পরমাণু অস্ত্র দিয়ে জবাব দেব শুরু করব পবিত্র যুদ্ধ
উত্তর কোরিয়া কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্রের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার জবাব দেওয়া হবে। তারা দেশ দুটির বিরুদ্ধে যেকোনো সময় ‘পবিত্র যুদ্ধ’ শুরু করতে পারে বলেও ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এই হুঁশিয়ারির জবাবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এমন যুদ্ধংদেহী মন্তব্যের প্রতি তাদের কোনো আগ্রহ নেই। বরং তারা চায় উত্তর কোরিয়া আলোচনার পথে আসুক।
কমিউনিস্টশাসিত উত্তর কোরিয়া এর আগেও অনুরূপ ভাষায় হুমকি দিয়েছে। তবে এর পরও তাদের এ ঘোষণা অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে কিছুটা উদ্বেগের সৃষ্টি করবে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
উত্তর কোরিয়ার প্রভাবশালী জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশন গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্র আর তার হাতের পুতুল দক্ষিণ কোরিয়া বর্তমান পরিস্থিতিকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার জনগণ ও সেনাবাহিনী প্রয়োজনে যেকোনো সময় পবিত্র যুদ্ধ শুরু করতে প্রস্তুত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া বিশেষ কৌশল হিসেবে যৌথ মহড়ার আয়োজন করেছে। উত্তর কোরিয়াকে দমিয়ে রাখাই তাদের আসল উদ্দেশ্য। আজ রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়াকে ‘অসংযত’ বলেও আখ্যায়িত করা হয়। উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিতে (কেসিএনএ) এই বিবৃতি প্রচার করা হয়।
একই বার্তা সংস্থা দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানায়, উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন মার্কিন অবরোধ ও যৌথ মহড়ার কঠোর জবাব দেওয়া হবে। কিন্তু এই কঠোর জবাব ঠিক কী হবে হবে—তার বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি।
উত্তর কোরিয়ার গতকালের এ হুঁশিয়ারির জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র পি জে ক্রাউলি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে গঠনমূলক উদ্যোগ আশা করে। পাশাপাশি এটাও আশা করে যে দেশটি উসকানিমূলক কথাবার্তা কমিয়ে দেবে।
গত শুক্রবার ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামের (এআরএফ) বৈঠকে উত্তর কোরীয় প্রতিনিধিদলের মুখপাত্র রি তং ইলের হুঁশিয়ারির পরদিনই উত্তর কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশনের বিবৃতিতে নতুন করে হুঁশিয়ারি দেওয়া হলো।
আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়ায় মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন, অন্য ২০টি রণতরী ও ডুবোজাহাজ, ১০০টি বিমান ও আট হাজার সেনা অংশ নেবে। উত্তর কোরিয়ার আশঙ্কা, এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করবে, যা শুধু উত্তর কোরিয়ার জন্য নয়, এশিয়ার এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য বড় ধরনের হুমকি।
চীনও যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়ার পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, মহড়াটি এ অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়াবে। যৌথ মহড়া পর্যবেক্ষণ করতে জাপান চার সদস্যের প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কয়েক মাসের মধ্যে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রোববারেরটি নিয়ে অন্তত ১০টি যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে।
উল্লেখ্য, পীত সাগরে গত ২৬ মার্চ রহস্যজনকভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজ চেওনান ডুবে যায়। এতে ৪৬ জন নাবিকের মৃত্যু হয়। আন্তর্জাতিক একটি তদন্ত দলের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার টর্পেডোর আঘাত এজন্য দায়ী। এ ঘটনার পর থেকে কোরীয় উপদ্বীপে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে উত্তর কোরিয়া বার বার এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
কমিউনিস্টশাসিত উত্তর কোরিয়া এর আগেও অনুরূপ ভাষায় হুমকি দিয়েছে। তবে এর পরও তাদের এ ঘোষণা অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে কিছুটা উদ্বেগের সৃষ্টি করবে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
উত্তর কোরিয়ার প্রভাবশালী জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশন গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্র আর তার হাতের পুতুল দক্ষিণ কোরিয়া বর্তমান পরিস্থিতিকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার জনগণ ও সেনাবাহিনী প্রয়োজনে যেকোনো সময় পবিত্র যুদ্ধ শুরু করতে প্রস্তুত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া বিশেষ কৌশল হিসেবে যৌথ মহড়ার আয়োজন করেছে। উত্তর কোরিয়াকে দমিয়ে রাখাই তাদের আসল উদ্দেশ্য। আজ রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়াকে ‘অসংযত’ বলেও আখ্যায়িত করা হয়। উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিতে (কেসিএনএ) এই বিবৃতি প্রচার করা হয়।
একই বার্তা সংস্থা দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানায়, উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন মার্কিন অবরোধ ও যৌথ মহড়ার কঠোর জবাব দেওয়া হবে। কিন্তু এই কঠোর জবাব ঠিক কী হবে হবে—তার বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি।
উত্তর কোরিয়ার গতকালের এ হুঁশিয়ারির জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র পি জে ক্রাউলি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে গঠনমূলক উদ্যোগ আশা করে। পাশাপাশি এটাও আশা করে যে দেশটি উসকানিমূলক কথাবার্তা কমিয়ে দেবে।
গত শুক্রবার ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামের (এআরএফ) বৈঠকে উত্তর কোরীয় প্রতিনিধিদলের মুখপাত্র রি তং ইলের হুঁশিয়ারির পরদিনই উত্তর কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশনের বিবৃতিতে নতুন করে হুঁশিয়ারি দেওয়া হলো।
আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়ায় মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন, অন্য ২০টি রণতরী ও ডুবোজাহাজ, ১০০টি বিমান ও আট হাজার সেনা অংশ নেবে। উত্তর কোরিয়ার আশঙ্কা, এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করবে, যা শুধু উত্তর কোরিয়ার জন্য নয়, এশিয়ার এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য বড় ধরনের হুমকি।
চীনও যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়ার পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, মহড়াটি এ অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়াবে। যৌথ মহড়া পর্যবেক্ষণ করতে জাপান চার সদস্যের প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কয়েক মাসের মধ্যে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রোববারেরটি নিয়ে অন্তত ১০টি যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে।
উল্লেখ্য, পীত সাগরে গত ২৬ মার্চ রহস্যজনকভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজ চেওনান ডুবে যায়। এতে ৪৬ জন নাবিকের মৃত্যু হয়। আন্তর্জাতিক একটি তদন্ত দলের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার টর্পেডোর আঘাত এজন্য দায়ী। এ ঘটনার পর থেকে কোরীয় উপদ্বীপে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে উত্তর কোরিয়া বার বার এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
No comments