প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে নেপালের পার্লামেন্ট ফের ব্যর্থ
নেপালের পার্লামেন্ট দ্বিতীয় দফা চেষ্টায়ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছে। প্রার্থীদের কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারায় শুক্রবারের ভোটাভুটিও ভেস্তে গেছে। এর আগে গত মঙ্গলবারের ভোটে একই ফল হয়।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে অচলাবস্থার কারণে দেশটির শান্তি-প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার তিন দিনের মধ্যে দ্বিতীয় দফার ভোটাভুটিতে ৫৯৯ জন পার্লামেন্ট সদস্য অংশ নেন। কিন্তু দুই প্রার্থীর কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেননি। মাওবাদীদের মনোনীত প্রার্থী পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ড পেয়েছেন ২৪১ ভোট। আর নেপালি কংগ্রেসের রামচন্দ্র পৌদেল পেয়েছেন ১২৩ ভোট। বাকিরা হয় উভয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন অথবা ভোটদান থেকে বিরত থেকেছেন।
স্পিকার সুভাষ চন্দ্র নেমবাং বলেছেন, ‘উভয় প্রার্থীর কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেননি। আগামী ২ আগস্ট তৃতীয় দফায় পার্লামেন্টে ফের ভোট হবে।’
মাওবাদীরা বলেছে, পার্লামেন্টের সবচেয়ে বড় দল হিসেবে তাঁদেরই সরকারের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত।
সরকারের বিরুদ্ধে ১০ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে মাওবাদীরা ২০০৮ সালে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে সরাসরি অংশ নেয়। ওই বছর সাধারণ নির্বাচনে তাঁরা জয়লাভ করে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তাঁদের নেতা প্রচণ্ড। কিন্তু সাবেক মাওবাদী গেরিলাদের সেনাবাহিনীতে আত্তীকরণ নিয়ে বিতর্কের জের ধরে গত বছর তিনি পদত্যাগ করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশান্ত ঝা বলেন, ‘নেপালে এই মুহূর্তে জরুরি ভিত্তিতে একটি কার্যকর সরকার দরকার। অর্থনীতি, শান্তি-প্রক্রিয়া ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে হাজারও কাজ পড়ে আছে। নেপালের রাজনীতিতে ইদানীং যা ঘটছে তা দেশের জন্য বিপজ্জনক।’
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে অচলাবস্থার কারণে দেশটির শান্তি-প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার তিন দিনের মধ্যে দ্বিতীয় দফার ভোটাভুটিতে ৫৯৯ জন পার্লামেন্ট সদস্য অংশ নেন। কিন্তু দুই প্রার্থীর কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেননি। মাওবাদীদের মনোনীত প্রার্থী পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ড পেয়েছেন ২৪১ ভোট। আর নেপালি কংগ্রেসের রামচন্দ্র পৌদেল পেয়েছেন ১২৩ ভোট। বাকিরা হয় উভয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন অথবা ভোটদান থেকে বিরত থেকেছেন।
স্পিকার সুভাষ চন্দ্র নেমবাং বলেছেন, ‘উভয় প্রার্থীর কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেননি। আগামী ২ আগস্ট তৃতীয় দফায় পার্লামেন্টে ফের ভোট হবে।’
মাওবাদীরা বলেছে, পার্লামেন্টের সবচেয়ে বড় দল হিসেবে তাঁদেরই সরকারের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত।
সরকারের বিরুদ্ধে ১০ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে মাওবাদীরা ২০০৮ সালে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে সরাসরি অংশ নেয়। ওই বছর সাধারণ নির্বাচনে তাঁরা জয়লাভ করে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তাঁদের নেতা প্রচণ্ড। কিন্তু সাবেক মাওবাদী গেরিলাদের সেনাবাহিনীতে আত্তীকরণ নিয়ে বিতর্কের জের ধরে গত বছর তিনি পদত্যাগ করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশান্ত ঝা বলেন, ‘নেপালে এই মুহূর্তে জরুরি ভিত্তিতে একটি কার্যকর সরকার দরকার। অর্থনীতি, শান্তি-প্রক্রিয়া ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে হাজারও কাজ পড়ে আছে। নেপালের রাজনীতিতে ইদানীং যা ঘটছে তা দেশের জন্য বিপজ্জনক।’
No comments