দাওয়াত পাওয়া না পাওয়া নিয়ে চলছে মান-অভিমানের পালা
চেলসি ক্লিনটন ও তাঁর হবু বর মার্ক মেজভিনস্কি |
বলা হচ্ছে, মার্কিন মুলুকের এ শতাব্দীর সবচেয়ে আলোচিত বিয়ে হতে যাচ্ছে এটি। এক সপ্তাহও বাকি নেই সেই বিয়ের। হ্যাঁ, ৩১ জুলাই বিয়ে হচ্ছে ক্লিনটন দম্পতির একমাত্র মেয়ে ছোটবেলার ‘কুচ্ছিত হাঁসের ছানা’ থেকে সুন্দরী নারী হয়ে ওঠা চেলসির।
সিয়াটল থেকে মিয়ামি, নিউইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস—সব জায়গায় এখন এই বিয়ে নিয়ে আলোচনা।
বিয়েবাড়িতে কেমন সাজসজ্জা হবে, কী পরিমাণ উপহারসামগ্রী আসতে পারে, সেসব আলোচনা তো আছেই। তবে এখন সবকিছু ছাপিয়ে উঠেছে বিয়েতে কে কে দাওয়াত পাচ্ছেন সেই আলোচনা।
খুব সাম্প্রতিক সময়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলে বিল ক্লিনটনের মেয়ের বিয়েতে দাওয়াত পাওয়ার আশা করতে পারেন অনেকেই। কিন্তু বিল ক্লিনটন ও তাঁর স্ত্রী বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটনের আত্মীয়স্বজন ছাড়াও বন্ধু, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীর তো ইয়ত্তা নেই। কাজেই সবাইকে নিমন্ত্রণ করা সম্ভবও নয়। এটা বুঝেই এখন পর্যন্ত দাওয়াত না পাওয়া অনেকেই আশা ছেড়ে দিয়ে নাকি হতাশ হয়ে পড়েছেন। হতাশার সঙ্গে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।
বিল ক্লিনটনের ঘনিষ্ঠ এক ধনী বন্ধু নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ‘পুরো দেশ চষে বেড়ানোর জন্য বিলকে নিজের উড়োজাহাজ ধার দিয়েছি, অথচ সেই বন্ধুর মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পাওয়ার যোগ্যতা হলো না।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক হ্যানক শেইনকপফ ১৯৯৬ সালে বিল ক্লিনটনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচনের সময় প্রচার সহযোগী ছিলেন। ৩০ বছর একসঙ্গে রাজনীতি করেছেন। অথচ আমন্ত্রণ পাননি। দুঃখ করে তিনি বলেছেন, ‘ক্ষমতাবান লোকজনকে ঘনিষ্ঠ ভাবা খুবই বিপজ্জনক। অনেক সময়ই এ ঘনিষ্ঠতা সত্য নয়।’
তবে শেইনকপফ এ-ও বলেন, ‘ক্লিনটন দম্পতি তাঁদের মেয়ের গোপনীয়তা রক্ষায় সব সময়ই সচেষ্ট ছিলেন। তাই যাঁরা এ বিয়েকে কেন্দ্র করে সাবেক প্রেসিডেন্টের সাহচর্য পেতে চান, তাঁদের জন্য কোনো লাভ হবে না।’
ধনকুবের জন কেটসিমেটিডিস ক্লিনটন দম্পতির নির্বাচনী প্রচারণায় লাখ লাখ ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেছেন। নিমন্ত্রণ না পেয়ে তিনি বলেছেন, ‘বিয়ের আর মাত্র সপ্তাহ খানেক বাকি। এখনো আমন্ত্রণপত্র পৌঁছায়নি। ফলে ধরেই নেওয়া যায়, আমি আমন্ত্রিতদের মধ্যে নেই।’
বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য লবিংও শুরু হয়েছে। কেননা, চেলসির বিয়েতে থেকে ক্লিনটন দম্পতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা প্রমাণ করা অনেকের কাছেই মুখরক্ষার চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমন্ত্রণ না পেয়ে কেউ কেউ অবশ্য রাজনৈতিক কায়দায় মন্তব্য করছেন, ‘বিয়েটা পারিবারিকভাবেই হচ্ছে।’ জন কেটসিমেটিডিস তাঁদেরই একজন। তিনি বলেন, ‘এটা কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ নয়। এমনকি কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানও নয়।’
নিউইয়র্ক সিটির অদূরে রাইনব্যাক এলাকায় আগামী শনিবার হবে বহুল আলোচিত এ বিয়ে। ইহুদি বন্ধু মার্ক মেজভিনস্কিকে (৩২) বিয়ে করছেন চেলসি (৩০)। বিয়ের অনুষ্ঠানটি হচ্ছে খুবই নিয়ন্ত্রিত ও পারিবারিকভাবে। দেশ-বিদেশের মাত্র ৪০০ অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যাঁদের বেশির ভাগই বর-কনের নিকটাত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজন।
সিয়াটল থেকে মিয়ামি, নিউইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস—সব জায়গায় এখন এই বিয়ে নিয়ে আলোচনা।
বিয়েবাড়িতে কেমন সাজসজ্জা হবে, কী পরিমাণ উপহারসামগ্রী আসতে পারে, সেসব আলোচনা তো আছেই। তবে এখন সবকিছু ছাপিয়ে উঠেছে বিয়েতে কে কে দাওয়াত পাচ্ছেন সেই আলোচনা।
খুব সাম্প্রতিক সময়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলে বিল ক্লিনটনের মেয়ের বিয়েতে দাওয়াত পাওয়ার আশা করতে পারেন অনেকেই। কিন্তু বিল ক্লিনটন ও তাঁর স্ত্রী বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটনের আত্মীয়স্বজন ছাড়াও বন্ধু, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীর তো ইয়ত্তা নেই। কাজেই সবাইকে নিমন্ত্রণ করা সম্ভবও নয়। এটা বুঝেই এখন পর্যন্ত দাওয়াত না পাওয়া অনেকেই আশা ছেড়ে দিয়ে নাকি হতাশ হয়ে পড়েছেন। হতাশার সঙ্গে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।
বিল ক্লিনটনের ঘনিষ্ঠ এক ধনী বন্ধু নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ‘পুরো দেশ চষে বেড়ানোর জন্য বিলকে নিজের উড়োজাহাজ ধার দিয়েছি, অথচ সেই বন্ধুর মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পাওয়ার যোগ্যতা হলো না।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক হ্যানক শেইনকপফ ১৯৯৬ সালে বিল ক্লিনটনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচনের সময় প্রচার সহযোগী ছিলেন। ৩০ বছর একসঙ্গে রাজনীতি করেছেন। অথচ আমন্ত্রণ পাননি। দুঃখ করে তিনি বলেছেন, ‘ক্ষমতাবান লোকজনকে ঘনিষ্ঠ ভাবা খুবই বিপজ্জনক। অনেক সময়ই এ ঘনিষ্ঠতা সত্য নয়।’
তবে শেইনকপফ এ-ও বলেন, ‘ক্লিনটন দম্পতি তাঁদের মেয়ের গোপনীয়তা রক্ষায় সব সময়ই সচেষ্ট ছিলেন। তাই যাঁরা এ বিয়েকে কেন্দ্র করে সাবেক প্রেসিডেন্টের সাহচর্য পেতে চান, তাঁদের জন্য কোনো লাভ হবে না।’
ধনকুবের জন কেটসিমেটিডিস ক্লিনটন দম্পতির নির্বাচনী প্রচারণায় লাখ লাখ ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেছেন। নিমন্ত্রণ না পেয়ে তিনি বলেছেন, ‘বিয়ের আর মাত্র সপ্তাহ খানেক বাকি। এখনো আমন্ত্রণপত্র পৌঁছায়নি। ফলে ধরেই নেওয়া যায়, আমি আমন্ত্রিতদের মধ্যে নেই।’
বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য লবিংও শুরু হয়েছে। কেননা, চেলসির বিয়েতে থেকে ক্লিনটন দম্পতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা প্রমাণ করা অনেকের কাছেই মুখরক্ষার চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমন্ত্রণ না পেয়ে কেউ কেউ অবশ্য রাজনৈতিক কায়দায় মন্তব্য করছেন, ‘বিয়েটা পারিবারিকভাবেই হচ্ছে।’ জন কেটসিমেটিডিস তাঁদেরই একজন। তিনি বলেন, ‘এটা কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ নয়। এমনকি কোনো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানও নয়।’
নিউইয়র্ক সিটির অদূরে রাইনব্যাক এলাকায় আগামী শনিবার হবে বহুল আলোচিত এ বিয়ে। ইহুদি বন্ধু মার্ক মেজভিনস্কিকে (৩২) বিয়ে করছেন চেলসি (৩০)। বিয়ের অনুষ্ঠানটি হচ্ছে খুবই নিয়ন্ত্রিত ও পারিবারিকভাবে। দেশ-বিদেশের মাত্র ৪০০ অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যাঁদের বেশির ভাগই বর-কনের নিকটাত্মীয় ও ঘনিষ্ঠজন।
No comments