‘এবার মাশরাফি ম্যাচসেরা হচ্ছে না!’
শুরু হয়েছিল শব্দবিভ্রাট আর হইচই দিয়ে। কিন্তু গত বিশ্বকাপের ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ, আজকের ম্যাচ, উপমহাদেশে বিশ্বকাপ আর রসিকতা—সব মিলিয়ে প্রাণবন্ত ছিল কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মহেন্দ্র সিং ধোনির সংবাদ সম্মেলন—
বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো হওয়া কতটা জরুরি?
মহেন্দ্র সিং ধোনি: আমাদের জন্য টুর্নামেন্টটা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে, প্রস্তুতি ম্যাচগুলো দিয়ে। দুটি ম্যাচই জিতেছি। এখন গুরুত্বপূর্ণ মূল টুর্নামেন্টের শুরুটাও ভালো করা। জয় দিয়ে শুরু করতে চাই। বাংলাদেশ ভালো দল, বিশেষ করে ঘরের মাঠে। ভালো ম্যাচ হবে।
গত বিশ্বকাপেও ভারত ফেবারিট ছিল, কিন্তু বাংলাদেশের কাছে হারল। এবার তা পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা কতটুকু?
ধোনি: ওই ম্যাচ নিয়ে ভাবছিই না। পুনরাবৃত্তির তাই প্রশ্নই ওঠে না!
ভারতের ওপর প্রত্যাশার চাপ কতটুকু?
ধোনি: আমার কাছে তো প্রেশার মাপার মেশিন নেই, থাকলে মেপে দেখতাম!
চাপই কি ভারতের বড় বাধা?
ধোনি: বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে ভারতের ওপর চাপ সব সময়ই থাকে। তার ওপর এবার আমরা স্বাগতিকদের একটি। প্রত্যাশা আকাশচুম্বী হওয়াই স্বাভাবিক। তবে প্রত্যাশার ব্যাপারটা মাথায় ঢোকাতে চাই না। নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করে যেতে চাই।
প্রস্তুতি ম্যাচ দুটির জয় কি ভারতের ওপর চাপ বাড়িয়ে দিল?
ধোনি: জিতলেও চাপ, হারলেও চাপ...চাপ থাকে না কখন বলুন তো!
বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
ধোনি: বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ দুর্দান্ত। তিনজন বাঁহাতি স্পিনার। আমরা যাদের পার্টটাইমার বলি, তেমন দুজন অফ স্পিনারও আছে। কাজেই দলটা অনেক ভালো। বিশেষ করে উপমহাদেশের কন্ডিশনে, যেখানে স্পিনাররা অনেক সাহায্য পায়। বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল।
আইপিএল বেশি জনপ্রিয় না বিশ্বকাপ, ওয়ানডে ক্রিকেট কত দিন টিকবে, এসব নিয়ে এখন অনেক আলোচনা। আপনার কী মনে হয়?
ধোনি: আমি কেন ওয়ানডে পছন্দ করি জানেন? এখানে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দুটির স্বাদই পাওয়া যায়। বলা যায়, দুটোর আদর্শ সংমিশ্রণ। শুরুতে ঝড়, এরপর ইনিংস গড়া, শেষে আবার ঝড়। কিংবা শুরুতে দু-তিনটি উইকেট হারালে নতুন ব্যাটসম্যানদের টিকে থাকার সংগ্রাম, একটু একটু করে ম্যাচে ফেরা, সবকিছুর স্বাদ ওয়ানডেতেই পাওয়া যায়।
২০০৭-এর সঙ্গে এবারের দলটার পার্থক্য কোথায়?
ধোনি: দলটা প্রায় একই আছে। তবে গত বিশ্বকাপের চেয়ে আমরা এখন মানসিকভাবে এগিয়ে। প্রতিভা বা সামর্থ্যের কথা ভাবলে ২০০৭ বিশ্বকাপের দলেও আমি কোনো ঘাটতি দেখি না। কিন্তু এবার আমরা মানসিকভাবে দারুণ চাঙা।
স্বাগতিক বলেই কি ভারত এবার ফেবারিট নাকি গত দুই বছরের পারফরম্যান্সেরও ভূমিকা আছে?
ধোনি: গত দুই বছরের পারফরম্যান্সের অবশ্যই বড় ভূমিকা আছে। সব ধরনের ক্রিকেটেই আমরা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছি। এটাই মূল কারণ। সঙ্গে ঘরের মাটিতে খেলার সুবিধাটুকু বাড়তি একটা কিছু যোগ করবেই।
প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি থেকে কী বার্তা পেলেন?
ধোনি: যা বুঝলাম, তা হলো বিশ্বকাপে স্পিনারদের বড় ভূমিকা থাকবে। তার মানে এই নয় যে পেসারদের কোনো কাজই থাকবে না। আমার মনে হয়, এই টুর্নামেন্টে রিভার্স সুইং একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে ও স্লগ ওভারে। পেসারদের তাই স্মার্ট বোলিং করতে হবে।
মিরপুরে বেশ কটি ম্যাচ খেলেছেন, প্রথমে ব্যাট করলে কত রানকে নিরাপদ মনে করছেন?
ধোনি: দেখুন, ওয়ানডেতে এখন কোনো স্কোরই নিরাপদ নয়। ৪১৪ রান করেও ১ রানে জিতেছি আবার সেদিন ২১৭ রান করে বিশ্বের এক নম্বর দলের বিপক্ষে জিতলাম। কাজেই কিছুই বলা যায় না। কম রান করেও জয় অসম্ভব নয় আবার বড় কোনো স্কোরই নিরাপদ নয়।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুটি জয়েই ম্যান অব দ্য ম্যাচ ছিল মাশরাফি, দুটি ম্যাচেই আপনি খেলেছেন। এবার মাশরাফি নেই। দুশ্চিন্তা একটু কমে গেল?
ধোনি: এটা নিশ্চিত, এবার অন্তত সে আর ম্যান অব দ্য ম্যাচ হচ্ছে না!
বাংলাদেশ জিতলে সেটা কি অঘটন হবে নাকি স্বাভাবিক?
ধোনি: ওয়েল, জাস্ট ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ...
শচীন টেন্ডুলকার আর কত দিন খেলবেন বলে মনে হয়?
ধোনি: ২১-২২ বছরও আপনার কাছে যথেষ্ট মনে হচ্ছে না! তাহলে তো তাঁকে আরও খেলতে হবে!
ভারতের চেয়ে কি বাংলাদেশে বিশ্বকাপ উন্মাদনা বেশি বেশি মনে হচ্ছে?
ধোনি: আমার মনে হয়, এই উন্মাদনা প্রায় সমান সমানই। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় যাইনি বলে বলতে পারছি না, তবে এই দুই দেশে বিশ্বকাপের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। লোকে ক্রিকেট পাগলের মতো ভালোবাসে।
এবারের বিশ্বকাপ কতটা সফল হবে বলে মনে করছেন?
ধোনি: সফল না হওয়ার তো কোনো কারণ দেখছি না! এই উপমহাদেশে যদি বিশ্বকাপ সফল না হয় তাহলে বিশ্বের আর কোথাও হবে না। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা দুর্দান্ত হয়েছে, এবার ফরম্যাটও শক্তিশালী দলগুলোর পক্ষে আছে। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলা দলগুলোই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। কাজেই আমার ধারণা, বিশ্বকাপ দারুণ সফল হবে।
বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো হওয়া কতটা জরুরি?
মহেন্দ্র সিং ধোনি: আমাদের জন্য টুর্নামেন্টটা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে, প্রস্তুতি ম্যাচগুলো দিয়ে। দুটি ম্যাচই জিতেছি। এখন গুরুত্বপূর্ণ মূল টুর্নামেন্টের শুরুটাও ভালো করা। জয় দিয়ে শুরু করতে চাই। বাংলাদেশ ভালো দল, বিশেষ করে ঘরের মাঠে। ভালো ম্যাচ হবে।
গত বিশ্বকাপেও ভারত ফেবারিট ছিল, কিন্তু বাংলাদেশের কাছে হারল। এবার তা পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা কতটুকু?
ধোনি: ওই ম্যাচ নিয়ে ভাবছিই না। পুনরাবৃত্তির তাই প্রশ্নই ওঠে না!
ভারতের ওপর প্রত্যাশার চাপ কতটুকু?
ধোনি: আমার কাছে তো প্রেশার মাপার মেশিন নেই, থাকলে মেপে দেখতাম!
চাপই কি ভারতের বড় বাধা?
ধোনি: বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে ভারতের ওপর চাপ সব সময়ই থাকে। তার ওপর এবার আমরা স্বাগতিকদের একটি। প্রত্যাশা আকাশচুম্বী হওয়াই স্বাভাবিক। তবে প্রত্যাশার ব্যাপারটা মাথায় ঢোকাতে চাই না। নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করে যেতে চাই।
প্রস্তুতি ম্যাচ দুটির জয় কি ভারতের ওপর চাপ বাড়িয়ে দিল?
ধোনি: জিতলেও চাপ, হারলেও চাপ...চাপ থাকে না কখন বলুন তো!
বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
ধোনি: বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ দুর্দান্ত। তিনজন বাঁহাতি স্পিনার। আমরা যাদের পার্টটাইমার বলি, তেমন দুজন অফ স্পিনারও আছে। কাজেই দলটা অনেক ভালো। বিশেষ করে উপমহাদেশের কন্ডিশনে, যেখানে স্পিনাররা অনেক সাহায্য পায়। বেশ ভারসাম্যপূর্ণ দল।
আইপিএল বেশি জনপ্রিয় না বিশ্বকাপ, ওয়ানডে ক্রিকেট কত দিন টিকবে, এসব নিয়ে এখন অনেক আলোচনা। আপনার কী মনে হয়?
ধোনি: আমি কেন ওয়ানডে পছন্দ করি জানেন? এখানে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দুটির স্বাদই পাওয়া যায়। বলা যায়, দুটোর আদর্শ সংমিশ্রণ। শুরুতে ঝড়, এরপর ইনিংস গড়া, শেষে আবার ঝড়। কিংবা শুরুতে দু-তিনটি উইকেট হারালে নতুন ব্যাটসম্যানদের টিকে থাকার সংগ্রাম, একটু একটু করে ম্যাচে ফেরা, সবকিছুর স্বাদ ওয়ানডেতেই পাওয়া যায়।
২০০৭-এর সঙ্গে এবারের দলটার পার্থক্য কোথায়?
ধোনি: দলটা প্রায় একই আছে। তবে গত বিশ্বকাপের চেয়ে আমরা এখন মানসিকভাবে এগিয়ে। প্রতিভা বা সামর্থ্যের কথা ভাবলে ২০০৭ বিশ্বকাপের দলেও আমি কোনো ঘাটতি দেখি না। কিন্তু এবার আমরা মানসিকভাবে দারুণ চাঙা।
স্বাগতিক বলেই কি ভারত এবার ফেবারিট নাকি গত দুই বছরের পারফরম্যান্সেরও ভূমিকা আছে?
ধোনি: গত দুই বছরের পারফরম্যান্সের অবশ্যই বড় ভূমিকা আছে। সব ধরনের ক্রিকেটেই আমরা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছি। এটাই মূল কারণ। সঙ্গে ঘরের মাটিতে খেলার সুবিধাটুকু বাড়তি একটা কিছু যোগ করবেই।
প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি থেকে কী বার্তা পেলেন?
ধোনি: যা বুঝলাম, তা হলো বিশ্বকাপে স্পিনারদের বড় ভূমিকা থাকবে। তার মানে এই নয় যে পেসারদের কোনো কাজই থাকবে না। আমার মনে হয়, এই টুর্নামেন্টে রিভার্স সুইং একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে ও স্লগ ওভারে। পেসারদের তাই স্মার্ট বোলিং করতে হবে।
মিরপুরে বেশ কটি ম্যাচ খেলেছেন, প্রথমে ব্যাট করলে কত রানকে নিরাপদ মনে করছেন?
ধোনি: দেখুন, ওয়ানডেতে এখন কোনো স্কোরই নিরাপদ নয়। ৪১৪ রান করেও ১ রানে জিতেছি আবার সেদিন ২১৭ রান করে বিশ্বের এক নম্বর দলের বিপক্ষে জিতলাম। কাজেই কিছুই বলা যায় না। কম রান করেও জয় অসম্ভব নয় আবার বড় কোনো স্কোরই নিরাপদ নয়।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুটি জয়েই ম্যান অব দ্য ম্যাচ ছিল মাশরাফি, দুটি ম্যাচেই আপনি খেলেছেন। এবার মাশরাফি নেই। দুশ্চিন্তা একটু কমে গেল?
ধোনি: এটা নিশ্চিত, এবার অন্তত সে আর ম্যান অব দ্য ম্যাচ হচ্ছে না!
বাংলাদেশ জিতলে সেটা কি অঘটন হবে নাকি স্বাভাবিক?
ধোনি: ওয়েল, জাস্ট ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ...
শচীন টেন্ডুলকার আর কত দিন খেলবেন বলে মনে হয়?
ধোনি: ২১-২২ বছরও আপনার কাছে যথেষ্ট মনে হচ্ছে না! তাহলে তো তাঁকে আরও খেলতে হবে!
ভারতের চেয়ে কি বাংলাদেশে বিশ্বকাপ উন্মাদনা বেশি বেশি মনে হচ্ছে?
ধোনি: আমার মনে হয়, এই উন্মাদনা প্রায় সমান সমানই। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় যাইনি বলে বলতে পারছি না, তবে এই দুই দেশে বিশ্বকাপের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। লোকে ক্রিকেট পাগলের মতো ভালোবাসে।
এবারের বিশ্বকাপ কতটা সফল হবে বলে মনে করছেন?
ধোনি: সফল না হওয়ার তো কোনো কারণ দেখছি না! এই উপমহাদেশে যদি বিশ্বকাপ সফল না হয় তাহলে বিশ্বের আর কোথাও হবে না। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা দুর্দান্ত হয়েছে, এবার ফরম্যাটও শক্তিশালী দলগুলোর পক্ষে আছে। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলা দলগুলোই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। কাজেই আমার ধারণা, বিশ্বকাপ দারুণ সফল হবে।
No comments