চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত পাহেইরা
প্রথম দফায় দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হিসেবে মোটামুটি ভালোই করছিলেন। কিন্তু অসুস্থ স্ত্রীকে সময় দিতে গত বছর এপ্রিলে চাকরি ছেড়ে চলে যান কার্লোস আলবার্তো পাহেইরা। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নেন আরেক ব্রাজিলিয়ান জোয়েল সান্তানা। কিন্তু সান্তানার সময়টায় নয় ম্যাচের আটটিতেই পরাজয়ের কোনো সান্ত্বনা খুঁজে পাচ্ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকা। আর তাই ‘অসুস্থ’ দলটাকে সারিয়ে তুলতে আবারও পাহেইরার হাতে দলের দায়িত্ব সঁপে দিয়েছে আগামী বিশ্বকাপের স্বাগতিকেরা।
দ্বিতীয় মেয়াদে দলের দায়িত্ব নিয়েই বিশ্বকাপজয়ী এই কোচ জানিয়ে দিলেন, প্রত্যাশার প্রতিদান তিনি দেবেন, ‘আমি এখানে এসেছি, কারণ বিশ্বকাপে স্বাগতিক দলকে নেতৃত্ব দেওয়াটা অনেক সৌভাগ্য আর সম্মানের। আমার রেকর্ডে এটি থেকে যাবে। এটা অমূল্য। আর আমি এর জন্য উন্মুখ।’
পাহেইরার ব্যাকুল থাকারই কথা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে আগামী বিশ্বকাপে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটা ‘রেকর্ড’ হয়ে যাবে তাঁর। ভিন্ন ৫টি দেশকে নিয়ে বিশ্বকাপে যাওয়ার কীর্তিটা আর আছে শুধু বোরা মিলুটিনোভিচের। ব্রাজিলকে ১৯৯৪ আর ২০০৬ বিশ্বকাপে পথ দেখিয়েছেন। ’৯৪-তে তো বিশ্বকাপই জিতলেন। পাহেইরাকে বিশ্বকাপে দেখা গিয়েছিল কুয়েত, আরব আমিরাত আর সৌদি আরবের কোচ হিসেবেও।
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার দায়িত্ব এমন এক সময় নিলেন, যখন দলটার চাকচিক্য বলতে কিছু বাকি নেই। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৮৬ নম্বরে জায়গা তাদের। সময়ও আর বেশি নেই হাতে। পাহেইরা কি পারবেন? দ্বিতীয় মেয়াদে ‘বাফানা বাফানা’র দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সাংবাদিকদের জিজ্ঞাস্য ছিল এটাই। ৬৬ বছর বয়সীর প্রত্যয়ী উত্তর, ‘আমার যদি মনে হতো এই দলটার বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার বা ভালো করার সম্ভাবনা নেই, তাহলে নিজেকে বিপদে ঠেলে দেওয়ার জন্য আমি কি এখানে আসতাম? প্রশ্নই ওঠে না।’
আপাতত তাঁর দাওয়াই কী হবে সেটিও জানিয়ে দিয়েছেন। ভঙ্গুর আত্মবিশ্বাস চাঙ্গা করে তোলা। ‘হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার সবচেয়ে ভালো দিক হলো, আমাদের জেতার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। আর সেটি করতে হলে আমাদের জিততে শুরু করতে হবে। এ মাসে জাপান আর জ্যামাইকার বিপক্ষে দুটো গুরুত্বপূর্ণ প্রীতি ম্যাচ আছে। আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধারে এই দুটো ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আগামী মার্চে এক মাসের সফরে দলকে নিয়ে ব্রাজিলে যাবেন। সেখানে স্থানীয় দলগুলোর বিপক্ষে কমপক্ষে ১০টি প্রীতি ম্যাচ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেখাই যাক, পাহেইরার ছোঁয়ায় কতটা বদলায় স্বাগতিকেরা। প্রথম রাউন্ডেই তারা বাদ পড়ে গেলে বিশ্বকাপই যে খানিকটা রং হারাবে।
দ্বিতীয় মেয়াদে দলের দায়িত্ব নিয়েই বিশ্বকাপজয়ী এই কোচ জানিয়ে দিলেন, প্রত্যাশার প্রতিদান তিনি দেবেন, ‘আমি এখানে এসেছি, কারণ বিশ্বকাপে স্বাগতিক দলকে নেতৃত্ব দেওয়াটা অনেক সৌভাগ্য আর সম্মানের। আমার রেকর্ডে এটি থেকে যাবে। এটা অমূল্য। আর আমি এর জন্য উন্মুখ।’
পাহেইরার ব্যাকুল থাকারই কথা। দক্ষিণ আফ্রিকাকে আগামী বিশ্বকাপে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটা ‘রেকর্ড’ হয়ে যাবে তাঁর। ভিন্ন ৫টি দেশকে নিয়ে বিশ্বকাপে যাওয়ার কীর্তিটা আর আছে শুধু বোরা মিলুটিনোভিচের। ব্রাজিলকে ১৯৯৪ আর ২০০৬ বিশ্বকাপে পথ দেখিয়েছেন। ’৯৪-তে তো বিশ্বকাপই জিতলেন। পাহেইরাকে বিশ্বকাপে দেখা গিয়েছিল কুয়েত, আরব আমিরাত আর সৌদি আরবের কোচ হিসেবেও।
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার দায়িত্ব এমন এক সময় নিলেন, যখন দলটার চাকচিক্য বলতে কিছু বাকি নেই। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৮৬ নম্বরে জায়গা তাদের। সময়ও আর বেশি নেই হাতে। পাহেইরা কি পারবেন? দ্বিতীয় মেয়াদে ‘বাফানা বাফানা’র দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সাংবাদিকদের জিজ্ঞাস্য ছিল এটাই। ৬৬ বছর বয়সীর প্রত্যয়ী উত্তর, ‘আমার যদি মনে হতো এই দলটার বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার বা ভালো করার সম্ভাবনা নেই, তাহলে নিজেকে বিপদে ঠেলে দেওয়ার জন্য আমি কি এখানে আসতাম? প্রশ্নই ওঠে না।’
আপাতত তাঁর দাওয়াই কী হবে সেটিও জানিয়ে দিয়েছেন। ভঙ্গুর আত্মবিশ্বাস চাঙ্গা করে তোলা। ‘হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার সবচেয়ে ভালো দিক হলো, আমাদের জেতার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। আর সেটি করতে হলে আমাদের জিততে শুরু করতে হবে। এ মাসে জাপান আর জ্যামাইকার বিপক্ষে দুটো গুরুত্বপূর্ণ প্রীতি ম্যাচ আছে। আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধারে এই দুটো ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
আগামী মার্চে এক মাসের সফরে দলকে নিয়ে ব্রাজিলে যাবেন। সেখানে স্থানীয় দলগুলোর বিপক্ষে কমপক্ষে ১০টি প্রীতি ম্যাচ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেখাই যাক, পাহেইরার ছোঁয়ায় কতটা বদলায় স্বাগতিকেরা। প্রথম রাউন্ডেই তারা বাদ পড়ে গেলে বিশ্বকাপই যে খানিকটা রং হারাবে।
No comments