নারীর বিরুদ্ধে এসিড-সহিংসতা
আমাদের দেশে নারীরা নানা নিপীড়ন-নির্যাতন, অবিচার ও বৈষম্যের শিকার। যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে মারধর, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, খুন—কোনো কিছুই বাদ নেই। উপরন্তু এসিড ছুড়ে নারীর মুখ ও শরীর ঝলসে দেওয়া হয়। প্রায় সময় দেখা যায়, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে দুর্বৃত্তরা নারীর বিরুদ্ধে এই ভয়াবহ এসিড-সহিংসতা চালায়। গত শনিবার ভোরে চট্টগ্রাম মহানগরের জয়নগর এলাকার বাসায় কোনো দুর্বৃত্ত ঘুমন্ত তিন বোনকে লক্ষ্য করে এসিড ছুড়ে মারে। তাঁদের মুখমণ্ডল ঝলসে গেছে। এসিডদগ্ধ একজনের আগামী সপ্তাহে বিয়ে হওয়ার কথা।
এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ যথাযথ তদন্তের কথা বলেছে। আমরা চাই, সেটা হোক। কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মামলা চলে ধীরগতিতে। অনেক সময় এসিড-সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তারও হয় না। অথবা গ্রেপ্তারের পর জামিনে বেরিয়ে এসে ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি-ধমকি দেয়, মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। এসিডদগ্ধরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।
সম্প্রতি ফরিদপুর, নোয়াখালী, শিবচর, কুমিল্লা, ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এসিড-সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। অথচ এসিড নিয়ন্ত্রণ আইনে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। এর যথাযথ প্রয়োগ হলে এসিড-সন্ত্রাস বাড়ার কথা নয়। ‘এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২’ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু ২০০২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সারা দেশে এসিড-সন্ত্রাসের প্রায় দেড় হাজার মামলায় মাত্র ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে; তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে কি না, সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য নেই। অবশ্য ৯৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে এবং অন্যান্য সাজা পেয়েছে ১৬৫ জন।
এটা ঠিক যে এসিড অপরাধ দমন আইনের কিছু অপব্যবহারও হয়। সম্প্রতি এসিড অপরাধসংক্রান্ত মিথ্যা মামলার জন্য শাস্তির মেয়াদ বাড়িয়ে এসিড নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) বিল, ২০১০ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। এতে মিথ্যা মামলা করতে চক্রান্তকারীরা নিরুৎসাহিত হবে। কিন্তু যেসব মামলা প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়, তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কোনো রকম শৈথিল্য দেখানো যাবে না। এ জন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান নিশ্চিত ও তা কার্যকর করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, প্রতিটি শাস্তি প্রদানের ঘটনায় গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার দরকার। অপরাধীরা যেন বুঝতে পারে, এ ধরনের জঘন্য অপরাধ করে কেউ পার পাবে না।
এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ যথাযথ তদন্তের কথা বলেছে। আমরা চাই, সেটা হোক। কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মামলা চলে ধীরগতিতে। অনেক সময় এসিড-সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তারও হয় না। অথবা গ্রেপ্তারের পর জামিনে বেরিয়ে এসে ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি-ধমকি দেয়, মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। এসিডদগ্ধরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।
সম্প্রতি ফরিদপুর, নোয়াখালী, শিবচর, কুমিল্লা, ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এসিড-সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। অথচ এসিড নিয়ন্ত্রণ আইনে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। এর যথাযথ প্রয়োগ হলে এসিড-সন্ত্রাস বাড়ার কথা নয়। ‘এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২’ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু ২০০২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সারা দেশে এসিড-সন্ত্রাসের প্রায় দেড় হাজার মামলায় মাত্র ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে; তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে কি না, সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য নেই। অবশ্য ৯৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে এবং অন্যান্য সাজা পেয়েছে ১৬৫ জন।
এটা ঠিক যে এসিড অপরাধ দমন আইনের কিছু অপব্যবহারও হয়। সম্প্রতি এসিড অপরাধসংক্রান্ত মিথ্যা মামলার জন্য শাস্তির মেয়াদ বাড়িয়ে এসিড নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) বিল, ২০১০ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে। এতে মিথ্যা মামলা করতে চক্রান্তকারীরা নিরুৎসাহিত হবে। কিন্তু যেসব মামলা প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়, তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কোনো রকম শৈথিল্য দেখানো যাবে না। এ জন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান নিশ্চিত ও তা কার্যকর করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, প্রতিটি শাস্তি প্রদানের ঘটনায় গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার দরকার। অপরাধীরা যেন বুঝতে পারে, এ ধরনের জঘন্য অপরাধ করে কেউ পার পাবে না।
No comments