বসতি স্থাপন বন্ধে নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান বান কি মুনের
অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপের সময় এই আহ্বান জানান তিনি। গত শনিবার জাতিসংঘ মহাসচিবের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলের বসতি স্থাপন কার্যক্রমের ওপর ১০ মাসের সাময়িক নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ গত ২৬ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। ইসরায়েলি পক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, তারা আর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াবে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন পক্ষের মধ্যে সরাসরি শান্তি আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ওই আলোচনা শুরু হয়।
টেলিফোনে নেতানিয়াহু বান কি মুনকে বলেন, ‘তিনি এখনো আশা করেন ইসরায়েল বসতি স্থাপনের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর মাধ্যমে আলোচনা অব্যাহত রাখার পরিবেশ সৃষ্টি করবে। তিনি বিশ্বাস করেন, আলোচনার মাধ্যমেই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি পক্ষ তাদের নিজ নিজ আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবে।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ মার্কিন দূত জর্জ মিশেলকেও টেলিফোন করেন বান কি মুন। আলোচনা অব্যাহত রাখার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগকেও স্বাগত জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।
ইসরায়েলের প্রধান বিরোধী দল কাদমিয়ার নেতা জিপি লিভনিও শান্তিপ্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেননি তিনি। লিভনিকে উদ্ধৃত করে ইসরায়েলি পত্রিকা জেরুজালেম পোস্ট বলেছে, নিজের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থ বিবেচনার চেয়ে ইসরায়েলের দীর্ঘ মেয়াদি স্বার্থকেই বিবেচনায় নেওয়া উচিত নেতানিয়াহুর।
এদিকে ফিলিস্তিনি নেতারা জানিয়েছেন, বসতি স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ করা না হলে আলোচনা থেকে বেরিয়ে যাবেন তাঁরা। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে শুক্রবার লিবিয়ায় আরব নেতাদের বৈঠকের পর। ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্বকারী প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নেতারা গত শনিবার এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেন।
অবশ্য ফিলিস্তিনিদের আলোচনা থেকে বেরিয়ে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট আব্বাসের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, একটি ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তিতে পৌঁছার সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে যে আলোচনা আমরা শুরু করেছিলাম তা যেন অব্যাহত রাখা হয়।’
১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর পশ্চিম তীর দখল করে ইসরায়েল। সেখানে ১০০টি বসতিতে প্রায় পাঁচ লাখ ইহুদি বসবাস করছে। আন্তর্জাতিক আইনে এসব বসতি অবৈধ। কিন্তু ইসরায়েল এটা মানতে নারাজ। বরং আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করে তারা বসতি স্থাপন অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলের বসতি স্থাপন কার্যক্রমের ওপর ১০ মাসের সাময়িক নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ গত ২৬ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। ইসরায়েলি পক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, তারা আর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াবে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন পক্ষের মধ্যে সরাসরি শান্তি আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ওই আলোচনা শুরু হয়।
টেলিফোনে নেতানিয়াহু বান কি মুনকে বলেন, ‘তিনি এখনো আশা করেন ইসরায়েল বসতি স্থাপনের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর মাধ্যমে আলোচনা অব্যাহত রাখার পরিবেশ সৃষ্টি করবে। তিনি বিশ্বাস করেন, আলোচনার মাধ্যমেই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি পক্ষ তাদের নিজ নিজ আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারবে।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ মার্কিন দূত জর্জ মিশেলকেও টেলিফোন করেন বান কি মুন। আলোচনা অব্যাহত রাখার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগকেও স্বাগত জানান জাতিসংঘ মহাসচিব।
ইসরায়েলের প্রধান বিরোধী দল কাদমিয়ার নেতা জিপি লিভনিও শান্তিপ্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেননি তিনি। লিভনিকে উদ্ধৃত করে ইসরায়েলি পত্রিকা জেরুজালেম পোস্ট বলেছে, নিজের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থ বিবেচনার চেয়ে ইসরায়েলের দীর্ঘ মেয়াদি স্বার্থকেই বিবেচনায় নেওয়া উচিত নেতানিয়াহুর।
এদিকে ফিলিস্তিনি নেতারা জানিয়েছেন, বসতি স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ করা না হলে আলোচনা থেকে বেরিয়ে যাবেন তাঁরা। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে শুক্রবার লিবিয়ায় আরব নেতাদের বৈঠকের পর। ফিলিস্তিনের প্রতিনিধিত্বকারী প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নেতারা গত শনিবার এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেন।
অবশ্য ফিলিস্তিনিদের আলোচনা থেকে বেরিয়ে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট আব্বাসের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, একটি ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তিতে পৌঁছার সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে যে আলোচনা আমরা শুরু করেছিলাম তা যেন অব্যাহত রাখা হয়।’
১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর পশ্চিম তীর দখল করে ইসরায়েল। সেখানে ১০০টি বসতিতে প্রায় পাঁচ লাখ ইহুদি বসবাস করছে। আন্তর্জাতিক আইনে এসব বসতি অবৈধ। কিন্তু ইসরায়েল এটা মানতে নারাজ। বরং আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করে তারা বসতি স্থাপন অব্যাহত রেখেছে।
No comments