মিল্ক ভিটার সুনাম-দুর্নাম
মিল্ক ভিটা ছিল স্বাধীনতার পরের দেশ গঠনের প্রেরণার ফসল। সমবায় আন্দোলনের সফল দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি সুনামের অধিকারী হয়েছিল। ১৫ লাখ সমবায়ীর এ প্রতিষ্ঠান ‘মিল্ক ভিটা’ নামটিকে কেবল ব্র্যান্ডেই পরিণত করেনি, সিরাজগঞ্জের পিছিয়ে থাকা গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্যও ঘুচিয়েছিল। এটি এখনো দেশের প্রধানতম দুধ ও দুধজাত পণ্যের জোগানদাতা। কিন্তু আর সব ক্ষেত্রের মতো এখানেও পড়েছে দুর্নীতির থাবা, সুনামের জায়গা নিচ্ছে দুর্নাম।
বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ছিল ‘মিল্ক ভিটাকে চুষে খাচ্ছে দুর্নীতিবাজেরা’। এর ব্যবস্থাপনা কমিটি চালাচ্ছেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক। অর্থকরী প্রতিষ্ঠানে রাজনীতির পান্ডারা যুক্ত হলে যা হয়, ধীরে ধীরে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হচ্ছে লাভজনক ও দরিদ্রবান্ধব এ প্রতিষ্ঠানটি।
দুর্নীতির এ গল্পের শুরু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় থেকে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতির দায়ে চাকরিচ্যুত হন ৬১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় নতুন অস্থায়ী কমিটি গঠন করে। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের দুই নেতা হয়ে যান প্রতিষ্ঠানটির সর্বেসর্বা। তাঁদের প্রথম কাজ হয় ৭৫ লাখ টাকার ঘুষের বিনিময়ে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় সরকার ও সমবায় প্রতিমন্ত্রীর সুপারিশে বিধি ভেঙে মহাব্যবস্থাপক পদে পুনর্বহাল হন এক আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ। ব্যবস্থাপনা কমিটির সহসভাপতি শফিকুর রহমান নিজেকে প্রতিমন্ত্রীর আস্থাভাজন বলে প্রচার করে প্রতাপের সঙ্গে দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।
বড় দুর্নীতির জন্য দুর্নীতির জালটাও বড় হতে হয়। পাট খাতের গর্ব আদমজী পাটকলসহ সরকারি পাটশিল্পকে চুষে ছোবড়া বানিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তা আর রাজনৈতিক নেতারা। মিল্ক ভিটাকে সাফল্যের শিখরে তুলেছিলেন সমবায়ের সাধারণ সদস্যরা। কিন্তু আমলাতন্ত্র ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা নিজেদের সম্পদ বৃদ্ধির মোহে একে আদমজীর পরিণতির দিকে টানছে। মিল্ক ভিটাকে বাঁচাতে হলে সবার আগে সমবায় মন্ত্রণালয়কে পক্ষপাতহীনভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে উদ্যোগী হতে হবে। চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের শাস্তি বহাল রাখতে হবে এবং নতুন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা আগের মতো সমবায় সমিতির ১৫ লাখ সদস্যের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে করতে হবে; তাঁরাই এর সাফল্য এনেছিলেন। রাজনৈতিক নেতাদের খবরদারি সেখানে বাঞ্ছনীয় নয়।
বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ছিল ‘মিল্ক ভিটাকে চুষে খাচ্ছে দুর্নীতিবাজেরা’। এর ব্যবস্থাপনা কমিটি চালাচ্ছেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক। অর্থকরী প্রতিষ্ঠানে রাজনীতির পান্ডারা যুক্ত হলে যা হয়, ধীরে ধীরে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হচ্ছে লাভজনক ও দরিদ্রবান্ধব এ প্রতিষ্ঠানটি।
দুর্নীতির এ গল্পের শুরু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় থেকে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতির দায়ে চাকরিচ্যুত হন ৬১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় নতুন অস্থায়ী কমিটি গঠন করে। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের দুই নেতা হয়ে যান প্রতিষ্ঠানটির সর্বেসর্বা। তাঁদের প্রথম কাজ হয় ৭৫ লাখ টাকার ঘুষের বিনিময়ে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় সরকার ও সমবায় প্রতিমন্ত্রীর সুপারিশে বিধি ভেঙে মহাব্যবস্থাপক পদে পুনর্বহাল হন এক আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ। ব্যবস্থাপনা কমিটির সহসভাপতি শফিকুর রহমান নিজেকে প্রতিমন্ত্রীর আস্থাভাজন বলে প্রচার করে প্রতাপের সঙ্গে দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।
বড় দুর্নীতির জন্য দুর্নীতির জালটাও বড় হতে হয়। পাট খাতের গর্ব আদমজী পাটকলসহ সরকারি পাটশিল্পকে চুষে ছোবড়া বানিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তা আর রাজনৈতিক নেতারা। মিল্ক ভিটাকে সাফল্যের শিখরে তুলেছিলেন সমবায়ের সাধারণ সদস্যরা। কিন্তু আমলাতন্ত্র ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা নিজেদের সম্পদ বৃদ্ধির মোহে একে আদমজীর পরিণতির দিকে টানছে। মিল্ক ভিটাকে বাঁচাতে হলে সবার আগে সমবায় মন্ত্রণালয়কে পক্ষপাতহীনভাবে এবং দক্ষতার সঙ্গে উদ্যোগী হতে হবে। চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের শাস্তি বহাল রাখতে হবে এবং নতুন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা আগের মতো সমবায় সমিতির ১৫ লাখ সদস্যের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে করতে হবে; তাঁরাই এর সাফল্য এনেছিলেন। রাজনৈতিক নেতাদের খবরদারি সেখানে বাঞ্ছনীয় নয়।
No comments