ভারতের উত্তর প্রদেশে মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে ৬৩ জনের প্রাণহানি
ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রতাপগড় জেলার একটি মন্দিরে মানুষের হুড়োহুড়িতে পায়ের চাপায় পিষ্ট হয়ে অন্তত ৬৩ জন নারী ও শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে খাবার ও কাপড় নেওয়ার সময় লোকজনের ভিড়ের চাপে নির্মাণাধীন একটি দরজা ভেঙে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৩৭টি শিশু ও ২৬ জন নারী রয়েছে। খবর এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসি অনলাইন।
প্রতাপগড়ে দুর্ঘটনা ঘটা মন্দিরটির নাম হিন্দু রাম জানকী। এটি উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষৌ শহরের প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বা এলাহাবাদ শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গতকাল দুপুরে সেখানে ছিল সর্বসাধারণ জনগণের জন্য খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা। মন্দিরের মালিক স্বামী কৃপালুজি মহারাজ নিজে উপস্থিত থেকে সেই ভোজের বন্দোবস্ত করেছিলেন। তাই স্বাভাবিকভাবে সেখানে উপস্থিত হয় তাঁর ১০ হাজার অনুসারী। বিনা পয়সায় খাওয়া ও নিজ চোখে সাধুবাবাকে দেখার সুযোগ নষ্ট করতে চায়নি তারা।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে সহকারী পুলিশ সুপার এস পি পাঠক টেলিফোনে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ গণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭টি শিশু ও ২৬ জন নারী রয়েছে। তিনি জানান, খাবার নেওয়ার সময় রাম জানকী মন্দিরের নির্মাণাধীন একটি দরজা হঠাত্ ভেঙে পড়লে ভক্তরা আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করে। লোকজনের পায়ের চাপা ও ধাক্কায় নিহত হয় ৬৩ জন। আহত হয় অনেকে।
আহতদের মধ্যে ২৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। সে ক্ষেত্রে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
দুর্ঘটনার পরপরই পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। উদ্ধার করেন ৬৩ জনের লাশ।
স্বামী কৃপালুজি মহারাজের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, মহারাজের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অধীনে অনেক বিদ্যালয়, মন্দির, হাসপাতাল এবং পাঁচটি বড় ধরনের আশ্রম রয়েছে। একটি আশ্রম যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।
অল্প জায়গায় বিপুলসংখ্যক ভক্ত উপস্থিত হওয়ায় ভারতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিয়মিত পদপিষ্ট হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। এসব স্থানে দ্রুত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তামূলকব্যবস্থা থাকে খুবই কম। এর ফলাফল প্রায়ই হয় ভয়াবহ।
সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে ২০০৮ সালের অক্টোবরে। ওই সময় যোধপুরের বিখ্যাত মেহরানগড় দুর্গের ভেতরের একটি মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে ২২০ জন নিহত হয়। তখন সেখানে নয় দিনব্যাপী হিন্দু উত্সব নবরাত্রি চলছিল। পাহাড়ের ওপরের মন্দিরে প্রার্থনায় অংশ নিতে তখন ২৫ হাজারের বেশি লোক ওপরে ওঠে। ওই সময় সরু পথ-সংলগ্ন একটি দেয়াল বিধ্বস্ত হয়ে কয়েকজন মারা যায়। লোকজন এতে আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি করলে পদপিষ্ট ও শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ২২০ জনের মৃত্যু হয়।
প্রতাপগড়ে দুর্ঘটনা ঘটা মন্দিরটির নাম হিন্দু রাম জানকী। এটি উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষৌ শহরের প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বা এলাহাবাদ শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। গতকাল দুপুরে সেখানে ছিল সর্বসাধারণ জনগণের জন্য খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা। মন্দিরের মালিক স্বামী কৃপালুজি মহারাজ নিজে উপস্থিত থেকে সেই ভোজের বন্দোবস্ত করেছিলেন। তাই স্বাভাবিকভাবে সেখানে উপস্থিত হয় তাঁর ১০ হাজার অনুসারী। বিনা পয়সায় খাওয়া ও নিজ চোখে সাধুবাবাকে দেখার সুযোগ নষ্ট করতে চায়নি তারা।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে সহকারী পুলিশ সুপার এস পি পাঠক টেলিফোনে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ গণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭টি শিশু ও ২৬ জন নারী রয়েছে। তিনি জানান, খাবার নেওয়ার সময় রাম জানকী মন্দিরের নির্মাণাধীন একটি দরজা হঠাত্ ভেঙে পড়লে ভক্তরা আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করে। লোকজনের পায়ের চাপা ও ধাক্কায় নিহত হয় ৬৩ জন। আহত হয় অনেকে।
আহতদের মধ্যে ২৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। সে ক্ষেত্রে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
দুর্ঘটনার পরপরই পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। উদ্ধার করেন ৬৩ জনের লাশ।
স্বামী কৃপালুজি মহারাজের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, মহারাজের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অধীনে অনেক বিদ্যালয়, মন্দির, হাসপাতাল এবং পাঁচটি বড় ধরনের আশ্রম রয়েছে। একটি আশ্রম যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।
অল্প জায়গায় বিপুলসংখ্যক ভক্ত উপস্থিত হওয়ায় ভারতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিয়মিত পদপিষ্ট হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। এসব স্থানে দ্রুত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তামূলকব্যবস্থা থাকে খুবই কম। এর ফলাফল প্রায়ই হয় ভয়াবহ।
সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে ২০০৮ সালের অক্টোবরে। ওই সময় যোধপুরের বিখ্যাত মেহরানগড় দুর্গের ভেতরের একটি মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে ২২০ জন নিহত হয়। তখন সেখানে নয় দিনব্যাপী হিন্দু উত্সব নবরাত্রি চলছিল। পাহাড়ের ওপরের মন্দিরে প্রার্থনায় অংশ নিতে তখন ২৫ হাজারের বেশি লোক ওপরে ওঠে। ওই সময় সরু পথ-সংলগ্ন একটি দেয়াল বিধ্বস্ত হয়ে কয়েকজন মারা যায়। লোকজন এতে আতঙ্কিত হয়ে হুড়োহুড়ি করলে পদপিষ্ট ও শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ২২০ জনের মৃত্যু হয়।
No comments