ফেডারেশন কাপে রুবচিচের চাওয়া
উইকেট নিয়ে গোপনীয়তা সব বোর্ডই রক্ষা করে। সিরিজ-টিরিজের আগে মিডিয়ায় এ নিয়ে কথা বলে বিসিবির কিউরেটররা বোর্ড কর্মকর্তাদের ধমক খেয়েছেন, এমন নজিরও আছে। কিন্তু এবার খোদ বিসিবিই সিরিজের আগে প্রতিপক্ষ দলের কাছে উইকেটের অবগুণ্ঠন খুলে দিল! বিসিবির সৌজন্যে পরশু নিউজিল্যান্ড দল প্রায় ৭০ ওভারের মতো অনুশীলন করেছে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের মাঝ উইকেটগুলোর একটিতে। নিউজিল্যান্ড হয়তো এই সুযোগ পেয়ে বিসিবির ওপর খুশি, কিন্তু ক্ষোভের আগুন যে জ্বলে উঠেছে ঘরেই!
সফরসূচি অনুযায়ী আগামীকাল থেকে শুরু পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের আগে বিকেএসপিতে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল নিউজিল্যান্ড দলের। কিন্তু বৃষ্টিতে মাঠ খেলার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ায় ম্যাচ হয়নি একটিও। নিউজিল্যান্ড এই সুযোগটাই নিয়েছে। দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচের বিনিময়ে সেন্টার উইকেটে প্র্যাকটিসের অনুমতি চায় তারা। পাছে নিউজিল্যান্ড আবার বাংলাদেশের অনুশীলন সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, সে আশঙ্কায় বিসিবিও আপত্তি করেনি তাতে। বোর্ডের এই ‘উদারতা’কে ‘বোকামি’ মনে করছে বাংলাদেশ শিবির। সরাসরি কেউ কিছু না বললেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষোভের কথা জানালেন দল-সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
জাতীয় দলের এক ক্রিকেটার বলেছেন, ‘কারও বাবা এসে বললেও সিরিজের আগে সেন্টার উইকেটে প্র্যাকটিস করতে দেওয়া উচিত না। আমরা কোনো দেশে গিয়ে এই সুবিধা পাই না। নিউজিল্যান্ড দলকে সুবিধাটা দিয়ে বোর্ড বোকার মতো কাজ করেছে।’ আরেক ক্রিকেটার বলেছেন, ‘এটা নজিরবিহীন। এত দেশে খেলতে গেছি কখনো ম্যাচের আগে মাঠের মাঝখানে গিয়ে প্র্যাকটিস করতে পারিনি। আমাদের দেশে সবই হয়।’
অন্যরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বললেও প্র্যাকটিস শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসে আবদুর রাজ্জাক বলেই ফেললেন, ‘ওরা প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতে পারেনি, এটা আমাদের জন্য ভালো হয়েছে। তবে ওরা এক দিন সেন্টার উইকেটে প্র্যাকটিস করেছে। এতে আমাদের জন্য একটু খারাপ হলো। আমরা আসলে কোনো দিন কোথাও গিয়ে সেন্টার উইকেটে অনুশীলন করতে পারিনি।’ পরে অবশ্য রাজ্জাক এও বলেছেন, ‘ঠিকই আছে এক দিক দিয়ে। ওরা এখানে কোনো ম্যাচ খেলেনি। বোর্ডেরও মনে হয় কোনো উপায় ছিল না।’ তবে এ ব্যাপারে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি অবশ্য কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
দল সূত্রে জানা গেছে, কোচ জেমি সিডন্স গত পরশুর আগের দিনই বোর্ডকে অনুরোধ করেছিলেন নিউজিল্যান্ডকে যেন সেন্টার উইকেটে প্র্যাকটিসের সুবিধা না দেওয়া হয়। বোর্ড তাঁর অনুরোধে সাড়া না দিয়ে নিউজিল্যান্ডকে সুবিধা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ সিডন্সও। কাল নাকি এ নিয়ে দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গেও কথা বলেছেন কোচ। তবে সিডন্স খেলোয়াড়দের এটা নিয়ে না ভেবে বিষয়টা তাঁর ওপর ছেড়ে দিতে বলেছেন। যদিও কাল সিডন্সের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলতে গেলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। শুধু বলেছেন, ‘বিষয়টা খুবই অস্বাভাবিক।’
সৌজন্য দেখাতে গিয়ে সফরকারী দলকে ম্যাচ ভেন্যুর কন্ডিশন বুঝে নেওয়ার সুযোগ আগেও দিয়েছে বিসিবি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গত হোম সিরিজে চট্টগ্রাম টেস্টের আগে টেস্টের ভেন্যু বিভাগীয় স্টেডিয়ামে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে দেওয়া হয়েছিল অ্যালিস্টার কুকের দলকে। অথচ বিদেশ সফরে উল্টো অভিজ্ঞতাই হয় বাংলাদেশ দলের। যে নিউজিল্যান্ড দলকে এবার সেন্টার উইকেট উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো, গত ফেব্রুয়ারিতে তাদের দেশে গিয়েই সেন্টার উইকেটে প্র্যাকটিস করতে চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হতে হয়েছিল বাংলাদেশ দলকে। সেবার বাংলাদেশের অনুশীলনও ছিল বৃষ্টিবিঘ্নিত। নিউজিল্যান্ড সেন্টার উইকেটে প্র্যাকটিস করতে দেবে বললে শেষ পর্যন্ত তো সেটা দেয়ইনি, উল্টো দুর্ব্যবহার করেছে বলেই অভিযোগ।
সফরসূচি অনুযায়ী আগামীকাল থেকে শুরু পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের আগে বিকেএসপিতে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল নিউজিল্যান্ড দলের। কিন্তু বৃষ্টিতে মাঠ খেলার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ায় ম্যাচ হয়নি একটিও। নিউজিল্যান্ড এই সুযোগটাই নিয়েছে। দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচের বিনিময়ে সেন্টার উইকেটে প্র্যাকটিসের অনুমতি চায় তারা। পাছে নিউজিল্যান্ড আবার বাংলাদেশের অনুশীলন সুবিধা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, সে আশঙ্কায় বিসিবিও আপত্তি করেনি তাতে। বোর্ডের এই ‘উদারতা’কে ‘বোকামি’ মনে করছে বাংলাদেশ শিবির। সরাসরি কেউ কিছু না বললেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক্ষোভের কথা জানালেন দল-সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
জাতীয় দলের এক ক্রিকেটার বলেছেন, ‘কারও বাবা এসে বললেও সিরিজের আগে সেন্টার উইকেটে প্র্যাকটিস করতে দেওয়া উচিত না। আমরা কোনো দেশে গিয়ে এই সুবিধা পাই না। নিউজিল্যান্ড দলকে সুবিধাটা দিয়ে বোর্ড বোকার মতো কাজ করেছে।’ আরেক ক্রিকেটার বলেছেন, ‘এটা নজিরবিহীন। এত দেশে খেলতে গেছি কখনো ম্যাচের আগে মাঠের মাঝখানে গিয়ে প্র্যাকটিস করতে পারিনি। আমাদের দেশে সবই হয়।’
অন্যরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বললেও প্র্যাকটিস শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসে আবদুর রাজ্জাক বলেই ফেললেন, ‘ওরা প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলতে পারেনি, এটা আমাদের জন্য ভালো হয়েছে। তবে ওরা এক দিন সেন্টার উইকেটে প্র্যাকটিস করেছে। এতে আমাদের জন্য একটু খারাপ হলো। আমরা আসলে কোনো দিন কোথাও গিয়ে সেন্টার উইকেটে অনুশীলন করতে পারিনি।’ পরে অবশ্য রাজ্জাক এও বলেছেন, ‘ঠিকই আছে এক দিক দিয়ে। ওরা এখানে কোনো ম্যাচ খেলেনি। বোর্ডেরও মনে হয় কোনো উপায় ছিল না।’ তবে এ ব্যাপারে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি অবশ্য কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
দল সূত্রে জানা গেছে, কোচ জেমি সিডন্স গত পরশুর আগের দিনই বোর্ডকে অনুরোধ করেছিলেন নিউজিল্যান্ডকে যেন সেন্টার উইকেটে প্র্যাকটিসের সুবিধা না দেওয়া হয়। বোর্ড তাঁর অনুরোধে সাড়া না দিয়ে নিউজিল্যান্ডকে সুবিধা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ সিডন্সও। কাল নাকি এ নিয়ে দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গেও কথা বলেছেন কোচ। তবে সিডন্স খেলোয়াড়দের এটা নিয়ে না ভেবে বিষয়টা তাঁর ওপর ছেড়ে দিতে বলেছেন। যদিও কাল সিডন্সের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলতে গেলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। শুধু বলেছেন, ‘বিষয়টা খুবই অস্বাভাবিক।’
সৌজন্য দেখাতে গিয়ে সফরকারী দলকে ম্যাচ ভেন্যুর কন্ডিশন বুঝে নেওয়ার সুযোগ আগেও দিয়েছে বিসিবি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গত হোম সিরিজে চট্টগ্রাম টেস্টের আগে টেস্টের ভেন্যু বিভাগীয় স্টেডিয়ামে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে দেওয়া হয়েছিল অ্যালিস্টার কুকের দলকে। অথচ বিদেশ সফরে উল্টো অভিজ্ঞতাই হয় বাংলাদেশ দলের। যে নিউজিল্যান্ড দলকে এবার সেন্টার উইকেট উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো, গত ফেব্রুয়ারিতে তাদের দেশে গিয়েই সেন্টার উইকেটে প্র্যাকটিস করতে চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হতে হয়েছিল বাংলাদেশ দলকে। সেবার বাংলাদেশের অনুশীলনও ছিল বৃষ্টিবিঘ্নিত। নিউজিল্যান্ড সেন্টার উইকেটে প্র্যাকটিস করতে দেবে বললে শেষ পর্যন্ত তো সেটা দেয়ইনি, উল্টো দুর্ব্যবহার করেছে বলেই অভিযোগ।
No comments