ইন্দোনেশিয়ায় উঠে আসছে গ্রামীণ মধ্যবিত্তরা
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পাম তেল উত্পাদনের জন্য ইন্দোনেশিয়ায় ওরাংওটাংয়ের বসতি ধ্বংস করা হচ্ছে। পরিবেশবিদেরা অনেক আগে থেকেই দেশটির এই বনভূমি উজাড় হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে আসছেন। কাঠ সংগ্রহের জন্য বনভূমি উজাড় করার মাধ্যমে দেশটির ধনী ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিরা লাভবান হয়েছে। কিন্তু সেখানে বনের গাছ কেটে পাম-বাগান করার ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু আলাদা। সাম্প্রতিক সময়ে ইন্দোনেশিয়ার গ্রামীণ মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের উত্থানের পেছনে রয়েছে এই পাম তেল উত্পাদন।
ইন্দোনেশিয়ায় ৭০ লাখ হেক্টর জমিতে বিস্তৃত পাম-বাগানের অর্ধেকের বেশি অংশের মালিক ক্ষুদ্র ভূমিমালিকেরা। এসব চাষি পাম তেল উত্পাদনের মাধ্যমে তাঁদের ও পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন। অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষক ও অর্থনীতিবিদ জন ম্যাককার্থির গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ম্যাককার্থি ইন্দোনেশিয়ার পাম তেল খাতের একজন বিশেষজ্ঞ।
ম্যাককার্থি জানান, গবেষণার কাজ করতে তিনি সুমাত্রা এলাকায় যান। সেখানে একটি বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেন, ১৩ জন শিক্ষকের নয়জনেরই পাম-বাগান রয়েছে। তাঁরা পাম তেল উত্পাদনের সঙ্গে জড়িত। ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামে তিনি জরিপ চালান এবং সেখান থেকে যে চিত্র বেরিয়ে আসে, তা দেখে তিনি বিস্মিত হন। তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের উত্থানের একটি চিত্র পেয়েছি আমরা।’
জরিপ থেকে জানা গেছে, গ্রামবাসীর মধ্যে যিনি চার হেক্টর জমির মালিক, পাম তেল উত্পাদন থেকে তাঁর বছরে গড় আয় ১২ হাজার ডলার। আর দুই হেক্টর জমি রয়েছে এমন গ্রামবাসীর গড় বার্ষিক আয় কমবেশি দুই হাজার ডলার। এই আয় তাঁদের পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট। যেসব গ্রাম পাম তেলের উত্পাদনের সঙ্গে যুক্ত নয়, সেখানকার বাসিন্দারা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে।
তবে এই পাম তেলের উত্পাদনের সঙ্গে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি জড়িয়ে রয়েছে। আইন ভঙ্গ করে বাগান করা হচ্ছে। এই খাতে দুর্নীতি বেড়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সম্প্রদায় ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ায় পাম তেল খাত নিয়ে কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা সউইট ওয়াচ। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আকমান্দ সুরাম্বো বলেন, ‘পাম তেলের উত্পাদন ইন্দোনেশিয়ার জন্য খুব একটা ক্ষতিকর নয়। কিন্তু পরিবর্তন আনতে হবে উত্পাদনব্যবস্থায়।’ তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় এই খাতের যথাযথ প্রসারের জন্য আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ ও পরিবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পাম তেল উত্পাদন করতে হবে। এই তেলের উত্পাদনব্যবস্থা আরও স্বচ্ছ করতে হবে।
ইন্দোনেশিয়ায় ৭০ লাখ হেক্টর জমিতে বিস্তৃত পাম-বাগানের অর্ধেকের বেশি অংশের মালিক ক্ষুদ্র ভূমিমালিকেরা। এসব চাষি পাম তেল উত্পাদনের মাধ্যমে তাঁদের ও পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন। অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষক ও অর্থনীতিবিদ জন ম্যাককার্থির গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ম্যাককার্থি ইন্দোনেশিয়ার পাম তেল খাতের একজন বিশেষজ্ঞ।
ম্যাককার্থি জানান, গবেষণার কাজ করতে তিনি সুমাত্রা এলাকায় যান। সেখানে একটি বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেন, ১৩ জন শিক্ষকের নয়জনেরই পাম-বাগান রয়েছে। তাঁরা পাম তেল উত্পাদনের সঙ্গে জড়িত। ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামে তিনি জরিপ চালান এবং সেখান থেকে যে চিত্র বেরিয়ে আসে, তা দেখে তিনি বিস্মিত হন। তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের উত্থানের একটি চিত্র পেয়েছি আমরা।’
জরিপ থেকে জানা গেছে, গ্রামবাসীর মধ্যে যিনি চার হেক্টর জমির মালিক, পাম তেল উত্পাদন থেকে তাঁর বছরে গড় আয় ১২ হাজার ডলার। আর দুই হেক্টর জমি রয়েছে এমন গ্রামবাসীর গড় বার্ষিক আয় কমবেশি দুই হাজার ডলার। এই আয় তাঁদের পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট। যেসব গ্রাম পাম তেলের উত্পাদনের সঙ্গে যুক্ত নয়, সেখানকার বাসিন্দারা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে।
তবে এই পাম তেলের উত্পাদনের সঙ্গে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি জড়িয়ে রয়েছে। আইন ভঙ্গ করে বাগান করা হচ্ছে। এই খাতে দুর্নীতি বেড়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সম্প্রদায় ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ায় পাম তেল খাত নিয়ে কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা সউইট ওয়াচ। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আকমান্দ সুরাম্বো বলেন, ‘পাম তেলের উত্পাদন ইন্দোনেশিয়ার জন্য খুব একটা ক্ষতিকর নয়। কিন্তু পরিবর্তন আনতে হবে উত্পাদনব্যবস্থায়।’ তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় এই খাতের যথাযথ প্রসারের জন্য আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ ও পরিবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পাম তেল উত্পাদন করতে হবে। এই তেলের উত্পাদনব্যবস্থা আরও স্বচ্ছ করতে হবে।
No comments