বিশ্বজুড়ে বিদেশি বিনিয়োগে মন্দা বাংলাদেশেও প্রভাব পড়েছে
বিশ্ব মন্দার নেতিবাচক প্রভাবে ২০০৯ সালে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ আগের বছরের তুলনায় ৩৬ শতাংশ কমে গেছে বলে ‘বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন ২০১০’-এ উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (আঙ্কটাড) গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এবারে প্রতিবেদনের প্রতিপাদ্য করা হয়েছে ‘সীমিত কার্বনের অর্থনীতিতে বিনিয়োগ।’
গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিনিয়োগ বোর্ড এই প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে। এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ইসমাইল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান এস এ সামাদ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালে যেখানে বাংলাদেশে ১০৮ কোটি ৬০ লাখ ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল, সেখানে ২০০৯ সালে এসেছে ৭১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ।
তবে এই সময়কালে বাংলাদেশ থেকে যথাক্রমে ৯০ লাখ ও দেড় কোটি ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বেড়িয়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে ইসমাইল হোসেন বলেন, বিশ্বজুড়েই মন্দার প্রভাবে বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে যার প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়েছে। তবে মন্দা ছাড়া দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটও বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।
অবশ্য এস এ সামাদ বলেন, যখন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আসে, তখন তারা আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে সবচেয়ে বড় বাধা বলে মনে করে। তবে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট নিয়ে তেমন একটা অভিযোগ করে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আঙ্কটাড প্রতিবেদন অনুসারে ২০০৯ সালে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ ২০০৮ সালের ৬৪ কোটি ১০ লাখ ডলারের তুলনায় ৬০ শতাংশ কমে ২৫ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
বিদ্যুৎ-গ্যাস ও জ্বালানি খাতেও বিদেশি বিনিয়োগ ৪৯ শতাংশ কমে গেছে। ২০০৮ সালে যেখানে এই খাতে বিনিয়োগ ছিল ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার তা ২০০৯ সালে কমে হয়েছে পাঁচ কোটি ১০ লাখ ডলার।
ব্যাংকিং খাতে বিদেশি বিনিয়োগ অবশ্য সামান্য বেড়েছে। ২০০৮ সালে যেখানে ১৪ কোটি ১০ লাখ ডলারের বিনিয়োগ এসেছিল, সেখানে ২০০৯ সালে তা হয়েছে ১৪ কোটি ২০ লাখ ডলার।
আঙ্কটাডের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০৮ সালে বাংলাদেশের মোট স্থির পুুঁজি গঠনে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের হার অবদান ছিল ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ যা ২০০৯ সালে নেমে এসেচে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগ প্রাপ্তির অবস্থা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান নেমে গেছে। ২০০৭ সালের ১৩০তম অবস্থান থেকে ২০০৮ সালে ১১৫তম অবস্থানে উঠে আসার পর ২০০৯ সালে বাংলাদেশ নেমে গেছে ১২১তম অবস্থানে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুসারে, ২০১০ সালের প্রথম পাঁচ মাসে দেশে ৪২ কোটি ৪০ লাখ ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। আর আলোচ্য অর্থবছরের জুলাই-মে সময়কালে বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহ ছিল ৬২ কোটি ১০ লাখ ডলার।
এই পরিসংখ্যান থেকে ২০১০ সালের প্রথম পাঁচ মাসের বিদেশি বিনিয়োগের হিসাব নির্ণয় করা হয়েছে।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি: ২০০৯ সালে বিশ্বব্যাপী প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ ৩৭ শতাংশ কমেছে। উন্নত দেশগুলোতে এই হার কমেছে ৪৪ শতাংশ, যেখানে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই হার কমেছে ২৭ শতাংশ।
২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ গন্তব্য ছিল। বিশ্বের মোট বিদেশি বিনিয়োগের মধ্যে ১৩ হাজার কোটি ডলার গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে চীন। সাড়ে নয় হাজার কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে চীন। আর ছয় হাজার কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফ্রান্স।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে কমে গেছে।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (আঙ্কটাড) গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এবারে প্রতিবেদনের প্রতিপাদ্য করা হয়েছে ‘সীমিত কার্বনের অর্থনীতিতে বিনিয়োগ।’
গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিনিয়োগ বোর্ড এই প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে। এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ইসমাইল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান এস এ সামাদ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালে যেখানে বাংলাদেশে ১০৮ কোটি ৬০ লাখ ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল, সেখানে ২০০৯ সালে এসেছে ৭১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ।
তবে এই সময়কালে বাংলাদেশ থেকে যথাক্রমে ৯০ লাখ ও দেড় কোটি ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বেড়িয়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে ইসমাইল হোসেন বলেন, বিশ্বজুড়েই মন্দার প্রভাবে বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে যার প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়েছে। তবে মন্দা ছাড়া দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটও বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।
অবশ্য এস এ সামাদ বলেন, যখন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আসে, তখন তারা আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে সবচেয়ে বড় বাধা বলে মনে করে। তবে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট নিয়ে তেমন একটা অভিযোগ করে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আঙ্কটাড প্রতিবেদন অনুসারে ২০০৯ সালে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ খাতে বিদেশি বিনিয়োগ ২০০৮ সালের ৬৪ কোটি ১০ লাখ ডলারের তুলনায় ৬০ শতাংশ কমে ২৫ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
বিদ্যুৎ-গ্যাস ও জ্বালানি খাতেও বিদেশি বিনিয়োগ ৪৯ শতাংশ কমে গেছে। ২০০৮ সালে যেখানে এই খাতে বিনিয়োগ ছিল ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার তা ২০০৯ সালে কমে হয়েছে পাঁচ কোটি ১০ লাখ ডলার।
ব্যাংকিং খাতে বিদেশি বিনিয়োগ অবশ্য সামান্য বেড়েছে। ২০০৮ সালে যেখানে ১৪ কোটি ১০ লাখ ডলারের বিনিয়োগ এসেছিল, সেখানে ২০০৯ সালে তা হয়েছে ১৪ কোটি ২০ লাখ ডলার।
আঙ্কটাডের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০৮ সালে বাংলাদেশের মোট স্থির পুুঁজি গঠনে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের হার অবদান ছিল ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ যা ২০০৯ সালে নেমে এসেচে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগ প্রাপ্তির অবস্থা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান নেমে গেছে। ২০০৭ সালের ১৩০তম অবস্থান থেকে ২০০৮ সালে ১১৫তম অবস্থানে উঠে আসার পর ২০০৯ সালে বাংলাদেশ নেমে গেছে ১২১তম অবস্থানে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুসারে, ২০১০ সালের প্রথম পাঁচ মাসে দেশে ৪২ কোটি ৪০ লাখ ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। আর আলোচ্য অর্থবছরের জুলাই-মে সময়কালে বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহ ছিল ৬২ কোটি ১০ লাখ ডলার।
এই পরিসংখ্যান থেকে ২০১০ সালের প্রথম পাঁচ মাসের বিদেশি বিনিয়োগের হিসাব নির্ণয় করা হয়েছে।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি: ২০০৯ সালে বিশ্বব্যাপী প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ ৩৭ শতাংশ কমেছে। উন্নত দেশগুলোতে এই হার কমেছে ৪৪ শতাংশ, যেখানে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই হার কমেছে ২৭ শতাংশ।
২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ গন্তব্য ছিল। বিশ্বের মোট বিদেশি বিনিয়োগের মধ্যে ১৩ হাজার কোটি ডলার গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে চীন। সাড়ে নয় হাজার কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে চীন। আর ছয় হাজার কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফ্রান্স।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে কমে গেছে।
No comments