আইনে সংশোধন চেয়েছেন প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারকেরা
পাট মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি ‘পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক আইন, ২০১০’ জাতীয় সংসদে পেশ করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ আইনটি খসড়া যাচাই-বাছাইয়ের উদ্দেশে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটিতে পাঠিয়েছে। এই খসড়ায় কিছু সংশোধন আনার জন্য দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ)।
সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, এই আইন পাস হলে পাটপণ্য ব্যতীত অন্য সব মোড়কীকরণ (প্যাকেজিং) শিল্প সমস্যার সম্মুখীন হবে।
গতকাল রোববার সমিতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিপিজিএমইএ নেতারা এসব কথা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল, ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি সামিম আহমেদ, সহসভাপতি কে এম ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেকুর রহমান নান্নু ও পিপি ওভেন ব্যাগ-সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক কাজী আনোয়ারুল হক প্রমুখ।
নেতারা বলেন, বর্তমানে ধান, চাল, খাদ্যজাতীয় পণ্য, সিমেন্ট, লবণ, চিনি ও সার প্রভৃতির ক্ষেত্রে মোড়ক হিসেবে ওভেন পিপি ব্যাগ ব্যবহূত হচ্ছে। কিন্তু পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক আইন পাস করা হলে সব ওভেন পিপি ব্যাগ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বিপিজিএমইএর সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল বলেন, আইনের খসড়া প্রণয়নের আগে উপদেষ্টা কমিটিতে কারখানা মালিক, এফবিসিসিআই ও ভোক্তা প্রতিনিধি রাখা হয়নি। এমনকি তাঁদের মতামতও নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, আইনটির খসড়া প্রণয়নকালে কেবল পরিবেশের দিক দেখা হয়েছে। কিন্তু বাণিজ্যিক দিকসহ অন্যান্য দিক দেখা হয়নি। ভারতের ১৯৮৭ সালের পাট সংরক্ষণ নীতিমালার আলোকে খসড়া আইনটি করা হয়েছে। তা ছাড়া সে দেশে ২০ বছরের পুরোনো আইনটি ইতিমধ্যে শিথিল করে দিয়েছে।
বিপিজিএমইএর সভাপতি আরও বলেন, সব পণ্যের পাটজাত মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলে একদিকে যেমন বিভিন্ন পণ্যের গুণগতমান ধরে রাখা যাবে না, অন্যদিকে প্লাস্টিক খাতের বিনিয়োগকারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
হেলাল বলেন, সমিতি পাটশিল্পের বিকাশের বিপক্ষে নয়। আর বিশ্বব্যাপী পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়ায় এ শিল্পের বিকাশ হবেই। তবে আইনটি চূড়ান্ত করার আগেই পিপি ওভেন ব্যাগ ব্যবহারকারী ও প্রস্তুতকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
সমিতির নেতারা আরও জানান, দেশে প্রতিবছর এক কোটি ২০ লাখ পিপি ওভেন ব্যাগ ও ১০ লাখ পাটের ব্যাগ উৎপাদন করা হয়। প্রতিটি পিপি ওভেন ব্যাগের দাম ১০ টাকা। কিন্তু একই আয়তনের একই পাটের ব্যাগের দাম ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা।
সমিতির নেতারা জানিয়েছেন, এই আইন পাস হলে পাটপণ্য ব্যতীত অন্য সব মোড়কীকরণ (প্যাকেজিং) শিল্প সমস্যার সম্মুখীন হবে।
গতকাল রোববার সমিতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিপিজিএমইএ নেতারা এসব কথা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল, ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি সামিম আহমেদ, সহসভাপতি কে এম ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেকুর রহমান নান্নু ও পিপি ওভেন ব্যাগ-সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক কাজী আনোয়ারুল হক প্রমুখ।
নেতারা বলেন, বর্তমানে ধান, চাল, খাদ্যজাতীয় পণ্য, সিমেন্ট, লবণ, চিনি ও সার প্রভৃতির ক্ষেত্রে মোড়ক হিসেবে ওভেন পিপি ব্যাগ ব্যবহূত হচ্ছে। কিন্তু পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের ব্যবহার বাধ্যতামূলক আইন পাস করা হলে সব ওভেন পিপি ব্যাগ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বিপিজিএমইএর সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল বলেন, আইনের খসড়া প্রণয়নের আগে উপদেষ্টা কমিটিতে কারখানা মালিক, এফবিসিসিআই ও ভোক্তা প্রতিনিধি রাখা হয়নি। এমনকি তাঁদের মতামতও নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, আইনটির খসড়া প্রণয়নকালে কেবল পরিবেশের দিক দেখা হয়েছে। কিন্তু বাণিজ্যিক দিকসহ অন্যান্য দিক দেখা হয়নি। ভারতের ১৯৮৭ সালের পাট সংরক্ষণ নীতিমালার আলোকে খসড়া আইনটি করা হয়েছে। তা ছাড়া সে দেশে ২০ বছরের পুরোনো আইনটি ইতিমধ্যে শিথিল করে দিয়েছে।
বিপিজিএমইএর সভাপতি আরও বলেন, সব পণ্যের পাটজাত মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলে একদিকে যেমন বিভিন্ন পণ্যের গুণগতমান ধরে রাখা যাবে না, অন্যদিকে প্লাস্টিক খাতের বিনিয়োগকারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
হেলাল বলেন, সমিতি পাটশিল্পের বিকাশের বিপক্ষে নয়। আর বিশ্বব্যাপী পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়ায় এ শিল্পের বিকাশ হবেই। তবে আইনটি চূড়ান্ত করার আগেই পিপি ওভেন ব্যাগ ব্যবহারকারী ও প্রস্তুতকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
সমিতির নেতারা আরও জানান, দেশে প্রতিবছর এক কোটি ২০ লাখ পিপি ওভেন ব্যাগ ও ১০ লাখ পাটের ব্যাগ উৎপাদন করা হয়। প্রতিটি পিপি ওভেন ব্যাগের দাম ১০ টাকা। কিন্তু একই আয়তনের একই পাটের ব্যাগের দাম ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা।
No comments