মরিনহোর ‘তিন’-এর অভিযান
মাস চারেক আগে এই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেই রচিত হয়েছিল তাঁর কোচিং ক্যারিয়ারের সুন্দরতম মুহূর্তটি। লিগ ও কাপ জিতেছিলেন আগেই, বার্নাব্যুতে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে জিতলেন চ্যাম্পিয়নস লিগ। ইন্টার মিলান জিতল ‘ট্রেবল’। সেই বার্নাব্যুতেই আজ আবার শুরু হচ্ছে হোসে মরিনহোর ইউরোপিয়ান লড়াই।
তবে দৃশ্যপট বদলে গেছে। সেদিন বার্নাব্যু ছিল ইন্টার-বায়ার্ন ফাইনালের নিরাবেগ দর্শক। আর এখন বার্নাব্যুর দর্শকসমুদ্র মরিনহোর ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে প্রত্যাশার পাহাড়—নয় বছর পর আরেকবার ইউরোপ-শ্রেষ্ঠ হওয়ার প্রত্যাশা, দুই মৌসুমের শিরোপা-খরা কাটানোর প্রত্যাশা।
এই চাপ নিয়েই আজ চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় দিনে ডাচ ক্লাব আয়াক্স আমস্টারডামের মুখোমুখি রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে রেকর্ড নয়বার, আয়াক্স চারবার। তাই বলে দুদলকে এক করে ফেলার কোনো কারণ নেই। সত্তর দশকে টানা তিনবার ইউরোপ-সেরার মুকুট পরা মিশেলস-ক্রুইফ যুগের আয়াক্সের চতুর্থ শিরোপা সেই ১৯৯৫ সালে। মাঝখানে ইউরোপীয় মঞ্চে বলার মতো কিছুই করেনি তারা। এবারও আয়াক্সের পক্ষে বাজি ধরার লোক পাওয়া যাবে না। তবে রিয়ালের পক্ষে বাজি ধরতেই পারেন। রিয়ালের সর্বশেষ ইউরোপ জয়ও ২০০১-০২। এর পর থেকে তারকাখচিত রিয়াল ঘুরে মরছে ব্যর্থতার বৃত্তে।
কাকা, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ইকার ক্যাসিয়াসের মতো বড় বড় তারকাও কেন গত মৌসুমে রিয়ালকে কোনো ট্রফি এনে দিতে পারলেন না, এ প্রশ্নের জবাব মিলছে না। রিয়াল সমর্থকদের আশা, সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন মরিনহো। তবে মরিনহোর স্বদেশি রোনালদোকে একটু সাবধানীই মনে হচ্ছে, ‘এখনই এত বেশি আশার বেলুন ফুলানো ঠিক হবে না। হ্যাঁ, আমি নিশ্চিত এ মৌসুমে অন্তত একটা ট্রফি আমরা জিততে পারব।’
একটা ট্রফির কথা বললে কি আর রিয়াল-সমর্থকেরা মানবে? তাদের যে তিনটি চাই! মরিনহোর নিজেরও ‘তিন’ জয়ের একটা লক্ষ্য আছে। পোর্তো-ইন্টারের পর রিয়ালের হয়েও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারলে ভিন্ন তিন ক্লাবের হয়ে শিরোপা জয়ের প্রথম কীর্তিটা গড়ে ফেলবেন তিনি। অবশ্য মরিনহো যথারীতি অত দূরে না দেখে আপাতত শুধু আয়াক্স ম্যাচ নিয়েই ভাবছেন, ‘আপাতত বুধবার ভালো একটা শুরু করে, ম্যাচটা জিতে গ্রুপের সেরা হওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
আয়াক্সের বিপক্ষে সেই জয়টা পেতে রিয়ালের খুব বেশি কষ্ট হওয়ার কথা নয়। এমনিতেই তুলনামূলক দুর্বল ডাচ দলটি উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার লুই সুয়ারেজের নিষেধাজ্ঞায় আরও খর্বশক্তির হয়ে পড়েছে। ইকার ক্যাসিয়াস যেটিকে দেখছেন ‘আশীর্বাদ’ বলে।
রিয়াল-আয়াক্সের ডামাডোলে আজকের চ্যাম্পিয়নস লিগের অন্য ম্যাচগুলো যেন হারিয়েই যাচ্ছে! অথচ আজ নিজেদের মাঠে ইতালিয়ান দল রোমার মুখোমুখি হচ্ছে গতবারের রানার্সআপ বায়ার্ন মিউনিখও। বায়ার্নেও তারার অভাব নেই, গত বিশ্বকাপেই খেলেছেন এমন ১১ জন আছেন দলে, তার পরও মৌসুমের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি। শনিবার ভেরডার ব্রেমেনের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে বায়ার্ন। ফিলিপ লাম দুষছেন বিশ্বকাপজনিত ক্লান্তিকে।
কারণ যাই হোক, রোমার বিপক্ষে আজ জয়ের কোনো বিকল্প দেখছেন না বিশ্বকাপের আবিষ্কার টমাস মুলার। গত চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো গ্রুপ পর্বে খাদের কিনারে গিয়ে লড়তে চান না তিনি। বায়ার্নের বিপক্ষে রোমার বলার মতো সুখবর একটাই, চোট কাটিয়ে এই ম্যাচে ফিরছেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার আদ্রিয়ানো।
ওদিকে স্পোর্টিং ব্রাগার বিপক্ষে ম্যাচের আগে নিজের দলকে ‘ফেবারিট’ বলতে রাজি হচ্ছেন না আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার। না বলার কারণও আছে। এই ম্যাচে চোটের কারণে মাঠে পাচ্ছেন না তিনি রবিন ফন পার্সি, থিও ওয়ালকট ও নিকোলাস বেন্ডটেন্ডারকে। ফলে লিগে বোল্টনের বিপক্ষে পাওয়া বড় জয়ের (৪-১) আনন্দটাকেও চেপে রাখতে হচ্ছে ওয়েঙ্গারকে।
তবে দৃশ্যপট বদলে গেছে। সেদিন বার্নাব্যু ছিল ইন্টার-বায়ার্ন ফাইনালের নিরাবেগ দর্শক। আর এখন বার্নাব্যুর দর্শকসমুদ্র মরিনহোর ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে প্রত্যাশার পাহাড়—নয় বছর পর আরেকবার ইউরোপ-শ্রেষ্ঠ হওয়ার প্রত্যাশা, দুই মৌসুমের শিরোপা-খরা কাটানোর প্রত্যাশা।
এই চাপ নিয়েই আজ চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় দিনে ডাচ ক্লাব আয়াক্স আমস্টারডামের মুখোমুখি রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে রেকর্ড নয়বার, আয়াক্স চারবার। তাই বলে দুদলকে এক করে ফেলার কোনো কারণ নেই। সত্তর দশকে টানা তিনবার ইউরোপ-সেরার মুকুট পরা মিশেলস-ক্রুইফ যুগের আয়াক্সের চতুর্থ শিরোপা সেই ১৯৯৫ সালে। মাঝখানে ইউরোপীয় মঞ্চে বলার মতো কিছুই করেনি তারা। এবারও আয়াক্সের পক্ষে বাজি ধরার লোক পাওয়া যাবে না। তবে রিয়ালের পক্ষে বাজি ধরতেই পারেন। রিয়ালের সর্বশেষ ইউরোপ জয়ও ২০০১-০২। এর পর থেকে তারকাখচিত রিয়াল ঘুরে মরছে ব্যর্থতার বৃত্তে।
কাকা, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ইকার ক্যাসিয়াসের মতো বড় বড় তারকাও কেন গত মৌসুমে রিয়ালকে কোনো ট্রফি এনে দিতে পারলেন না, এ প্রশ্নের জবাব মিলছে না। রিয়াল সমর্থকদের আশা, সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন মরিনহো। তবে মরিনহোর স্বদেশি রোনালদোকে একটু সাবধানীই মনে হচ্ছে, ‘এখনই এত বেশি আশার বেলুন ফুলানো ঠিক হবে না। হ্যাঁ, আমি নিশ্চিত এ মৌসুমে অন্তত একটা ট্রফি আমরা জিততে পারব।’
একটা ট্রফির কথা বললে কি আর রিয়াল-সমর্থকেরা মানবে? তাদের যে তিনটি চাই! মরিনহোর নিজেরও ‘তিন’ জয়ের একটা লক্ষ্য আছে। পোর্তো-ইন্টারের পর রিয়ালের হয়েও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারলে ভিন্ন তিন ক্লাবের হয়ে শিরোপা জয়ের প্রথম কীর্তিটা গড়ে ফেলবেন তিনি। অবশ্য মরিনহো যথারীতি অত দূরে না দেখে আপাতত শুধু আয়াক্স ম্যাচ নিয়েই ভাবছেন, ‘আপাতত বুধবার ভালো একটা শুরু করে, ম্যাচটা জিতে গ্রুপের সেরা হওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
আয়াক্সের বিপক্ষে সেই জয়টা পেতে রিয়ালের খুব বেশি কষ্ট হওয়ার কথা নয়। এমনিতেই তুলনামূলক দুর্বল ডাচ দলটি উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার লুই সুয়ারেজের নিষেধাজ্ঞায় আরও খর্বশক্তির হয়ে পড়েছে। ইকার ক্যাসিয়াস যেটিকে দেখছেন ‘আশীর্বাদ’ বলে।
রিয়াল-আয়াক্সের ডামাডোলে আজকের চ্যাম্পিয়নস লিগের অন্য ম্যাচগুলো যেন হারিয়েই যাচ্ছে! অথচ আজ নিজেদের মাঠে ইতালিয়ান দল রোমার মুখোমুখি হচ্ছে গতবারের রানার্সআপ বায়ার্ন মিউনিখও। বায়ার্নেও তারার অভাব নেই, গত বিশ্বকাপেই খেলেছেন এমন ১১ জন আছেন দলে, তার পরও মৌসুমের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি। শনিবার ভেরডার ব্রেমেনের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে বায়ার্ন। ফিলিপ লাম দুষছেন বিশ্বকাপজনিত ক্লান্তিকে।
কারণ যাই হোক, রোমার বিপক্ষে আজ জয়ের কোনো বিকল্প দেখছেন না বিশ্বকাপের আবিষ্কার টমাস মুলার। গত চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো গ্রুপ পর্বে খাদের কিনারে গিয়ে লড়তে চান না তিনি। বায়ার্নের বিপক্ষে রোমার বলার মতো সুখবর একটাই, চোট কাটিয়ে এই ম্যাচে ফিরছেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার আদ্রিয়ানো।
ওদিকে স্পোর্টিং ব্রাগার বিপক্ষে ম্যাচের আগে নিজের দলকে ‘ফেবারিট’ বলতে রাজি হচ্ছেন না আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার। না বলার কারণও আছে। এই ম্যাচে চোটের কারণে মাঠে পাচ্ছেন না তিনি রবিন ফন পার্সি, থিও ওয়ালকট ও নিকোলাস বেন্ডটেন্ডারকে। ফলে লিগে বোল্টনের বিপক্ষে পাওয়া বড় জয়ের (৪-১) আনন্দটাকেও চেপে রাখতে হচ্ছে ওয়েঙ্গারকে।
No comments