কত দূর আর ফেদেরার?
জানিয়ে দিয়েছিলেন ইউএস ওপেনের ফাইনালটি দেখবেন না। এর চেয়ে দুই মেয়েকে সময় দেওয়া তাঁর কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার হতাশায় রজার ফেদেরার শেষ পর্যন্ত কি আসলেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লামের সমাপনী ম্যাচটি থেকে? ফেদেরার না থেকেও যে ফ্লাশিং মিডোর সেন্টার কোর্টে থাকলেন। অলক্ষে-অদৃশ্যে রাফায়েল নাদালের প্রতিপক্ষ হয়ে। ২৪ বছর বয়সে নিজের নবম বড় ট্রফিটা হাতে তুলে এই স্প্যানিয়ার্ড অনুচ্চারে হুমকিই দিয়ে বসলেন, ফেদেরার-সাম্রাজ্যের বাস্তিল দুর্গের একদিন হয়তো পতন হবে তাঁর হাতেই।
ঐকিক নিয়মের অঙ্কই বলছে, এই ধারা ধরে রাখতে পারলে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপার রেকর্ডটি একদিন নাদালেরই হবে। গত মাসে ত্রিশে পা রাখা ফেদেরার জিতেছেন ১৬টি। আর কত দিন খেলবেন কে জানে? পিট সাম্প্রাসকে আদর্শ মানলে ৩২-এ অবসর নেওয়ার কথা ফেদেরারের। গত তিন বছরে ১২টি গ্র্যান্ড স্লামের মাত্র তিনটিতে জিতেছেন, এ বছর দুটো গ্র্যান্ড স্লামে সেমিফাইনালেই ওঠা হয়নি, রেকর্ড সপ্তাহ ধরে এক নম্বরে থাকা খেলোয়াড় এখন তিনে—ফেদেরারের পতনের গ্রাফটা স্পষ্ট।
তাই বলে এখনই ফেদেরারকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেবেন না। ফেদেরার নিজেই ২০টি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের লক্ষ্যের কথা বলেছেন। সেটিকে অসম্ভব বলেও মনে করছেন না কেউ। তবে নাদাল যেভাবে মাটির কোর্টের দোর্দণ্ড প্রতাপ অন্য ধরনের কোর্টেও নিয়ে আসছেন, শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটটি না এক সময় তাঁর মস্তকেই সমর্পণ করতে হয় ফেদেরারকে।
নাদালের ‘ক্যারিয়ার স্লাম’ জয় আরও জোরালো করে তুলল এই আলোচনা। কিন্তু এ ধরনের কথাবার্তায় সবচেয়ে বেশি আপত্তি খোদ নাদালেরই, ‘আমি রজারের চেয়ে ভালো নাকি মন্দ, সেই আলোচনা করা বোকামি। ওর শিরোপার সংখ্যাই বলে দেবে ও আমার চেয়ে কত ভালো।’
এখানেও যদি ফেদেরারের প্রতি তাঁর সেই চিরচেনা অনুরাগ পরিষ্কার না হয় আপনার কাছে, বাকি মন্তব্যটুকুও জেনে নিন, ‘আমার কাছে সব সময়, সব সময়ই রজার একটা উদাহরণ। বিশেষ করে ও যেভাবে পুরো ক্যারিয়ারেই খেলায় উন্নতি করে গেছে সেটা। এটা অনুসরণ করা সবার জন্যই মঙ্গলের। আমি তো তা-ই করি।’
টেনিস ইতিহাসের স্মরণীয় দ্বৈরথগুলোর মধ্যে থাকবে তাঁদের লড়াই। কিন্তু কোর্টের বাইরে দুজন ভালো বন্ধু। নাদালের কাছে ফেদেরার সব সময়ই অনুপ্রেরণার উৎস। ফেদেরারও তরুণ প্রতিদ্বন্দ্বীকে অকৃপণ মুগ্ধতায় ভাসিয়ে দেন সব সময়। ইউএস ওপেন থেকে ঘরে ফেরার মুহূর্তেও জানিয়ে গেছেন, ফাইনাল না দেখলেও তাঁর পুরো সমর্থন থাকবে ‘রাফা’র প্রতিই।
নাদাল যা-ই বলুন, টেনিস সার্কিটে, বিশেষ করে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের জয়গান শুরু হয়ে গেছে। পঁচিশের আগেই টেনিসের কিংবদন্তিদের পাশে নাম লেখানো নাদালও তাঁদের দৃষ্টিতে ‘কিংবদন্তি’। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো সমর্থন মিলছে নোভাক জোকোভিচের কাছ থেকে। নেটের ও প্রান্ত থেকে নাদালের মুখোমুখি হওয়ার টাটকা অভিজ্ঞতা থেকে এই সার্বিয়ান তরুণ বলে দিলেন, ‘এই মুহূর্তে নাদালই সেরা।’
‘এই মুহূর্ত’টাকে ‘সর্বকালের সেরা’ বানিয়ে ফেলতে নাদাল পারবেন কি না, সেই উত্তর তো মহাকালই দেবে এক সময়!
ঐকিক নিয়মের অঙ্কই বলছে, এই ধারা ধরে রাখতে পারলে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপার রেকর্ডটি একদিন নাদালেরই হবে। গত মাসে ত্রিশে পা রাখা ফেদেরার জিতেছেন ১৬টি। আর কত দিন খেলবেন কে জানে? পিট সাম্প্রাসকে আদর্শ মানলে ৩২-এ অবসর নেওয়ার কথা ফেদেরারের। গত তিন বছরে ১২টি গ্র্যান্ড স্লামের মাত্র তিনটিতে জিতেছেন, এ বছর দুটো গ্র্যান্ড স্লামে সেমিফাইনালেই ওঠা হয়নি, রেকর্ড সপ্তাহ ধরে এক নম্বরে থাকা খেলোয়াড় এখন তিনে—ফেদেরারের পতনের গ্রাফটা স্পষ্ট।
তাই বলে এখনই ফেদেরারকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেবেন না। ফেদেরার নিজেই ২০টি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের লক্ষ্যের কথা বলেছেন। সেটিকে অসম্ভব বলেও মনে করছেন না কেউ। তবে নাদাল যেভাবে মাটির কোর্টের দোর্দণ্ড প্রতাপ অন্য ধরনের কোর্টেও নিয়ে আসছেন, শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটটি না এক সময় তাঁর মস্তকেই সমর্পণ করতে হয় ফেদেরারকে।
নাদালের ‘ক্যারিয়ার স্লাম’ জয় আরও জোরালো করে তুলল এই আলোচনা। কিন্তু এ ধরনের কথাবার্তায় সবচেয়ে বেশি আপত্তি খোদ নাদালেরই, ‘আমি রজারের চেয়ে ভালো নাকি মন্দ, সেই আলোচনা করা বোকামি। ওর শিরোপার সংখ্যাই বলে দেবে ও আমার চেয়ে কত ভালো।’
এখানেও যদি ফেদেরারের প্রতি তাঁর সেই চিরচেনা অনুরাগ পরিষ্কার না হয় আপনার কাছে, বাকি মন্তব্যটুকুও জেনে নিন, ‘আমার কাছে সব সময়, সব সময়ই রজার একটা উদাহরণ। বিশেষ করে ও যেভাবে পুরো ক্যারিয়ারেই খেলায় উন্নতি করে গেছে সেটা। এটা অনুসরণ করা সবার জন্যই মঙ্গলের। আমি তো তা-ই করি।’
টেনিস ইতিহাসের স্মরণীয় দ্বৈরথগুলোর মধ্যে থাকবে তাঁদের লড়াই। কিন্তু কোর্টের বাইরে দুজন ভালো বন্ধু। নাদালের কাছে ফেদেরার সব সময়ই অনুপ্রেরণার উৎস। ফেদেরারও তরুণ প্রতিদ্বন্দ্বীকে অকৃপণ মুগ্ধতায় ভাসিয়ে দেন সব সময়। ইউএস ওপেন থেকে ঘরে ফেরার মুহূর্তেও জানিয়ে গেছেন, ফাইনাল না দেখলেও তাঁর পুরো সমর্থন থাকবে ‘রাফা’র প্রতিই।
নাদাল যা-ই বলুন, টেনিস সার্কিটে, বিশেষ করে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের জয়গান শুরু হয়ে গেছে। পঁচিশের আগেই টেনিসের কিংবদন্তিদের পাশে নাম লেখানো নাদালও তাঁদের দৃষ্টিতে ‘কিংবদন্তি’। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো সমর্থন মিলছে নোভাক জোকোভিচের কাছ থেকে। নেটের ও প্রান্ত থেকে নাদালের মুখোমুখি হওয়ার টাটকা অভিজ্ঞতা থেকে এই সার্বিয়ান তরুণ বলে দিলেন, ‘এই মুহূর্তে নাদালই সেরা।’
‘এই মুহূর্ত’টাকে ‘সর্বকালের সেরা’ বানিয়ে ফেলতে নাদাল পারবেন কি না, সেই উত্তর তো মহাকালই দেবে এক সময়!
No comments