশ্বকাপ-স্বপ্নকে ক্যারিবীয় সাগরে ডুবিয়ে মেরেছিলেন এই চারজনই। পরের বিশ্বকাপেই আবার যখন বাংলাদেশ-ভারত, সেই স্মৃতি ফিরে আসারই কথা। তাই বলে এমন বিপুল বিক্রমে!
মাশরাফিই যেন ফিরিয়ে আনলেন সবচেয়ে বেশি। নেটে বোলিং করে ইনডোরের সিঁড়িতে বসে হাঁটু থেকে-অ্যাংকেল থেকে ‘সাপোর্ট’ খুলতে খুলতে ‘কয় কেজি ওজন শরীরে নিয়ে যে বোলিং করতে হয়’ কথাটা শেষও করতে পারলেন না। তাঁকে ঘিরে ধরলেন সাংবাদিকেরা। সবাই পোর্ট অব স্পেনের সেই অমরগাথা শুনতে চান। ওই ম্যাচের আগে-পরে কী হয়েছিল, এখন কেমন লাগছে—প্রশ্নের পর প্রশ্ন।
গায়ে ক্লাবের জার্সি। মনে যে ঝড় বইছে, মুখে তার প্রকাশ নেই। মাশরাফি রসিকতাও করলেন। পোর্ট অব স্পেনের ওই ম্যাচের আগে মানজারুল ইসলাম রানার মৃত্যুসংবাদ পেয়ে স্তম্ভিত বাংলাদেশ দল সেই শোককে পরিণত করেছিল শক্তিতে। সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে দিতেই মাশরাফি হাসতে হাসতে বললেন, ‘এবারও কি তা হলে কাউকে মরতে হবে?’
মাশরাফি তখন কীভাবে কল্পনা করবেন, এই ম্যাচের আগেও সত্যিই ক্রিকেটাঙ্গন মৃত্যুশোকে কাতর হবে। বিশ্বকাপের উৎ সবে ছায়া ফেলবে সাবেক ক্রিকেটার ও প্রধান নির্বাচক আলিউল ইসলামের আকস্মিক চলে যাওয়া। চার বছর আগে মৃত্যুর পিছুপিছুই এসেছিল স্মরণীয় সেই জয়। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি কি হচ্ছে এবারও?
অনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন শেষে এই টিভি টানে তো ওই টিভি। দুবার ভারত-বধের নায়ককে ঘিরে ভারতীয় সাংবাদিকদেরও তুমুল আগ্রহ। তাঁদেরই একজন জিজ্ঞেস করলেন, গত বিশ্বকাপে আপনি ছিলেন, ভারতের বিপক্ষে জয়ের নায়ক, এবার...। কথাটা শেষ করতে না দিয়েই মাশরাফি বললেন, ‘হিরো থেকে জিরো!’ বলেই হো হো হাসি। হাসিতেও যে এত কান্না লুকিয়ে থাকতে পারে, কে জানত!
দুই অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলনেও ঘুরেফিরে পোর্ট অব স্পেন। মাহি, আপনার কি মনে পড়ে সেই দিন? মহেন্দ্র সিং ধোনি কীভাবে ভোলেন! শূন্য রানে আউট হয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ে তাঁর বড় অবদান। বিশ্বকাপ শুরুর আগে ছিলেন সম্ভাব্য নায়ক, ফিরলেন ভিলেন হয়ে। দেশে ফেরার পর নিজের শহরেও যেতে পারেননি অনেক দিন। মাশরাফির কথা উঠল। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের প্রথম পরাজয়ের ভুক্তভোগী। সেই ম্যাচের মতো বিশ্বকাপেও দেখেছেন পুরস্কার হাতে মাশরাফিকে। ধোনি হাসতে হাসতে বললেন, ‘এবার অন্তত ও ম্যান অব দ্য ম্যাচ হতে পারছে না।’ দুষ্টুমি করে বলা। একটু স্বস্তিও কি মিশে রইল না তাতে!
সাকিবকেও বারবার পোর্ট অব স্পেনে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলল। তবে সাকিব শুধু এই ম্যাচটাকেই যেন সবাই শেষ না ভাবে, সেই চেষ্টা করে গেলেন এ দিনও। ‘শুধু ভারত কেন, ছয় ম্যাচেই ভালো খেলতে চাই’—এই উত্তরটা অধিনায়কোচিতই। পোর্ট অব স্পেনে হয়েছে বলেই যে মিরপুরেও হবে—তার কী নিশ্চয়তা! না হলে সেই ধাক্কা গায়ে যত কম লাগে, সেই চেষ্টা তো করাই উচিত।
এমনিতেই বিশ্বকাপ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উন্মাদনা যেভাবে বাঁধভাঙা রূপ নিচ্ছে, নিজের দেশে খেলাটা চাপ না অনুপ্রেরণা—এই প্রশ্ন উঠছেই। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে জনতার উৎ সাহ পুরো বিশ্বের কাছে ‘ক্রিকেট-নগরে’র স্বীকৃতি এনে দিয়েছে ঢাকাকে। রাতে মিরপুর স্টেডিয়ামকে ঘিরে মেলা বসে যাচ্ছে। সারা দিনই গেটের সামনে ভিড়। জনতার একটাই দাবি—জিততে হবে।
উত্তুঙ্গ সেই আবেগের কাছে হারিয়ে যাচ্ছে সব যুক্তিবোধও। ভারত এই টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট। বাংলাদেশের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ের চোখে ফেবারিটদের মধ্যে এক নম্বর। তার ওপর পোর্ট অব স্পেনের জ্বালা জুড়ানোর ছোট্ট একটা ব্যাপার আছে। পোর্ট অব স্পেনে বাংলাদেশের অধিনায়ক হাবিবুল বাশার পর্যন্ত আজকের ম্যাচে ‘সেভেনটি-থার্টি’তে এগিয়ে রাখছেন ভারতকে। বাংলাদেশের জয় তাই আপসেটই হবে। পোর্ট অব স্পেনেও যা ছিল।
তামিম ইকবালের দাবি, সেই বাংলাদেশের চেয়ে এই বাংলাদেশ অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। ভারতও তো আগের মতো নেই। খেলোয়াড় তালিকায় হয়তো খুব পরিবর্তন হয়নি। ধোনির কাছে সেই ভারতের সঙ্গে এই ভারতের মূল পার্থক্য—‘বেটার ফ্রেম অব মাইন্ড’। গ্রেগ চ্যাপেল জমানায় গৃহযুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত ভারতীয় দল এখন কারস্টেনের সুশীতল ছায়াতলে শান্তির নীড়। সেই শান্তির নীড়ে অশান্তি ছুড়ে দিতে কার ওপর বাজি ধরবেন আপনি?
সাকিব-তামিম তো আছেনই। বড় ম্যাচ বলে এরপর আপনি যে নামটি বলে ফেলতেও পারতেন, সেই আশরাফুলের খেলার সম্ভাবনা ঘোর সংশয়ে আচ্ছন্ন। দিবারাত্রির ম্যাচ বলে একাদশ চূড়ান্ত হবে আজ সকালে। তবে কাল রাতের খবর, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের দলে আশরাফুলের জায়গায় ঢুকে যাচ্ছেন সে ম্যাচে অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাটিং করা রকিবুল।
মাশরাফি নেই। এমন বড় ম্যাচে আশরাফুলকেও বাইরে রেখে বাংলাদেশ দল কি তামিম ইকবাল কথিত ‘আত্মবিশ্বাসে’রই ইঙ্গিত দিচ্ছে?
No comments